বাংলাদেশের সেরা বাইক | বাংলাদেশের সেরা দশটি বাইক | বাংলাদেশের সেরা ১০ টি বাইক — বাইক শব্দটির সঙ্গে আমাদের সকলের অনেক বেশি আবেগ জড়িয়ে থাকে। কেননা বাইক একই সঙ্গে যেমন স্ট্যান্ডার্ড ঠিক তেমনি ভাবে টাইম সেভারও।
দ্রুতগতি ও অল্প মেইনটেইন্স খরচ হওয়ার কারণে বাইকের প্রতি আমাদের সবার আকর্ষণ একটু বেশি। বর্তমানে চারপাশে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, প্রায় সকলেই বাইক ব্যবহার করছে নয়তোবা ভবিষ্যতে বাইক কেনার প্ল্যান করে রাখছে।
বাংলাদেশে বাইকের সিসি লিমিট থাকার কারণে আমরা চাইলেই বাইরের দেশগুলো থেকে পছন্দের বাইকটিকে আমাদের দেশে আনতে পারিনা। তবে হ্যাঁ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যবহার করা এবং মেইনটেইন্স খরচ এসকল দিক বিবেচনা করে বর্তমানে কোন কোন বাইকগুলো সেরা তা নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেল।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনি বাংলাদেশের সেরা ১০ টি বাইক এবং বাংলাদেশের সেরা বাইক গুলাের প্রাইস সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।
সবথেকে জনপ্রিয় বাইকের কথা আলোচনা করলেই আমাদের সকলের চোখের সামনে ভেসে আসে উচ্চ ক্ষমতা/পাওয়ারফুল ইঞ্জিন ও এগ্রেসিভ লুকিং সম্পূর্ণ অনেকগুলো বাইক যেগুলো প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট একটি বাইকার শ্রেণী ব্যাবহার করে থাকে। কিন্তু সেরা বাইকের বিষয় গভীরভাবে আলোচনা করতে গেলে দেখা যায় যে,
সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সেরা বাইক হচ্ছে সেটাই যার গ্রহণ যোগ্যতা সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে রয়েছে এবং সকলেই এক বাক্যে সেই বাইক গুলোকে সকল দিকভাগ বিবেচনা করে ভালো বলতে পারছে।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে বাইক ইউজারদের মতামত অনুযায়ী আজ আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো বাংলাদেশের সেরা বাইক এবং এই বাইকগুলাে অন্যান্য সকল বাইক গুলোর থেকে কেন সেরা বাইক তার কারণ সমুহ নিয়ে।
১. বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক | Bajaj Discover 125 Price
বাংলাদেশের সেরা বাইক সম্পর্কে কথা বলতে গেলে অবশ্যই বাজাজ কোম্পানির ডিসকভার সিরিজের ১২৫ ডিস্ক মডেলের বাইকগুলো সবার শুরুতেই আলোচনা করা লাগবে। ডিসকভার ডিস্ক মডেলের বাইকগুলোর কথা আমরা আলোচনা করেছি কেননা এই সেইম মডেলের ড্রাম মডেল গত কিছুদিন আগে বাজাজ কর্তৃপক্ষ মার্কেট আউট করে দিয়েছে।
ডিসকভার মডেলের গ্রাহকগণ এই মডেলটিকে তাদের পছন্দ তালিকায় যে কারণে সকলের শীর্ষে রাখছে তার প্রথম কারণ হচ্ছে এই ডিসকভার মডেলের মার্জিত জোশ স্টাইলিশ ডিজাইন যেটা সকলের সঙ্গে খুবই ভালো মানিয়ে নেয়।
ডিসকভার মডলের এই ১২৫ ডিস্ক বাইকের আরো অন্যান্য যে বৈশিষ্ট্যগুলো সকলকে এই বাইকের প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট করে তোলে সেটা হচ্ছে বাইকের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স, মাইলেজ ও চলতি পথে এই বাইকের আরাম।
