বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ফেসবুক এখন আমাদের সকলের জীবন এর অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে। ফেসবুক ব্যবহার করা ছাড়া জীবন যেন কল্পনা করা যায় না। আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত ফেসবুক এর ব্যবহার বা প্রভাব কম না।
এখন ফেসবুকে বেড়ে গেছে নানা রকম এর ধোঁকাবাজি। নানা রকম কৌশল অনুসরণ করে সাইবার দুর্বৃত্তরা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর সকল প্রকার ইনফরমেশন হাতিয়ে নেয় বা সংগ্রহ করে থাকে। সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুক হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইল থেকে শুরু করে নানান রকম হয়রানির মধ্যে ফেলতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃ
তবে সামান্য ভুল এবং অসর্তকতা কারনে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি নষ্ট বা হ্যাক হতে পারে। যার পরিপেক্ষিতে ফলাফল হতে পারে আপনার জন্য অনেক ভয়াবহ। আর আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং সাইবার দুর্বৃত্তদের হাত থেকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি আমরা আপনাকে কয়েকটি কৌশল জানিয়ে দিবো। যা আপনাকে অনুসরন করতে হবে।
আমরা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরবো ইন্টারনেটের সকল বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট WikiHow.Com থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ ও শক্তিশালী রাখার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি জানিয়েছে সেই বিষয়গুলা আমরা আপনাদের জানিয়ে দিবো। চলুন তাহলে ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার কৌশল জেনে নেই;
কিভাবে নিজের ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখবেন জেনে নিন
ফেসবুক আইডি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য ফেসবুক অনেক কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করেছেন। এবং ফেসবুক এর সিকিউরিটি বা সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন। ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা প্রদান এর জন্য সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ ইন Security And Login এর মাধমে পরামর্শ প্রদান করেছে। Security And Login যে বিষয় গুলা তুলে ধরা হয়েছে তা হলা;
ফেসবুক লগ ইন | ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সিকিউর রাখার উপায়
ফেসবুকে চালানোর জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করতে হবে। ফেসবুকে লগইন করার জন্য ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হয়। আর সেখানে লক্ষ্যে করে দেখবেন "কিপ মি লগড ইন" নামে একটি বক্স দেখা যাবে। কিন্তু আপনি এই "কিপ মি লগড ইন" অপশনে কখনও টিক চিহ্ন বা বক্স চেক করবেন না। আর যদি এই বক্স চেক করেন তাহলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর বেহাত হওয়ার ঝুকি বেড়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে এই বক্স চেক টি আপনার কম্পিউটার এর জন্য করতে পারেন।
পাসওয়ার্ড অন্যদের সাথে শেয়ার না করা | ফেসবুক আইডি সিকিউরিটি
ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার জন্য এই বিষয়টি খুব গুরুপ্তপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায় নিজের ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড অন্য ফেসবুক ইউজারদের সাথে শেয়ার করেন। যা পরবর্তীতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। আপনি যদি আপনার কোন বন্ধুবান্ধবদের সাথে ফেসবুক এর পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ফলে তারা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট প্রবেশ করে উল্টাপাল্টা নানান রকম কাজ করতে পারে। যার ফলে আপনি পরবর্তীতে নানান রকম হয়রানির স্বীকার এবং অনেক বেশি গুরুত্বর বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা | ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার উপায়
ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার জন্য অনেক এই অনেক বড় ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড রাখতে পছন্দ করেন। ফেসবুক আইডি সুরক্ষা রাখার জন্য ফেসবুক পাসওয়ার্ড এ আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করা, ১২৩৪৫৬ ইত্যাদি নানা রকম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনাকে এই রকম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে।
