আমরা কম্পিউটার কার্যক্রম কে ৪ চার ভাগে ভাগ করতে পারি। তাহলো ১. ইনপুট ২. মেমোরি ৩. প্রসেসিং ৪. আউটপুট। এই পৃথিবীতে যত রকম এর ল্যাপটপ ও কম্পিউটার রয়েছে সেগুলি এই ধাপ অনুসারে পরিচালিত হয়ে থাকে।
কম্পিউটারে
কোন একটি কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম ইনপুট প্রদান করবে। আর এই
ইনপুট কম্পিউটারে সাময়িকভাবে জমা রাখবে সেটিকে বলা হয় মেমোরি বা
"RAM" বলা হয় আর এই
কাজটি সম্পূর্ণ ভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত
মেমোরিতে জমা রাখে। আর এই
মেমোরি থেকে এই কার্য প্রসেসিং
হতে থাকে যার মাধ্যমে তাকে বলা হয় প্রসেসর।
এই কাজ এর ফলাফল বিভিন্ন
মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে থাকে তাকে বলা হয় আউটপুট।
ল্যাপটপ
বা কম্পিউটার ফাস্ট এবং স্লো সম্পূর্ণ নির্ভর করে কম্পিউটার এর র্যাম RAM এবং প্রসেসর Processor এর উপর।
আপনার ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার এর র্যাম RAM এবং প্রসেসর Processor যত যত বেশি
উন্নত এবং ভালো হবে যার ফলে আপনার ল্যাপটপ এর গতি এবং
পারফরমান্স তত বেশি ভালো
হবে। এর ফলে
আপনার ল্যাপটপ ফাস্ট করার জন্য ল্যাপটপ স্লো থেকে মুক্তো করার জন্য র্যাম "RAM" এবং প্রসেসর
Processor না কিনে উপায় নেই।
তবে এখন আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন আসতে পারে যে "RAM" র্যাম এবং "Processor" প্রসেসর না কিনে কি ল্যাপটপ কে ফাস্ট করার উপায় নেই। হ্যাঁ ল্যাপটপ ফাস্ট করার উপায় রয়েছে। র্যাম কে না কিনে কিভাবে আপগ্রেড করা যায় তার অনেক গুলি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু আমরা আপনাকে আজ যে পদ্ধতি দেখাবো তা ব্যবহার প্রসেসর কে একভাবেই আপগ্রেড করতে পারবেন।
তাকে বলা হয় ওভারক্লকিং। আপনি চাইলে ওভারক্লকিং করে প্রসেসর এর পারফরমেন্স বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আবার এই ওভারক্লকিং পদ্ধতি অনেক ঝুকিপূর্ণ। এই পদ্ধতি আপনি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে না পারলে আপনার প্রসেসর অনেক বেশি হিট হয়ে পুড়ে যাওয়ার সহ পুরো সিস্টেম নষ্ট ও জ্বলে জেতে পারে। আর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ফলে আপনার প্রসেসর এর গ্যারান্টি / ওয়ারেন্টি তো শেষ হবেই।
আবার
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এখন র্যাম RAM এবং প্রসেসর Processor এর মাধ্যমে কোনটি
স্লো হয়ে যায়। অবশ্যই র্যাম স্লো হয়ে যায়। নানা রকম
কারনে র্যাম স্লো
হয়ে কম্পিউটার এর নানা রকম
কাজে বিঘ্ন ঘটিয়ে থাকে। আর তাই
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার স্লো
হওয়ার আর একটি কারন
হচ্ছে RAM র্যাম।
RAM হচ্ছে Random Access Memory। পূর্ববর্তিতে বলা হয়েছে র্যাম হচ্ছে একটি মেমোরি। যেখানে সকল নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং সাময়িক ভাবে জমা হয়ে থাকে। র্যাম এর মধ্যে নির্দেশ ততক্ষণ পর্যন্ত জমা হয়ে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত সেই নির্দেশটি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হচ্ছে এবং তার ফলাফল দেখাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে কোন একটি নির্দেশ সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার ফলে তা মেমোরি বা র্যাম থেকে মুছে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যায় যে, কোন একটি নির্দেশ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নানা রকম তথ্য র্যাম বা মেমোরি থেকে মুছে যায় না। এর ফলে কিছু কিছু তথ্য র্যাম বা মেমোরিতে জমা হতে থাকে।
