বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

25427 Sakhawat
লিখেছেন -

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম - বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে আপনাকে যা জানা জানতে হবে। আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করে অথবা আপনি যদি এই মুহূর্তে বিদেশে থাকেন, তাহলে দেশে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

সূচিপত্রঃ বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

অনেকে রয়েছেন, যারা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকেন এবং ব্যাংকের মাধ্যমেই বিদেশ থেকে তাদের উপার্জিত অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু, ব্যাংক এবং অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি যেকেউ চাইলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারে। ‌

বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় রয়েছে। ‌আর আপনি এসব অপশন গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বাছাই করে নিতে পারেন এবং সেটির মাধ্যমে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে পারেন। 

এবার তবে চলুন, প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, আপনি কিভাবে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশে বসবাসরত যেকোনো বাংলাদেশী খুব সহজেই সে দেশে থাকা অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত কিছু ব্যাংক এবং মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো ব্যক্তি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে তাদের উপার্জিত টাকা বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন।

যদিও আপনি বিদেশে অবস্থান করে আরো ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে পারেন। তবে, অন্যান্য চ্যানেলে বাংলাদেশের টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াটি আপনার আত্মীয়-স্বজনের জন্য অনেক ভোগান্তির কারণ হতে পারে। 

কেননা, আপনি যদি বিদেশে অবস্থান করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা পাঠান, তাহলে দেশে অবস্থান করা আপনার বৃদ্ধ কিংবা এই বিষয়ে ধারণা নেই এমন পিতা-মাতা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যেতে পারবে না। আবার, টাকা উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশের ব্যাংক সবসময় খোলা থাকবে না এবং এক্ষেত্রে তাদের ভোগান্তির কারণও হতে পারে।

তবে, সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে আপনি অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পেতে পারেন, যেসব বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করছি না। ‌

আমরা যেহেতু বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে চাই, তাই এক্ষেত্রে আমরা এটি খুব সহজে করতে পারি। স্বাভাবিকভাবেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ এবং সিম্পল। 

বিদেশ থেকে বাংলাদেশের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য আপনি বেশ কয়েকটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি বর্তমানে পৃথিবীর যে দেশে আছেন এবং সেখানে এগুলোর মধ্যে থেকে যেটি Available রয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি বাংলাদেশে মানি ট্রান্সফার করতে পারেন।

বিদেশের যেকোন জায়গা থেকে বাংলাদেশে বিকাশের টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে:

বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অনুমোদিত ব্যাংক ব্রাঞ্চ, মানি এক্সচেঞ্জ হাউস অথবা মানি ট্রান্সফার অর্গানিজেশন বা এমটিও ব্যবহার করতে হবে। 

আপনি সরাসরি সেই দেশে থাকা অনুমোদিত এবং আপনার ব্যাংকের সাথে পার্টনার ব্যাংক ব্রাঞ্চ এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন। এছাড়াও, অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ‌ অথবা মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন এজেন্টের কাছ থেকেও বাংলাদেশে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন।

আপনি যদি প্রথম বিদেশে যান, ‌তাহলে বাংলাদেশের বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে প্রথমেই বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর তা না হলে, আপনি অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন না। 

আপনি যদি বিদেশে গিয়ে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা পাঠানোর পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান, ‌তাহলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত বিকাশ একাউন্টধারীর নাম জানতে হবে।

একটি বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই একটি সঠিক বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং সেই একাউন্টের নামধারীর পুরো নাম প্রদান করতে হয়। ‌

তাই, ‌আপনি যখন কোন অনুমোদিত ব্যাংক ব্রাঞ্চ, ‌মানি এক্সচেঞ্জ অথবা তালিকাভুক্ত ফরেইন ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে চাইবেন, তখন অবশ্যই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং পুরো নামটি জেনে নিবেন। 

এক্ষেত্রে, বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনি যে নামটি প্রদান করেছিলেন, সেখানে সেই নামটি প্রদান করতে হবে। বিকাশে টাকা গ্রহণর ক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে, তা নিচের টপিকে আরো বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধন করার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় আপনাকে যেসব বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে

বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশ থেকে অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু বিষয় নির্ভুলভাবে নিশ্চিত হতে হয়। আর তা নাহলে, আপনি অনেক সময় বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে ব্যর্থ হতে পারেন। 

বিদেশ থেকে বাংলাদেশের বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ, তবে টাকা পাঠানোর সময় আপনাকে কিছু তথ্য সেসব মানি এক্সচেঞ্জ বা মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন গুলোকে‌ সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

আপনি যখন বিদেশ‌ থেকে বাংলাদেশের কোন প্রিয়জনের কাছে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে চাইবেন, ‌তখন অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, ‌আপনার দেওয়া প্রাপকের সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি রেজিস্টার এবং সেটি একটি বৈধ অ্যাকাউন্ট।‌

আর, ‌টাকা পাঠানোর সময় আপনাকে অবশ্যই একাউন্ট নাম্বারের সাথে,‌ সেই একাউন্ট-ধারীর পুরো নাম সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। আপনি যখন বিদেশে কোন মানি এক্সচেঞ্জ অথবা অনুমোদিত ব্যাংক পার্টনার ব্রাঞ্চ গুলো থেকে বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা পাঠাতে চাইবেন, তখন আপনাকে অবশ্যই তাদেরকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

সেই সাথে, আপনি অনেক সময় লিমিটেশন জনিত কারণেও বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারেন। বিদেশ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে মাসিক এবং সাপ্তাহিক কিছু লিমিট রয়েছে। 

আপনি ইচ্ছা করলেই ব্যাংকের মতো বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিতে পারবেন না। ‌আর আপনি চাইলেও বিদেশে অবস্থান করে একটি বিকাশ একাউন্টে নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত টাকা পাঠাতে পারবেন না। 

বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ বার টাকা গ্রহণ করতে পারবেন এবং মাসে ৫০ বার বিদেশ থেকে রেমিটেন্স হিসেবে বিকাশ একাউন্টে নিতে পারবেন। 

একটি বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে রেমিটেন্স গ্রহের ক্ষেত্রে আপনি সর্বনিম্ন ৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২৫০০০ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সাথে, আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে নিতে পারবেন।

এখানে আপনাকে বলে রাখি যে, বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে, ব্যাংক একাউন্টের মতই আপনি এখানেও সরকার নির্ধারিত ২.৫% প্রণোদনা পাবেন।

বিদেশের কোন কোন ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায়?

আপনি বিশ্বের সমস্ত জায়গা থেকে একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন না। এক্ষেত্রে, আপনার দেশের উপর নির্ভর করে কিছু মানি এক্সচেঞ্জ এবং ব্যাংক রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি রেমিটেন্স আকারের দেশে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন। 

উদাহরণস্বরূপ, এই মুহূর্তে আপনি যদি ফ্রান্সে অবস্থান করেন, তাহলে আপনি Transferwise, Remitly Inc, Ria এবং WorldRemit Ltd ব্যবহার করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন।

দেশের উপর ভিত্তি করে কোন কোন মাধ্যমে বাংলাদেশের বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায়, সেটি এখানে বলা প্রায় অসম্ভব। তাই, আপনি যদি এই মুহূর্তে প্রবাসী হয়ে থাকেন, তাহলে আমি আপনাকে অবশ্যই বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই তালিকাটি দেখে নিতে বলবো। 

যেখান থেকে আপনি আপনার অবস্থান করা দেশের Available থাকা মানি এক্সচেঞ্জ, পার্টনার ব্যাংক ব্রাঞ্চ‌ এবং মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন গুলোর তালিকা দেখে নিতে পারেন।

সেই সাথে, বিদেশে অবস্থান করে দেশে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য আমি আপনাকে পরিচিত জনদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিব। তারা কোন মাধ্যম ব্যবহার করে বাংলাদেশে বৈধ উপায়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠায়, আপনি তাদের থেকে সেই বিষয়টি জেনে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার উপায়

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সুবিধা

অনেক ব্যক্তির কাছে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট সেরা পছন্দ হতে পারে। কেননা, বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। ‌ যেসব সুবিধার কারণে, অনেকেই বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে।

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা:

