পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম | paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম

হাসিবুর
লিখেছেন -
0

বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পেপাল। সারা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলোতে পেপাল পেমেন্ট মেথড স্বাচ্ছন্দ্যেভাবে ব্যবহার করা গেলেও আমাদের বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশগুলোতে আছে নানা সীমাবদ্ধতা। বাংলাদেশে বৈধভাবে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্বন্ধে আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো।

ডিসেম্বর মাসের ১৯৯৮ সালে ম্যাক্স লেভকিন, পিটার থিল এবং লিউক নোসেক নামের তিনজন ব্যক্তি ‘কনফিনিটি’ নামের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই সময়ে এটা শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল কিংবা আধুনিক ওয়ালেট হিসাবে ব্যবহার করার যেত। পরবর্তীতে ঠিক এই কনফিনিটি কোম্পানিটিই পেপাল নাম ধারণ করে।

পেপালে ১৯৯৯ সালে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম চালু করা হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে লেনদেন করার জন্য বহু ধরনের সুবিধের কারণে খুব দ্রুততার সাথে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠে পেপাল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেপাল স্বাচ্ছন্দ্যে ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে হ্যাঁ দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে এই পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেমটির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধে ব্যবহার করা যায়না অর্থাৎ পেপাল একাউন্টের সকল সার্ভিস সরকারি ভাবে পাওয়া যায়না।

তবে হ্যাঁ তাই অনেকেই আছেন যারা মনে করে যে, বাংলাদেশে বৈধভাবে পেপাল একাউন্ট খোলা যায়না। যার পরিপেক্ষিতে অনেকেই আছেন যারা ভুয়া ইনফরমেশন প্রদান করা সহ আরো নানান ধরনের অনৈতিক পন্থা অনুসরণ করার চেষ্টা করে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বৈধভাবে বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্বন্ধে জানতে পারবো। তো চলুন জেনে নেই বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

পেজ সুচিপত্রঃ

বৈধভাবে বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করা যায়?

প্রায়ই একটা কথা সকলের মুখে বা অফলাইন হোক কিংবা অনলাইনে শোনা যায় সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে নাকি বৈধভাবে পেপাল একাউন্ট খোলা যায়না। অথবা যাঁরা পেপাল এর ওয়েবসাইটে কখনো ভিজিট করে দেখেছেন, তারাও হয়তোবা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন যে, পেপাল পার্সোনাল একাউন্ট খোলার সময়ে ‘বাংলাদেশ’ অপশনটি খুঁজে পাওয়া যায়না।

প্রকৃতপক্ষে, পেপাল পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে আবশ্যিক ভাবে ভেরিফিকেশন সহ মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের মোবাইল অপেরাটরগুলো পেপাল একাউন্টে সাপোর্টেড না। কিন্তু হ্যাঁ, পেপাল বিজিনেস অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময়ে মোবাইল নাম্বারের বিষয়টা আবিশ্যক ভাবে তেমন গুরুত্ব পায়না। তাই আপনি বাংলাদেশ থেকেও এই পেপাল বিজনেস একাউন্ট করতে পারবেন। 

“Business” বিজনেস অপশন ব্যবহার করে আমরা আজকের এই আর্টিকেল বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। তাই অনুগ্রহ করে একটু ধৈর্য ধরে আজকের এই পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে পোস্টটি স্কিপ না করে মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম

যেহেতু আপনি পেপাল একাউন্ট ওপেন করবেন তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম তাদের ওয়েবসাইটে অর্থাৎ পেপাল এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখানে পেপালের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট লিংক দিয়েছে। এখানে ক্লিক করে আপনি সরাসরি সহজে পেপালের অরজিনাল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। সেই ওয়েবসাইট আপনি পেপাল একাউন্ট খোলার জন্যে ২টি অপশন দেখতে পারবেন। একটি হচ্ছে পেপাল পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট, আরেকটি হচ্ছে পেপাল বিজনেস একাউন্ট ওপেন করার অপশন।

পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ ১: রেজিস্ট্রেশন ইন্টারফেস

পেপাল পার্সোনাল একাউন্ট যেহেতু আমাদের দেশ থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে খোলা যায়না, সেহেতু আপনারা সেখান থেকে “Business Account” এই অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এরপর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ইন্টারফেস আসবে আপনার সামনে। রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার জন্যে আপনাকে তথ্য ফরম দেওয়া হবে।

তারপর আপনি সেখানে দেখতে পাবেন “Enter your Email address” এই অপশন। আপনি যে ই-মেইল আইডি দিয়ে পেপাল একাউন্ট ওপেন করবেন, সেই ইমেইল আইডি এখানে বসাবেন তারপর সাইন আপ করবেন। তবে হ্যাঁ উক্ত ই-মেইল আইডিতে আপনার পরিপূর্ণ আক্সেক্স এবং নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত করণ করে রাখবেন।

পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

এরপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড সেটআপ করতে বলা হবে। এই অপশনটিতে আপনি একটি কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এবং পাসওয়ার্ডটি আপনাকে মনে রাখতে হবে। পাসওয়ার্ড কোনোভাবেই গুগলের মাঝে সেভ করে রাখবেন না, সহজ এবং সাধারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা, পেপাল একাউন্টে আপনার টাকা চুরি করার জন্যে আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা নানা রকমভাবে ওঁত পেতে বসে আছে। যার কারণে সাইবার নিরাপত্তার সাধারণ নিয়মগুলো অবশ্যই অনুসরণ করে চলবেন।

পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

স্টেপ ২: বিজনেস কনটাক্ট এবং ডিটেইলস

আপনার পেপাল একাউন্টে পাসওয়ার্ড সাবমিট করার পরে আপনার বিজনেস সম্বন্ধে পেপাল থেকে জানতে চাইবে। সর্বপ্রথম “Business Contact” সম্পর্কে জানতে চাইবে। আপনি আপনার সঠিক নেম অর্থাৎ সার্টিফিকেট অনুযায়ী/ ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী লিগ্যাল নামটিকে এখানে প্রদান করবেন। এরপর আপনার কাছে থেকে ফাস্ট নেম জানতে চাইবে, লাস্ট নেম জানতে চাইবে। অর্থাৎ এখানে যথাক্রমে আপনার নামের প্রথম অংশটিকে এবং শেষের অংশটিকে ২ ভাগে ভাগ করে নিয়ে তথ্য-প্রদান করবেন।

তারপর আপনাকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে ডিটেইলস প্রদান করতে হবে। যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফ্রম কিংবা অফলাইন/অনলাইনে কোনো ব্যবসা থেজে থাকে, তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কিংবা ব্যবসার নাম সেখানে০ ব্যবহার করবেন। সেই নামটি ব্যবহার করার পর ২ থেকে ৩ লাইন আকারের বর্ণনা করবেন সেই ব্যবসা/প্রতিষ্ঠান/ওয়েবসাইট সম্পর্কে। এগুলোই হচ্ছে আপনার বিজনেস ডিটেইলস। আর যদি আপনার এই ধরনের ব্যবসা/প্রতিষ্ঠান/ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে আপনি নিজের স্বাভাবিক কর্মজগত সম্পর্কে কয়েক লাইন আকারের বর্ণনা করে দিতে পারেন বিজনেস ডিটেইলস এর জন্য।

পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম

তারপরে আপনি বিজনেস ফোন নাম্বার প্রদান করার অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনার নিজের সঠিক ফোন নাম্বারটি প্রদান করবেন। যেহেতু এখানে পার্সোনাল পেপাল একাউন্টের মতো করে ড্রপ-আউট মেন্ অপশনটি নেই, তাই বাংলাদেশ সহ আপনি যেকোনো দেশের ফোন নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনি এমন ফোন নাম্বার ব্যবহার করবেন, যে নাম্বারে আপনার আক্সেক্স আছে। 