এই পদ্ধতি ছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হওয়ার কারন রয়েছে। যেমন কোন কম্পিউটার যখন চালু করা থাকে তখন এর পিছনে অনেক রকম ব্যাকগ্রাউন্ড সফটওয়্যার এর কার্যক্রম প্রকিয়া চলতে থাকে। আর এইসব সফটওয়্যার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা জাঙ্ক ফাইল এবং টেম্পরোরি ফাইল মেমোরি এর মধ্যে গিয়ে জমা হতে থাকে। এসব প্রকিয়া ফলে মেমোরির যায়গা কমতে থাকে। এর ফলে র্যাম বা মেমোরি আর আগের মতো অনেক বেশি তথ্য প্রসেস করতে পারে না।
আর এই কারনে দেখা যায় যে নতুন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অনেক বেশি ফাস্ট কাজ করে থাকে এবং কিছুদিন পর ল্যাপটপ স্লো হতে থাকে। এই কারন ছাড়াও র্যাম স্লো হওয়ার আরও নানা রকম কারন রয়েছে। এখনকার সময় যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি ততই আপডেট হচ্ছে। অনেক পুরাতন সফটওয়্যার এর আপডেট এবং নতুন সফটওয়্যার এর ব্যবহার বাড়ছে।
এর আমরা আমাদের কম্পিউটারটি আপডেট করছি না যার ফলে কম্পিউটার এর র্যাম এবং প্রসেসর আগের মতোই থেকে যাচ্ছে। আর এসব নতুন এবং আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে মেমোরি অনেক বেশি যায়গা নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে কোন নির্দেশকে প্রসেস করতে মেমোরি অনেক বেশি সময় নিয়ে থাকে। আর এই ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কম্পিউটার এর মেমোরি এসব কাজ করার জন্য বেশি পরিমান যায়গা দখল করে নিচ্ছে এবং কম্পিউটার এর স্পিড কমে যাচ্ছে বা ল্যাপটপ স্লো হয়ে যাচ্ছে।
এক
সঙ্গে অনেক গুলা সফটওয়্যার ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারে চালানোর ফলে র্যাম বা
মেমোরি অনেক বেশি যায়গা দখল করে নেই ফলে র্যাম কমে
যায় এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাম স্লো হয়ে যায়। এছাড়া ল্যাপটপ
স্লো হওয়ার অনেক গুলি কারন রয়েছে। র্যাম স্লো হওয়ার জন্য আরও অনেক বেশি সমস্যা হলো রব্যাবহারযোগ্য র্যাম এর
পরিমান কম থাকা।
র্যাম ছাড়াও কম্পিউটার ও ল্যাপটপ স্লো হওয়ার নানা রকম কারন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারন হচ্ছে সিস্টেম সমস্যা। আমরা প্রতিনিয়ত কম্পিউটার ল্যাপটপে নানান ধরনের কাজ করে থাকি। নানা কাজের জন্য সফটওয়্যার ল্যাপটপে ইন্সটল এবং আনইন্সটল করে থাকি। অনেক কিছুই ডাউনলোড করে থাকি। এসব কাজ করার ফলে কম্পিউটার সিস্টেম অনেক সময় সঠিকভাবে কাজ করে না।
আমরা
যখন ল্যাপটপ
এবং কম্পিউটার থেকে সফটওয়্যার আনইন্সটল করে থাকি তখন সেসব সফটওয়্যার এর রেখে যাওয়া
রেজিস্ট্রি কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে নানা
রকম সমস্যা করে। রেজিস্ট্রিতে থাকা
সফটওয়্যারে আনইন্সটল রেজিস্ট্রি ফাইল ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারকে অনেক বেশি স্লো হয়ে যায়। এই প্রকিয়ার
ফলে সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে।
এইসব
কারন ছাড়া ল্যাপটপ স্লো হওয়ার আরও নানা রকম কারন রয়েছে। ল্যাপটপ বা
ডেক্সটপ শর্টকার্ট সমস্যা। ল্যাপটপ বা
ডেক্সটপে আনইন্সটল করা ফাইল
শর্টকার্ট থাকলে সেই ফাইল অনেক সময় ডিলিট হতে চায় না। এটির
ফলে আপনার ল্যাপটপে সিস্টেম সমস্যা তৈরি করে থাকে। ল্যাপটপে বা
ডেক্সটপে ডাউনলোড করা যেকোন কিছুর ক্ষেত্রে এই রকম সমস্যা
দেখা দিতে পারে যার ফলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়।
ব্যাকডেটেড
ড্রাইভার সমস্যা
ল্যাপটপ
স্লো হওয়ার জন্য আরও একটি মূল কারন হচ্ছে ব্যাকডেটেড ড্রাইভার। একটি ল্যাপটপ
