আজ আমি আপনাদের সামনে এমন ১০টি কাজের কথা আলোচনা করবো। যা ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কখনোই করা উচিত নয়। অর্থাৎ আপনার ইন্টারভিউ কে আরো বেশি পারফেক্ট আরও বেশি ভালো করে তোলার জন্য অবশ্যই এই ১০ টি কাজ আপনি কখনো করবেন না।
তবেই আপনার প্রতি ভালো ইম্প্রেশন তৈরি হবে ভাইভা বোর্ড মেম্বারদের কাছে। আপনার ইন্টারভিউ হয়ে উঠবে পারফেক্ট আরো অনেক বেশি ভালো। তাই আপনাকে আমাদের আজকের এই পোস্টে ভাইবা বোর্ডে কোন ১০ টি কাজ করা উচিত নয় সেগুলো জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই;
ভাইভা বোর্ডে সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ করবেন না। ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে অনুমতি নিতে হবে, বসতে গেলে তবুও অনুমতি নিতে হবে। আপনাকে তারা বসতে বলবেন বা যদি বসতে না বলেন আপনাকে যদি নিজে থেকে বসতে হয়। তাহলে অবশ্যই ইন্টারভিউ মেম্বার দের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বসতে হবে।
ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশ করলাম তাড়াহুড়া করে বসে পড়লাম। এই ভুলটি কখনো করা যাবে না। এরপর আপনাকে যদি পানি খেতে হয় তাহলে অবশ্যই ইন্টারভিউ কক্ষে মেম্বার দের থেকে পারমিশন নিতে হবে। যদি ফাইল থেকে কোন কাগজ নিচে পড়ে যায় তাহলে তা তোলার জন্য অবশ্যই পারমিশন নিতে হবে। অথবা পকেট থেকে যদি রুমালটা বের করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে পারমিশন নিতে হবে। কিভাবে ইন্টারভিউ দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ বুদ্ধিমান লোকের ৭ টি ভালো অভ্যাস
তাহলে আপনি যা করবেন ইন্টারভিউ রুমের মধ্যে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে সকল কাজের জন্য পারমিশন গ্রহণ করতে হবে বা পারমিশন নিতে হবে।
অনেকে মনে করেন এই এতোটুকু রাস্তা আমি সহজেই পৌঁছে যাবো 30 মিনিটেই পৌঁছে যাবো। না এই রকম কাজটি কখনোই করবেন না। আমি বলবো ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার আগেই কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে ইন্টারভিউ এর স্থানে আপনি পৌঁছে যান। তাহলে হাতে সময় নিয়ে আজকের দিনে রাস্তায় যে পরিমাণ ট্রাফিক থাকে। সেই জন্য হাতে সময় নিয়ে কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে ইন্টারভিউ রুমে পৌঁছে যাবেন বা ইন্টারভিউ স্থানে পৌঁছাবেন।
আমাদের সকলের কিছু খারাপ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থাকে কিছু মুদ্রা দোষ থাকে। আইডেন্টিফাই করুন আপনার কি কি মুদ্রাদোষ বা কি কি খারাপ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে আপনার মধ্যে। কখনোই যেন সেই সব খারাপ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বা মুদ্রাদোষ গুলো ইন্টারভিউ রুমে প্রকাশ না পায়। খারাপ অভ্যাসগুলো কি রকম বা মুদ্রা দোষ গুলো কি রকম তা হলো।
আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি কেন হারায়? মনে রাখার ৮টি সহজ উপায়
কথা বলতে বলতে পা ঝাকানো, হাত ঝাকানো, কথা বলতে বলতে কথার মধ্যে নানা রকম শব্দ ব্যবহার করা আমাদের মুদ্রাদোষ এর উহদারন। কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে বিকট শব্দ করে ফেলি আমরা। কথা বলতে বলতে অনেক এই অনেক সময় মাথা চুলকাতে থাকে, দাঁত দিয়ে নখ কাটতে থাকি ইত্যাদি যে সমস্ত বদ অভ্যাসগুলো যে সমস্ত মুদ্রাদোষ আপনার মধ্যে রয়েছে ইন্টারভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে সে সমস্ত বদভ্যাস ব্যাড বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পরিবর্তন আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর।
ইন্টারভিউ বোর্ডে ভুল করেও মোবাইল ফোন সাথে নিয়ে যাবেন না। কারণ আপনি ভুল করেও যদি মোবাইল ফোনের সুইচ অফ করতে ভুলে যান। আর যদি মোবাইল ফোনটি যদি পকেটে বেজে ওঠে তাহলে সেই ব্যাপারটি আপনার জন্য খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করবে। কেননা ইন্টারভিউ এক ধরনের এক্সাম এর মতো। চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল।
