বাংলাদেশের সেরা ১০ ব্যাংক | বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ব্যাংক ২০২১ | বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাংক — পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষ কিন্ত তার নিজের অতি কষ্টের উপার্জিত টাকা জমা কিংবা সঞ্চয় করে রাখতে চায়। যেন পরবর্তীতে যেকেনো সময়ে বা যেকোনো বিপদ-আপদে সেই টাকার সঠিক ব্যবহার করা যায়।
আর সবাই এই কারণে মূলত একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের কষ্টের উপার্জিত ইনকাম সঞ্চয় করে রাখতে চায়। টাকা সঞ্চয় করে রাখার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ব্যাংক। মানুষের টাকা-পয়সা, ধন সম্পদ, মূলধন এবং মহিলাদের ব্যবহারিত সোনা, রুপা, গহনা রক্ষার জন্য ব্যাংক হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বত স্থান।
ব্যাংক হচ্ছে এমন একধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা ভবিষ্যতের জন্যে অর্থ সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্যে সাধারণ জনগনের কষ্টে ইনকাম করা টাকা সংগ্রহ করে রাখে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সহজেই ব্যাংকিং খাতের উপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে জনগণের আস্থা অর্জন করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো হচ্ছে মূলত ২ ধরনের। এগুলোর একটি হচ্ছে তফসিলি ব্যাংক এবং অন্যটি হচ্ছে অতফসিলি ব্যাংক। বর্তমান সময়ে ৬০টি তফসিলি ব্যাংক এবং ৫টি অতফসিলি ব্যাংকের সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধানে ও নিয়ন্ত্রণে আছে। নিচে বাংলাদেশের সেরা ১০ ব্যাংকের তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
১। সোনালি ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হচ্ছে সোনালি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয়করণ আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী সোনালি ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান সময়ে এই সোনালি ব্যাংক লিমিটেড এর দেশে ও দেশের বাইরে ১২২৬টি শাখা চালু রয়েছে। সোনালি ব্যাংক লিমিটেডের ১২২৬টি শাখার শাখা মধ্যে দেশের মধ্যে ১২২৪ টি এবং বিদেশে ২টি শাখা আছে।
আবার দেশের মধ্যে ১২১২ টি শাখার মাঝে গ্রাম অঞ্চলে আছে ৭৪৫টি আর বাকি ৪৬৭ টি শাখা রয়েছে শহরাঞ্চলে। সোনালি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় শহরে এবং গ্রামাঞ্চলের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আস্থা লাভ করছে। সোনালি ব্যাংক লিমিটেড এর অনুমোদিত মূলধন ৬,০০০ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৪,১৩০ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমান সময়ে সোনালি ব্যাংকে মোট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংখ্যা ১৮১৬৭ জন। পেনশন সহ আরো বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় অফিসারদের অবসর প্রদান, পরিষেবা সংস্থার বিল কালেক্ট এবং ইত্যাদি যা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে সমর্থন করে আসছে। সোনালি ব্যাংক লিমিটেড এর সুইফট কোড হচ্ছে BSONBDDH। সোনালি ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয় মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকাতে অবস্থিত। সোনালি ব্যাংক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে সাপোর্ট করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন সাধন করে আসছে।
২। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
এই ব্যাংকটি হচ্ছে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম ইসলামি ব্যাংক। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যাংকটি ১৯৮৩ সালের ১৩ই মার্চ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আইন ১৯১৩ এর অধীনে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যদি আপনি ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে চান, তবে ইসলামী ব্যাংক হবে আপনার পছন্দের প্রথম তালিকার ব্যাংক। ইসলাম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড যার সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে আইবিবিএল।
ইসলামি ব্যাংক মোট ৪৫০টি শাখা নিয়ে দেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুলোর মাঝে সর্ববৃহৎ ব্যাংকের জায়গা দখল করে নিয়েছে। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকও চালু করেছে। যদি আপনি একটি ইসলামি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে চান তবে আপনি খুবই সহজেই তাদের হোম রিকুয়ারমেন্ট সার্ভিস থেকে সেগুলো আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন।
১৯৯৯ সালে এই ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের সেরা ব্যাংক হিসেবে পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়াও ২০০০ সালেও ব্যাংকটি বাংলাদেশের চমৎকার ব্যাংকিং হিসাবেও পুরস্কৃত হয়েছিলো।সারাবিশ্বের শীর্ষ ১০০০টি ব্যাংকের মাঝে দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে জায়গা অর্জন করে নিয়েছে এই ইসলামি ব্যাংক। ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূলধনী প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী খাতে দেশের সবথেকে লাভজনক ব্যাংক।
৩। জনতা ব্যাংক লিমিটেড
জনতা ব্যাংক লিমিটেড কে সংক্ষেপে বলা হয় জেবিএল। জনতা ব্যাংক লিমিটেড হচ্ছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের ২য় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পরে এই ব্যাংকটি “জনতা ব্যাংক, আপনার ব্যাংক” নামের স্লোগান নিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশে জনতা ব্যাংকের মোট ৮৪৪ টি শাখা রয়েছে এছাড়াঅ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে ৪ টি শাখা। জনতা ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ ভোক্তা ব্যাংকিং, ব্যাংকিং সেবা, কর্পোরেট ব্যাংকিং এছাড়াও বিনিয়োগ ব্যাংকিং সহ তাদের পরিষেবা প্রদান করে আসছে।