কিংবা কম্পিউটার চালানোর জন্য অনেক রকম হার্ডওয়্যার থেকে থাকে। আর এই
হার্ডওয়্যার গুলো সিস্টেম চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় ড্রাইভার।
ড্রাইভারকে বলা হয় হার্ডওয়্যার এবং
অপেরাটিং সিস্টেম এর সেতুবন্ধন।
আর এই অপারেটিং সিস্টেমকে
হার্ডওয়্যার চালানো বা নিয়ন্ত্রন করার
ক্ষমতা দেয় ড্রাইভার। অনেক সময়
দেখা যায় অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এবং হার্ডওয়্যার ড্রাইভার পুরনো যার ফলে এই দুটি সঠিকভাবে
কাজ করতে পারেনা। ফলে পরিপ্রেক্ষিতে
ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়।
ল্যাপটপ ও কম্পিউটার স্লো হওয়ার আরেকটি মূল কারন হচ্ছে হার্ডডিস্ক পূর্ণ হয়ে যাওয়া। অনেক এই দেখা যায় হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ ৮০% থেকে ৯০% পূর্ণ করে রাখে। বোঝার সুবিধার্থে উহদারন হিসেবে বলতে পারি যে হার্ড ডিস্ক হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের মতো। মানুষের মস্তিষ্ক খারাপ হয়ে গেলে যেমন মানুষ পাগল হয়ে যায় ঠিক তেমনি ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার এর হার্ডডিস্ক পূর্ণ হলে বা কোন সমস্যা হলে ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ স্লো হয়ে যায়।
ল্যাপটপ ও কম্পিউটার C Drive ড্রাইভ বা আপনার উইন্ডোজ যে ড্রাইভে দেয়া আছে ইন্সটল করা আছে সেই ড্রাইভে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকেল বা যায়গা কম থাকলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়।
ল্যাপটপ
ও কম্পিউটার স্লো হওয়ার আর একটি কারন
হচ্ছে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার।
কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এর
জন্য ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার শব্দটি
আমাদের জন্য ভয় এর কারন। আমরা
অনেক এই মনে করি
যে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার এর মধ্যে ভাইরাস
ও ম্যালওয়্যার প্রবেশ করার ফলে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নষ্ট
হয়ে যাবে, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার এর
সকল তথ্য চুরি হয়ে যাবে, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার বার
বার রেস্টার্ট হবে। হ্যা আপনি
যদি এই রকম ভেবে
থাকেন তাহলে এটিই চরম সত্যি।
কোন
ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার আপনাকে শুধু মেসেজ দেখাবে আর আপনার অজান্তে
বিভিন্ন সাইট এর মধ্যে প্রবেশ
করবে। যার কারনে
আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার স্লো
হয়ে যায়। ল্যাপটপে এই
রকম খুব কম ক্ষতিকারক ভাইরাস
এবং ম্যালওয়্যার এর আক্রমণ আপনি
সহজে ধরতে পারবেন না যার ফলে
আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।
এতক্ষণ আমরা দেখলাম কম্পিউটার স্লো হওয়ার কারন গুলো। আর আমরা এখন আপনাকে দেখাবো আপনি কিভাবে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কে রকেট এর মতো ফাস্ট করবেন। এর মধ্যে হয়তো অনেক এই আমাকে গালি দিচ্ছেন কারন আমি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ফাস্ট করার কথা বলে এতক্ষণ কি শুনালাম। কিন্তু আমার মতে কথা হচ্ছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্লো হয়ে যাওয়া একটি সমস্যা আর তা ফাস্ট করা হচ্ছে সমাধান তাই সকল বিষয়ে আপনাকে ধারনা রাখতে হবে।
র্যাম বৃদ্ধি করাঃ মেমোরি বৃদ্ধি করা
ল্যাপটপ
কে ফাস্ট করার এই বিষয়টি খুব
জরুরি। আপনার ল্যাপটপ
বা পিসিকে ফাস্ট করার জন্য আগে র্যামের পরিমান
দেখে নিন। যদি আপনার