যারা বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক বাইকটি একবার চালিয়ে দেখেছেন তাদের বেশিরভাগ মানুষ এই বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক বাইকটির প্রশংসা করছেন। অসাধারণ মাইলেজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক মডেলের বাইকটিকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
যদিওবা বাজাজ কোম্পানির দাবী অনুসারে ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক মডেলের বাইকটির প্রতি লিটারে মাইলেজ দিবে ৮০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়েও বেশি।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের কথা অনুযায়ী মাইলেজ সেরকম দেয়না। প্রতি লিটারে ৮০ মাইলেজ না দিলেও প্রত্যেক বাইকারের কাছে যথেস্ট সন্তোষজনক। বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ডিস্ক মডেলের বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ১,৩৩,৫০০ হাজার টাকা মাত্র।
২. হিরো থ্রিলার ১৬০আর | Hero Thriller 160R
আমি হিরো কোম্পানিকে বলে থাকি গরিবের প্রিমিয়াম কোম্পানি। কেননা হিরো কোম্পানির প্রায় প্রত্যেকটি বাইকের ফিচার ও পারফরমেন্স অনুসারে সবথেকে স্বল্প মূল্যে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
দীর্ঘদিন সময় ধরে একই ধরনের বাইক ও মডেল নিয়ে বাজারে ঘুরপাক খাওয়ার পরবর্তীতে হিরো কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসছে ১৬০ সিসি সেগমেন্টের একমাত্র মডেল হিরো থ্রিলার ১৬০ আর বাইকটি।
পূর্বে হিরো কোম্পানি যেমন অত্যাধুনিক সকল ফিচারসহ সবথেকে স্বল্পমূল্যে গ্রাহকদের কাছে দিয়েছে ঠিক এবারও কিন্ত তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কারণ মার্কেটে থাকা অন্যান্য সকল (এফআই এবিএস) FI ABS মডেলের বাইকগুলোর থেকে হিরো থ্রিলার ১৬০ আর মডেলের বাইকটির মূল্য অনেক কম করে দিয়েছে হিরো কোম্পানি। আর মূলত এই কারণেই খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে হিরো লাখ লাখ বাইক লাভারদের মনকে জয় করে নিয়েছে।
বর্তমান সময়ে হিরো কোম্পানির ২টি মডেলের বাইক বাজারে আসছে একটি হচ্ছে Hero Thriller 160R Fi ABS Single Disc ও অন্য আরেকটি হচ্ছে Hero Thriller 160R Fi ABS Double Disc।
Hero Thriller 160R Fi ABS Single Disc মডেলের বাইকটির মূল্য ১,৮৯,৯০০ হাজার টাকা মাত্র। আর Hero Thriller 160R Fi ABS Double Disc মডেলের বাইকটির মূল্য রাখা হয়েছে ১,৯৯,৯৯০ হাজার টাকা মাত্র।
৩. FKM স্ট্রিট ফাইটার 165 | FKM Street Fighter 165
এই বাইকটির ডিজাইন অনেক ইউনিক ও স্টাইলিশ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকটির তিনটি ভেরিয়েশন পাওয়া যাচ্ছে। বাইকটি দেখতে যেমনি দানবের মতো ঠিক বাইকটির পারফর্মেন্সও কিন্ত দানবের মতোই।