৪। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ কিংবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ (SCB BD) বাংলাদেশ পরিচালিত একটি বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা বহুজাতিক বাণিজ্যিক ব্যাংক। যা মূলত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের একটি সহযোগী কোম্পানি। ব্যাংকটি ১০০ বছরের চেয়েও বেশি সময় ধরে সফলতার সাথে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড মূলত ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত।
১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পরে ব্যাংকটি ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে তাদের শাখা স্থাপন করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। ব্যাংকটি ১৯৪৮ সালে আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতের একটি পরিষেবা সংস্থা হিসেবে অবস্থিত ছিলো। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ কিংবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ সারাবিশ্বে তাদের সুযোগ-সুবিধে গড়ে তুলছে। সারাবিশ্বের সেরা ১৪ টি ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহারের সুবিধে দিচ্ছে। এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক ও সেরা বৃহত্তম ব্যাংক।
৫। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের সেরা সার্ভিস প্রদানকারী ব্যাংক যার সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে ডিবিবিএল নামে পরিচিত। টেকনাফ টু তেতুলিয়া পর্যন্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড সারা বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের মাঝে সবথেকে বড় দাতা ব্যাংক হচ্ছে এটি। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড একটি বেসরকারি রাষ্ট্রীয় অর্থায়িত ও বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী ব্যাংক।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (DBBL) বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ১৯৯৬ সালে এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ (বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠা করেন। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড হচ্ছে মূলত ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ দ্বারা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ৩ জুন, ১৯৯৬ সালে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ২০০৪ সালে নিবন্ধিত হয়। যদি আপনি DBBL অর্থাৎ ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে চান তবে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে খুবই সহজেই বাংলাদেশের সর্বত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
৬। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯১ সালের পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি আইন অনুযায়ী এটি ১৯৯২ সালে বিসিসিআই হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপরে এটি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড নামে রূপান্তরিত হয়। এই ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের ঢাকাতে অবস্থিত। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর সুইফট কোড হচ্ছে EBLDBDDH। আর্থিক খুচরা ব্যাংকিং, ইবিবিএল এসএমই ব্যাংকিং এবং গ্রিন ব্যাংকিং ইত্যাদি সেবা প্রদান করে আসছে।
৭। এবি ব্যাংক লিমিটেড
এবি ব্যাংক (পূর্বে আরব বাংলাদেশ ব্যাংক) হল বাংলাদেশের একটি নেতৃস্থানীয় প্রাইভেট এরিয়া ব্যাংক। যা ১২ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রাথমিক যৌথ প্রচেষ্টা। ১৪ নভেম্বর ২০০০ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক আরব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এবি ব্যাংকের নাম পরিবর্তন নিশ্চিত করে।
এবি ব্যাংক কিংবা আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড (এবিবিএল) ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম বে-সরকারি ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এবি ব্যাংকের বিশাল এটিএম নেটওয়ার্ক আছে। তাছাড়াও এবি ব্যাংকের বর্তমানে সারা দেশে ১০৪ টি শাখা আছে। এসকল শাখায় তারা দেশের মানুষের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এবি ব্যাংকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধে আছে। ব্যাংকের ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকরা ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড এবং নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে বিল দিতে পারবেন।
৮। গ্রামীণ ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে আমাদের দেশের অন্যতম সেরা বৃহৎ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করেন এবং ১৯৮৩ সালে জাতীয় আইন অনুযায়ী অনুমোদিত। এই ব্যাংক একটি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা যা দরিদ্র মানুষদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে। গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে।
৯। ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড
ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্রাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ব্রাক ব্যাংক মূলত ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শ্রেণীর এন্টার প্রাইজকে কেন্দ্র করে ও দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশিদের জন্যে কাজ করছে। ব্রাক ব্যাংকের সুইফট কোড হচ্ছে BRAKBDDH।
১০। পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
সরকারের কৌশল অনুযায়ী পূবালী ব্যাংক লিমিটেডকে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে পিবিএল। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে জাতীয় করণ করা হয় এবং পূবালী ব্যাংক হচ্ছে দেশের একটি বিখ্যাত বে-সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বর্তমানে পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশের ৩২টি জেলাতে তাদের সার্ভিস প্রদান করে আসছে। পূবালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান হচ্ছে জনাব হাবিবুর রহমান।