পিসির র্যাম এর
পরিমান কম হয়ে থাকে
তাহলে আরও বেশি বা অতিরিক্ত পরিমান র্যাম লাগিয়ে নিন। এর কারন
হচ্ছে বেশির ভাগ ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে র্যাম এর পরিমান কম
থাকে। আর আপনি
যদি অতিরিক্ত পরিমান র্যাম লাগিয়ে
রাখেন তাহলে আপনার ল্যাপটপ ও পিসি অনেক
বেশি ফাস্ট হয়ে যাবে।
বেশি পরিমান লাগানোর ফলে আপনার ল্যাপটপ এর কার্যক্ষমতা দেখে অবশ্যই হতভাগ হয়ে যাবেন। আপনি যদি ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য ২ জিবি র্যাম ব্যাবহার করেন তাহলে আপনার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ অবশ্যই স্লো কাজ করবে। এর কারন হচ্ছে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য কমপক্ষে ২ জিবি র্যাম এর প্রয়োজন।
এর ফলে আপনি আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার দিয়ে অনেক বেশি হার্ড কাজ করতে পারবেন না। শুধু ল্যাপটপ ও পিসি অন অফ করা ছাড়া। এছাড়া আপনি যদি যেকোন কাজের জন্য ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ ব্যাবহার করেন না কেন আপনাকে এই সময়ের ল্যাপটপ চালানোর জন্য সর্বনিম্ন ৮ জিবি র্যাম এর প্রয়োজন হবে। এক কথায় বলতে গেলে, ল্যাপটপকে ফাস্ট করার জন্য অতিরিক্ত পরিমান র্যাম এর প্রয়োজন রয়েছে।
কম্পিউটার
কিংবা ল্যাপটপে টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট না হয়ে তা র্যাম এর
মধ্যে যায়গা দখল করে নিয়ে থাকে। যার ফলে র্যাম এর যায়গা কমতে
থাকে। এর ফলে র্যাম এর কার্যক্ষমতা কমতে
যার ফলে ল্যাপটপ স্লো কাজ করে। এখন কথা
হচ্ছে এই সমস্যা কি
সমাধান এর উপায় নেই?
হ্যাঁ সমস্যা সমাধান এর উপায় রয়েছে।
সাধারন
ভাবে বললেই বুঝা যায় যে, এই টেম্পোরারি ফাইল
গুলা ডিলিট করে দিলেই মেমোরি ফাঁকা হবে এবং ল্যাপটপ এর স্পীড বাড়ানো
যাবে। এখন আপনি
কিভাবে এই টেম্পোরারি ফাইল
ডিলিট করবেন? ইন্টারনেটে আপনি ঘাটলে দেখবেন ম্যানুয়ালি এই টেম্পোরারি ফাইল
গুলি ডিলিট করতে কতটা বেশি ঝামেলার। এই কাজটি
খুব সহজে করার জন্য আমি আপনাকে সাজেস্ট সফটওয়্যার ব্যাবহার করার জন্য।
আপনার ল্যাপটপ এর রেজিস্ট্রি সমস্যার জন্য একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করবেন, ড্রাইভার আপডেট করার জন্য আর একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করবেন এবং ল্যাপটপ বা পিসির শর্টকার্ট সমস্যা সমাধান এর জন্য আর একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করবেন। সব মিলিয়ে এত সফটওয়্যার ব্যাবহার করার ফলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আরও বেশি স্লো হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু
মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি এই সকল কাজ
একটি মাত্র সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করতে
পারেন তাহলে কেমন হয়। আপনার
কাছে এই বিষয়টি অবিশ্বাস্য
মনে হচ্ছে। আমরা আপনাকে
আজ যে সফটওয়্যার এর
কথা বলবো তার নাম হচ্ছে IOBit এর
"Advance System Care"। এই
সফটওয়্যার আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন দুটি ভার্সনে তার একটি হচ্ছে ফ্রি এবং অন্যটি হচ্ছে পেইড ভার্সন।
এই
সফটওয়্যার দিয়ে আপনি আপনার ল্যাপটপ ও পিসি কে
অনেক বেশি ফাস্ট করতে পারবেন। আমি এই
একটি সফটওয়্যার দিয়ে শর্টকার্ট সমস্যা, রেজিস্ট্রি সমস্যা, টেম্পোরারি ফাইল, জাঙ্ক ফাইল ইত্যাদি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
আমি
অনেকের ল্যাপটপ এবং ডেক্সটপে দেখতে পেরেছি যে উইন্ডোজ অটো
আপডেট অফ করে রাখেন। এর ফলে আপনার
পিসি লাভ এর চেয়ে বেশির
