আমাদের সকলের রাতে ঘুমানোর সময় নিজের মোবাইল ফোনটা বালিশের নিচে কিংবা পাশে রেখে দেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু এখানে যে আপনার বা সকলের জন্য নীরব ঘাতক লুকিয়ে আছে তা হয়তো আপনি বা আমরা অনেক এই বুঝতেই পারছি না। এটি এমন এক ধাতব যা আপনার শারীরিক এবং মানসিক 2টি ক্ষতি করছে।
মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুমানো তাহলে তাকে মহাবিপদ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘুমোনের সময় মোবাইল মাথার কাছে থাকলে তা মানুষের মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়। মোবাইলের রেডিয়েশনে ব্রেন টিউমার তো বটেই হতে পারে ব্রেন ক্যান্সার এ নিয়ে সতর্কবার্তা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মোবাইল ফোন থেকে বের হয় এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন যা শরীর এর জন্য খুবই ক্ষতিকর।এই রেডিয়েশন অতিমাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে মাথায় টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এটি বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি।
কারণ তাদের খুলির বাইরের অংশ বড়দের তুলনায় পাতলা হয়। ফলে রেডিয়েশনের প্রভাব তাদের মাথায় বেশি পড়ে।এছাড়া ঘুমকে গভীকে করার জন্য শরীর থেকে মেলাটলিন নামে এক প্রকার হরমোন বের হয়। কিন্তু মোবাইল, ট্যাবলেট বা এলইডি স্ক্রিন থেকে যে রেডিয়েশন বের হয় তাতে ওই মেলাটলিন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয় ফলে ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেয়।
মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে এবং আপনি প্রচন্ড মাথা ব্যাথা মাংসপেশির ব্যথা কিংবা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা অনুভব করতে পারেন।মোবাইল থেকে বের হওয়ার ৯০০ শত মেগাহার্জ এর পরিমাণ রেডিয়েশন শরীরের কার্যকারিতা নষ্ট করার সংকেত প্রদান করে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার ইতিমধ্যে মোবাইলফোন কে ক্যান্সার এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
20 বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যারা অতিমাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের ব্রেইন ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় 5 শতাংশ বেড়ে যায়। সুইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মারাত্মক বিপদে' সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তাদের দাবি থার্ড জেনারেশন বা তৃতীয় প্রজন্মের ফোন বা ৩জি ফোন আরও উচ্চ মাত্রা ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
যা শরীরের পক্ষে জীবনের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর ব্রেন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।আজকের আমাদের এই পোস্ট দেখে যদি মনে হয় আপনিই এই ভুল প্রতিরাতে করছেন তাহলে বিছানায় মোবাইল ফোন রেখে ঘুমানোর অভ্যাস আজই ছেড়ে দিন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।