তাৎক্ষণিক টাকা পাঠানো যায়: বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সুবিধা হল, এখানে দ্রুত এবং কম সময়ের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়। বিদেশে অবস্থান করে যে কোন ব্যক্তি অনুমোদিত ব্যাংক ব্রাঞ্চ এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিকাশে টাকা পাঠাতে পারেন। আর সেই সাথে, এই টাকা ও তাৎক্ষণিক ভাবে প্রাপকের বিকাশ একাউন্টে যুক্ত হয়ে যায়।

সরকারি প্রণোদনা থাকে: বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরো একটি অন্যতম সুবিধা হল, এই পদ্ধতিতে টাকা পাঠালে ও সরকার নির্ধারিত ২.৫% প্রনোদনা পাওয়া যায়। 

তাই, কোন ব্যক্তি বিদেশ থেকে ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা না পাঠিয়ে, বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠালেও অতিরিক্ত প্রণোদনার টাকা পাচ্ছেন। তাই, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাদ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করলেও দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

বিদেশ থেকে প্রাপ্ত টাকা যে কোন কাজে ব্যবহার করা যায়: বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর ফলে, দেশে অবস্থানরত সেই ব্যক্তি চাইলে সেই টাকা যেকোন প্লাটফর্মে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনার বাড়িতে থাকা স্বজনেরা সেই টাকা মুঠোফোন ব্যবহার করেও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে। 

বিদেশ থেকে প্রাপ্ত টাকা মুঠোফোন ব্যবহার করেই পেমেন্ট, বিল পরিশোধ এবং মোবাইল রিচার্জের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যার ফলে, প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে থেকেও যেকোনো ব্যক্তি ব্যাংকিং এর সেবা পেতে পারে।

যেকোনো সময় টাকা বের করা যায়: কোন প্রবাসী যদি টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার না করে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে,‌ তাহলে অনেক সময় অর্থ গ্রহীতাকে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। ‌কেননা, বাড়িতে অবস্থান করা সেই ব্যক্তি ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি নাও জানতে পারে, যাতে করে সে হয়রানি এবং ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে। 

কেননা, কোন ব্যাংকই সপ্তাহের সাত দিন খোলা থাকে না। ‌কিন্তু, অন্যদিকে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতেন, তাহলে সেই টাকা প্রয়োজনে যেকোনো সময় ক্যাশ আউট করা যেত।

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে যদিও তেমন কোন অসুবিধা নেই এবং অসুবিধা থাকলেও, সেটি খুবই নগণ্য। ‌বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়টিকে সবচাইতে বড় অসুবিধা মনে করবেন সেটি হল, ক্যাশ আউট চার্জ।

আপনি যদি বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন সার্ভিস চার্জ থাকতো না বললেই চলে। 

যেখানে আপনি সামান্য কিছু টাকা খরচ করে অনেক বিশাল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারতেন। কিন্তু, বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা ক্ষেত্রে আপনাকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আপনি যখন বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে রেমিটেন্স আকারে টাকা নেন, তখন আপনি অবশ্যই ২.৫% প্রণোদনা পাবেন। 

তবে, এই টাকা দিয়ে আপনাকে ক্যাশ চার্জের পেছনে ব্যয় করতে হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে সেই টাকাটি গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনার সেই অতিরিক্ত টাকাটি ও থাকতো। এছাড়াও, বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি লিমিটেশনের কারণে আরও একটি বড় অসুবিধায় পড়বেন। 

আপনি কিন্তু চাইলেও বিদেশ থেকে মাসে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি রেমিটেন্স গ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু, আপনাকে যদি এর চাইতে বেশি টাকা বিদেশ থেকে গ্রহণ করতে হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই আবার ব্যাংকের সাহায্য নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

শেষ কথা

আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন কিংবা আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন বিদেশে অবস্থান করে, তাহলে বিদেশ থেকে খুব সহজে টাকা দেশে আনার জন্য বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্টে টাকা আনার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আপনার জানা জরুরী। 

আপনি যদি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আনতে চান, তাহলে উপরে দেওয়া নির্দেশনাবলী গুলো অনুসরণ করুন। সেই সাথে, বিকাশ একাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনাকে যেসব বিষয়গুলো নিশ্চিত হতে হয়, সেগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

Tags:

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!