সবচেয়ে সহজ জনপ্রিয় ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ — ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে নিজের দক্ষতা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অন্যের কাজ করে দিয়ে সেই কাজের বিনিময়ে মূল্যে নিয়ে নেওয়া। এখন কথা হচ্ছে এই দক্ষতা বা স্কিল কি? আপনি কি করে বুঝবেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন কাজটি সিলেক্ট করা দরকার আর সেজন্য কোন স্কিলটি আপনার থাকা প্রয়োজন।
আজ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত সেসকল কাজ নিয়ে যা একজন বিগিনার লেবেলের ফ্রিল্যান্সারের জানা দরকার। যে কাজগুলো না জানার কারণে অনেক বিগিনার ফ্রিল্যান্সার নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে। আর শেষমেশ এক্সপাট হওয়া সত্বেও তেমন ভালো কাজ পায়না।
নিজের ঘরে বসে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবক-যুবতিরা প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা আয় করছে। এখন কিন্ত দেশে শিক্ষিত বেকার যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর ফ্রিলান্সিংয়ের করার মাধ্যমেও একজন হাই স্কুলের ছাত্র ভালো মানের টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একটি মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হতে হবে। এখন এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি? ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লে হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে হাজার হাজার লোক তাদের কাজ করিয়ে নেয়ার জন্যে সেই কাজের উপরে একজন এক্সপাট মানুষকে খুঁজে নেয়। আর আপনি যে কাজে দক্ষ সেই কাজের একজন এক্সপার্ট হয়ে যুক্ত হয়ে ন্যের কাজগুলো করে দিবেন। সেই প্লাটফ্রম হচ্ছে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
পেজ সূচীপত্রঃ
ডাটা অ্যানালাইটিক্স
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
মাইক্রোসফট অফিস
কপি টাইপিং
ট্র্যান্সক্রিপশন
রাশিয়ান ট্রান্সলেশন
বুক রাইটার
ই-মেইল হ্যান্ডেলিং
কাস্টমার সাপোর্ট
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কি কি কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং টাকা ইনকাম
আর একজন বিগিনার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্যে ভালো একটা মার্কেটপ্লেসে কাজ করা অনেক বেশি জরুরি। তবে হ্যাঁ হাজার হাজার মার্কেটপ্লেসের মধ্যে সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপনি ঠিকই পেয়ে যাবেন। আর কোনো সমস্যা হলে একটি মার্কেটপ্লেস পরিবর্তন করে অন্য মার্কেটপ্লেস নিয়ে নিতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এখন আসল কথা হচ্ছে আপনার জন্য সিলেক্ট করা স্কিলটি যার কাজ আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সারাজীবন করে যাবেন সেই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কেমন ডিমান্ডেট।
আপনাদের এই সমস্য সমাধানের জন্যই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি সবচেয়ে সহজ জনপ্রিয় ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বিষয় সম্পর্কে। এখানে আমরা সবচেয়ে সহজ জনপ্রিয় ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে বলবো যেগুলো বর্তমান সময় সহ ভবিষ্যৎতে খুবই ডিমান্ডেট এবং এই কাজগুলোতে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও কম পরিমাণে প্রয়োজনের তুলনায়। যার কারণে এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পাওয়াটাও খুবই সহজ। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে সেরা সাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইভার। যারমধ্যে অসংখ্য ফ্রিলান্সারর নিয়মিত কাজ করেই যাচ্ছে। গত কিছুদিন পূর্বে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকম ‘ফাস্ট ৫০’ নামের একটি জরিপ প্রকাশিত করেছে।
যেখানে তারা কিছু কাজ সম্বন্ধে উল্লেখ করছে। যেগুলোর চাহিদার তুলনায় ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক কম সংখ্যক। একইভাবে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার এবং আপওয়ার্ক তাদের কাজের তালিকাগুলোর প্রকাশ করে যেগুলোর প্রজেক্টের তুলনায় ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা আনেকটা কম। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর দিকে নজর রেখে যে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজটিকে আমরা তালিকার সবচেয়ে প্রথমে রাখছি সেটা হচ্ছে ডাটা অ্যানালাইটিক্স।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় ২০২১ | অনলাইনে আয় করার সহজ ৪টি উপায়
