নুডুলস এর উপকারিতা ও অপকারিতা: জানুন বিস্তারিত

হাসিবুর
লিখেছেন -
0

নুডলস এমন একটি ফাস্টফুড যা ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা সকলেই খেতে পছন্দ করে। নুডুলস বানাতে সময় খুব কম লাগে এবং এই খাবারের টেস্টও অনেক মজার। কিন্তু নুডুলস খেলে কি কি ক্ষতি হয় এবং কি কি উপকার হয়ে থাকে তা কি জানেন?

নুডুলস এর উপকারিতা ও অপকারিতা

নুডুলস, যা অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে, একসময় শুধুমাত্র এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রথাগত খাদ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু আজকের দিনে এটি একটি আন্তর্জাতিক খাদ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

সুস্বাদু এবং সহজে প্রস্তুতযোগ্য হওয়ায় নুডুলস খুব দ্রুত সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নুডুলস বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন ইনস্ট্যান্ট নুডুলস, রাইস নুডুলস, সুজির নুডলস এবং এগ নুডুলস। তবে নুডুলস খাওয়ার ক্ষেত্রে এর উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় দিকই বিবেচনা করা জরুরি।

আপনি অবশ্যই জানেন যে, যদি আমরা অতিরিক্ত কোন কিছু খাই তবে সেটা আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে নুডুলস আমাদের শরীরেরও উপকার এবং ক্ষতি করে থাকে। তবে আসুন জেনে নেই নুডুলস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

নুডুলস এর উপকারিতা

প্রথমত, নুডলস কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এবং দেহে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে। দ্বিতীয়ত, নুডলসের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পেটে ধীরে ধীরে হজম হয় এবং ক্ষুধা কম লাগে। তৃতীয়ত, চর্বিবিহীন নুডলস যা ইনসুলিনকে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে পারে এবং তারপরে রক্তে সুগার দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে পারে।

এছাড়াও, নুডলস মানুষের মনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং মানুষের মস্তিষ্কের ও স্নায়ুতন্ত্রের ৫০% কার্বোহাইড্রেট খাবারের প্রয়োজন হয়, মস্তিষ্কের এই চাহিদা নুডুলস মিটিয়ে থাকে। নুডুলস তৈরির উপাদান হচ্ছে গম বা ময়দা, আর গমে ভিটামিন বি রয়েছে যা মস্তিষ্কের কোষকে সচল রাখতে পারে।

  • নুডুলস কার্বোহাইড্রেটের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় দেহে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
  • নুডুলস প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ হয়, যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।
  • খুব দ্রুত ও সহজে রান্না করা যায়, যা ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচায়।
  • এটি একটি বেশ সুস্বাদু খাবার।
  • নুডলসে আছে গ্লুকোজ, যা শরীরে শক্তি জোগায়।
  • মস্তিষ্ককে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • নুডুলস সাশ্রয়ী হওয়ায় সকলের হাতের নাগালে পাওয়া যায়।
  • নুডলস নানাভাবে ব‍্যবহার করা যায়। যেমন স্যুপ থেকে ভাজা পর্যন্ত বিভিন্ন খাবারে।
  • নুডুলসে ফাইবার বা আঁশজাতীয় উপাদান থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

নুডুলস এর অপকারিতা

নুডুলস খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। নুডুলসে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি নুডুলসে থাকা চর্বি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট স্থূলতা সৃষ্টি করে, তাই আপনি যদি বেশি নুডুলস খান তাহলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। একই সময়ে, স্থূলতা অনেক শারীরিক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ইত্যাদির জন্ম দিতে পারে।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নুডুলস খাওয়া ক্ষতিকর। প্রকৃতপক্ষে, বিশেষজ্ঞদের মতে, নুডুলসে যে পরিমাণ সোডিয়াম এবং এমএসজি অর্থাৎ (মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট) উপস্থিত রয়েছে তা গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত নুডুলস খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হতে পারে, তাই গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত নুডলস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

আরও জানুন: কি খেলে টিউমার ভালো হয়? (ডাক্তারের পরামর্শ সেরা 20টি খাবার)

নুডুলস খেলে হার্ট, কিডনি ও লিভার সংক্রান্ত রোগ হতে পারে। আসলে, নুডলসের মধ্যে প্রোপ্লাইন গ্লাইকল নামক উপাদান থাকে, যা নুডলসকে নষ্ট হতে বাধা দেয়। এই উপাদানটি হার্ট, কিডনি এবং লিভারের ক্ষতি করে, তাই নুডুলস অতিরিক্ত সেবন অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে পারে।

নুডুলস কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে, তাই অতিরিক্ত নুডলস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি একজন ব্যক্তির কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির উচিত নুডুলস খাওয়া এড়িয়ে চলা।

নুডুলসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই অতিরিক্ত নুডুলস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এ ছাড়া নুডুলসে কোনো ধরনের প্রোটিন ও মিনারেল থাকে না, তাই নুডুলস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট নুডলসের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়, তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অ্যালার্জি, জ্বালা, মাইগ্রেন, মাথাব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। তাই নুডলস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

