আর এই রকম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে গুগুল সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলে থাকছে সেসব বিস্তারিত ধাপ। আপনি এই ধাপ অনুযায়ী চলতে থাকলে আপনি আপনার হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে পারবেন। হারানো মোবাইল বের করার উপায়। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক;
তথ্য প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। মানুষ ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে আবার ঘুমানো পর্যন্ত তথ্য প্রজুক্তির সুবিধা পাচ্ছে। আর সেই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোন। দিনে দিনে এই স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রতিদিন যেমন সুবিধা পাচ্ছি তেমন আমরা অসুবিধা ভোগ করে থাকি।
এসব স্মার্ট ফোনের মাঝে থাকে মানুষের সব গোপন তথ্য। আর এই স্মার্টফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি ছিনতাই হয়ে গেলে আপনাকে পরতে হয় নানা রকম দুশ্চিন্তা বা হেনস্তার মধ্যে। আপনার পছন্দের মোবাইলফোন টি হারিয়ে গেলে,আপনি সহ অনেক এই বুঝতে পারেন না যে আপনার কি করনীয়? অনেক এই অনেকজনে কাছ থেকে নানারকম পরামর্শ নিয়ে থাকেন, কিন্ত তা নাহলে নানা রকম দুশ্চিন্তায় থাকেন বা সিদ্ধান্ত হীনতায় থাকেন। কিন্ত আপনার এসব পরামর্শ কোনো কাজে না আসলে আপনি মুখ লুটিয়ে বসে থাকেন।
আপনার চুরি হয়ে যাওয়া বা ছিনতায় হয়ে যাওয়া ফোনটির জন্য আপনাকে সর্ব প্রথম যা করতে হবে আপনাকে নিকটবর্তী থানায় জিডি করতে হবে। এর কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোনের মধ্যে থাকা সিমের মাধ্যমে অপরাধীরা সহজেই গুরতরও অপরাধ করতে পারেন। এর কারণে আপনার কাছে দায়ভার চলে আসতে পারে সহজেই।
থানায় জিডি করার সময় আপনার মোবাইল ফোন সেট নম্বর, মোবাইল ফোনে যাবতীয় তথ্য এবং সিমে তথ্য দিয়ে কখন কিভাবে আপনার স্মার্টফোন হারিয়ে গিয়েছে সেটা ভালো করে বলতে হবে। থানায় জিডি করার সময় বিশেষ করে উল্লেখ করতে হবে ওই মোবাইল ফোনে IMEI আইএমইআই নম্বর।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নতুন প্রযুক্তি থাকার কারণে মোবাইলফোন খুঁজে বের করতে অনেক সহজ হয়ে পড়ছে। এছাড়া এসব নতুন প্রযুক্তি কারণে মোবাইল ফোনের অবস্থান খুঁজে বের করা সম্ভব। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ গোয়েন্দা (ডিবি) এর কাছে অভিযোগটি হস্থান্তর করে থাকেন। মোবাইল হারানোর জিডি। ফোনের লোকেশন জানার উপায়। হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়।
গুগুল এর মাধ্যমে স্মার্ট ফোন খুঁজে বের করা
আপনার আন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি যদি হারিয়ে যায় এর জন্য আপনি যা যা করবেন। আর যেভাবে আপনার মোবাইল ফোনটি ট্র্যাক করবেন।
১. আপনার মোবাইল ফোনে মধ্যে একটি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। দেখা গেছে অনেক এই প্লে স্টোর অ্যাকাউন্ট বলে থাকেন। অনেক এই আবার যেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকেন সেখানে একটা মিনিমাম একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগে যে অ্যাকাউন্টে মাধ্যমে আপনি সফটওয়্যার ডাউনলোড করেন। তো আপনার ওই ই-মেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে যার মাধ্যমে আপনি ফোনটি ট্র্যাক করবেন।
অনেকেই হইতো জানেন বলবেন কিন্ত আপনি আপনাদের কয়েকটি টিপস বলবো, যা আপনার হারানো মোবাইল ফোনকে খুঁজে বের করতে সহজ করে দিবে। আর আমি আপনাকে কয়েকটিকি পয়েন্টের কথা বলবো যেগুলা হইতে আপনি জানেন না। কারণ হচ্ছে যে আপনি এগুলার মাধ্যমে আপনি জিডিও করতে পারবেন। সর্ব প্রথম আপনার একটা জি-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। যার দারা আপনি ফোন ট্র্যাক করবেন।