চলুন বাইকটির স্পেসিফিকেশন জেনে নেইঃ মূল্যঃ ১,৮৯,৯০০ হাজার টাকা, কালার- রেড, ব্লু, ইয়েলো, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৬৫ cc, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজঃ ৪৫ kmpl, ওজন- ১৩৫ কেজি, ব্রেকস- Double Disk, এবিএস- Dual Channel।
৩. বাজাজ পালসার সিরিজ | Bajaj Pulsar
বাজাজ কোম্পানির এই বাজাজ পালসার সিরিজের মডেলগুলো যার প্রায় প্রত্যেকটি মডেল সকলের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি বাইক। যদি আমি তালিকা আকারে উল্লেখ করি তাহলে পালসার সিংগেল ডিস্ক, বর্তমানে বাজারে আসা বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক এবিএস ও বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক।
খুশির ব্যাপার হচ্ছে কোনো ভাবেই কোনো ব্যক্তি পালসার সিরিজের জনপ্রিয়টা দ্বিমত পোষণ করতে পারবেন না। কারণ আপনি আপনার চারপাশে পালসার সিরিজের বাইকগুলোর সংখ্যা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
একই সঙ্গে আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনো ব্যক্তিকে পাইনি যার কাছে পালসার সিরিজের বাইকগুলে ভালো লাগেনা। এখন পর্যন্ত বাজারে আসা বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক এবিএস এর বর্তমান বাজার মুল্য রাখা হয়েছে ১,৯৬,৯০০ হাজার টাকা মাত্র এবং বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক বাইকটির বর্তমান বাজার মুল্যঃ ১,৮০,৯০০ হাজার টাকা মাত্র এবং বাজাজ পালসার সিংগেল ডিস্ক বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্যঃ ১,৬৯,৯০০ হাজার টাকা মাত্র।
৪. পালসার ১৬০ এনএস | Pulsar 160 NS
ভারত সহ বাংলাদেশে বাজাজ কোম্পানি অনেক জনপ্রিয় একটি মোটর সাইকেল ব্র্যান্ড। পালসার হে বাজাজ কোম্পানির একটি অন্যতম সফল ও পপুলার বাইক। আমাদের দেশে সকল বাইক লাভারদের পছন্দের তালিকায় এই বাইকটি থাকবেই থাকবে।
চলুন জেনে নেই, পালসার ১৬০ এনএস এর স্পেসিফিকেশন জেনে নেইঃ মূল্যঃ ১,৯৯,৮০০ হাজার টাকা, কালারঃ রেড, ব্লু, গ্রে, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৬০ cc, গিয়ারঃ ৫ Speed, মাইলেজ- ৪২ kmpl, ওজন- 142 কেজি, ব্রেকস- Single Disc, এবিএস- Dual Channel।
৫. সুজুকি GSX-R 150 | Suzuki GSX R150
শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় সম্পূর্ণ বিশ্বে সুজুকি বাইক ব্র্যান্ড হিসাবে এক নামে পরিচিত। কেননা সুজুকি কোম্পানির বাইকগুলোর সার্ভিস এবং স্টাইলের দিক থেকে সেরা। রাস্তায় সুজুকির বাইকগুলো দানবের মতো রাজ করছে।
যাইহোক Suzuki GSX R150 এর ফ্রন্ট ভিউ দেখতে সাপের মত এবং বাইকের পেছনের সিট অনেকটাই হাই। সাইজে অন্যান্য সকল বাইক থেকে একটু ছোটো মনে হলেও স্পোর্টস বাইক হিসাবে এই বাইকের তুলনাই হয়না।
প্রিমিয়াম সেগমেন্টের অনেকগুলাে বাইক একটি নির্দিষ্ট বাইক কমিউনিটির কাছে ব্যাপক আকারে জনপ্রিয়। কিন্তু মাইলেজ, মূল্য এবং স্টাইলেসের কারণে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইকগুলাে সকলের কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়না।