ডাটা অ্যানালাইটিক্স
ডাটা অ্যানালাইটিক্স হচ্ছে ডাটা পরিক্ষা নিরিক্ষা যাচাই-বাছাই এবং পার্থক্য করে একটি নিদিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া। যার মাধ্যমে যে কোম্পানির জন্য এটি করা হচ্ছে সে কোম্পানি একটি সফল পদক্ষেপ নিতে পারে। যারা ডেটা অ্যানালিটিক্সের কাজ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ডেটা অ্যানালিস্ট। একজন ডেটা অ্যানালিস্ট হিসেবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে একটা ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর ডাটা অ্যানালাইটিক্স কিন্ত তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। ইন্টারনেটে এমন অসংখ্য টুল রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করে এই কাজটি করতে পারবেন। এখন যদি ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটের কথা বলি তাহলে ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটটিতে ওয়েব ডিজাইনের জন্য ফ্রিল্যান্সার আছে ৫১০২ জন আর সেই ঠিক একই স্থানে ডাটা অ্যানালাইটিক্স ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা শুধুমাত্র ১৩২৫। যে জায়গায়তে কাজের জন্যে প্রতিদিন ১০ হাজারের এর চেয়ে বেশি জব প্রজেক্ট পোস্ট করা হয়।
যেখানে একদিনে জব পোস্ট করা হয় শুধুমাত্র ১০ হাজারের বেশি। সেখানে শুধুমাত্র ১ হাজার ২৫ জন ফ্রিল্যান্সার। আর ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ফাস্ট ৫০ এর মধ্যে ডেটা অ্যানালিটিক্সই সর্বপ্রথম আছে যেখানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় নেক কম। আবার যদি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভারের হিসেব ধরি তাহলে ডেটা অ্যানালিটিক্সের উপর ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ৪৬৭৭ এবং ওয়েব ডিজাইনের পেছনে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ৬২৪৬৬ জন। সুতরাং সহজ আর ভালো টাকা ইনকাম করার উৎস হিসেবে বিগিনার স্কিল হিসেবে ডাটা অ্যানালাইটিক্স কাজটি অসাধারন বাছাই হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইনে স্কিলটিও ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক বেশি ডিমান্ডেড। আপনি চাইলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারটি শুরু করতে পারেন। বর্তমানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে। এমনকি যেকোনো একটি প্রোজেক্ট থেকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি কথা বলার অ্যাপস | ফ্রি কথা বলার সফটওয়্যার
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
সাধারন ভাবে একজন অ্যাসিসটান্ট যে কাজগুলো করে থাকে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট ও কিন্ত সে কাজগুলোই করে থাকে। তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্টের কাজের ধরনটা একটু অন্যরকম। ভার্চুয়াল মানে হচ্ছে ইন্টারনেটে যার অস্তিত্ব কিন্তু সেই ব্যাক্তিটির ফিজিকাল লোকেশনের ভিন্ন হতে পারে। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিসটান্টের কাজগুলোর মধ্যে কিছু কাজ হচ্ছে কোম্পানির জন্য বা যে ব্যাক্তির হয়ে কাজ করছে তার প্রয়োজনে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং করা, কাস্টোমার সার্ভিস দেওয়া, ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা, অ্যাডভারটাইজিং আরো সে সকল কাজ যা একজন রিয়েল অ্যাসিসস্টান্ট সম্পূর্ণ করে থাকে।
ডিমান্ডের অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইট ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট কাজের অবস্থান ফাস্ট ৫০ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে। ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্টের উপর ফ্রিল্যান্সারে সংখ্যা মোটামটি ডাটা অ্যানালিটিক্সের থেকে হালকা ভালো তবে হ্যাঁ প্রতিদিন পোস্ট হওয়া কাজর তুলনায় অনেক কম। আপনি চাইলেই একজন বিগিনার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিসটান্ট হিসেবে জয়েন হতে পারেন নিজের ফ্রিল্যান্সিং জগতে। তবে ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্টের কাজটা সহজ মনে হলেও একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে গেলে নেক কিছু সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয় অনেক কাজ সম্পর্কে পরিস্কার ধরণা রাখতে হয়।
ই-মেইল হ্যান্ডেলিং