ভাগ সময় ক্ষতি হয়ে থাকে। হ্যা মনে
রাখবেন উইন্ডোজ আপডেট এর মাধ্যমে আপনার
ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে অনেক
গুরুপ্তপূর্ণ ফিচার ও সুবিধা যুক্ত
হয়ে থাকে। আপনি যদি
আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে উইন্ডোজ
আপডেট Windows OS আপডেট না করেন তাহলে
আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার ল্যাপটপ অনেক বেশি স্লো কাজ করছে।
SSD CARD হচ্ছে Solid State Drive। আপনার ল্যাপটপ কে অনেক বেশি দ্রুততর ভাবে করে তোলার জন্য এসএসডি কার্ড SSD CARD (Solid State Drive) লাগানো অন্যতম। ল্যাপটপকে ফাস্ট করার জন্য আপনার ল্যাপটপে SSD Card এসএসডি সংযোজন করা প্রয়োজন। এসএসডি কার্ড লাগানোর ফলে আপনার ল্যাপটপ ও ডেক্সটপকে সকল বিষয় কে অনেক ফাস্ট করে তোলে।
বর্তমান সময়ে ল্যাপটপে এসএসডি কার্ড SSD Card লাগানো ল্যাপটপ পাওয়া যায়। আর পুরনো ল্যাপটপে এই সুবিধা টি নেই যার ফলে আগে থেকে লাগানো থাকে HDD বা হার্ড ডিস্ক ডিস্ক ড্রাইভ। আপনি চাইলেই এই হার্ড ডিস্ক পরিবর্তন করে SSD Card লাগিয়ে নিতে পারেন।
ল্যাপটপ বা পিসি তে ব্যাবহার করা অব্যবহৃত সফটওয়্যার সফটওয়্যার গুলি মেমোরিতে যায়গা দখল করে রাখে। যার ফলে এসব CPU থেকে রিসোর্স শুষে নিতে থাকে। তাই এসব অব্যবহৃত সফটওয়্যার ডিলিট করুন এবং জাঙ্ক ফাইল ডিলিট করে স্টোরেজ খালি করুন আর আপনার ল্যাপটপকে রকেট এর মতো ফাস্ট করে তুলুন।
অনেক সময় দেখা যায় আপনার অজান্তেই আপনার ল্যাপটপ ও পিসি তে অনেক ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার এবং ক্ষতিকারক না রকম সফটওয়্যার আপনার ল্যাপটপ কে অনেক বেশি স্লো করে দিচ্ছে। আপনার ল্যাপটপ এর সুরক্ষার জন্য ল্যাপটপ কে ফাস্ট করে তোলার জন্য প্রতিদিন ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস স্ক্যান করুন।
কোন
সময় এর জন্য আপনার
ল্যাপটপ এমনকি অনন্য কোন ডিভাইস ধূলাবালি জমতে দিবেন না। ল্যাপটপ
এর মধ্যে ধূলাবালি জমতে থাকলে ল্যাপটপ অতিরিক্ত পরিমান ওভারহিটে হতে থাকবে। আর ল্যাপটপ
ওভারহিট এর কারনে র্যাম, প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড এর উপর অতিরিক্ত
পরিমান চাপ পড়তে থাকে।
১.
ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার আছে কিনা তা আপনাকে দেখে
নিতে হবে। কম্পিউটার এর
সুরক্ষা দেয়ার জন্য অ্যান্টিভাইরাস ব্যাবহার করতে হবে। কেননা অ্যান্টিভাইরাস খুব দ্রুততার সাথে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার স্ক্যান করে খুঁজে বের করতে পারে এবং সেই ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করে আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারকে
অনেক বেশি ফাস্ট করে তোলে।
২.
আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর
হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ চেক করুন এবং সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন।
৩.
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর
রান প্রমোট থেকে টেম্পোরারি ফাইল, টেম্প ফাইল, রিসেন্ট ফাইল অনেক দিন ধরে ডিলিট না করার ফলে
ল্যাপটপ ও কম্পিউটার অনেক
স্লো হয়ে যায়।
৪. আপনার ল্যাপটপ ও পিসি যদি স্লো হয়ে যায় তাহলে এর মানে এই না যে আপনার ল্যাপটপ বা পিসি চেঞ্জ করতে হবে বা নতুন পিসি কিনতে হবে। ল্যাপটপ বা পিসি স্লো হওয়ার কারন বা লক্ষণ ল্যাপটপ বা পিসি আপনাকে আপগ্রেড করার সময় বলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে বুঝবেন আপনার মোবাইল ফোন আসল না নকল
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।