সুজুকি GSX-R 150 সমমানের অন্যান্য যেকোনো বাইকের থেকে এর মূল্যটা অনেকটাই স্বল্প মূল্য এবং মানের দিক থেকে বেশ ভালো। যার জন্য শুধুমাত্র প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইক লাভারদেরকে ছাড়িয়ে স্পোর্টস সেগমেন্টের বাইক লাভাররাও এই বাইকের দিকে মনযোগী হয়েছেন।
সুজুকি GSX-R 150 হচ্ছে ১৪৯ সিসি ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যার সর্বোচ্চ ১৮.৯ বিএইচপি @ ১০,৫০০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং এই বাইকের সর্বোচ্চ টর্ক ১৪ এনএম @ ৯০০০ আরপিএম এবং বাইকটি প্রতি লিটারে ৪৫ কিলোমিটার জ্বালানি পোড়ায় বলে সুজুকি কোম্পানিটি দাবী করেন। সুজুকি GSX-R ১৫০ বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য রাখা হয়েছে ৩,৫০,০০০ হাজার টাকা মাত্র।
চলুন জেনে নেই Suzuki GSX R150 বাইকটির স্পেসিফিকেশনঃ মূল্য- ৩,৫০,০০০/৩,৭৯,৯৫০(ABS) টাকা। কালার- ব্রিলিয়ান্ট হোয়াইট, স্ট্রং রেড, টাইটান ব্ল্যাক, ম্যাটি ব্ল্যাক, ম্যাটেলিক ট্রিটন ব্লু। ইঞ্জিন সিসি- 147.3 cc, মাইলেজ- 45 kmpl, ওয়েট- 131 কেজি, গিয়ার- 6 Speed, এবিএস- Dual Channel, ব্রেকস- Double Disk।
৬. ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫ | Yamaha XSR 155
ইয়ামাহা কোম্পানি তাদের বাইকের ইউনিক ডিজাইনের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। বিশেষ করে ইয়ামাহা রেট্রো মডেলের বাইকেগুলো দেখতে অনেকটাই স্টাইলিশ হয়ে থাকে। বাইকের পারফর্মেন্স অনেক ফাস্ট যা অন্য সকল বাইকগুলো থেকে এই বাইককে আলাদা করেছে।
এছাড়াও Yamaha XSR 155 বাইক বাংলাদেশে কয়েকটি ভ্যারিয়েশনে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেই বাইকটির স্পেসিফিকেশনঃ মূল্যঃ ৫,৪৫,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ গ্রীন, ব্ল্যাক, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৫৫ cc, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজঃ ৪৫ kmpl, ওজনঃ ১৪০ কেজি, ব্রেকসঃ Double Disk, এবিএসঃ Dual Channel।
৭. টিভিএস এপাচি আরটিআর ৪ভি সিরিজ | TVS Apache RTR 4V
বাংলাদেশে ১৬০ সিসির সেগমেন্টে যতগুলাে বাইক রয়েছে তারমধ্যে সবথেকে আকর্ষনীয় ডিজাইন ও ডাইমেনশন নিয়ে তৈরি করা হয়েছে টিভিএস এপাচি আরটিআর ৪ ভি সিরিজ। আর টিভিএস এপাচি ৪ভি বাইকের কালার ভেরিয়েশন এমনভাবে করা হয়ছে যা ১৬০ সিসির যেকোনো বাইক প্রেমিকদের সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলে। বর্তমান সময়ে টিভিএস আরটিআর ৪ভি সিরিজের মোট ৩টি মডেল বাজারে রয়েছে।
যার মধ্যে স্মার্ট এক্স কানেক্ট ফিচারস সহ দুইটা বাইক আর এবিএস ব্রেকিং এর ফিচার নিয়ে আরেকটি বাইক। এই টিভিএস এপাচি ৪ভি তিনটি মডেলের মধ্যে এবিএস প্রযুক্তির বাইকের বর্তমান বাজার মূল্য ২,০৭,৯০০ হাজার টাকা আর স্মার্ট এক্স-কানেক্ট সিঙ্গেল ডিস্ক পাওয়া যাবে ১,৮৬,৯০০ হাজার টাকা এবং ডাবল ডিস্ক মডেল ১,৯৬,৯০০ হাজার টাকায়।
৮. এপ্রিলিয়া জিপিআর 150 | Aprilia GPR 150