অনলাইনে বিভিন্ন সাইটে বা অনলাইন সেবাই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আপনার পরিচিত বা বন্ধুবান্ধব এর সাথে ফেসবুক পাসওয়ার্ড শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনার ফেসবুক আইডি সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য এবং আপনার পরিচিত লোকজন বা ব্যাবসার সাথে জড়িত লোকজন এর ফেসবুক আইডিতে টু-ফ্যাক্টর-অথেনটিকেশন অপশনটি চালু করে নিন। এই সিস্টেমটি চালু করার পর আপনার অ্যাকাউন্টটি আগের থেকে অনেক বেশি সিকিউর থাকবে। টু-ফ্যাক্টর-অথেনটিকেশন চালু করার সুবিধা হচ্ছে কেউ যদি আপনার ফেসবুকে আইডিতে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে চায়। তাহলে সেখানে আপনাকে প্রতিবার কোড বসিয়ে দিয়ে লগ ইন নিশ্চিত করতে হবে।
ফেসবুকে লগ ইন অ্যালার্ট ব্যবহার করা | যেভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন
কেউ যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আপনার অজান্তে লগ ইন করার চেষ্টা করে তাহলে আপনাকে ফেসবুক জানিয়ে দিবে। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে সেটিংস চালু করতে হবে। এই সেটিং চালু করার জন্য আপনাকে ফেসবুকে লগ ইন করার পর সেটিংস মেনুতে যেতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনাকে সিকিউরিটি অপশনে ক্লিক করতে হবে তারপর "লগ ইন অ্যালার্ট" এ গিয়ে এডিট করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনাকে ইমেইল "লগ ইন অ্যালার্ট" এবং গেট নোটিফিকেশন অপশন চালু করতে হবে এবং তা সেভ করতে হবে।
এই অপশন ব্যবহার করার ফলে কেউ যদি আপনার ফেসবুক আইডিতে লগ ইন করতে চায় তাহলে আপনাকে তার তথ্য জানিয়ে দিবে। যতবার আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করার চেষ্টা করবে আপনি ঠিক ততবার ফেসবুক "লগ ইন অ্যালার্ট" পাবেন। এছাড়া আপনি একটি নিদিষ্ট ডিভাইস এর মাধমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার বিষয়টি ঠিক করে দিতে পারবেন। নতুন কোন ব্রাউজার থেকে নতুন ডিভাইস এর মাধমে লগ ইন করার সময় ফেসবুক এটাকে মনে রাখতে পারবে কি না তা জানতে চায়। করতে চাইলে সেই সব ব্রাউজার দিয়ে ব্রাউজ করতে পারবে।
অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত না করা | ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার উপায়
আপনি যাকে চিনেন না তাকে ফেসবুকে কখনও বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয় এটি ফেসবুক এর দেয়া পরামর্শ। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত করে তারা তাদের কার্যসিদ্ধি অর্জন করার জন্য সন্দেহজনক ব্যক্তি ও স্ক্যামাররা আপনার নামে নকল আরেকটি বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। আর এই সন্দেহজনক ব্যক্তি ও স্ক্যামাররা আপনার প্রফাইলে বা টাইমলাইনে পোস্ট করে স্প্যাম ছড়াতে পারে এবং সেগুলি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে।
এছাড়া নানান রকম অশ্লীল পোস্টে আপনাকে এবং আপনার পরিচিত দের কে ট্যাগ করে অথবা মেসেজ পাঠাতে পারে। এছাড়া হ্যাকিং এর জন্য ম্যাসেজ পাঠাতে পারে আপনাকে অথবা আপনার পরিচিত বন্ধুদের কে। তাই খুব সতর্কতার সাথে আপনার পরিচিত বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন এবং আপনার বিস্তত মানুষের ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট কে গ্রহণ করুন।
সন্দেহজনক লিঙ্ক ক্লিক না করা | ফেসবুক আইডি সিকিউর রাখার উপায়
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুপ্তপূর্ণ। অপরিচিত ব্যক্তিদের দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না। আপনার মেসেজে বক্সে আশা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না বিশেষ করে আপনি যাদের কে চিনেন না বা তাদের কে বিশ্বাস করেন তাদের দেয়া বিভিন্ন লিঙ্কে ক্লিক করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সন্দেহ জনক লিঙ্ক ক্লিক করবেন না বা সেসব ফাইল ওপেন করবেন না।
এসব লিঙ্কে ক্লিক করার পর তারা আপনাকে ফেসবুক এর মতো করে একটি লগ ইন পেজ দেখাবে এবং সেখানে আপনার ফেসবুকে ব্যবহার করা ফোন নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। আর আপনি যখন এটি সম্পূর্ণ করবেন তখন আপনার ফেসবুক এর পাসওয়ার্ড ও নাম্বার তাদের হাতে চলে যাবে।
মনে রাখবেন ফেসবুক একবার লগ ইন করার পর তা আর পরবর্তীতে লগ ইন করতে বলবে না। তাই অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দেয়া বিভিন্ন লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাড়তি লগ ইন কোড হাতে রাখা | কোড জেনারেটর