নুডুলস সোডিয়াম সমৃদ্ধ, তাই নুডুলসের অত্যধিক ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নুডুলস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

নুডলস ময়দা থেকে তৈরি করা হয়। যার কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে। নুডুলস ঠিকমতো রান্না না করলে নুডলসের গায়ে লাগানো মোম হজম হতে বেশি সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ সহজে হজম করা যায় না।

আরও জানুন: আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা

নুডুলসে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এটি শরীরের চিনির মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। নুডুলসে কোনো প্রকার প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ থাকে না। তাই নুডুলস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

নুডুলসে উপস্থিত প্রোপিলিন গ্লাইকল নামক উপাদান, যা নুডলসকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে, হার্ট, কিডনি এবং লিভারের ক্ষতি করে। এর আধিক্য এই অঙ্গগুলির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

MSG অর্থাৎ মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট তাত্ক্ষণিক নুডলসের স্বাদ নিতে ব্যবহৃত হয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অ্যালার্জি, জ্বালা, মাইগ্রেন, মাথাব্যথা ইত্যাদির কারণে হতে পারে। 

অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে নুডুলসে যে পরিমাণ সোডিয়াম এবং এমএসজি থাকে তা গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি খুব বেশি গ্রহণ করলে গর্ভপাত হতে পারে।

আরও জানুন: টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট: প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়

প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যেখানে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার প্রায় নেই। এতে উপস্থিত ট্রান্সফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনাকে স্থূলতার শিকার করতে পারে।

নুডলসের মধ্যে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার না হয়। অতি মাত্রায় টেস্টিং সল্ট এর ব্যবহার রক্তে চর্বির মাত্রা বড়িয়ে দেয়। তখন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, ফ্যাটিলিভারের মতো অসুখ শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে।

সবকিছুরই দুটি দিক আছে, নুডলসের অসুবিধা হল:

  • স্থূলতা বাড়ায়
  • পুষ্টিগুণ কম
  • হজমে সমস্যা করে
  • ময়দায় তৈরি
  • খারাপ চর্বি
  • নুডুলসে থাকে এমএসজি 
  • অতিমাত্রার সোডিয়াম
  • সন্তান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে
  • উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে
  • লিভারের ক্ষতি করে
  • মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব
  • ফাইবার এবং প্রোটিন কম
  • হৃদরোগের আশঙ্কা
  • ক্যানসারের আশঙ্কা
  • ওজন বৃদ্ধি করে
  • বেশি নুডুলস খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়
  • মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে

তাই প্রত্যেকের নুডুলস খাওয়ার সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।

নুডলস খাওয়ার অপকারিতা

নুডলস খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে, যা আমাদের বিবেচনা করা উচিত:

  • মাত্র দুই মিনিটে তৈরি ইনস্ট্যান্ট নুডুলসে রয়েছে বিপজ্জনক রাসায়নিক মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
  • বেশি পরিমাণে নুডুলস খেলে রক্তাল্পতা হয়।
  • অতিরিক্ত নুডুলস খেলেও জয়েন্টের সমস্যা হতে পারে।
  • নুডুলস খাওয়া আমাদের স্মৃতিশক্তিও দুর্বল করে।
  • নুডুলস খাওয়া আমাদের কিডনির উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।
  • বেশি নুডুলস খেলেও শ্রবণ সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত নুডলস খাওয়া আমাদের লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
  • নুডুলস খেলে ক্ষুধা কমে যাওয়ার সমস্যা হয়।
  • নুডুলস খাওয়া আমাদের স্থূলতা বাড়ায়, তাই ম্যাগি কম খাওয়া উচিত।
  • নুডুলসে msg এর পরিমাণ বেশি, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • নুডুলস খাওয়া আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে, যার কারণে আমাদের খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না এবং আমাদের পেট ব্যাথা শুরু করে
  • ১৫-২০ দিনে একবার নুডুলস খেলে আমাদের শরীরে খুব একটা প্রভাব পড়ে না, তবে প্রতিদিন এটি খেলে তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর
  • সকালের নাস্তায় নুডুলস খাওয়া আমাদের শরীরে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে, কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা সহজে হজম হয় না।

নুডুলসের উপকারিতা ধরে রাখার উপায়

নুডুলসের পুষ্টিগুণ অনেক সময় বিভিন্ন কারণে চলে যেতে পারে। তাই কিভাবে আপনি নুডুলস এর উপকারিতা ধরে রাখবেন তা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। নুডুলসের উপকারিতা ধরে থাকার জন্য আপনি যেসব কাজ করবেন তার মধ্যে হল:

  • অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না।
  • স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করুন।
  • অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করবেন না।
  • সোডিয়াম কম ব্যবহার করুন।
  • নুডুলস মধ্যেও শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, ইত্যাদি ব্যবহার করুন।

নুডুলস তৈরির উপাদান।

ময়দা, তেল, পানি এগুলোই মূলত নুডলসের প্রধান উপাদান। এসকল উপাদানগুলো মিশিয়ে মাখিয়ে একটি ডো তৈরি করা হয়। ডো তৈরি করা হয়ে গেলে তা নুডলস তৈরির মেশিনে দিয়ে বা নুডলস কাটারে দিয়ে নুডলসের একটি বড় শিট তৈরি করা হয়ে থাকে।

