রসুন খাওয়ার উপকারিতা | মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা — অনেকের কাছেই সকাল বেলা খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা এক ধরনের ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু হ্যাঁ খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন খেলে এমন অনেক উপকার হয়, যেটা অন্য সকল খাবারের সঙ্গে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয়না। রসুন শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করেনা, পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। আজকের এই আর্টিকেলে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মধু ও রসুন এর উপকারিতা। প্রথমেই আমরা এখানে আলোচনা করবো রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে শেষের অংশে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
বর্তমানে অসংখ্য মানুষ আছেন যারা উচ্চ রক্ত চাপের শিকার শুধুমাত্র তারাই ভালোভাবে দেখেছেন যে, রসুন খাওয়ার কারণে তাদের উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ উপশম হয়েছে কি-না। রসুন খাওয়ার কারণে তারা শরীরে ভালো পরিবর্তন দেখতে পায়।
রসুন শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে
অন্যান্য সকল ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন কৃমি পরিত্রাণ, প্যারাসাইট, ডায়াবেটিস, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, বিষণ্ণতা ও ক্যান্সারের মতো বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক
গবেষণায় জানা গেছে, খালি পেটে রসুন খেতে পারলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-বায়োটিকের মতো কাজ করে। সকালের নাস্তার আগে রসুন খেলে এটি আরো বেশি কার্যকরীভাবে কাজ করে থাকে। তখন রসুন খাওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং রসুনের পাওয়ারের কাছে তারা নীতি স্বীকার করে। তখন শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো আর রক্ষা পায়না।
রসুন যক্ষ্মা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে
যদি আপনার যক্ষ্মা অথবা টিবি জাতীয় কোনো সমস্যা ধরা পরে, তবে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে বার বার খেয়ে নিন। এতে করে আপনার যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সাহায্য পাবেন।
রসুন অন্ত্রের জন্য ভালো
খালি পেটে রসুন খাওয়ার কারণে যকৃত ও মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্যসম্পাদন করে। এছাড়াও রসুন খাওয়ার কারণে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমনঃ ডায়রিয়া। এটা হজম এবং ক্ষুধার উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে থাকে। রসুন স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম। স্ট্রেস কিংবা চাপের কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই, খালি পেটে রসুন খাওয়া গেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এই সকল সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
শ্বসন
রসুন ব্রংকাইটিস, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, হাপানি, ফুসফুসের কনজেশন, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুন এই সকল রোগ আরোগ্যের মাধ্যমে বিস্ময়ের সৃষ্টি করছে। যৌ- -ন শক্তি বৃদ্ধি করতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধি কৌশল ও মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সেকেলে হয়ে পড়ছে। বর্তমানে যৌ- -ন শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক কিংবা যৌ- -ন শক্তি বর্ধক খাদ্যই অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বিবাহিত জীবনে যৌ- -ন তায় ফিট থাকার জন্য আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কেননা সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর সুন্দর যৌ- -ন জীবন।
অথচ বর্তমানে প্রায় সময়ই দেখা যায় যে, যৌ- -ন সমস্যার কারণে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়, এমনকি বিচ্ছেদের মতো ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। তাই পূর্বে থেকে আপনি সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন। আপনার যৌ- -ন শক্তি বাড়ানো জন্য কোনো প্রকার ওষুধে দরকার নেই, তার জন্যে দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবারগুলো যথেষ্ট। আপনার খাবার তালিকায় নিয়মিত ডিম, দুধ এবং মধু রেখে দিন। আর নিয়মতান্ত্রিক ভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন, তাহলে আপনি আর পরবর্তীতে যৌ- -ন দুর্বলতা সমস্যায় ভুগবেন না।
যদি আপনার যৌ- -ন সমস্যা থাকে তাহলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী এবং পুরুষ উভয়েরই যৌ- -ন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজন স্বীকৃত। রসুনে আছে এলিসিন নামের উপাদান যেটা যৌ- -ন ইন্দ্রিয় গুলোতে রক্তের প্রবাহকে বৃদ্ধি করে।
রসুন ব্যবহারের পদ্ধতি