আপনি যখন ফেসবুকে সুরক্ষার জন্য টু-ফ্যাক্টর-অথেনটিকেশন অপশনটি চালু করে রাখবেন তখন অন্য কোন নতুন ডিভাইস দিয়ে লগ ইন করার সময় কোড চাইবে। এই কোডটি আপনি টেক্সট অথবা কোড জেনারেটর থেকে আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। যখন আপনি নতুন স্মার্টফোন অথবা ট্যাবে লগ লগ ইন করতে কোড না পান তাহলে এই কোড বসিয়ে দিয়ে খুব সহজে লগ ইন করতে পারবেন। এই বাড়তি কোড গুলাকে ব্যাকআপ কোড বলা হয়।
ফেসবুকে ইমেইল আইডি যুক্ত করা
আপনি চাইলে শুধুমাত্র ফোন নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি চালাতে পারবেন। আর আপনার ফেসবুক এর নিরাপত্তার জন্য ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করা খুব গুরুপ্তপূর্ণ বা অপরিহার্য বিষয়। যদি কোন দিন বা কোন সময় আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল বা হ্যাক হয়ে যায় আর তখন যদি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মেইল অ্যাড্রেস যুক্ত করা না থাকে তাহলে আপনার সেই হ্যাক হয়ে যাওয়া ফেসবুক আইডি টি রিকোভার করা বা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।
আর হ্যাঁ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কখনও অন্যজন এর মেইল অ্যাকাউন্ট যোগ করবেন না। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সিকিউর রাখার জন্য নিজের সচল মেইল অ্যাকাউন্টটি যোগ করে নিবেন ফেসবুক এর সাথে।
ফেসবুকে সঠিক জন্ম তারিখ যোগ করুন
একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর নিরাপত্তার জন্য জন্ম তারিখ একটি গুরুপ্তপূর্ণ বিষয়। আপনার ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার জন্য যদি আপনার পাসপোর্ট অথবা আপনার এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী দেয়া জন্মতারিখ ও জন্মসাল ফেসবুকে হবুহ প্রদান করুন। ফেসবুক আইডি যদি কোন কারনে কোন সময় হ্যাক হয়ে যায়। তাহলে রিকোভার করার জন্য এনআইডি কার্ড সাবমিট করতে হয়। আর তখন আইডি কার্ডে দেয়া জন্মদিন ও জন্ম সাল ভিন্ন রকম হয় তাহলে সেই আইডি আর রিকোভার করা সম্ভব না।
জন্ম তারিখ প্রাইভেট রাখা
ফেসবুক আইডি সুরক্ষা রাখার জন্য জন্ম তারিখ প্রাইভেট রাখা উচিত। আমাদের দেশে অনেক প্রফেশনাল হ্যাকার রয়েছে যারা Facebook Account এর নাম এবং জন্মতারিখ নিয়ে প্রফাইল এর ছবি সম্পাদনের মাধ্যমে ভুয়া ডুপ্লিকেট এনআইডি কার্ড তৈরি করে ফেসবুকে উপস্থাপন করে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার বা ডিজেবল অথবা তাদের হাতের আয়ত্ত করার চেষ্টা করে থাকে।
তাই আপনার সুরক্ষার জন্য যদি ফেসবুকে জন্মতারিখ "অনলি মি" করা থাকে তাহলে হ্যাকাররা এসব এর কিছুই জানতে পারবে না। ফলে নিরাপদ থাকবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। তাই নিজের ফেসবুক আইডি সুরক্ষার জন্য ফেসবুকে জন্মতারিখ ও জন্ম সাল হাইড করে রাখুন। অথবা জন্ম দিন হাইড রাখতে অসুবিধা মনে হয় তাহলে জন্ম সাল হাইড রেখে জন্মদিন তারিখ পাবলিক করে রাখতে পারেন।
থার্ড পার্টি অ্যাপ বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
নিজের ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার জন্য ফেসবুকে অনিরাপদ গেম অথবা অনিরাপদ অ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক আইডি দিয়ে লগ ইন করা থেকে বিরত থাকুন। এসব থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে থাকে যা আপনার জন্য একটি গুরুতর বিপদ।
পাবলিক প্লেসে ফেসবুক লগ ইন নয় | ফেসবুক সিকিউরিটি টিপস
পাবলিক প্লেসে যথাযথ নিরাপদ ছাড়া ফেসবুকে লগ ইন করা উচিত না। আর যদি এমনটি করেন তাহলে আপনি গুরুত্বর সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
#কোন বন্ধুবান্ধব এর কম্পিউটার বা মোবাইলফোনে ফেসবুক লগ ইন করার সময় কখনও "কিপ মি লগড ইন" এ ক্লিক করা যাবে না।
# ফেসবুক আইডি সিকিউরিটি জন্য আপনাকে এমন একটি পাসওয়ার্ড চয়েস করতে হবে যা অন্য সকলদের থেকে কল্পনার বাহিরে থাকে। তবে ফেসবুক পাসওয়ার্ডটি অনেক বড় হতে পারে। আর যদি আপনার ফেসবুক এর পাসওয়ার্ডটি সহজ কিন্ত অনেক বড় তাহলে কিন্তু আপনার ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত নাও হতে পারে।
কেননা ফেসবুক এর পাসওয়ার্ড হ্যাক করার জন্য সাইবার দুর্বৃত্তরা অনেক কৌশল ব্যবহার অবলম্বন করে তার মধ্যে হচ্ছে "ডিকশনারি অ্যাটাক" ব্যবহার করে। এটি ব্যবহার করার ফলে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা যায় এমন শব্দ ব্যবহার করে থাকে। এমন ধরনের আক্রমন থেকে ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার জন্য পাসওয়ার্ড মধ্যে বা আগে এমন @, #, $, %, * ইত্যাদি প্রতীক কে ব্যবহার করুন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।