নুডুলস তৈরি করার জন্য বেশ কিছু উপাদান প্রয়োজন। যেমন: আটা, চালের গুড়া, আলু, মুগ ইত্যাদি। এগুলো নুডুলস তৈরি করার প্রধান উপাদান। এগুলোর সমন্বয়ে নুডুলস তৈরি করা হয়। আর যদি উপাদানগুলো আপনার বাসায় থেকে থাকে তাহলে ঝটপট আপনি নুডুলস তৈরি করে ফেলুন।

নুডুলস খেলে কি ওজন কমে

নুডুলস ফাস্টফুড জাতীয় খাবার হওয়ায় এটি ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নুডুলস খাওয়া ওজন কমানোর জন্য আদর্শ নয়, কারণ সাধারণত নুডুলস উচ্চ ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রক্রিয়াজাত উপাদান সমৃদ্ধ হয়। এগুলি ওজন কমানোর চেয়ে বরং ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা অতিরিক্ত নুডুলস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ওজন কমানোর জন্য পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

নুডুলস খেলে কি ওজন বাড়ে

নুডলস প্রেমীরা যেকোন সময় এই মুখরোচক খাবার নুডলস খেতে পছন্দ করেন। অনেক সময় নুডলস যেমন হজম করা সমস্যা হয়, তেমনই অতিরিক্ত নুডলস খেলে বাড়তে পারে আপনার ওজনও।

আরও জানুন: কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা

বাচ্চাদের জন্য কোন নুডুলস ভালো

নুডুলস শিশুদের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। প্রায় সকল বাচ্চারা নুডুলস খেতে পছন্দ করে। ডাক্তারদের মতে, বাচ্চাদের ভাত খাওয়ার পাশাপাশি নুডুলস খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এটি নিয়মিত নয় মাঝে মাঝে। নুডুলস সাধারণত আটা, চালের গুঁড়া ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। যে নুডুলস চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি সেটিতে প্রোটিন বেশি রয়েছে।

অনেক মায়েরা আমার কাছে জানতে চান যে, আমার বাচ্চাকে কোন নুডুলস দিব। বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য কোন নুডুলস ভালো এবং পুষ্টিকর ও কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সাধারনত বাজারে কয়েক ধরনের নুডুলস কিনতে পাওয়া যায়। যেমন: কাপ নুডুলস বা ইনস্ট্যান্ট নুডুলস, ময়দা দিয়ে তৈরি নুডুলস প্যাকেটজাত, এগ নুডুলস এবং রাইস নুডুলস।

বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে ভালো নুডুলস হচ্ছে রাইস নুডুলস। যদি বাচ্চাকে নুডুলস দিতে হয় তবে নুডুলস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো রাইস নুডুলসকে ভালো হিসেবে ধরা হয়।

বাচ্চাদের জন্য কোন নুডুলস ভালো

আপনারা জাপানি অথবা কোরিয়ান ব্রান্ডের রাইস নুডুলস পান তবে ভালো আর যদি না পাওয়া যায় তবে নরমাল রাইস গুলোও খাওয়াতে পারেন সন্তানকে। রাইস নুডুলসে ক্যালরির পরিমাণ ভালো থাকে যা একজন বাড়ন্ত বয়সের সন্তানের জন্য খুবই প্রয়োজন। আর সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে ইনস্ট্যান্ট নুডুলস না খাওয়ানোর।

নুডুলস
বাচ্চাদের জন্য নুডুলস
বাচ্চাদের জন্য নুডুলস
বাচ্চাদের জন্য কোন নুডুলস ভালো

আপনারা উপরে যে তিনটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো স্পেশালি বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিছু কিছু ভালো কোম্পানি আছে যারা বাচ্চাদের খাবার তৈরির জন্য সার্টিফাইড তারাই কিন্ত বিক্রি করে। আপনারা এখানে দেখতে পাচ্ছেন প্রত্যেকটির উপর বয়স উল্লেখ করা আছে। বয়স দেখে আপনি কিনতে পারেন। আরও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন তা হচ্ছে কোম্পানি কেমন, এক্সপায়ার্ড ডেট আছে কিনা।

নুডুলস এর পুষ্টিগুণ

এক কাপ নুডুলসে রয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ক্যালরি। যেখানে আমাদের নাস্তাই প্রয়োজন হয় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ক্যালরি। নুডুলসে কোন খাদ্য উপাদান রয়েছে তা নুডুলসের উপর নির্ভর করে না, আপনি নুডুলস কি কি উপাদান দিয়ে রান্না করবেন তার উপর নির্ভর করবে।

উপসংহার

নুডুলস খেতে সুস্বাদু এবং প্রস্তুত করতে সহজ হলেও এর সাথে যুক্ত কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে। নুডুলস মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে, তবে নিয়মিত খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কম সোডিয়ামযুক্ত এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ নুডুলস নির্বাচন করা উত্তম। এছাড়াও, তাজা সবজি ও প্রোটিন যুক্ত করে নুডুলসের পুষ্টিমান বাড়ানো যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!