ফটো এডিটিং অ্যাপ — একটা সময় মোবাইল ফোন শুধুমাত্র যোগাযোগের কাজেই ব্যবহৃত হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই অনেক কাজই সমাধান করা যায়। যেমন ধরুন- পূর্বে ফটো এডিটিং করার মতো কাজগুলি করার জন্য অবশ্যই একটি কম্পিউটারের দরকার হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই কাজটি আপনার হাতের কাছে থাকা একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেই ছবি এডিট করা সম্ভব। তোহ স্মার্টফোনে ফটো এডিটিং করার জন্য দরকার একটি ভালো ফিচারস সম্বলিত ফটো এডিটিং অ্যাপ। বর্তমানে প্লে স্টোরে অনেক ধরনের ফিচার সম্বলিত ফটো এডিটর অ্যাপ রয়েছে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছবি এডিট করার জন্য কোন অ্যাপ সেরা এবং কোনটিতে সবথেকে ভালো ফিচার আছে? তাই আজকের এই আর্টিকেলে গুগল প্লে স্টোর থেকে বাছাইকৃত ২০২১ সালের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ বা মোবাইলে ফটো এডিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. Photoshop Express | বিশ্বের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ
Photoshop Express অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফটো এডিটর অ্যাপ। বেষ্ট ফটো এডিটর অ্যাপগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ফটোশপ এক্সপ্রেস। ফটোশপ এক্সপ্রেস অ্যাপটি তৈরি করছে জনপ্রিয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোব। গুগল প্লে স্টোর থেকে এখন পর্যন্ত এই ফটো এডিট অ্যাপ ১০০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এই ফটো এডিটিং অ্যাপের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফিচারসই প্যাক করা হয়েছে। যেমন- ফটো ক্রপিং, ফ্লিপং, রোটেটিং ইত্যাদি।
তাছাড়াও ফটোশোপ এক্সপ্রেসে অ্যাপে আছে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট, ওয়ান টাচ ফিল্টারিং, অটো ফিক্সিং, ফটো রেন্ডারিং সহ আরো বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচারস। অ্যাডোব ফটোশপ এক্সপ্রেস অ্যাপে রয়েছে খুবই সহজ ও সুন্দর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে হতে বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়াও অ্যাপটির সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন ফ্রী ইউজার ইন্টারফেসও আছে। যার কারণে আপনাকে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি হতে হবে না।
স্পেশাল ফিচার—
১। Photoshop Express অ্যাপে থাকছে ৮০ টির বেশি ফিল্টারস২। রেস্পেক্টিভ কারেকশন সমর্থিত
৩। শক্তিশালী ফটো রেন্ডারিং ইঞ্জিন
৪। RAW ফর্মেট সমর্থিত
২. Snapseed | মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট
আজকের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপের তালিকার ২য় স্থানে আছে Snapseed। এই সফটওয়্যারটি গুগল এর দাঁরা তৈরি একটা অসাধারণ ফটো এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় এটির দারুন সকল ফটো ফিল্টারস এর জন্যে। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ১০০ মিলিয়ন এর বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। স্ন্যাপসিড অ্যাপে রয়েছে ২৯ টির মতো পাওয়ারফুল টুলস যে টুলসের সাহায্যে আপনি আপনার ছবিকে আরও বেশি প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে।
এই ফটো এডিট অ্যাপের খুবই সুন্দর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস আছে, যা নিশ্চয়ই আপনার কাজকে আরও সহজ করে তুলবে। স্ন্যাপসিড অ্যাপে ফটো ক্রপিং, হিলিং ব্রাশ, ফ্লিপং, গ্ল্যামার গ্লো, ভিগনিটি, পোর্টরেট, ফটো রোটেটিং এর মতো সকল প্রয়োজনীয় ফিচারসই আছে। এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি অত্যন্ত আপনার ফটো গুলোকে নিখুঁতভাবে এডিট করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন। ফটোশপ এক্সপ্রেস ফটো এডিটিং অ্যাপের মতোই এই অ্যাপের বিজ্ঞাপন ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস থাকার কারণে আপনাকে সকল বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হবেনা।