পুরুষের যৌ- -ন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই ভালো ফলাফল দিয়ে থাকে। অনেকেই আছেন যারা রসুনকে 'গরীবের পেনিসিলিন' বলে থাকে। কেননা এটি অ্যান্টি-সেপ্টিক হিসেবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থকি। আপনার যৌ- -ন ইচ্ছা নতুন করে ফিরে আনার ক্ষেত্রে রসুনের ব্যবহার অনেক বেশি কার্যকরী। কোন রোগের কারণে অথবা দুর্ঘটনায় আপনার যৌ- -ন ইচ্ছা হ্রাস পেলে এটি আপনাকে সেটা নতুন করে ফিরে পেতে সহায়তা করে। এছাড়াও যদি কোনো ব্যক্তির যৌ- -ন ইচ্ছা খুবই বেশী হয় কিংবা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যাধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও কিন্ত রসুন অনেক বেশি কার্যকর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে 20 মিলিয়নের কম পরিমাণে স্পার্ম থাকলে যেকোন পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। ধূমপান, বাজে খাদ্যাভ্যাস, অ্যালকোহল গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতির কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বেড়েই চলছে। এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাহায্য মসলা হচ্ছে রসুন। কারণ সুস্থ বীর্য তৈরিতে রসুনের রয়েছে জুড়ি মেলাভার।
রসুন ব্যবহার প্রণালী | রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
প্রতিদিন নিয়ম মাফিক করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয়। যারা পড়ন্ত যৌবনে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘির তে ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি এবং দুধ খাওয়া উচিত। এতে করে আরো ভালো ফল পাবেন। যৌবন রক্ষার জন্যে রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ কিংবা ১ চা চামচ নিয়ে তার সাথে এক অথবা ২ কোয়া রসুনের বাটা খাওয়া যায়। এতে করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
রসুন ব্যবহারে সতর্কতা | অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার কুফল
যাদের রসুন খাওয়ার কারণে শরীরে এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা আছে কিংবা এলার্জি হয় তারা অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও যাদের রসুন খাওয়ার কারণে মাথা ব্যাথার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়, বমি বমি প্রাদুর্ভাব হয়ে থাকে অথবা অন্য কোনো ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াটাই হবে উত্তম।
যাদের শরীরে থেকে রক্তপাত সহজেই বন্ধ হয়না তাদের জন্য অতিরিক্ত রসুন খাওয়াটা হবে বিপদজনক বিষয়। কেননা, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা দেয়। যে কারণে শরীরে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার জন্য অসুবিধাও কিন্ত হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে রসুন শরীরের এলার্জি ঘটাতে পারে। এসকল ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াটাই হবে আপনার জন্য উত্তম। রসুন খাওয়ার কারণে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়াটা বন্ধ করে দিন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়ের রসুন না খাওয়াটাই উত্তম। কেননা রসুন খাওয়ার কারণে সেটা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারন ঘটাতে পারে। বিষয়গুলি সম্পর্কে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
পুষ্টিগুণ এবং উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করে আমরা যদি খাবারের একটি তালিকা করি, সেই তালিকার প্রথম সারিতেই থাকবে মধুর নাম। মধু শরীরের জন্যে উপকারী ও নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এটি কিন্ত বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমাণিত। চলুন জেনে নেই মধু খাওয়ার উপকারিতা এবং মধু সম্পর্কে কোরআন ও হাদিস কি বলে।
মধু সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের কথা
হযরত জাবীর (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনছেন, তোমাদের ওষুধ গুলোর মাঝে কোনগুলোতে যদি শিফা থেকে থাকে তাহলে সেগুলো হচ্ছে মধু পান, শিঙ্গা লাগানো এবং আগুনের দাগ নেওয়া, যে পদ্ধতি যে রোগের জন্য উপযুক্ত। তবে আমি দাগিয়ে নেওয়াকে পছন্দ করি না।
এক লোক হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর নিকট এসে তার ভাইয়ের পেটের সমস্যার কথা বললেন। রাসূলে পাক সাঃ বললেন, তাকে মধু খাওয়াও। উক্ত লোকটি আবার দ্বিতীয় দিন আসলেন। হুজুর সাঃ বললেন, তাকে মধু খাওয়াও। লোকটি আবার তৃতীয় দিনেও এসে বললেন, হুজুর সাঃ, আমি তো তাকে মধু খাইয়ে দিয়েছি। হুজুর সাঃ বললেন, আল্লাহ তায়ালা সত্য বলেছেন, তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু খাওয়াও। তারপর মধু খাওয়ানোর কারণে তার পাকস্তলীর সমস্যা ভালো হয়ে গেলো। হাদিসে আরও আসছে, নবী করিম সাঃ বলেছেন দুটি আরোগ্য ব্যাবহার করো ১। কুরআন ২। মধু
ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে থাকলে ছোটো চামচে এক চা-চামচ তুলসীর রস সমপরিমাণে মধু এবং এক চিমটি অথবা একাটি গোলমরিচের গুঁড়ো এক সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার করে দুইমাস নিয়মিত সেবন করলে উপকার মিলবে। যদি হঠাৎ করে দাঁতে ব্যাথা অনুভব হয় তবে মধুতে তুলা ভিজিয়ে ব্যাথার স্থানে রাখলে ব্যাথা কমে যাবে। দুই 'চামচ মধুতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত সকালে এবং রাতে সেবন করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়।
মধুর খাওয়ার উপকারিতা
মধু হচ্ছে আমাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটি অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণাগুণ অপরিসীম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ অর্থাৎ মহৌষধ বলছেন। আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে ও কিন্ত মধুকে বলা হয়ে থাকে মহৌষধ। মধু যেমন সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, বলকারক, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও।
