তো যদি আপনি এই বিশ্বের সবচেয়ে শীর্ষে থাকা ওয়েবসাইট সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্ট টি শুধু আপনার জন্য। আমরা আজ এই কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আপনাকে দেখাব এসব সেরা ওয়েবসাইট এর খুটি নাটি। যা দেখে আপনি অবশ্যই চমকে যাবেন। আমরা এই ওয়েবসাইট গুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা দেখানো হলো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক;
বর্তমান সময় এ কেউ ফেসবুক এর নাম শুনেন নি এমন লোক খুজে পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছোট বড় সবাই খুলতে পারবেন। ফেসবুক অ্যাপ টি বিশ্বজুড়ে ২০১০ থেকে ২০২০সালে বা দশকের সব থেকে বেশি ডাউনলোড করা মোবাইল অ্যাপ। ফেসবুক দাবি করছে তাদের এই অ্যাপ টি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন সক্রিয় ব্যবহার কারির সংখ্যা ছিল ২.৩ মিলিওন এর ও বেশি।
তবে ফেসবুক এ তারা অনেক সমস্যা ধরেছেন। তা হলো ফেসবুক এ জাল অ্যাকাউন্ট। তাই এই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জাল অ্যাকাউন্ট এর সাথে বড় সমস্যার সম্মুখীন। ফেসবুক জানিয়েছে যে ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন জাল অ্যাকাউন্ট খুজে পেয়েছে।
ফেসবুক এ কতজন প্রকৃত ব্যবহার কারী রয়েছে তা ফেসবুক জানে কিনা তা নিয়ে অনেক কথা বলেছে সমালোচকরা। বিশ্বের এই শীর্ষে থাকা ওয়েবসাইট টি হচ্ছে সামাজিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট ফেসবুক এর মাধ্যমে আপনি আপনার বাক্তিগত ছবি শেয়ার করতে পারবেন। বন্ধু বান্ধব দের সাথে কথা বলা মেসেজ করা ইত্তাদি করতে পারবেন। এমন কি আপনি এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার সেই পুরনো বন্ধু কে খুজে পেতে পারেন।
টুইটার শব্দটি হয়তো অনেক এই শুনে থাকবেন। টুইটার সামাজিক যোগাযোগ বা আন্তঃযোগাযোগ বাবস্থা একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট টি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয় যার ফলে খুব তারাতারি এটি বিদ্ধি পেতে থাকে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই ওয়েবসাইট এ ইউজার সর্বচ্চ ২৮০ অক্ষরের বার্তা বা টেক্সট আদান প্রদান প্রকাশ করতে পারবে। টুইটার সারা বিশ্ব জুড়ে বেশ পরিচিত।
এই বার্তা গুলিকে সাধারনত টুইট বলা হয়ে থাকে।টুইটার জানিয়েছে ২০১২ সালে এর ব্যবহার কারী ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন এর বেশি আর একটি দিনে ৩৪০ মিলিয়ন টুইট পোস্ট করেছেন ব্যবহার কারীরা। এই ওয়েবসাইট টি প্রতিদিন প্রায় গড়ে ১.৬ মিলিয়ন অনুসন্ধান করে থাকে বা ব্যবহার করে থাকে। টুইটার এর ব্যবহার কারীরা অন্য ব্যবহার কারির টুইট পরার জন্য নিবন্ধন কর৪০তে পারেন। আর এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে অনুসরন করা। টুইটার এ ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি ব্যবহারকারী আছে।
২০১৩ সালে এই ওয়েবসাইট টি সর্বাধিক ১০টি ওয়েবসাইট দেখা এবং ব্যবহার কারির তালিকায় ছিল এই টুইটার ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট কে ইন্টারনেট এর এসএমএস হিসাবে আখ্যায়িত অরা হয়েছে। এই ওয়েবসাইট নানা রকম দিক যেমন, ভিজিট, লিঙ্কগুলি অর্জন করে এবং ডোমেন গুলি উল্লেখ করার ক্ষেত্রে ইত্তাদি বিবেচনা করে এই ওয়েবসাইট টি দ্বিতীয় শক্তিশালী ওয়েবসাইট।
ইন্সটাগ্রাম ওয়েবসাইট টি ২০১০ সালে তৈরি করা হয়। এই ওয়েবসাইট এর প্রথম দিকে দুই মাসে ব্যবহার কারী ছিল ১ মিলিয়ন আর তা এক বছরে আছে ১০ মিলিয়ন এর মতো। কিন্ত বর্তমান এই ইন্সটাগ্রাম ওয়েবসাইট এর ব্যবহার কারী প্রায় ১ বিলিয়ন এরও বেশি। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবি শেয়ার করতে পারবেন। আর পারবেন ১৫ সেকেন্ড এর ভিডিও শেয়ার।
টুইটার জানিয়েছে যে তাদের এই ওয়েবসাইট এ প্রায় প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন এর ও বেশি ব্যবহার কারী প্রতিদিন ব্যবহার করে থাকে এবং সেখান এ ছবি শেয়ার করে থাকে। আর সেই সাথে এই ইন্সটাগ্রাম ওয়েবসাইট এ শেয়ার করা হয় প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন ১৫ সেকেন্ড এর ভিডিও। এই ওয়েবসাইট টি খুব দূরততার সাথে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০১৫ সালে এই ওয়েবসাইট টিতে ৪০ বিলিয়ন এর বেশি ছবি এই ওয়েবসাইট এ আপলোড করা হয়েছিল বলে জানায় টুইটার। প্রতিদিন এর ব্যবহার কারী বেড়েই চলছে।
Youtube
