বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ২০২৪

হাসিবুর
লিখেছেন -
0

একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে শিক্ষার হার এতটাই কম ছিলো যে, অন্যান্য দেশ বাংলাদেশকে একটি দেশই মনে করতো না। অন্যান্য বিদেশী দেশগুলো বাংলাদেশকে অবহেলা করতো। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক অনেক দুর্বল ছিল। কিন্তু যতোই বাংলাদেশের বয়স বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার হার ঠিক কতটা বেড়েছে।

শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। আর এই শিক্ষাকে সঠিকভাবে পথ প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশের সেই পুরাতন প্রথম থেকেই থাকা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। আর আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবো।

বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

(toc) #title=(সুচিপত্র)

বাংলাদেশের সেরা ১০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা নিম্নলিখিত:

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
  • চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
  • ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)

১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়তন ৬০০ একর। বিরাট এই এলাকায় অনেকগুলো আবাসিক হল, অনুষদ, বিভাগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্জন হল ও কলা ভবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ও অন্যতম প্রতীকী ভবন। কার্জন হলে বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিভাগসমূহ এবং কলা ভবনে কলা বিভাগসমূহের ও সমাজবিজ্ঞানের কয়েকটি বিভাগের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ মোট ২৯ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও ২৮ তম উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে পূর্ণকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ২০২৪: উচ্চশিক্ষার জন্য সেরা গন্তব্য

সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগসমূহ, ব্যবসায় শিক্ষা ভবন ও এমবিএ ভবনে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগসমূহ এবং চারুকলা ইনস্টিটিউশনে চারুকলা বিভাগসমূহের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

বাংলাদেশের প্রকৌশল জগতের অন্যতম সেরা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ সংক্ষেপে বুয়েট। প্রকৌশল বা প্রযুক্তিবিদ্যা ছাড়াও এটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বুয়েটের অবস্থান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পলাশী এলাকায়। এটি ১৭৮৬ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বিস্তার করার জন্য ঢাকা সার্ভিস স্কুল নামে প্রতিষ্ঠা পায়।

আবার পরবর্তীতে এটি আহসান উল্লাহ বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং অফ ইনস্টিটিউশন নামে পরিবর্তন করা হয়। সবশেষে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম আবারও পরিবর্তন করে শেষ মেষ রাখা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকেই তিনটি নতুন আবাসিক হল তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চাহিদা অনেক। তাই পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালের আসন সংখ্যা ২৪০ থেকে ৩৬০ এ উন্নীত করা হয়।

১৯৬৯-৭০ সালে আসন সংখ্যা ৩৬০ থেকে বাড়িয়ে ৪২০ করা হয়। বুয়েটে আটটি ছাত্রাবাস রয়েছে। যেসব তরুণ শিক্ষক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক আবাসস্থল নেই, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হতে শহীদ স্মৃতি হল বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

৩। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিখ্যাত খুলনা শহরে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। বর্তমানে প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।

খুলনা মহানগরী থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক সংলগ্ন ময়ূর নদীর পাশে গল্লামারীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এর আয়তন ১০৫.৭৫একর। ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি গেজেটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর ৪টি পাঠ্য বিষয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি স্কুল ও ২ টি ইন্সিটিউটের অধীনে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার এবং প্রতিবছর ২৯ টি পাঠ্য বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। এটি ছাত্র রাজনীতি মুক্ত বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

৪। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ডিজিটালাইজড। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১৭টি হল এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের ডরমেটরি রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি হল ছেলেদের এবং ৬টি মেয়েদের হল।

১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। প্রাচ্যের কেমব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

৫। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম নাম। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড সহ সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সিলেট অঞ্চলের আয়োজন এই বিশ্ববিদ্যালয় করে থাকে।

শাবিপ্রবির আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, জাতীয় মহিলা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সমন্বিত সম্মান কোর্স চালু করে। পাশাপাশি ১৯৯৬-৯৭ সেশন থেকে স্নাতক কোর্সে সেমিস্টার পদ্ধতি প্রবর্তন করে। বাংলাদেশের একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন ছিল পিপীলিকা। যা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। এটি দেশের সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়।

৬। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী শহরের ৩ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্ষেপেঃ রুয়েট বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং উত্তরাঞ্চলের একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের ৫ টি মর্যাদাপূর্ণ এবং বিশেষায়িত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

রুয়েট ক্যাম্পাসের আয়তন ১৫২ একর। এতে ডিপার্টমেন্ট ভবন, ল্যাবেরেটরি, ওয়ার্কশপ, লাইব্রেরী, জিমনেশিয়াম, কেন্দ্রীয় সাধারণ কক্ষ, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা অবস্থিত। রুয়েট গেট থেকে পাঁচ কি.মি পশ্চিমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কাঁটাখালী নর্দার্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত।

বাংলাদেশে PhD প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষা অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ বলে ধরা হয়। প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আনুমানিক ১২০০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

৭। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ছিল ১,৭৫৩.৮৮ একর (৭০৯.৭৭ হেক্টর)। যা পরবর্তীতে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রায় ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণের মাধ্যমে বর্ধিত করা হয়।

২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রায় ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণের মাধ্যমে বর্ধিত করা হয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু হয়।

৮। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হল সম্পন্ন পাবলিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক, সমাজ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও আইন অনুষদ এবং ৪ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল সংখ্যা ১৬টি এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৮টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৮টি হল রয়েছে।

ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায় প্রায় ৬৯৭.৫৬ একর এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ১৯৭০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সম্পূর্ণরূপে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭২ সালে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের নাম অধ্যাপক নূরুল আলম।

৯। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। চুয়েটে শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। পরীক্ষার মাধ্যমও ইংরেজি। সকল প্রশাসনিক কাজকর্মে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। বাংলা ভাষা দ্বিতীয় একাডেমিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশন প্রনীত সিলেবাস অনুসারে এখানে পাঠদান করা হয়। উল্ল্যেখ্য দেশের ৪টি সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সিলেবাস অনুসরণ করা হয়।

এটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান থানায় অবস্থিত। এর পূর্বনাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম এবং তার পূর্বে চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।

১০। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)

১৯৮০ সালে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। সেই সময় এখান থেকে ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করা যেতো।

১৯৮৩ সালে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিইসি) নামে গাজীপুরের বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে সরকারের অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ডিইসিকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (বিআইটি) ঢাকাতে রুপান্তরিত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়।

ডিপ্লোমা অর্থাৎ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হচ্ছে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে থাকা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম। রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং গাজীপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ভাওয়াল গড় এলাকায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০.২৯ একর জমির উপর অবস্থিত।

১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। দেশে ক্রমবর্ধমান আধুনিক প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয় পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং তড়িৎ কৌশল অনুষদের অধীনে নয়টি বিভিন্ন বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।

প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬২০ জন ছাত্রছাত্রী প্রকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য ভর্তি হয়ে থাকে। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ১০০০০ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৬% ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই লেখাটি পড়ে জানতে পারলেন বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্টটি আপনার এইচএসসি পরীক্ষার পর সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!