আর তাই তো খাদ্য এবং ওষুধে উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিক ভাবে ‘পুষ্টিকর এবং শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসাবে সারা পৃথিবীর সকল পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে প্রতিনিয়ত ব্যাবহার করে আসছে। মধুর মাঝে যেসকল উপকরণ আছে তার মাঝে প্রধান উপকরণ হচ্ছে সুগার। সুগার কিংবা চিনি আমরা বেশির ভাগ মানুষ এড়িয়ে চলি। কিন্তু হ্যাঁ মধুর মাঝে গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ এই দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় ও ফ্যাট হিসেবে জমা হয়না।
মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় জানা যায় যে, মধুতে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম, বোরন, কপার, টিন, লেড, জিংক ও জৈব এসিড (যেমনঃ ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, হরমোনস, প্রোটিন, অ্যান্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, এসিটাইল কোলিন, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯ থেকে ২১ শতাংশ) ছাড়াও আরো অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান।
এছাড়াও মধুতে যেসকল ভিটামিন রয়েছে যেমনঃ ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন সি কিংবা অ্যাসকরবিক এসিড, ভিটামিন-এ অথবা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু হচ্ছে এমন এক ধরনের মহাওষুধ, যার মাঝে পচন নিবারক (অ্যান্টিসেপটিক), কোলেস্টেরলবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ধর্ম রয়েছে। প্রত্যেকদিন নিয়মিত সকাল বেলা এবং বিকাল বেলা খালি পেটে চা চামচের দুই চামচ করে মধু ডান হাতের তালুতে নিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত এবং পরিমিত মধু পান করলে যেসকল উপকার পেয়ে যাবেন। সেগুলো হচ্ছেঃ
১। মধু সেবন করলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে ও হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে ২। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা আমাদের দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে সুরক্ষা দেয় ৩। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয় ৪। মধু সেবন করার কারণে বার্ধক্য অনেক দেরিতে চলে আসে ৫। মধু সেবন করার কারণে মাথা ব্যাথা দূর হয়।
৬। মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যার কারণে রক্তবর্ধক হয় ৭। যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগেন বিশেষ করে মহিলারা তাদের জন্যে নিয়মিত মধু সেবন করা অত্যন্ত ফলদায়ক ৮। মধু সেবন করার কারণে গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে ৯। মধু আন্ত্রিক রোগে বেশ উপকারী। মধুকে নিয়মিত ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায় ১০। দুর্বল শিশু বাচ্চাদের মুখের মাঝে পচনশীল ঘায়ের জন্য মধু খুবই উপকারী একটি উপাদান ১১। মধু সেবন করার কারণে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
১২। শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় ১৩। ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে তোলে ১৪। মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইম ও মিনারেলস থাকায় চুল এবং ত্বক ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ১৫। মধু সেবন করার কারণে দাঁতকে পরিষ্কার এবং শক্তিশালী করে ১৬। আলচার এবং গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য খুবই উপকারী ১৭। মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যাবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যেও মধু ব্যবহৃত হয়। মধুতে নেই কোনো চর্বি। মধু পেট পরিষ্কার করে, মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
১৮। মধু সেবন করার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায় ১৯। মধু খাওয়ার কারণে রক্ত পরিশোধন হয় ২০। শরীর এবং ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে মধু ২১। মধু খাওয়ার কারণে জিহ্বার জড়তা দূর হয় ২২। ক্ষুধা ও হজমশক্তি এবং রুচি বৃদ্ধি করে মধু ২৩। বাতের ব্যাথা উপশম হয় মধু খাওয়ার কারণে ২৪। শিশুদের দৈহিক উচতা বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে মধু ২৫। মধু খাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে ২৬। মধু সেবন করার কারনে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২৭। মধু সেবন করার কারণে ব্যায়াম কারীদের শক্তি বৃদ্ধি পায় ২৮। শিশুদের নিয়মিত সামান্য পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করালে তার ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি সহজে হয়না ২৯। কাশি-হাঁপানি, গলা ব্যাথা এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে মধু সেবন করার কারণে বিশেষ উপকার করে
