বুদ্ধিমান লোকের মধ্যে স্পেশাল কিছু গুণ থাকে। আর তা তার মধ্যে একটি হলো এরা কেবল অন্যের কথা শুনে কোন কিছুতে বিশ্বাস করে না। বরং নিজের মত করে কাজ করে নিজের লাইফ স্টাইল কে আরো সুন্দর করার চেষ্টা করে। আর এই কারণে এরা কোন এক্সামে কেবল নম্বর দেখে না বরং নিজের স্কিল কে বেটার তৈরি করে। তাই সবার প্রথমে আপনাকে একটা কথা বুঝতে হবে যে জীবনে কেবল রুলস ফলো করে কিছু হবে না। যদি প্রতিটি কাজকে আপনি পারফেক্ট করতে চান একেবারে টপে যেতে চান।
লাইফে কোন দুঃখ না চান তাহলে এটা করে আপনি কখনও একটি সুন্দর জীবন পাবেন না। কারণ জীবনে খুশিতে থাকার জন্য এই সবকিছুর অনেক দরকার আছে। তাই আপনার জীবনকে এমন তৈরি করবেন না। যে আপনি কোন এক্সপিরিয়েন্স পাবেন না। আর আপনার লাইফটা ইন কমপ্লিট থেকে যাবে।
আর নিজেকে অন্তত সেই সব লোকের মাঝে আসতে দেবেন না। যারা সবসময় নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে চায়। আর আমার মনে হয় না আমরা সব সময় সঠিক হবো বা সব সময় ভুল। তাই যদি কেউ আপনাকে কোন কিছু বোঝায় তাহলে অন্তত তার মতো করে একটু বোঝার চেষ্টা করা দরকার।
এরপর হলো সবাইকে রেস্পেক্ট দিন। অর্থাৎ বলতে চাইছি তাকেও রেস্পেক্ট দিন যার সাথে আপনি জীবনে প্রথমবার দেখা করছেন। এমনটা করবেন না যে আপনি যাকে ইমপ্রেস করতে চান কেবল তাকে রেস্পেক্ট দেবেন। আর বাকি সবাইকে রেস্পেক্ট দেবেন না। এটা লোকের চোখে আপনাকে নেগেটিভ করে দেবে। পরে যদি সেই মানুষটা যাকে আপনি ইমপ্রেস করতে চান। সে যদি আপনার থেকে দূরে চলে যায়। তাহলে আপনার পাশে আর কেউ থাকবে না আপনার দুঃখকে শোনার জন্য। তখন আপনি অনেক আফসোস করবেন। কেন আমি কেবল একটি মানুষের জন্য সবাইকে ইগনোর করে ছিলাম।
এরপর কোন কিছু শেখার জন্য সব থেকে সহজ উপায় হলো আপনাকে সেটা করতে হবে। যেমন অনেকে বই হাতে নিয়ে বসে পড়ে আর ভাবে এক দুবার পড়লেই তার সবকিছু মনে থেকে যাবে। তাহলে বলবো যদি এতটাই সহজ হতো তাহলে প্রতিটি মানুষ আইপিএস হয়ে বসে থাকত। তাই কেবল পড়লেই হবে না বার বার পড়তে হবে বারবার লিখতে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে। তারপর আপনি সবকিছু মন রাখতে পারবেন। আর এই প্রাক্টিস আপনাকে যেকোন কাজে বেটার তৈরি করবে।
এরপর হলো নিজেকে কখনোই কারো সঙ্গে রেস করাবেন না। আপনি পড়াশোনা করছেন বা জব করছেন বা অন্য কোন ফিল্ডে আছেন। মনে রাখবেন এটা আপনার জীবনের একটা অংশ মাত্র আপনার জীবন নয়। আপনার এই জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে কোন না কোন কাজ তো করতেই হবে। যাতে আপনার কাছে টাকা আসে আর আপনি বাকি সবকিছু করতে পারেন।
তাই আপনার কাজ আপনার জীবনের একটি অংশ। যাতে আপনার জীবনটা ঠিক করে চলতে পারে। কিন্তু আপনার জীবনের বেঁচে থাকা রুলস গুলো কে কখনোই শেষ হতে দেবেন না। জীবন্ত জীবনের মতো করেই চলতে থাকবে। আপনাকে কেবল তাই নতুন রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে। যাতে আপনি আগের বছরের থেকে এই বছরের নিজেকে আরেকটু উপরে নিয়ে যেতে পারেন।
আর সবশেষে বলব লাকি বলে কোন কিছু হয় কিনা আমি জানিনা। কিন্তু যখন আপনি কোন কাজকে বারবার করেন আর বার বার ফেল হয়ে যাবার পরেও ওই কাজটি আপনি করা ছাড়েন না। আর পরে যখন আপনি সফল হয়ে যান তখন লোকে সবাই আপনাকে বলবে যে আপনি অনেক লাকি। তাই নিজেকে লাকি বলানোর জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তাই কেবল ভাগ্যের ভরসায় বসে থাকবেন না। আপনার জীবনে ৮০% পার্সেন্ট কাজ ও ২০% কাজ ভাগ্যের হাতে থাকা দরকার।
এটা নয় যে আপনি কি ৮০% শতাংশ ভাগ্যের ভরসায় থাকবেন আর ২০% শতাংশ কাজ করবেন। তাহলে এটা আপনাকে সবসময় অন্ধ বিশ্বাসের মধ্যে রাখবে।
এরপর হলো জীবনের ছোট ছোট জিনিস এর গুরুত্ব দেওয়া শিখুন। ছোট ছোট খুশি, ছোট ছোট কথা , পার্টি করা,বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, মনের কথা শেয়ার করা। এই সব কিছু আপনাকে বড় কোন কাজ করার জন্য রেডি করবে। কারণ যে ছোট ছোট কিছু করতে পারবে না সে বড় কিছু কিভাবে করবে।
তাই নিজেকে এমন একটি মানুষ তৈরি করুন যার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছোট ছোট খুশি থাকবে। যা তাকে অনেক বেশি আনন্দ দেবে এবং জীবনটাকে আরো সুন্দর করে তুলবে। তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের এই আর্টিকেলটি কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।