ফোন নাম্বারটি অবশ্যই আপনি আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে লিখে নিবেন। যদি আপনার আন্তর্জাতিক ফরম্যাট ফোন নাম্বার সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকে? তবে আপনি কোনো চিন্তা করবেন না এখানে আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি। এইভাবে +8801********* এই ফরম্যাটে নাম্বার লেখাকেই মূলত আন্তর্জাতিক ফরম্যাটে ফোন নাম্বার বলা হয়ে থাকে। কি বিষয়টা খুব সহজ তাই না?

উপরোক্ত অপশন গুলো সাবমিট করার পরে আপনি Business Address দেওয়ার অপশনটি দেখতে পারবেন। এই অপশনে অ্যাড্রেস লেখার জন্যে দুটি ব্ল্যাঙ্ক লাইন দেয়া রয়েছে। এই অপশনটিতে আপনার সম্পূর্ণ অ্যাড্রেস টাইপ করবেন। প্রথম লাইনে আপনি বাড়ির ঠিকানা বা হোল্ডিং নাম্বার, রাস্তার নেম, ওয়ার্ড কিংবা গ্রামের নাম, ইউনিয়নের নাম, ডাকঘর, থানার নাম ইত্যাদি তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হবে। ২য় লাইনে আপনাকে আপনার শহরের নাম, দেশের নাম ইত্যাদি তথ্য টাইপ করতে পারেন।

এরপরে আলাদা ভাবে আপনাকে আবার শহরের নাম লিখার প্রয়োজন হবে “City” অপশনটিতে। তারপরে প্রোভিন্স অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এই অপশনটিতে যদি আপনি বাংলাদেশ খুঁজে না পান তবে অন্য একটি অপশন সিলেক্ট করে নিবেন। তারপরে পোস্টাল কোড অপশনের যায়গাতে আপনার নিকটস্থ ডাক-ঘরের পোস্ট কোড নাম্বারটি প্রদান করবেন।

এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে সাবমিট করার পরে পেপালের টার্মস আন্ড কন্ডিশান গুলো আপনি মেনে নিয়েছেন তা নিশ্চিত করতে “Terms and Conditions” এর ঠিক বাম পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে নিবেন। আপনি চাইলে একটু সময় নিয়ে পেপালের সকল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশানগুলো সম্পূর্ণ পড়তে পারেন। এতে করে আপনি পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের করার সময়ে কোনো ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করছেন কি-না, সেটা খুবই সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। আর যদি না জানেন তাহলে অনেকের পেপাল একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট কিংবা ব্লক পর্যন্ত হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি | ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যায়

স্টেপ ৩: Describe Your Business

এসব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনি “Describe Your Business” নামের আরেকটি তথ্য ফ্রম দেখতে পারবেন। সেখানে আপনি “Business type” হিসেবে “ইনডিভিজুয়াল” অপশনটি সিলেক্ট করবেন। প্রোডাক্ট/সার্ভিস কী-ওয়ার্ড নামক ঘরটিতে আপনি দিতে পারেন “Business Service”। 

আবার “What Is Your Normal Sale” নামের ফাঁকা ঘরে আপনি মিনিমাম ভ্যালু সিলেক্ট করে নিবেন। কেননা আপনি যেহেতু ‘Individual’ বা ব্যক্তিগত বিজনেস টাইপ সিলেক্ট করছেন, তাই সেল ভ্যালু অপশনের ওখানে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে সবথেকে ছোটো অ্যামাউন্ট সিলেক্ট করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

তারপরে আপনার বিজনেস কখন থেকে শুরু হয়েছে সেই ব্যাপারে ১টা তারিখ দিতে বলবে। আর আপনার বিজনেস না থাকলে উক্ত ঘরটিতে আপনার ইচ্ছামতো করে একটা তারিখ দিলেই চলবে। তারপরে ওয়েবসাইট লিংক দেওয়ার অপশনটি দেখতে পারবেন। এটি হচ্ছে অপশনাল। হ্যাঁ এই ঘরটি না পূরণ করলেও কিছু যায় আসে না। তারপরে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৪: Tell Us More About You

