রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটলে যেসব ক্ষতি হয় — সারাদিন অতিরিক্ত অনেক বেশি ক্লান্ত থাকার পরেও যেন রাত জেগে স্মার্টফোন চালানো (ফেসবুকিং করা, ইউটিউব দেখা, কথা বলা, গান শোনা, ভিডিও দেখা) বা ঘাঁটাঘাঁটি করা যেকোনো বয়সের মানুষের যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। বিছানায় শুয়ে একপাশ থেকে আরেকপাশ করতে করতে রাতে ঘুম না আসার সাথে অতিরিক্ত স্মার্টফোন চালানোর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধুমাত্র শরীর নয় প্রতিদিনের জীবনযাত্রার উপরেও বেশ প্রভাব বিস্তার করে এই অভ্যাসের কারণে। এমনকি অনেক সময়ে বদলে যেতে পারে পুরনো অভ্যাস গুলো। চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই রাত জেগে স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষতি গুলো সম্পর্কেঃ
১। একজন মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক থাকার জন্য প্রতি রাতে একজন মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার হয়। স্মার্টফোন থেকে আশা নীল আলো শরীরের মেলাটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে।
২। রাতে ঘুমানোর পূর্বে যারা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন তাদের সকলের ঘুমের পরিমাণ কমে যেতে পারে। যার কারণে মস্তিষ্ক এবং মনের উভয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। রাতে ঘরের আলো নেভানোর পরে স্মার্টফোনের নীল আলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে যুক্ত হয়ে পড়েন অনেকেি। এতে করে স্মার্টফোনের ক্ষতিকর নীল আলো ডাইরেক্ট চোখে আঘাত করে। যার কারণে চোখের কোষের ক্ষতি হয় এবং চোখে ব্যাথা অনুভব হয়ে থাকে।
৪। আমেরিকান ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, স্মার্টফোনের নীল আলো রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি করে করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৫। রাত জেগে স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহার করলে আপনি পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হবেন। যার কারণে মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক সাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে চিন্তাশক্তি এবং শারীরিক শক্তিও লোপ পায়।
৬। ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, স্মার্টফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বিস্তার করে, যা শরীরে কয়েক রকমের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়