তাড়াতাড়ি ঘুমানোর সহজ উপায় | ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য ৫টি সহজ উপায়

হাসিবুর
লিখেছেন -
0

ব্যায়াম না করা, অস্বাস্থ্যকর ভাবে ডায়েট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন নানা রকম অযথা কাজে সময় নষ্ট করে আমরা আমাদের প্রতিদিনের ঘুমের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছি। ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে বার বার জেগে উঠা, সময়মত চোখে ঘুম না আসা এসকল কাজের কারনে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখ সহ মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত।

হ্যাঁ মনে রাখবেন যে, ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয়না। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য ৫টি সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি- আঁশাকরি আপনি পোস্টটি বিস্তারিত পড়লে আপনার প্রতিদিন এর ঘুম খুব ভালোভাবে পড়ে নিতে পারবেন।

১. চা ও কফি কম পান করুন | ঘুমের উপকারিতা

যেহেতু চিনি শরীরের ইনসুলিন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। আর আপনার যদি বেশি পরিমাণ চা ও কফি পান করার নিয়মিত অভ্যাস থাকে। তাহলে আপনাকে আজ থেকে সেই অতিরিক্ত পরিমাণ চা ও কফি গ্রহণ করা থেকে পরিত্যাগ করার অভ্যাস করতে হবে। এটি করার ফলে ঘুমের সমস্যা প্রকট আকার ধারন করে। 

চিনি ও ক্যাফেইন এর বদলে আপনি সবুজ চা অথবা ভেষজ চা গ্রহণ করতে পারেন। ভেষজ চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ভেষজ চা গ্রহণ করার কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি চান প্রতিদিন ভালো ভাবে ঘুমাবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিনি গ্রহণ করাকে পরিত্যাগ করতে হবে।

২. ব্যায়াম করুন | রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার 

গবেষণায় জানা গেছে যারা প্রতিদিন বেশি পরিমাণ পরিশ্রম বা বেশি কাজ করে থাকে যেমন, কৃষিকাজ, নির্মাণ কাজ ইত্যাদি সে সকল ব্যক্তিদের রাতের ঘুম ভালো ভাবে হয়। এখন অনেকেই যদি চিন্তা করেন যে সকালে ব্যায়াম করার ফলে রাতে কিভাবে ঘুমের সহায়তা করে। তাহলে এটি আপনি আবার চিন্তা করুন। কেননা ব্যায়াম করার ফলে শরীরের মধ্যে ক্লান্তি তৈরি হয়। শরীরের মধ্যে সেই ক্লান্তি টা রাতে ঘুমাতে সাহায্য করে। তাই রাতে মনের মতো ঘুম, শান্তি মতো ঘুম, ঘুমাতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করা শুরু করা দিন।

৩. বেশি বেশি বই পড়ুন | রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা

ডায়েট অথবা মন ভালো থাকলে যেমন ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করে থাকে। ঠিক তেমনি মন ভালো থাকলে ভালো ঘুমও হয়। এক কাপ সবুজ চা হাতে নিয়ে বসে পড়ুন, আর সঙ্গে একটি বই নিয়ে নানা রকম গল্প, কাহিনী পড়ুন দেখবেন মন ভালো হয়ে গিয়েছে। এটি করার ফলে আপনার মনে প্রশান্তি বিরাজ করবে। অনেকেই আবার ঘুমানোর আগে তাদের সারা দিনের কর্মকাণ্ড একটি ডায়রিতে অথবা খাতায় লিখে রাখে। এই রকম কাজ করাও একটি ভাল অভ্যাস। 

৪. বিভিন্ন ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন

বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে অধিকাংশ মানুষের ঘুমের প্রধান সমস্যার প্রধান কারণ হলো কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মোবাইল, টিভি ইত্যাদি ডিভাইসের প্রতি সারাদিন আকৃষ্ট হয়ে থাকা। অনেকেই আছেন যারা সারা রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং বিভিন্ন সামাজিক সাইট যেমন, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি সাইট গুলোতে লগ ইন করে রাতের মূল্যবান সময় নষ্ট করে যা করা মোটেও ভালো কোন কাজ নয়। ঘুমানোর আগে আমাদের সবাইকে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদি হতে বিরত থাকতে হবে। আমাদের এই সকল ডিভাইস গুলো সঠিক সময় সঠিক কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।

স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট আবিষ্কার করার পর থেকে আমাদের সকলের ঘুমের সমস্যা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ঘুমানোর আগে এসকল ডিভাইস অতিরিক্ত অপ্রয়জনো ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকতে হবে এবং ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। শুধু মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং ট্যাবলেট বন্ধ করলেই ঘুমের জন্য যথেষ্ট হয় না, আলো বা বাতি নিভিয়ে দিন এতে করে আপনার শরীর ঘুমের জন্য সংকেত পাবে এবং আপনার ভালো ঘুম হবে।

৫. বেশি বেশি পানি পান করুন | ঘুম আসার উপায়

ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই আছেন যারা পানি পান করা পছন্দ করে না। কিন্তু উচিত আপনি বিছানায় যাবার আগ মুহূর্তে হলেও এক গ্লাস পানি পান করে নিন। এতে করে আপনার শরীরে ডিটক্স ও ডি-হাইড্রেড থেকে যাবে। ফলে আপনার শরীরের ক্রিয়াকলাপ হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর নিজের শরীরে আরও বেশি কর্মশক্তি ফিল করবেন। সুস্থ থাকতে হলে ভালো থাকতে প্রত্যেকের শরীরের জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা আছে। তাই আজ থেকে নিয়মিত নিজের ঘুমের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠুন।

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!