ই-মেইল হ্যান্ডেলিং হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এমন একটি কাজ যেখানে আপনাকে কোনো কোম্পানির বা বিজনেজ ই-মেইল গুলোকে হ্যান্ডেল করার প্রয়োজন হবে। ই-মেইল হ্যান্ডেলিং মূলত তেমন কোনো কঠিন কাজ নয় কিন্তু এই কাজটি একটু বেশি করার প্রয়োজন হয়। কোম্পানি ই-মেইল রিসিভিং, ই-মেইল রাইটিং, ইমেইল সেন্ডিং এসকল কাজ একজন ই-মেইল হ্যান্ডেলার ফ্রিল্যান্সার সম্পূর্ণ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করুন ঘরে বসেই | ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন কোর্স
মাইক্রোসফট অফিস
মাইক্রোসফট অফিসের কাজ মানে হচ্ছে মাইক্রোফট অফিসের সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে কাজ। এই কাজগুলো হতে পারে স্প্রেডশিট তৈরি করে ডেটা কভার করা, পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন অথবা ওয়াডের মাধ্যমে লেখালেখি করা। মাইক্রোসফট অফিসের প্রত্যেকটি সফটওয়্যারের কাজ ভিন্ন হলেও একটি আরেকটির সাথে জড়িত। এই কাজের ধরণ হচ্ছে ঠিক অফিসের কাজের মতো।
ডিমান্ডের কথা বলতে গেলে মাইক্রোসফট অফিসের উপর কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের ডিমান্ড ফাইভার মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। ফাইভারে মাইক্রোসফট অফিসের উপর কাজ করে এমন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা মাত্র ৮৪০ জন। যে জায়গাতে বায়ার বা ক্লায়েন্টের সংখ্যা অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ওয়েবসাইটে এই উপর কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক কম। ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটের ফাস্ট ৫০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ডিমান্ডের দিক দিয়ে মাইক্রোসফট অফিস এর কাজ ৩য় স্থানে রয়েছে।
কপি টাইপিং
কপি টাইপিং কাজটি হচ্ছে আসলে সকল ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে খুবই ডিমান্ড। আর ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটের ফাস্ট ৫০ এর রিপোট অনুসারে কপি টাইপিং কাজটি রয়েছে ৪ নাম্বার অবস্থানে। কপি টাইপিংয়ের উপর কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা এই কাজের উপরে আসা প্রজেক্টের চেয়ে অনেক কম। ফাইভারে মার্কেটপ্লেসে ঠিক একই অবস্থা। কপি টাইপিংয়ের উপর কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় বায়ার বা ক্লায়েন্টের সংখ্যা অনেক বেশি। এক কথায় বলতে গেলে প্রায় সকল মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের ডিমান্ড অনেক বেশি।
একজন বিগিনার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি একজন কপি রাইটার হিসেবে নিজের ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পথটি শুরু করতে পারেন। এখান থেকে আপনি একটি প্রজেক্ট করে সেখান থেকে ভালো মানের টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। কপি টাইপিং করার ক্ষেত্রে আপনি একদিনে একটা ভালো কোনো প্রজেক্ট বা অর্ডার পেলে ৫০ ডলারের বেশি টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
ট্র্যান্সক্রিপশন
ট্র্যান্সক্রিপশন মানে হচ্ছে ভাষান্তর। অর্থাৎ একটি ভাষাকে আপনি বায়ার বা ক্লায়েন্টের বলা ভাষাতে রুপান্তরিত করবেন। বর্তমানে ট্র্যান্সক্রিপশনের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরে ফ্রিল্যান্সিং ডটকম ওয়েবসাইটে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ট্র্যান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের। যারা বিগিনার ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করতে চান তারা এই ট্র্যান্সক্রিপশনার হয়ে মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হতে পারেন। আরবি, রাশিয়া, ফ্র্যাঞ্চ, মান্দারিন যতবেশি আপনি ভাষায় রুপান্তর করতে জানবেন ততবেশি আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এই স্কিলের উপর ফ্রিল্যান্সার হয়ে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে জিডি করার নিয়ম | জিডি করুন ঘরে বসে
কাস্টোমার সাপোর্ট
কাস্টোমার সাপোর্ট ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক বেশি ডিমান্ডেড একটি কাজ। কারণ বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রায় সকলেই করে থাকে। আর ছোটো ছোটো ব্যবসায়ীরা তাদের কাজের জন্যে কোনো ফুলটাইম ইমপ্লয়ী না রেখে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে। আপনি চাইলে একজন কাস্টমার সাপোর্ট ফ্রিল্যান্সার হয়ে নিজের ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
রাশিয়ান ট্রান্সলেশন