এই বাইকটি হচ্ছে ইটালিয়ান বাইক। Aprilia GPR বাইকটি দেখতে দানবের মতোন এবং এর পারফর্মেন্স লেভেল অনেক হাই। যাহোক Aprilia GPR বাইকটির দাম অনেক বেশি হওয়ার কারণে খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ এই বাইকটি ব্যবহার করে।
তবে এই বাইকটির স্টাইল ও কালার অনেক আধুনিক এবং সহজেই পছন্দ হয়ে যাওয়ার মতো। এই বাইকের কিছু সীমাবদ্ধতার মাঝে একটি হচ্ছে Aprilia GPR একটি সিঙ্গেল সিট বাইক।
অর্থাৎ আপনাকে একা একা ড্রাইভ করার প্রয়োজন হবে। কেননা পিলিওন নেয়ার জায়গা রাখা হয়নি। Aprilia GPR বাইকের টায়ার অনেক জায়গা জুড়ে বিস্তৃত যার কারণে এটি রাইড করতে অনেক কমফোর্ট ফিল হবে।
চলুন জেনে নেই এই বাইকটির স্পেসিফিকেশনঃ মূল্যঃ ৩,৬৬,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ ব্ল্যাক, হোয়াইট, রেড, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৪৯ cc, গিয়ারঃ 6 Speed, মাইলেজঃ ৪৫ kmpl, ওজন- ১৪০ কেজি, ব্রেকসঃ Double Disk, এবিএসঃ Dual Channel।
৯. ইয়ামাহা এমটি ১৫ | Yamaha MT15
ইয়ামাহার কোম্পানির এই বাইকটিতে লেটেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা বাইকটির স্টাইল অনেক হাই ক্লাস করে তুলছে। এই বাইকটি একটি অ্যাডভান্স হাইপার ন্যাকেড ও ডায়নামিক স্পোর্টস বাইক। বাইকটি রাইড করতে যেমন আরাম ঠিক তেমনি ভাবে শহরের রাস্তায় মনস্টারের মতোন ছুটে চলে।
আমাদের দেশে ACI Motors এর হাত ধরে Yamaha MT15 বাংলাদেশে রিলিজ হয়ছে। চলুন জেনে নেই বাইকটির স্পেসিফিকেশনঃ মূল্য- ৪,১০,০০০ টাকা, কালার- ম্যাটেলিক ব্ল্যাক, ডার্ক ম্যাটার ব্লু, হোয়াইট অরেঞ্জ, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৫৫ cc, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজ- ৪২ kmpl, ওজন- ১৩৮ কেজি, ব্রেকস- Double Disk।
১০. ইয়ামাহা R15 v3 | Yamaha R15 v3
ইয়ামাহা কোম্পানির এই বাইকটি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর বাইক বলা হয়ে থাকে। R15 v3 বাইকটির ডিজাইন অনেক বেশিই আধুনিক ও অনেক কমফোর্টেবল। এই বাইকটিতে স্পোর্ট বাইকের মতো সিটের স্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে যা বাইকটিতে এক অন্যরকম লুক অ্যাড করছে।
এছাড়া বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্ক R1 এর চেয়ে বড় এবং দেখতে মনে হয় বাইকটিতে অতিরিক্ত মাস্কিউলার পার্ট যুক্ত হয়েছে। এক কথায় R15 v3 একটি সুপরিচিত স্পোর্টস বাইক যা স্পোর্টস ও পার্সোনাল উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
স্পোর্টস কিংবা প্রিমিয়াম সেগমেন্টের বাইক প্রেমী যারা আছেন তাদের সকলের কাছে ইয়ামাহা R15 v3 হচ্ছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় একটি বাইক। যদিওবা এই সংখ্যা অন্যান্য কমিউটার কিংবা সাধারণ ১৫০ সিসি বাইকের মতোন নয়। কিন্তু হ্যাঁ কোনো অংশে কম না।
কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের গতি স্বাচ্ছন্দ্য আরাম এই বিষয় গুলােকে বেশ ভালো ভাবেই গুরুত্ব দিতে যাচ্ছে তাই R15 এর মতো মডেলকে একসময় অতিরঞ্জিত বলে অভিহিত করা হলেও বর্তমানে এই ধরনের বাইকের সাথে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
ইয়ামাহা R15 বাইকটির স্পেসিফিকেশন জেনে নেইঃ ইয়ামাহা R15 v3 ১৫৫ সিসির ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যা সর্বোচ্চ শক্তি ১৯.৩পিএস @ ১০,০০০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক ১৪.৭এনএম @ ৮৫০০ আরপিএম।
কালার- ঠান্ডার গ্রে, ডার্ক নাইট, রেসিং ব্লু, ইঞ্জিন সিসি-155 cc, গিয়ার- 6 Speed, মাইলেজ- 30 kmpl, ওজন- 142 কেজি, এবিএস- Dual Channel, ব্রেকস- Double Disk R15 V3 ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং এটি প্রতি লিটারে ৪৫ কিলোমিটার চলে বলে কোম্পানির দাবি। ইয়ামাহা R15 V3 বাইকের বর্তমান বাজার মূল্য ৪,৮৫,০০০ হাজার টাকা।
১১. ইয়ামাহা FZS-v2 | Yamaha FZS-v2
ইয়ামাহার এই একই মডেলের দুইটি ভার্শনের ব্যাপারে গ্রাহকদের অনেক আকর্ষণ আছে। আর ইয়ামাহা কোম্পানির এই FZS-v2 মডেলের বাইকের ব্যবহারীর অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় বাইক দুইটার ব্রান্ড ভ্যালু, অসাধারণ মার্জিত ডিজাইন ও উচ্চ প্রশংসিত পারফর্মেন্স এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা যায়। ইয়ামাহা FZS-v2 এর বর্তমান বাজার মূল্য ২,৩০,০০০ হাজার টাকা মাত্র।
১২. সুজুকি ইনট্রুডার 150 | Suzuki Intruder 150
এই বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে এভেইলঅ্যাবল। এই বাইকটিকে বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দর ক্রুজার বাইক বলা হয়ে থাকে। বাইকটিতে স্টাইলিশ ডিজাইন সহকারে সাইলেন্সার পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটিতে ইঞ্জিন গার্ড ব্যবহার করা সহ সুন্দর সিট ব্যবহার করা হয়েছে।
চলুন জেনে নেই বাইকটির স্পেসিফিকেশনঃ মূল্যঃ ২,৭৫,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ গ্রে, ব্ল্যাক, ইঞ্জিন সিসিঃ ১৫০ cc, গিয়ারঃ ৫ Speed, মাইলেজ- ৪০ kmpl, ওজনঃ ১৪৮ কেজি, ব্রেকসঃ Double Disk, এবিএস- Dual Channel।
১৩. ইয়ামাহা FZS-v3 | Yamaha FZS-v3
ইয়ামাহার কোম্পানির অন্যতম সেরা মডেল FZS-V3 হচ্ছে বর্তমানে বাইক প্রেমিকদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে থাকা একটি বাইক। ইয়ামাহা FZS-v3 বাইকটি ডিজাইন করা হয়েছে অসাধারণ মাস্কুলার লুক দিয়ে যেটা সহজেই যে কারোর মনোযোগ কেড়ে নেয়ার মতো এবং এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বাইকটির দিকে তাকিয়ে রাখার সক্ষমতা রয়েছে।
ইয়ামাহা FZS-v3 বাইকটি হচ্ছে 149 সিসি ইঞ্জিন দিয়ে চলে যার সর্বোচ্চ শক্তি ১৩.২ পিএস @ ৮০০০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং বাইকটির সর্বোচ্চ টর্ক ১২.৮ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম এবং কোম্পানীরর তথ্য অনুযায়ী ৪৫ কিলোমিটার পথ চলবে প্রতি লিটারে। ইয়ামাহা FZS-v3 বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ২,৪০,৫০০ হাজার টাকা মাত্র।