২. দ্বিতীয়ত আপনার হারানো মোবাইল ফোনের ডাটা অন থাকতে হবে। আর ডাটা কানেকশন যখন অন ছিল বা লাস্ট যখন অন ছিল সেই যায়গা আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন। কিন্ত আপনার ফোনের অরজিনাল লোকেশন জানার জন্য আপনার হারানো মোবাইল ফোনের ডাটা অবশ্যই অন থাকতে হবে। মানে হচ্ছে সেটা নেট কানেকশন থাকতেই হবে সেটা ওয়াইফাই হোক বা ডাটা কানেকশন। মাক্সিমাম মানুষ এখন ফোনের মাঝে ১ জিবি বা ২ জিবি ডাটা রাখেন ওয়াইফাই থাকা সত্তেও। ডাটা কানেকশন অন থাকলেই আপনি আসলে ফোন ট্র্যাক করতে পারবেন।
সুতরাং, এটি আসলে একটি ব্যাপার। আপনারা অনেক হইতো ই-মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ বলে থাকেন এই অ্যাড্রেস দিলাম দিলাম, না দিলে নাই। আর এই ইমেইল অ্যাড্রেস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই ইমেইল অ্যাড্রেস যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনি অনেক ক্ষতির মাঝে পড়তে পারেন। এই ই-মেইল অ্যাড্রেসটি আপনি কিভাবে সিকিউর করবেন তা নিয়ে পরবর্তী আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো। আপনারা যদি চান কিভাবে জি-মেইল অ্যাড্রেস সিকিউর করবো। সেটা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
৩. আপনার হারানো মোবাইল ফোনে যে জিমেইল ব্যবহার করেছেন সেটি আপনার মনে আছে তো। তাহলে আপনি কোন কম্পিউটারে বসে ঠিকানা লিখুন (www.google.com/android/find)। আর সেখান থেকে আপনি আপনার জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন দিন। তখন find my ডিভাইস দেখাবে সেখানে accept করলেই আপনার প্রথম ধাপের কাজ শেষ।
৪. আপনার মোবাইল ফোনের লোকেশন বের করার জন্য ডাটা কানেকশন চালু থাকতে হবে তাইলে এই ধাপ কাজ করবে। সার্ভারে আপনার মোবাইল নম্বর বা মোবাইল ফোনের ব্র্যান্ড খুঁজে নিবে গুগুল ম্যাপ। মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য সার্ভারের মাধ্যমে গুগুল ম্যাপে দেখাবে। আর হা মনে রাখবেন গুগুল মোবাইল ফোনের লোকেশন কাছাকাছি দেখাবে।
৫. মোবাইল ফোনটি যদি আপনার এলাকার মাঝে দেখা যায় তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে বা দিকে থাকা প্লে সাউন্ড অপশন ব্যবহার করুন। আর এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে মোবাইলে রিংটোন বাঝাতে পারবেন। মোবাইল ফোনে সাইলেন্ট থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এই রিংটোন আপনার মোবাইল ফোনে ৫ মিনিট ধরে বাচতে থাকবে।
৬. মোবাইল ফোন যদি আপনি দ্রুত খুঁজে না পেয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইলে লক করে দেয়ার বাবস্থা নিতে পারেন। মোবাইল খুঁজে পাওয়ার পর আবার লক খুলতে পারবেন বা মোবাইল উদ্ধারের পর পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল আনলক করতে পারবেন।
৭. এছাড়া মোবাইল ফোনের মাঝে থাকা আপনার সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন অন্য কেউ জানতে না পারে বা কারো হাতে না পরে আপনি সেই বাবস্থা নিতে পারেন (ERASE DATA ) অপশন ব্যবহার করে। আপনার সকল তথ্য মুছে ফেলতে পারবেন। এর ফলে আপনার মোবাইল যদি অফ লাইনে থাকে কোনো সমস্যা নেই। ফোনটি যখন অন লাইনে আসবে তখন সব তথ্য মুছে যাবে। তবে এই প্রক্রিয়ার ফলে আপনার স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায় আর খোলা থাকবে না। আর আপনি যদি মোবাইল ফোন খুঁজে পেয়ে থাকেন তাহলে আবার সেই জি-মেইল আইডি ফোন চালাতে পারবেন।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনার হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে পেতে অনেক সহজ হবে। পোস্টটি শেয়ার করে অন্যজনকে দেখার সুযোগ করে দিন যাতে কারো ফোন হারিয়ে গেলে খুব তারাতারি খুঁজে পেতে পারেন।