অনন্যা সকল সাইট এর এর মতো এই ওয়েবসাইট টি খুব জনপ্রিয়। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার বা আদানপ্রদান করা যায়। এই ওয়েবসাইট বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করা এবং আপনি যদি এই ওয়েবসাইট এর সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ইউটিউব ওয়েবসাইট এ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। এই ইউটিউব ওয়েবসাইট এ আছে ভিডিও কোয়ালিটি পর্যালোচনা এবং আপনি আপনার অভিমত জানাতে পারবেন এছাড়া এই ওয়েবসাইট এ আপনি নানা রকম সুযোগ সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন।
২০০৬ সালে এই ওয়েবসাইট গুগল নিজেদের করে কিনে নেই। আর এই ইউটিউব ওয়েবসাইট গুগল এর অন্নতম সয়াহক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি নিমিষেই ভালো ভালো ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে পরের পোস্ট এ জানাবো।
এই ওয়েবসাইটটি ফেসবুক, টুইটার ইত্তাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এর মতো ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট টি চাকুরি জীবী ব্যাবসায়ী ও অনন্যা পেশাদার মানুষ এর জন্য তৈরি। এর ওয়েবসাইট টি বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। এটি ২০০৩ সালে পেশাদার নেটওয়ার্কীং এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে চাকরি পোস্টকারী, নিয়োগ কারী, চাকরির সন্ধানকারীরা তাদের সিভি পোস্ট করা সহ সকল তথ্য এই ওয়েবসাইট এ পাওয়া যাবে।
এই linkedin ওয়েবসাইট ২০১৬ সাল থেকে মাইক্রোসফট কোম্পানির মালিকানাধীন হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান এ এই ওয়েবসাইট টি ১৫০ টি দেশ প্রচালিত আছে এবং এর নিবন্ধন করা সদস্য সংখ্যা ৬৩০ মিলিয়ন এর উপরে। এখন কথা হল আপনি যদি চাকরি বা ব্যাবসা করার কোন রকম পরিকল্পনা থেকে থাকে তাহলে আমি বলব আপনার একটা লিঙ্কেদিন linkedin ওয়েবসাইটে একটি প্রোফাইল থাকা দরকার। আর যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই ওয়েবসাইট প্রোফাইল থাকা আবশ্যক।
Baidu
এই ওয়েবসাইট টি হচ্ছে একটি চিনা বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এআই এবং ইন্টারনেট সংস্থা গুলির একটি। বাইদু হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। চিন থেকে গুগল ছেড়ে দেয়ার পর বাইদু চিনের ৭০ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। এই ওয়েবসাইট টি ব্যাবসা,খবর, ও প্রযুক্তি সাইট ভারতের। বিশ্বের সেরা দশটি ওয়েবসাইট এর মাঝে এই ওয়েবসাইট টি তালিকায় রয়েছে।
গুগল একটি আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এই গুগল ওয়েবসাইট টি বেশ জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এই গুগল ওয়েবসাইট টি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রদর্শন করা ওয়েবসাইট। তবে এই গুগল ওয়েবসাইট টি ৭ তম অবস্থানে রয়েছে। গুগল এর প্রধানত সেবা গুলি হলো গুগল সার্চ ছাড়াও পণ্য অধিগ্রহন ইত্যাদির কাজের সাথে সাথে এই কোম্পানির খুব তারাতারি প্রসার হয়। গুগল এর অনন্যা অনেক নানা রকম সাইট রয়েছে যেমন;ইউটিউব, ব্লগ ইত্যাদি সেরা একশটি সাইট এ স্থান পেয়ে থাকে।
Google Plus
গুগল প্লাস এই ওয়েবসাইট টি একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সেবা বা সামাজিক যোগাযোগ ওয়েব সেবা। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি গুগল এর অনন্যা সাইট এর সেবা গুলি ব্যবহার করতে পারবেন।গুগল এর এই ওয়েবসাইট টি বেশ জনপ্রিয়।
এই ওয়েবসাইট টি খুব জনপ্রিয়। এটি একটি আমেরিকান সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সংস্থ্যা।এই ওয়েবসাইট টি ফটো শেয়ারিং হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনি যদি চানেই ওয়েবসাইট টি ব্যবহার করবেন তাহলে আপনাকে এই ওয়েবসাইট টি নিবন্ধন করে নিতে হবে। এই ওয়েবসাইট এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩০০ মিলিয়ন এর উপরে।
Apple
অ্যাপল একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। স্টিভ জভ এর নানা রকম চিন্তা ভাবনা এবং বিভিন্ন প্রচার এর মাধ্যমে এটি হয়ে ওঠে খুব দ্রুত লাভজনক প্রতিষ্ঠান। অ্যাপল কোম্পানি সৃষ্টি থেকে বেশ শীর্ষে ছিল। অ্যাপল এর এই সব প্রযুক্তি অ্যাপল বাজারের শেয়ার এবং শেয়ার এর দাম উভয় ক্ষেত্রে প্রভাবশালী প্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে অব্বাহিত রেখেছে। অ্যাপল এর নানা রকম প্রোডাক্ট রয়েছে।
আমার কাছে আজ এই ছিল ২০২০ সালের সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট নিয়ে পোস্ট। আপনার কোন ওয়েবসাইট ভালো লেগেছে এবং আপনি কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন তা নিচে কমেন্ট বক্স এ জানাতে ভুলবেন না কিন্ত।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।