১৪. টারো জিপি-১ | Taro GP-1
এই বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে গত কিছুদিন পূর্বে থেকে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে এই বাইকটিকে ইম্পোর্ট করছে টারো বাংলা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। Taro GP-1 বাইক দেখতে অনেক স্টাইলিশ আমার কাছে দেখতে জোশ লাগছে এবং রাইড করতে অনেক বেশি কমফোর্টেবল। বাইকটির ফ্রন্ট ভিউ অনেক চওড়া এবং দেখতে CBR 150R Indonesia বাইকটির মতোন।
Taro GP-1 বাইকটি অনেক বড় ও ভারী একটি বাইক। চলুন Taro GP-1 বাইকটির স্পেসিফিকেশন জেনে নেইঃ মূল্য- ৩,০৬,০০০/৩,৩৬,০০০ হাজার (Double Channel ABS) টাকা, কালারঃ ব্ল্যাক, ইঞ্জিনের সিসিঃ ১৫০ সি সি, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজঃ ৩৬ kmpl, ওজনঃ ১৫৫ কেজি, ব্রেকসঃ Double Disk, এবিএসঃ Dual Channel।
১৫. হোন্ডা এক্স-ব্লেড | Honda X-Blade
হোন্ডা কোম্পানির ভরসা এবং দামে কম এবং অত্যাধুনিক সকল ফিচার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে হোন্ডা এক্স-ব্লেড প্রায় সব শ্রেণির বাইকাদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি নাম। হোন্ডা কোম্পানির হর্ণেটের একচেটিয়া জনপ্রিয়তার পরবর্তীতে হোন্ডা এক্স-ব্লেড হচ্ছে হোন্ডার আরেকটি বিশেষ সংস্করণ যা খুবই সামান্য সময়ের মধ্যে বেশ ভালোভাবে বাজার ধরতে সক্ষম হয়ছে।
হোন্ডা এক্স-ব্লেড বাইকটি হচ্ছে ১৬২.৭১ সিসির ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। যেটা সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে ১৩.৯৩ বিএইচপি @ ৮,৫০০ আরপিএম এবং বাইকের সর্বোচ্চ টর্ক ১৩.৯ এনএম @ ৬,০০০ আরপিএম আর এই বাইকটি প্রতি লিটারে ৫৯ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে বলে হোন্ডা কোম্পানির দাবি। এত সকল ফিচারের সাথে হোন্ডা এক্স-ব্লেড বাইকের বর্তমান বাজার মূল্য ১,৭২,৯০০ হাজার টাকা মাত্র।
১৬. হোন্ডা সিবিআর ১৫০ ইন্দো | Honda CBR150R Indo
হোন্ডা CBR 150R Indonesian ভার্সন বাংলাদেশে আসার পরে থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়টা পায়। এই বাইকটি জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে কারণ হচ্ছে এই বাইকটি দেখতে অনেক সুন্দর ও বাইকটির গতি অনেক আক্রমণাত্মক। Honda CBR150R বাইকটি হচ্ছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার স্পোর্টস বাইক হিসাবেই অনেক বেশি পরিচিত। বাইকটির সিটিং স্টাইল অনেক বেশি কমফোর্টেবল। বর্তমান সময়ে এই বাইকটি ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি করে যা আগে থাইল্যান্ডে তৈরি করতো।
বাংলাদেশে বর্তমানে এই বাইকটির অনেকগুলো কালার ভ্যারিয়েশনে পাওয়া যাচ্ছে। চলুন জেনে বাইকটির ফুল স্পেসিফিকেশনঃ মূল্য- ৪,৫০,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ রেসিং রেড, নিট্রো ব্ল্যাক, মটো জিপি এডিশন, রেভুলেশন হোয়াইট এবং ইঞ্জিন সিসি- ১৫৫ cc, গিয়ার- ৬ Speed, মাইলেজ- ৩০ kmpl, ওজন- ১৪২ কেজি, ব্রেকস- Double Disk, এবিএস- Dual Channel।