Tell Us More About You এই রকম টাইটেলে আরও একটি তথ্যফ্রম আপনারা দেখতে পারবেন। এখানে আপনার পার্সোনাল তথ্যগুলো সম্পর্কে জানতে চাইবে। সর্ব প্রথম আপনার সঠিক বার্থডে প্রদান করবেন। তারপরে “What Is Your Occupation” এখানে আপনি “Business” অপশনটি সিলেক্ট করতে পারেন কিংবা প্রাসঙ্গিক অন্যান্য যে কোন একটা সিলেক্ট করতে পারবেন। 

তারপরে আপনার হোম অ্যাড্রেস সংক্রান্ত তথ্যগুলো দিতে হবে। এখানে আপনি “Same As Business” অপশনটি ব্যবহার করতে পারবেন অথবা চাইলে আপনি আপনার হোম ঠিকানা হিসাবে আলাদা ঠিকানা কিংবা তথ্য এখানে ব্যবহার করতে পারেন।

এসব ধাপ সঠিকভাবে পার করে আসলে, আপনি দেখতে পাবেন- আপনার Paypal বিজিনেস একাউন্টটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনি Paypal একাউন্টের ড্যাশবোর্ডটি সামনে দেখতে পাবেন। আপনার ব্যালেন্স, কাউকে টাকা পাঠানোর অপশন, একাউন্টে টাকা যোগ করার অপশন ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সব সুবিধা পাবেন ড্যাশবোর্ডে।

আরও পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায়

পেপাল বিজনেস একাউন্ট ভেরিফাই

উপরোক্ত আলোচনা করা স্টেপগুলোর মাধ্যমে আমি বাংলাদেশে বৈধভাবে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছি। তবে হ্যাঁ পেপাল বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করার জন্য আপনাকে একটা ভেরিফিকেশন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। যাতে করে কেউ ভুয়া তথ্য অথবা ফেক প্রোফাইল ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপরাধ সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে না পারে, তার জন্যেই মূলত এই পেপাল একাউন্ট ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা।

পেপাল একাউন্টে ব্যবহার করার আপনার ফোন নাম্বারটিকে ভেরিফাই করে নিবেন। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কিংবা দুই ধাপে যাচাইকরণ পদ্ধতি সেটআপ করে নিবেন। এই অপশনটি সেট আপ করার কারণে আপনার পেপাল একাউন্টে লগিন করার সময়ে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি একটি ওটিপি অর্থাৎ ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে। 

এতে করে আপনার পেপাল একাউন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বেশি শক্তিশালী হবে। আপনাকে এনআইডি কার্ড/পাসপোর্ট/জন্ম সনদপত্র/ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ ইত্যাদি যেকোনো একটির ছবি আপলোড করার মাধ্যমে আপনার পেপাল বিজনেস একাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনার নিজের সম্বন্ধে আরো অনেক তথ্য জানতে চাইতে পারে পেপাল। সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে সাবমিট করবেন। আপনি চাইলেই আপনার ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ড গুলোকে যুক্ত করতে পারেন পেপাল একাউন্টের মাঝে। কার্ড যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি পেপাল টু কার্ড কিংবা কার্ড থেকে পেপালে সহজেই অর্থ লেনদেন করতে পাবেন। 

অথবা আপনি চাইলে পেপাল একাউন্টের সাথে ব্যাংক একাউন্টকে যুক্ত করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি বিজনেস একাউন্ট হতে হবে। আমি নিজেই ব্যক্তিগতভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ব্যবহার করে থাকি। এতে করে আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস-পে মোবাইল অ্যাপ থেকে ঘরে বসেই একাউন্টের সকল লেনদেন, কার্ড ইত্যাদি সকল ধরনের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনি চাইলেই ঘরে বসে থেকে নেক্সাস অ্যাপ ব্যবহার করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন সহজেই।

তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য হোক অথবা ব্যক্তিগত তথ্য, মনে রাখবেন কোন ক্ষেত্রেই ভুল তথ্য শেয়ার করা যাবে না। কেননা বর্তমান সময়ে আপনার সকল তথ্য ভেরিফাই করা পেপাল এর কাছে খুবই সহজ। কেননা সেখানে প্রদান করা ভুল তথ্যই হতে পারে আপনার পেপাল বিজনেস একাউন্ট ব্লক বা রেসট্রিকশন হওয়ার প্রধান কারন। সেই ক্ষেত্রে আপনার পেপাল একাউন্টের ব্যালেন্স আপনি চিরতরের জন্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। ইস! কিযে খারাপ লাগবে ভাই তাই না?

বাংলাদেশ থেকে পেপাল একাউন্ট খোলার কারণে পেপাল বিজনেস একাউন্ট বাদ কিংবা ব্যান করা হয়না। বরং অনেক সময় না বুঝে এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল কিংবা ভুয়া তথ্য উল্লেখ করার জন্যেই পেপাল একাউন্ট বন্ধ বা রেস্ট্রিক্ট করে দেয়া হয়। তাই সবসময় উচিত সঠিক এবং সত্য তথ্যপ্রদান করা। তাতে করে আপনার পেপাল একাউন্ট কিংবা অন্যান্য একাউন্টের বন্ধ বা ব্যান হওয়ার ঝুঁকি আর থাকবেনা।

আরও পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম | ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ২০২১

শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি বৈধভাবে বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারলেন। আমাদের এই পোস্টে পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম পড়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে, আমরা এখানে কোনো ধরনের অনৈতিক পন্থা অনুসরন করিনি। আমরা অফিশিয়াল সিস্টেমে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেছি।

অনেকেই আছেন যারা না জেনে ভুল পদ্ধতি অবলম্বনের চেষ্টা করে পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য। আবার আমাদের দেশের কিছু হুজুগে লোকজনের কল্যাণে অনেকেই ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক), ভুয়া বিদেশি নাম্বার ইত্যাদি বহু ধরনের পদ্ধতিতে পেপাল একাউন্ট খোলার চেষ্টা করেন। 

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে পেপাল একাউন্ট ওপেন করার জন্য সফল কতটুকু হওয়া যায়- সেই বিষয়ে আমি সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে হ্যাঁ আমার মনে হয় কেউ সফল হলেও শেষ পর্যন্ত সেই পেপাল একাউন্ট বন্ধ বা ব্যানের হওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শেষ করার প্রয়োজন হয়। যাতে করে পেপাল একাউন্টের মাঝে থাকা ব্যালেন্সগুলো আর তোলা সম্ভবপর হয়না।

তাই আমি বলবো আপনারা এসকল অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না। পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য অফিশিয়াল সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও অনৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করাটাই এক ধরনের বোকামি। কিন্তু হ্যাঁ, Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্বন্ধে বিস্তারিত না জানার কারনেই অনেক মানুষ উল্টো পদ্ধতি অবলম্বন করার চেষ্টা করে থাকে। যেটা কোনো ভাবেই কাম্য না। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে বৈধভাবে বাংলাদেশে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বলছি। আমি আশা করি আপনারা আজকের এই পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারার পরে আপনারা নিশ্চয়ই অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।

তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল এই পর্যন্তই। বাংলাদেশে বৈধভাবে Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আর্টিকেলটি আপনার আগামীর পথচলায় সাহায্য করবে বলে আমরা আশা করি। এই পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লাগলে আপনি শেয়ার করতে পারেন এবং পেপাল একাউন্ট Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটা কমেন্টে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না কিন্ত।

আরও পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম সাইট

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!