ভিসা কি কত প্রকার - ভিসা কিভাবে করতে হয়

হাসিবুর
লিখেছেন -
0

ভিসা কি - ভিসা কত প্রকার - ভিসা করতে কি কি লাগে - ভিসা করতে কত টাকা লাগে এবং ভিসা কিভাবে করতে হয় — ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অথবা প্রয়োজনীয়তার তাগিদে অনেকেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকে। অন্য কোনো দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ভিসা হচ্ছে ভিন দেশে প্রবেশের অনুমতি পত্র। 

ভিসা কিভাবে করতে হয়

এক দেশের নাগরিককে অন্য দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য অনুমতি স্বরূপ ভিসা দেয়া হয়ে থাকে যা বৈধভাবে অবস্থানের সুযোগ করে দেয়। ভিসা সাধারণত দেয়া হয় বিভিন্ন দূতাবাসের কনস্যুলার শাখার মাধ্যমে। ভ্রমণকারী অন্য দেশে গিয়ে কতদিন থাকবেন এবং সেখানে কি কি করতে পারবেন ও কি কি করতে পারবেন না এরকম আরো বিধি নিষেধ নির্ভর করে ভ্রমণকারীর ভিসার উপর। বিভিন্ন দেশের ভিসার নিয়ম কানুন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

ভিসা কি

সাধারণত ভিসা দেয়া হয় পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিট এর পাতায় লিখার মাধ্যমে, স্টিকার লাগিয়ে বা সিল দেয়ার মাধ্যমে ভিসা মঞ্জুর করে দেয়া হয়। সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে কোনো দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করে সেখানে প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করার মাধ্যমে অবস্থান করার অনুমতি পত্র হচ্ছে ভিসা। ভিসা এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Visitor International Stay Admission। 

প্রায় প্রতিটি বিদেশ যাত্রীর বিদেশে যাত্রার জন্য ভিসা থাকা বাধ্যতামূলক। অবশ্য কিছু বিশেষ দেশের নাগরিকদের জন্য কিছু কিছু দেশ ভিসা ছাড়া প্রবেশ করার সুযোগ দিয়ে থাকে ওই সকল দেশের নাগরিকদের। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন অবশ্যই থাকতে পারে কিন্তু ভিসার দরকার হয় না তাদের জন্য। যেমন ভারতের নাগরিকগণ নেপাল, মালদ্বীপ ভ্রমণ করতে পারবেন ভিসা ছাড়াই।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট ভুল সংশোধন করার নিয়ম ২০২২

ভিসা কত প্রকার

বাংলাদেশ সরকার ভিসার বিধিবিধান অনুযায়ী বিদেশীদের জন্য ৩৩ টি শ্রেণীর ভিসা দিয়ে থাকে। ভিসা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে, যেমনঃ কর্ম ভিসা, ছাত্র ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, পর্যটন ভিসা, সাংবাদিক ভিসা, ধর্মীয় কর্মী ভিসা, গৃহকর্মীর ভিসা ইত্যাদি রকমের হয়ে থাকে। তবে ভিসা মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে ইমিগ্র্যান্ট ভিসা ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা।

ইমিগ্র্যান্ট ভিসা: নিজ দেশ থেকে বের হয়ে চিরকালের জন্য কেউ যদি অন্য দেশে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চায় তাহলে তার জন্য ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রযোজ্য।

নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা: আর কেউ যদি নির্দিষ্ট কিছু সময় বা কম সময়ের জন্য বাহিরের দেশে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তার জন্য হচ্ছে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা। মূল এই দুই প্রকারের ভিসার বাহিরেও আরো ছয় ধরনের আলাদা ভিসার ধরণ রয়েছে যেমনঃ

স্টুডেন্ট ভিসা: মূলত যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাহিরে দেশ থেকে পড়াশোনা করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চায় এটি সাধারণত তাদের জন্য দেয়া হয়ে থাকে।

মেডিকেল ভিসা: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পত্র হচ্ছে মেডিকেল ভিসা। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য অনেকে বাহিরের দেশে গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। মূলত তারা এই মেডিকেল ভিসার আবেদন করে থাকেন।

বিজনেস ভিসা: ব্যবসার প্রসার লাভের জন্য অনেকে বিদেশি পণ্য আনায়ন করে থাকে বা নিজের পণ্য প্রচার প্রসারের জন্য বাইরের দেশের কিছু নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য অনেকে বিদেশ গমন করে থাকেন এ ধরনের ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়ে থাকে বিজনেস ভিসা।

