নিজেকে ভালো রাখার জন্য আমাদের বছরে একবার তো ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হতে হয় শারীরিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার জন্য। গাড়িটা যেন সুন্দর ভালো ভাবে চালানো যায় সেজন্য গ্যারেজে গিয়ে সার্ভিসিং বা মেরামত করে নিতে হয়।
একইভাবে নিজের নিত্যনতুন ব্যবহার করা প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্য গুলির প্রতি যত্ন নিতে হবে। আর তাহলে লক্ষ্যে করে দেখবেন যে আপনার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য গুলো একদম আগের মতোই কাজ করছে বা ভালো পারফরমান্স দিচ্ছে পুরোনো ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, মোবাইলফোন বা ট্যাব। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেছি যে গুলো আপনার পুরনো কম্পিউটারকে নতুনের মতো রাখার বা নতুনের মতো পারফম্যান্স দিতে সাহায্য করবে।
আমাদের মধ্যে প্রায় সকলের এই বদভ্যাসটি আছে। যেসকল সফটওয়্যার কোনো দিনও ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না সেই সকল সফটওয়্যার গুলো আমরা আমাদের ল্যাপটপ, কম্পিউটারে ইনস্টল করে রেখে দেই। আপনার যদি এই অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে আজ থেকে এই বদভ্যাস পরিহার করে নিন। যেসকল সফটওয়্যার আপনার কাজে আছে না সেসকল সফটওয়্যার কম্পিউটার, ল্যাপটপে রেখে অযথা কোন লাভ নেই তাই এগুলো সফটওয়্যার কম্পিউটার থেকে থেকে ডিলিট করে নিন।
বর্তমানে মোবাইলফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরার কল্যাণে এখন অনেক অনেক ছবি তোলা যায় সাথে সেলফি তো আছে বটেই। কিন্তু এসকল ছবি রাখার পর্যাপ্ত যায়গা কোথায়? একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি তুললেও সেই ছবি এখন কমপক্ষে ২ থেকে ৫ মেগাবাইট জায়গা দখল করে নেয়। আপনি যদি সবগুলো পিকচার আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেক্সটপে রেখে দিতে চান তাহলে সেটি জায়গা দখল করে নেবেই।
আরও পড়ুনঃ প্রসেসর কি | প্রসেসর কি কোনটা দরকার
আপনি ল্যাপটপ, ডেক্সটপের জায়গা যত বেশি পরিমাণ ভর্তি করে রাখবেন তত আপনার কাজ করতে অসুবিধা সৃষ্টি হবে। তাই ছবি গুলো বেছে বেছে ল্যাপটপের মধ্যে রাখুন। আর এখন ছবি ডিভাইসে না রেখে অনলাইনে রাখার মতো পর্যাপ্ত ড্রাইভ রয়েছে যেমন, গুগুল ড্রাইভ, ফটোস ইত্যাদি। আপনি এগুলোতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিয়ে ফ্রিতে ১৫ জিবি ব্যবহার করতে পারবেন।
কম্পিউটার বা ডেক্সটপ মানেই হচ্ছে একগাদা তারের সমষ্টি। এই সকল তারসমূহ সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখুন এবং সবসময় উন্নতমানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করুন। উন্নত মানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করার ফলে আপনার কম্পিউটারে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ হতে থাকবে। পুরোনো তার বা নষ্ট মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করার ফলে কম্পিউটারের ক্ষতি হয়ে থাকে। অথবা যদি লোডশেডিংয়ের সমস্যা হয় তাহলে আপনাকে কম্পিউটারের সাথে একটি UPS ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুনঃ রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২১
অনেকেই নানা ধরনের কাজের জন্য অথবা অলস সময় অতিবাহিত করার জন্য ইন্টারনেটে ব্রাউজ করে প্রচুর সময় ব্যয় করে থাকে। আবার দেখা গেছে অনেক সময়ই অনেকের কম্পিউটার, ল্যাপটপে ভালো মানের এন্টিভাইরাস থাকে না যার ফলে ইন্টারনেট থেকে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে পড়ে। তাই উচিত ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেক্সটপে ভালো মানের একটি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা। তবে একটি ল্যাপটপ বা একটি কম্পিউটারে একটির বেশি কখনই ২টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি হতে পারে।
বছরে অন্তত একবার হলেও কম্পিউটার সার্ভিসিং করুন। সার্ভিসিং করানোটা আপনাকে অযথা বলে মনে হতে পারে কিন্তু আপনি যদি এটি করেন তাহলে লক্ষ্যে করে দেখবেন আপনার ল্যাপটপ, ডেক্সটপের আয়ু বাড়বে। ডিভাইস নষ্ট হওয়ার পর ঠিক করানো এর তুলনায় আগে থেকে যত্ন নেয়াটা অনেক বেশি কার্যকর। আর সবসময় চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত ব্যক্তি বা পরিচিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে এবং এক জায়গা থেকেই নিয়মিত সার্ভিসিং করাবেন। এতে করে আপনার ডিভাইস সঠিকভাবে সার্ভিসিং করার নিশ্চয়তা রয়ে যায়।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।