১৭. হোন্ডা সিবি১৫০আর এক্সমোশন | Honda CB150R Exmotion
হোন্ডা কোম্পানির এই বাইকটি অনেক জনপ্রিয় একটি বাইক যা বর্তমান সময়ে মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। Honda CB150R Exmotion বাইকটিকে ন্যাকেড স্পোর্টস বাইক বলা হয়ে থাকে। বাইকটি দেখতে অনেক ক্লাসিক মনে হলেও বাইকটির গতি ও অন্যান্য সার্ভিস অনেক বেশি স্ট্রং। এই বাইকের ডিজাইন অনেক অ্যাডভান্স ও বাইকটির ফ্রন্ট ভিউ অনেকটাই রাউন্ডেড।
Honda CB150R Exmotion বাইকটিতে জায়গা অল্প থাকলেও এতে পিলিওন নেয়ার পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। চলুন বাইকটির ফুল স্পেসিফিকেশন জেনে নেইঃ মূল্যঃ ৫,৫০,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ ব্ল্যাক, রেড, গ্রিন, গ্রে। ইঞ্জিন সিসিঃ ১৫০ cc, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজঃ ৫০ kmpl, ওজন- ১২৩ কেজি, এবিএসঃ Dual Channel, ব্রেকসঃ Double Disk।
১৮. কে টি এম আরসি ১২৫ | KTM RC 125
আমরা সকলেই জানি KTM হচ্ছে একটি ফেমাস অস্ট্রেলিয়ান বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি অনেক সুন্দর ও দামী স্পোর্টস বাইক তৈরি করে থাকে। তাদের KTM RC মডেলটি সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশের বাজারে আসছে। বাইকটি দেখতে অনেক আক্রমণাত্মক স্টাইলের ও অনেক শক্তিশালী।
চলুন জেনে নেই বাইকটির ফুল স্পেসিফিকেশনঃ মূল্যঃ ৪,৭০,০০০ হাজার টাকা, কালারঃ ডার্ক গ্যাল্ভানো, অরেঞ্জ হোয়াইট, ইঞ্জিন সিসিঃ ১২৪.৭ cc, গিয়ারঃ ৬ Speed, মাইলেজঃ ৪১.৩ kmpl, ওজনঃ ১৩৫ কেজি, ব্রেকস- Double Disk, এবিএস- Single Channel।
বাংলাদেশে আগের তুলনায় স্পোর্টস বাইকগুলো ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। পূর্বে যেমন মানুষ ফ্যামিলি বাইকগুলোকে বেশি পছন্দ করতো সেটা পরিবর্তন হয়ে এই দিকে মুভ করছে।
সচরাচর বাইক ক্রয় করার সময় আমাদের মনের ভিতর নানান ধরনের প্রশ্ন জাগে যে, কোন বাইকটি আমার জন্য পারফেক্ট হবে। আপনার সুবিধার্থে আমরা ২০২১ সালে বাংলাদেশের সেরা বাইক নিয়ে যে তালিকা দিয়েছি সেটা থেকে সহজেই পছন্দের বাইক সিলেক্ট করতে পারবেন।
উপরোক্ত যাবতীয় আলোচনা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের ডাটাবেইজ ও সার্চ রেসিও থেকে কালেক্ট করছি যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চেঞ্জ হতে থাকে। তাই এখন যে বাইকগুলো তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কয়েকমাস কিংবা কিছু দিন পর সেটা আবার উক্ত অবস্থানে না থাকাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তাই সময়ের পরিক্রমায় আমরাও চেষ্টা করবো আপনাদের সঙ্গে বাইকের নতুন জনপ্রিয়তা নিয়ে তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের মূল্যবান মতামত অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।