ইন্টারভিউ আপনার জন্য একটা পরীক্ষা। আর একটা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন কখনোই ব্যবহার করার অনুমতি কখনই নেই। তাহলে এই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আপনাকে কেউ বলে দিবে না এই বিষয় গুলো। তাহলে অবশ্যই ইন্টারভিউ দেয়ার আগে মোবাইল ফোনটি অবশ্যই বাড়িতে রেখে যাবেন। অথবা ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার সাথে যদি কেউ যায় তাহলে তার হাতে মোবাইল ফোনটি সময় মত মনে করে তার হাতে রেখে দিন। সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ।
আরো পড়ুনঃ অসফল মানুষদের 6 টি অভ্যাস যা আপনার জানা দরকার
অনেক সময় অনেক এই ভুল করে মোবাইল ফোনটি পকেটে নিয়ে ইন্টারভিউ রুমে প্রবেশ করে। আর সে ক্ষেত্রে যদি মোবাইল ফোনটি পকেট এর মধ্যে রিং বেজে ওঠে। তাহলে সেটি আপনার জন্য খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করবে। তাহলে ইন্টারভিউয়ের রুমে মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছেন। আর সেক্ষেত্রে ইন্টারভিউ মেম্বাররা যদি আপনাকে বলে যে এবার আপনি আসুন। অবশ্যই আপনি তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসবেন। ধন্যবাদ না জানানো একটি ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে নেগেটিভ ইম্প্রেশন ফেলে। তাই অবশ্যই আপনাকে ইন্টারভিউ মেম্বারদের প্রতি ধন্যবাদ জানানোর পরে ইন্টারভিউ রুম থেকে চলে আসতে হবে। কেননা ধন্যবাদ জানানো এক ধরনের পজিটিভ ইম্প্রেশন প্রকাশ করে চাকরির ক্ষেত্রে। ইন্টারভিউ টিপস।
কোন পরিস্থিতিতেই মিথ্যা বলবেন না সেটি চাকরি ক্ষেত্রে হোক অথবা ব্যক্তিগত লাইফে হোক। সব সময় সত্যি বলার চেষ্টা করুন। কেননা যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে সত্য এবং নিষ্ঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তাই আপনার চরিত্রের মধ্যে সত্য ও সততা এবং নিষ্ঠা থাকা বাঞ্ছনীয় যা ইন্টারভিউ বোর্ডের মেম্বাররাও একসেপ্ট করে। চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল সাথে রেখে ঘুমানো কতটা বিপদজনক
ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার প্রশ্নের উত্তর হবে সংক্ষিপ্ত ছোট ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু। আর যদি অতিরিক্ত তথ্য বা উত্তর আপনার প্রশ্নের মধ্যে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কি হবে। সেক্ষেত্রে হবে আরো অনেক বেশি প্রশ্ন আপনার প্রতি ছুড়ে দেবে। হঠাৎ এক্সট্রা মেরিট বা তুমি যে এক্সট্রা জিনিয়াস সেটা দেখানোর যায়গা ইন্টারভিউ বোর্ড নয়। ঠিক আপনি যতটুকু জানেন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই উত্তর তো দিতে হবে বা উত্তর দাও।
অনেক এই একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনেকটা সময় চুপ করে থাকেন। এটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন একটা নির্দিষ্ট গ্যাপের বেশি অর্থাৎ আপনি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বেশি পরিমাণ সময় চুপ করে থাকলে তারপর উত্তর দিলেন অথবা আপনি সাইলেন্ট হয়ে থাকলেন তারপর উত্তর দিলেন এই রকম টি যেন না হয় সেই বিসয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এটি কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে নেগেটিভ ইমপ্রেশন ক্রিয়েট করে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার উপায়
ইন্টারভিউ বোর্ডে যে সমস্ত বিশেষ ব্যক্তিবর্গের নাম জানতে চাইবে আপনার থেকে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মাননীয়, মাননীয়া, জনাব ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
তো আমি আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরলাম যে ইন্টারভিউ বোর্ডে যে ১০ টি কাজ আপনি কখনোই করবেন না বাবা কখনোই করা উচিত নয়। আমাদের এই আর্টিকেলটি কেমন লাগলো এবং আর ইন্টারভিউ সম্পর্কে আরও কোন বিষয়ে জানার থাকলে অবশ্যই তা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি SMS এসএমএস পাঠানোর অ্যাপ ডাউনলোড করুন
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।