সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেন কি
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সার্চ ইঞ্জিনের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্লগিং পোর্টাল সহ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বিশেষ করে বর্তমানে যারা অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা করেন তাদের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই। অর্থাৎ আপনার ই-কমার্স বা যেকোনো ওয়েবসাইটের সাইটের ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও করতেই হবে।
কোনো ওয়েবসাইটের অর্গানিক ট্রাফিক আনতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও করতেই হবে। আপনার ওয়েব সাইটকে একটি নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ডের উপর র্যাংক করাতে হলে আপনাকে এসইও করতে হবে। আশা করি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও কি এবং কেন করা হয় তা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন।
অন-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (ON-PAGE SEO)
গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে হলে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু অভ্যন্তরীণ কাজ রয়েছে। আর এই সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ওয়েবসাইট অভ্যন্তরীণ কাজকেই অন-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (ON-PAGE SEO) বলে। সঠিক কি-ওয়ার্ড বাছাই অন-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (ON-PAGE SEO) গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অন-পেজ এসইও রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেঃ
১। ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ তৈরি করা।
২। প্রতিটি পোস্টে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা।
৩। পোস্ট সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন করা।
৪। ইউআরএল স্ট্র্যাকচার করা।
অফ-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (OFF-PAGE SEO)
ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ এসইও এর পাশাপাশি কিছু বহির্ভূত এসইও রয়েছে। আর এই বহির্ভূত এসইও কে বলা হয় অফ-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (OFF-PAGE SEO) একটি ওয়েবসাইটকে র্যাংক করানোর ক্ষেত্রে অফ-পেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (OFF-PAGE SEO) এর গুরুত্ব অনেক। লিংক বিল্ডিং, সোশ্যাল বুকমার্কিং, গেস্ট ব্লগিং, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদি হচ্ছে অফপেজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর মূল উদ্দেশ্য
একটি ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটরসই হলো আসল উদ্দেশ্য। এক কথায় ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসাইটের কোনো মূল্য নেই। আপনি আপনার ব্লগ সাইটে যতবড় আর কোয়ালিটিফুল পোস্ট লিখুন না কেন, কিন্তু সেই পোস্টের যদি অর্গানিক ভিজিটর না থাকে তবে আপনার লেখার কোনো প্রকার মূল্য থাকবে না। তাই আগেই বলেছি ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটরসই হলো আসল উদ্দেশ্য।
কোনো সমস্যা দেখা দিলেই আমরা চোখ বন্ধ করে গুগল, ইয়াহু, বিং এর মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সহায়তা নেই। আর তাই সার্চ ইঞ্জিন ভিজিটরসের সবচেয়ে বড় উৎস। প্রতিদিন এই সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কোটি কোটি তথ্য প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আর তাই সার্চ ইঞ্জিন এ আপনার সাইট ভালো অবস্থানে র্যাংক করাতে পারলেই আপনার অর্গানিক ভিজিটরদের অভাব হবেনা।
তবে কাজটা সহজ নয়। আপনার মতো সব ওয়েবসাইটের মালিকরাই চায় তাদের সাইট ভালো অবস্থানে যাক। আর তাই যে যত ভালো এসইও করবে তার সফলতার হার সবচেয়ে বেশি থাকবে। সুতরাং সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন মেনে এসইও করলাম আর সাইট ভালো অবস্থানে গেল, বিষয়টা এমন নয়।
কারণ সবাই তাঁর সাইটকে এসইও ফ্রেন্ডলি করে গড়ে তোলে। যার এসইও যতো ভালো হবে সার্চ ইঞ্জিন তাকে ঠিক তত অবস্থানে নিয়ে যাবে। সবশেষে বলা যায়, একটি ওয়েবসাইটকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে হলে সঠিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর কোনো বিকল্প পদ্ধতি নেই।
গুগলে ওয়েবসাইট র্যাংক করার উপায়
১। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েবসাইট কোন কোন সোর্স থেকে ব্যাকলিংক নেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
২। আপনার কাঙ্খিত কী-ওয়ার্ড গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করুন। প্রথম যে ওয়েবসাইট এসেছে তার সকল তথ্য আপনার নজর রাখুন।
৩। আপনার কাঙ্খিত কী-ওয়ার্ডটি গুগোল এ সার্চ করার পর আপনি অনেকগুলো পেজ পাবেন, সেখানে ব্যাকলিঙ্ক পাবেন সেই ব্যাকলিংক গুলোর একটি তালিকা করে রাখুন।
৪। আপনি যে ব্যাকলিংক গুলোর তালিকা করেছেন, সেগুলো থেকে দেখে নিন কোন ব্যাকলিংক গুলো অথরিটি সাইট থেকে এসেছে।
৫। এখন আপনার কাজ করার পালা। আপনাকে এখন তাদের ওয়েবসাইট থেকে সব তথ্য বের করতে হবে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের ওয়েবসাইটে এমন কি জিনিস আছে যা আপনার ওয়েবসাইটে নেই। যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকেও সেই বিষয়গুলো পূরণ করে ফেলতে হবে।
৬। আপনার কী-ওয়ার্ড সার্চে যে সাইটগুলো দ্বিতীয়, তৃতীয় বা দশম স্থানে আছে সবগুলোর ক্ষেত্রেই একই কাজ গুলো করুন।
৭। যে সকল পোস্ট করলে লিংক পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে সেরকম পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করুন।
৮। মনে রাখবেন যে সকল আর্টিকেল ব্যাকলিংক পাওয়ার যোগ্য না সেসকল আর্টিকেল র্যাংক করার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলে।
৯। আপনি যে ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করতে চান সেটার জন্য কয়েকটা কী-ওয়ার্ড বাছাই করুন।
১০। ২য় ধাপঃ আপনি যে কী-ওয়ার্ড গুলো নির্বাচন করেছেন এইবার সেগুলো গুগল সার্চ করুন। যে পেইজ এবং আর্টিকেলগুলো পেয়েছেন এইবার সেগুলোর ব্যাকলিংক সংখ্যা অনুযায়ী একটা লিস্ট করুন।
১১। এইবার আপনার কাজ হলো আর্টিকেল গুলো ভালো করে পর্যবেক্ষন করা, কোন আর্টিকেল গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যাকলিংক পেয়েছে এবং সেই ব্যাকলিংক গুলো লিস্ট করুন।
১২। আপনি যা যা বের করেছেন সব কিছু নিয়ে বসুন এবং আপনার প্রতিযোগীর চেয়ে ভালো আর্টিকেল তৈরি করুন। সেই মোতাবেক আর্টিকেল তৈরি হয়ে গেলে আপনার কাজ হলো প্রতিযোগীর আর্টিকেল থেকে পাওয়া ব্যাকলিংক গুলোর কাছে পৌঁছানো। এভাবেই আপনি খুব সহজেই ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারেন।
মনে রাখবেন এই আর্টিকেলটিতে গুগলে ওয়েবসাইট র্যাংক করানোর সবচেয়ে কার্যকরী নিয়ম গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও গুগলে ওয়েবসাইট র্যাংক করানোর অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। তবে এই ফ্যাক্টরিগুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ে গুগলে ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।