স্পেশাল ফিচার—
১। ছবির বিশেষ অংশগুলোতে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্যে আছে ব্রাশ মোড২। নেটিভ ডার্ক থিম মোড সাপোর্টেড
৩। RAW ফর্মেট সাপোর্টেড
৩. PicsArt Studio | মোবাইল দিয়ে ফটো এডিটিং এর সেরা অ্যাপস
আজকের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপের তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা আরেকটি সেরা ফটো এডিটর অ্যাপ হচ্ছে PicsArt Studio। ছবিকে নিখুঁতভাবে কাস্টোমাইজ করতে যে ধরনের টুলস এবং ফিচারস এর দরকার হয় তার সকল কিছু এই অ্যাপে প্যাক করা হয়েছে। পিক্সআর্ট স্টুডিওতে আছে (৩০০০ হাজার) তিন হাজারেরও বেশি টুলস। গুগল প্লে স্টোর থেকে এখনও পর্যন্ত অ্যাপটি ৫০০ মিলিয়ন এর থেকে বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এই অ্যাপে থাকছে অটো ফিক্সিং, ওয়ান টাচ ইফেক্ট, ক্রপ, ফ্রেম, কোলাজ, ড্র, স্টিকারের মতো সকল ফিচার। এছাড়াও আরো থাকছে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ও ডিরেক্ট সোশ্যাল সাইটে শেয়ারিং এর সুবিধা।
পিক্সআর্ট স্টুডিওতে আরও থাকছে অসাধারণ সকল ফটো ফিল্টারস এর কালেকশন, যেগুলো আপনার ছবিকে ইউনিক টাচ দিতে সক্ষম। ফটো এডিটিং ছাড়াও এতে থাকা ড্রয়িং মোডও অনেক ফিচারফুল।গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ফ্রিতেই ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে পিক্সআর্টের ফ্রি সংস্করণে বিজ্ঞাপন ফ্রি ইউজার ইন্টারফেস নেই। যার কারণে আপনাকে বিরক্তিকর অ্যাডের সম্মুখীন হতে হবে। তবে পিক্সআর্ট সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে যে একটি তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
স্পেশাল ফিচার—
১। এই অ্যাপে আছে ছবির বিশেষ অংশে ইফেক্ট প্রয়োগ করার জন্য ব্রাশ মোড২। এছাড়াও থাকছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইফেক্ট যার ব্যবহারে ছবিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব
৩। লাইভ ইফেক্টের সঙ্গে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সাপোর্টেড
৪. Fotor | ছবি এডিট করার সেরা অ্যাপস
আজকের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপের তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই Fotor। এই ফটো এডিটিং অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ১০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। ছবিকে আরো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য অ্যাপটিতে আছে চমৎকার সকল ফিল্টারস ও ফটো ইফেক্টস। এই ফটো এডিটিং অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেসও অনেক সহজ।ফোটর Fotor ফটো এডিটিং অ্যাপে প্রায় ৩০০ এরও বেশি ইফেক্ট আছে, যা ব্যবহার করে নিমিষেই ছবিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তুলতে পারবেন।
এক্সপোজার, ছবির ব্রাইটনেস, কালার সহ অন্যান্য দিকগুলো টুইকিং করার জন্যে অ্যাপটিতে আপনি ১০ টিরও বেশি কাস্টোমাইজযোগ্য টুলস ব্যবহার করতে পারবেন। এই ফটো এডিটিং অ্যাপটি আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপে কোন বিজ্ঞাপন ফ্রী ইউজার ইন্টারফেস নাই।
স্পেশাল ফিচার—
১। ফোটর Fotor সেরা ফটো এডিটর এর পাশাপাশি ফটো লাইসেন্সিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবেও পরিচিত২। ছবি বা ফটোকে মুহূর্তেই আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য আছে ৩০০+ ইফেক্ট
৩। কুইক ‘এনহান্সমেন্ট’ সাপোর্টেড
৫. Photo Director | মোবাইলে ফটো এডিট করার সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপস
Photo Director হচ্ছে একটি মাল্টিপারপাস ফটো এডিটর। এটি পাওয়ারফুল টুলস সম্বলিত একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি এখন পর্যন্ত ৫০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে। ফটো ডিরেক্টরের আছে একটি স্টাইলিশ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। ফটো এফএক্স, ফটো রিটাচ সহ আরো বেশ কয়েকটি পাওয়ারফুল টুলস এখানে প্যাক করা রয়েছে, যা এই ছবি এডিটর অ্যাপটিকে অনেক এর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করছে। তাছাড়াও অ্যাপটিতে আছে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ও ডিরেক্ট সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ারিং ফিচার। এটি ছবি এডিটিং অ্যাপ আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এতে বিজ্ঞাপন ফ্রী কোন ইউজার ইন্টারফেস নাই।
স্পেশাল ফিচার—
১। লাইভ ইফেক্টের সঙ্গে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সাপোর্টেড২। ছবির নির্দিষ্ট অংশে ইফেক্ট দেয়ার জন্য আছে এফএক্স ফিচার
৩। ছবিতে অবাঞ্ছিত সকল বস্তু ডিলিট করার জন্য আছে "কনটেন্ট-এওয়্যার" টুল
৬. AirBrush | ছবি এডিট করার এপস
আজকের সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপের তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকা আরেকটি সেরা ছবি এডিটর অ্যাপ এবং একই সঙ্গে সেলফি এডিটর অ্যাপ হচ্ছে AirBrush। এই ছবি এডিটর অ্যাপের ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এর সঙ্গে এয়ার ব্রাশ অ্যাপের আছে অনেকগুলি ইউজফুল টুলস ও ফিল্টারস, যার কারণে এই বেষ্ট ফটো এডিটিং অ্যাপ অনেকের কাছেই পছন্দের একটি অ্যাপ। এতে আছে পিম্পল রিমুভার, ব্লেমিশ রিমুভার, বডি স্লিমার, হোয়াইটেন টিথ, আর্টিস্টিক রিটার্চের মতো টুলসগুলো।
বেষ্ট ফটো এডিটিং অ্যাপটিতে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ফিচারস আছে এবং এটি ডিরেক্ট সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ারিং করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ ফটো এডিটিং করার পরে সেটি আপনি চাইলে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটির অনেক ভালো রেটিং সহ ১০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই AirBrush অ্যাপটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ডাউনলোড করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
স্পেশাল ফিচার—
১। AirBrush সেরা ফটো এডিটর অ্যাপে থাকছে আকর্ষণীয় ব্লেমিশ ও পিম্পল রিমুভার টুলস২। লাইভ ইফেক্টের সঙ্গে বিল্ট-ইন ক্যামেরা সাপোর্টেড
৩। প্রাকৃতিক রেডিয়েন্ট ফিল্টার সাপোর্টেড
৭. Toolwiz Photos - Pro Editor ফটো এডিটিং এপস
Toolwiz Photos প্রোফেশনাল মানের একটি অসাধারণ সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ। এই অ্যাপটিকে আমি মোবাইল ফোনে ফটো এডিট করার জন্যে একের ভিতর সব ফটো এডিটিং অ্যাপ বলতে পারি। কারণ এই অ্যাপটিতে আপনি পেয়ে যাবেন ২০০ এরও বেশি ফটো এডিটিং টুুুলস যেগুলা ব্যবহার করে আপনি পছন্দের ছবিকে খুব সহজেই নিমিষেই মনের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। Toolwiz Photos এর একটি সহজ সাবলীল ইউজার ইন্টারফেস থাকার ফলে এটি ব্যবহার করাটা তুলনামূলক ভাবে খুবই সহজ। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটির ১০ মিলিয়ন এরও বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছে।
এই ছবি এডিটরের সাহায্যে আপনি আপনার ছবিকে নানান ধরনের ফিল্টারস যোগ করে নিতে পারবেন, সেচুরেশন অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন, সেই সঙ্গে ফটো কোলাজও বানিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়াও Toolwiz ফটো এডিটর অ্যাপে আরও নানা রকমের ফিচার আছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপটি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সহজেই ইউজার ইন্টারফেস, পাওয়ারফুল টুলস এবং ফিচারস থাকায় নিঃসন্দেহে Toolwiz Photos কে একটি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ বলা যায়।
স্পেশাল ফিচার—
১। অ্যাপটিতে আছে চমৎকার স্কিন পলিশিং টুলস২। এছাড়াও থাকছে দারুন সকল ফিল্টারস এর কালেকশন
৩। শ্যাডো ও মাস্ক এর সঙ্গে আছে ২০০ এরও বেশি টেক্সট ফন্টস