মার্কেটপ্লেসে ট্র্যান্সক্রিপশনের ডিমান্ড থাকলেও বর্তমানে আলাদা ভাবে যে ল্যাংগুয়েজের ডিমান্ড আসলে বাকি সকল ল্যাংগুয়েজ থেকে অনেক বেশি সেটা হচ্ছে রাশিয়ান ট্রান্সলেশন। ধরতে গেলে ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটের উপর কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা কাজের তুলনায় অনেক কম। যার কারনে ফ্রিল্যান্সার ডটকম তাদের ফাস্ট ৫০ রিপোর্টে এই কাজের স্থান প্রথম ১০ এর মধ্যে ৬ নাম্বার স্থানে রাখছে।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটে রাসিয়ান ট্রান্সলেশনের ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা হচ্ছে ১০০০ এর একটু বেশি আর সার্ভিস প্রভাইডারের সংখ্যা হচ্ছে শুধুমাত্র ১৫৮ জন। আপনি আপনার ল্যাংগুয়েজ ট্রান্সকিপশনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের শুরুর দিকে অবশ্যই রাসিয়ান ভাষা নিজের ভাষা শিখার তালিকায় রেখে দিবেন।
বুক রাইটিং করে টাকা ইনকাম
ফ্রিল্যান্সার ডটকম ওয়েবসাইটে বুক রাইটারদের ডিমান্ড অনেক বেশি পরিমাণে। কাজটা হচ্ছে এমন যে আপনার বায়ার আপনাকে একটা টপিক এবং আর একটা নিদিষ্ট সময় দিবে আর আপনি সেই সময় এবং টপিকের উপর একটি বই লিখে তাকে দিবেন। আর আপনি সেই টপিক এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বই লিখে দিতে পারলেই আপনি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি একজন ভালো রাইটার হলে কিংবা একজন বিগিনার ফ্রিল্যান্সার হলে আপনি এই স্কিলটা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্যে মূলত আপনার প্রয়োজন হবে একটা ভালোমানের ইন্টারনেট কনেকশন আর একটা ডেক্সটপ বা ল্যাপ্টপ। আপনার আরো প্রয়েজন হবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। আর সেটার জন্যে আপনাকে কোনো প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের কাছে থেকে কাজ শিখতে হবে।
আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে অনেক পারদর্শী? তবুও আপনার কোনো প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের কাছে থেকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করার পূর্বে একটা কোর্স করে নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন ক্লায়েন্ট ম্যানেজ, ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেলিং, বায়ার আস্ককিং খুবই সেন্সটিভ একটা কাজ। যেটা আপনাকে শুধুমাত্র কোনো একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারই শেখাতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম | paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশ
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে বাংলাদেশে সরকার দ্বারা অনুমোদিত। বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রোজেক্ট যার নাম এলইডিপি যার ফুল ফ্রম হচ্ছে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রোজেক্ট। আর এই প্রোজেক্ট একেবারে সম্পূর্ণ বিনামূল্য। কোনো একটা কোর্সের উপর যারা আবেদন করে তাদেরকে সেই বিষয়ে কোর্স করানো হয়। সুতরাং আপনি নিঃসন্দেহে ফ্রিল্যান্সিংকে নিজের পেশা বা প্রফেশন হিসেবে নিয়ে নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং বা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার অসংখ্য কাজ রয়েছে। তবে সবগুলোই কিন্ত অনলাইন ভিত্তিক। এমন যেকোনো কাজ যা ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব সেই কাজ আপনি একজন ফ্রিলান্সার হিসেবে করতে পারবেন। যেমন কোডিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বুক রাইটার, আর্টিকেল রাইটার, ডিজিটাল মার্কেটার আরো অনেক কাজ।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে শিখতে পারবেন। চাইলে বিভিন্ন সাইট থেকে কোর্স কিনে অথবা ইউটিউব দেখে শিখে নিতে পারবেন। কেননা ইউটিউবে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রিতে পাওয়া যায়। তবে আমি সাজেস্ট করবো পেইড কোর্স করার জন্য যা কোনো প্রফেশনাল ব্যাক্তির দ্বারা তৈরি করা। অবশ্য ইন্টারনেটে হাজার হাজার কোর্স রয়েছে যেখান থেকে আপনি যেকোনো একটি বাছাই করে করে নিতে পারবেন। তবে ফ্রিতে ভালো কোর্স খুবই কম পাবেন। আমার লেখা এই আর্টিকেলে আমি তুলে ধরেছি এমন কিছু কোর্স যেগুলোতে আপনি সম্পূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সেরা কোর্স গুলো
ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট সাইট, ভিডিও এডিটিং, এসইও, আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ডাটা, বিজনেস, লাইফস্টাইল, রাইটিং এন্ড ট্র্যান্সলেশন ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে প্রেসার মাপা হয় জেনে নিন
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।