৩০। মধু সেবন করার কারণে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় ও শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে ৩১। মধু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে যায়, যার কারণে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ্য, সতেজ ও কর্মক্ষম ৩২। মধু অনিদ্রার জন্য ভালো ওষুধ। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুমের কাজ করে।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণাগুণ অপরিসীম। হযরত মোহাম্মদ (সা.) মধুকে মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে মধুকে বলা হয়ে থাকে মহৌষধ। মধু যেমন বলকারক, সুস্বাদু এবং উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, ঠিক তেমনি রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য এবং ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিক ভাবে ‘পুষ্টিকর এবং শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সকল দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যাবহার করে আসছে। মধু যৌ- -ন সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। যৌ- -ন শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানির মধ্যে ১ চা চামচ করে খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।
মধুর খাওয়ার উপকারিতা
মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সাধারাণত প্রাকৃতিক মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও ভিটামিন এবং এনজাইম। যা সেবন করার কারণে আমাদের শরীরকে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও নিয়মিত সকাল বেলা এক চা-চামচ মধু সেবন করলে ঠান্ডা লাগা ও কফ এবং কাশি ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যদি আপনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে সেবন করুন।
ওজন কমায়
যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে সকালে মধু সেবন করেন তবে আপনার বাড়তি ওজন হ্রাস পাবে। বিশেষ করে আপনি যদি পারেন সকালবেলা খালি পেটে হালকা গরম পানির মাঝে লেবুর রস এবং মধু খানিকটা মিশিয়ে সেবন করতে পারেন এতে করে আপনার ওজন বেশ খানিকটা কমে যাবে কয়েক দিনের মাঝে।
পানিশূন্যতায়
যদি কোনো সময় ডায়রিয়া হয় তবে এক লিটার পানির মাঝে পঞ্চাশ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে সেবন করলে দেহের পানিশূন্যতা রোধ করা সম্ভবপর হয়।
বুদ্ধি বাড়ে
মধু যে শুধুমাত্র আপনার কায়িক শক্তি বৃদ্ধি করে তা কিন্ত নয়। আপনি প্রতিদিন নিয়মিত রাতে শোবার পূর্বে এক চা-চামচ মধু সেবন করবেন, কেননা ঘুমানোর পূর্বে এক চা-চামচ মধু মস্তিষ্কের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে খুবই সহায়তা করে। যার কারণে আপনার মস্তিষ্কের শক্তি অর্থাৎ বুদ্ধির জোর বৃদ্ধি পাবে। যেকোনো কাজে কর্মে আপনার মগজ পূর্বেে চেয়ে বেশি পরিমাণে কাজ করবে। যাদের সাধারণত মাথার বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করার প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য মধু দিবে নতুন উদ্যম এবং সৃষ্টিশীলতা।
হৃদ্রোগে
এক চা-চামচ মৌরি গুঁড়োর সাথে এক কিংবা দুই চা-চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক হিসাবে কাজ করে। এটা হৃদপেশিকে সবল করে এবং এটির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ব্যাথা নিরাময়ে
আপনার যদি শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা হয়ে থাকে। প্রচুর পরিমাণে বাতের ব্যাথার ওষুধ সেবন করার পরেও আজও কোনো সঠিক সমাধান পাননি? তবে আপনি আজ থেকে নিয়মিত মধু খাওয়া শুরু করে দিন। আপনার শরীরে যে অবাঞ্ছিত রসের কারণে বাতব্যামোর জন্ম, সেই রস অপসারিত করতে মধু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিছু দিন পরে আপনার বাত ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
হজমে সাহায্য
যারা নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা প্রতিদিন সকাল বেলা নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। মধু খাওয়ার কারণে আপনার পেটের অম্লীয়ভাব কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। হজমের সমস্যা অনেকাংশে দূর করার জন্যে মধু খাওয়ার জন্য প্রতিবার ভারী খাবার খাওয়ার আগে এক চা-চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে প্রতিদিন নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে এক চা-চামচ মধু সেবন করুন।
শক্তি বাড়াতে মধু
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি। আর এই প্রাকৃতিক চিনি আপনার শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে এবং শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
যৌ- -ন দুর্বলতায়
সাধারনত পুরুষদের মাঝে যাদের যৌ- -ন দুর্বলতা আছে তারা যদি নিয়মিত মধু এবং ছোলা মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে একটা সময় বেশ ভালো উপকার পাবেন। মধু খাওয়ার কারণে লিঙ্গ শক্ত এবং মোটা হয় এবং সহবাস করার ক্ষেত্রে লম্বা সময় পাওয়া সম্ভব নিয়মিত মধু সেবন করলে ধাতু দুর্বল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যৌ- -ন দুর্বলতায় জন্য মধু অত্যন্ত সাহায্য করে। এছাড়াও হালকা গরম দুধের সাথে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়। তারুণ্য ধরে রাখতেও মধুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রঙ এবং ত্বক সুন্দর করে। ত্বক ভাঁজ পড়া এবং বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে মধু। শরীরের সামগ্রিক শক্তি বৃদ্ধি ও তারুণ্য বৃদ্ধি করে।
রুপচর্চায় মধুর ব্যবহার
মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়। মধুতে নেই কোনো চর্বি। মধু পেট পরিষ্কার করে, মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
পাকস্থলীর সুস্থতায় মধুর উপকারিতা
মধু সেবন করার কারণে পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এছাড়াও হজমের গোলমাল দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া মধু ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ হ্রাস করে দেয় বলে বমি বমি ভাব, অরুচি, বুকজ্বালা এসকল সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়।
রক্ত পরিষ্কারক
এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে ১ চামচ কিংবা ২ চা চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। পেট খালি করার পূর্বে প্রতিদিন এই মিশ্রিত পানি সেবন করুন। এটা রক্ত ক্লিয়ার করতে অনেক সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও রক্তনালী গুলাকে পরিষ্কার করে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
মধু হচ্ছে ভালো শক্তি প্রদানকারী খাদ্য। মধুতে আছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। মধু ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ খাঁটি মধু সকাল বেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা ও অম্লত্ব দূর হবে। মধু দেহে তাপ এবং শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখে। মধুতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। মধু ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
হাঁপানি রোধে
হাঁপানি রোধে ও ফুসফুসের যাবতীয় রোগ এবং শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে মধু সাহায্য করে। যদি আপনি পারেন আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সঙ্গে সমপরিমাণের মধু ও আদা মিশিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩ বার এই মিশ্রিত পানিগুলো সেবন করুন। এটা আপনার হাঁপানি রোধে সাহায্য করবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার সমাধানে মধু
হজম সমস্যার সমাধানে মধু বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। একটি গবেষণায় জানা গেছে, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে চিরতে মুক্তি পাওয়ার জন্য একজন ব্যাক্তি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে তিন বেলা দুই চা চামচ করে মধু সেবন করতে পারে। এতে করে গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
আয়ু বৃদ্ধি
পৃথিবীতে সকল কিছুই হায়াত এবং মৃ- ত্যু আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেন। আমরা এখানে শুধু একটা ধারণা দিলাম মাত্র। গবেষণায় জানা গেছে যে, নিয়মিত যারা মধু এবং সুষম খাবারে অভ্যস্ত তুলনামূলকভাবে সে সকল ব্যাক্তিরা বেশি কর্মক্ষম এবং নিরোগ হয়ে বেঁচে থাকে।
রক্তশূন্যতায়
মধুতে থাকা উপাদান রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কেননা, মধুতে থাকে খুবই বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ এবং ম্যাঙ্গানিজ। মধুর মাঝে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা শরীরকে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
মধুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে এবং কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
হিমোগ্লোবিনের বাড়ায়
মধুতে থাকা ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যার কারণে রক্তবর্ধক হয়।
রক্ত স্বল্পতায় মধুর উপকারিতা
যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে থাকেন বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্যে নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক। দুর্বল শিশুদের মুখের মাঝে পচনশীল ঘায়ের জন্য মধু সেবন করা খুবই উপকারী। শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। রক্তশূন্যতা কমাতে মধু সাহায্য করে। মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে। কারণ মধুত থাকে খুবই বেশি পরিমাণে কপার ও লৌহ এবং ম্যাঙ্গানিজ।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মধুর ব্যবহার
মধু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার কারণে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ-সবল, সতেজ ও কর্মক্ষম। দুর্বল শিশুদের মুখের মধ্যে পচনশীল ঘায়ের জন্য মধু খুবই উপকারী একটি উপাদান। রক্ত স্বল্পতায় যারা বেশি ভোগেন বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্যে নিয়মিত মধু সেবন করা অত্যন্ত ফলদায়ক। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষাতে মধুর ব্যবহৃত হয়। মধু দাঁতের উপর ব্যাবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু মুখের ঘায়ের জন্য বেশ উপকারী এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয়না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে মুখ গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়ে যায়।
অব্যবহ্রত ট্যাগঃ রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা, মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ইসলামে মধুর উপকারিতা, মধুর উপকারিতা কী কী, গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতা, মধুর অপকারিতা, বাসি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা, আদা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।