৮. Pixlr ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
অটোডেস্কের কোম্পানির তৈরি Pixlr একটি চমৎকার বিনামূল্যে ফটো এডিটর অ্যাপ। Pixlr অ্যাপে আছে প্রায় ৩ মিলিয়ন এরও বেশি ইফেক্ট, ওভারল ও ফিল্টারস। এই অ্যাপে পিকসলেট নামক একটি টুলস আছে, যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে নিমিষেই ছবির যেকোনো অংশ হতে ব্লার আউট করে নিতে পারবেন। এছাড়াও Pixlr ফটো এডিটিং অ্যাপ দিয়ে বিভিন্ন লে-আউট এর সঙ্গে ফটো কোলাজ তৈরি করতে পারবেন। এই অ্যাপ দ্বারা এক সঙ্গে ২৫ এরও বেশি ছবি এক সঙ্গে কোলাজ করতে পারবেন।
Pixlr অ্যাপে অটো ফিক্সের মতো ফিচারস থাকায় খুব সহজে একটি ক্লিক করেই ছবির কালার এবং ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন। এগুলি বাদেও এই অ্যাপে আরও অনেক ধরনের ফিচারস আছে। গুগল প্লে স্টোর হতে অ্যাপটি ৫০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। আপনি আপনার ফটো এডিটিং করার জন্য এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।
স্পেশাল ফিচার—
১। অ্যাপটিতে থাকছে একটি পাওয়ারফুল অন টাচ 'এনহান্সমেন্ট' টুলস২। অটো ফিক্সিং সাপোর্টেড
৩। অসাধারণ কোলাজ তৈরি মেকার অ্যাপ
৯. YouCam Perfect ফটো এডিটিং অ্যাপ
YouCam Perfect এন্ড্রয়েডে সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ। সেই সঙ্গে YouCam Perfect App কে বেস্ট সেলফি এডিটরও বলা হয়। এই সেরা ছবি এডিটর অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। গুগল প্লে স্টোর থেকে YouCam Perfect অ্যাপ ১০০ মিলিয়ন এরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। এই অ্যাপটির ব্যবহার করে আপনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার পছন্দের ছবিটি ইন্সট্যান্টলি ইউনিক টাচ দিতে সক্ষম হবেন।
অ্যাপটিতে থাকা বিল্ট-ইন ক্যামেরা ফিচার এর সাহায্যে আপনি সেলফি তোলার পাশাপাশি ভিডিও সেলফিও তুলতে সক্ষম হবেন। এক কথায় যেকোন ফটোকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে ধরনের টুলস থাকা দরকার তার সকল কিছু এতে প্যাক করা আছে। যদি আপনি সেলফি তুলতে ভালোবাসেন তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। আমি মনে অবশ্যই আপনার কাছে ভালো লাগবে।
স্পেশাল ফিচার—
১। গ্রুপ সেলফি তোলার ক্ষেত্রে আছে মাল্টিপল ফেস ডিটেকশন ফিচার২। ছবি হতে অবাঞ্ছিত বস্তু ডিলিট করার জন্য আছে কাটআউট ও রিমুভাল টুলস
৩। ইনস্ট্যান্ট 'এনহান্সমেন্ট' সাপোর্টেড
১০. Photo Lab ফটো এডিটিং অ্যাপ
আজকের সেরা ফটো এডিটর অ্যাপ থাকা আরেকটি বেস্ট ফটো এডিটর হচ্ছে Photo Lab। এই অ্যাপটির ব্যবহার করে যেকোন ছবিতে ইউনিক টাচ দেওয়া সম্ভব সেটি বলার অবকাশ রাখে না। ফটো ল্যাব ফটো এডিটর অ্যাপে রয়েছে ৯০০ প্লাস এরও বেশি ইফেক্ট, যেগুলা ব্যবহার করে আপনার ফটোকে অসাধারন সকল লুক দেওয়া সম্ভব। এতে আছে ফটো ক্রপিং, রোটেটিং, ফ্লিপং, হিলিং সহ সকল টুলস।
এই অ্যাপটি ফটো এডিট করার পরে আপনি চাইলেই সেটি সরাসরি আপনার ফোনের গ্যালারিতে সেভ করে নিতে পারবেন এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপের একটি ফ্রি সংস্করণ আছে। তবে হ্যাঁ অ্যাপটির আবার একটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে আপনি এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফটো এডিট করার পরে ফটোতে ওয়াটারমার্ক রয়ে যায়। তাছাড়াও অ্যাপটিতে বিজ্ঞাপন ফ্রি ইউজার ইন্টারফেসও নাই।
স্পেশাল ফিচার—
১। Photo Lab অ্যাপে থাকছে ৯০০ প্লাস ইফেক্ট২। ওয়ান টাচ ফটো এডিট সাপোর্টেড
৩। এছাড়াও থাকছে অ্যাডভান্স ফেস ডিটেকশন আলগরিদম
তোহ বন্ধুর আজ এই ছিলো ২০২১ সালের সেরা ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফটো এডিটিং অ্যাপ। উপরোক্ত বাছাইকৃত অ্যাপগুলির মধ্যে থেকে আপনি আপনার পছন্দ অনুযাইয়ি যেকোনটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার পছন্দের সকল ছবিগুলোকে করে তুলতে পারেন আরো বেশি আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।