টুরিস্ট ভিসা: বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই ভিসার প্রয়োজন হয় কতদিন লাগবে ভ্রমণের জন্য সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে এই টুরিস্ট ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। তবে খুব কম সময়ের জন্যই এই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ দেয়া হয়।

ট্রানজিট ভিসা: খুব কম সময়ের জন্য বৈধ এই ধরনের ভিসা, যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার সময় তৃতীয় কোন দেশ হয়ে ভ্রমণ করতে হয় তখন এই ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। এই ভিসার সময়সীমা সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এ্যারাইভাল' ভিসা: বিশেষ ক্ষেত্রে বিদেশের বন্দরে যাত্রীরা প্রবেশ করার পর এই ভিসা দেয়া হয়। এই ভিসার ক্ষেত্রে নিয়ম কানুন ভালোভাবে মেনে চলতে হয় আগে থেকে এর নিয়ম কানুন জেনে নেয়াটাও জরুরী।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

ভিসা করতে কি কি লাগে - ভিসা আবেদন জমা দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন

ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত তথ্য গুলো থাকতে হবেঃ ১। JPEG ফর্ম্যাটে 45 মিমি x 35 মিমি ডিজিটাল ছবি, সর্বাধিক আকার 300kb (ফটো ঐচ্ছিক) ২। বাংলাদেশের ঠিকানা ৩। ইমেল ঠিকানা। যথাযথভাবে পূরণকৃত এবং আবেদনকারীর সাক্ষরযুক্ত ভিসা আবেদন ফরম। মূল পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের দু’টি ফটোকপি। অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রমাণপত্র। ভিসা আবেদনপত্র এবং VFS সার্ভিস চার্জ।

ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বিলম্ব এড়ানোর জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে।

১। পাসপোর্টের বৈধতা ছয় মাসের বেশি হতে হবে ২। পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটি খালি পৃষ্ঠা অবশিষ্ট থাকতে হবে ৩। আবেদন পত্রে পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে ৪। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ সঠিক ভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে ৫। আবেদন পত্রে নামটি সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে ৬। আবেদনপত্রে অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।

৭। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি থাকে তাহলে মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যদি হারিয়ে যায় সেক্ষেএে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে ৮। পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ খালি রাখা যাবে না ৯। বর্তমান/স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে ১০। পেশার বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে ১১। জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম সনদপত্রের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।

১২। আবেদনপত্র পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে আবেদনপত্র ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে ১৩। ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সিলেট, সাতক্ষীরার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ ঢাকা মিশন নির্বাচন করবে ১৪। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ চট্টগ্রাম মিশন নির্বাচন করবে।

১৫। রাজশাহী, রংপুর, ঠাকুরগাঁ, বগুড়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ রাজশাহী মিশন নির্বাচন করবে ১৬। সিলেট পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ সিলেট মিশন নির্বাচন করবে ১৭। ভিসা আবেদন জমা দানকারী সেন্টার এবং টাকা জমা দানকারী সেন্টার এর নাম অবশ্যই এক হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

বিভিন্ন দেশের ভিসা ফি

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরন এর ভিসা অনুযায়ী ভিসা ফি ও ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে কিছু দেশের ভিসা ফি উল্লেখ করা হলো- 

ভারত: বাংলাদেশ থেকে ভারত এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি হচ্ছে ৩১০০ টাকা।

চীন: বাংলাদেশ থেকে চীন এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা কি হচ্ছে

চীন ভিসা ফি
সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ২০৫০ টাকা
ডাবল এন্ট্রি ভিসা ২৫৫০ টাকা

১। ৬ মাস মেয়াদী ডাবল এন্ট্রি ভিসা ৩৬০০ টাকা (আগে চায়নায় প্রবেশ করে থাকলে) ২। ১ বছর মেয়াদী মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ৬০০০ (আগে চায়নায় প্রবেশ করে থাকলে) ভিসা প্রসেসিং ফি ১৮০০ টাকা।

পাকিস্তান: বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি

পাকিস্তান ভিসা ফি
সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা ২২০০ টাকা
মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ৩২১৯ টাকা

শ্রীলংকা: বাংলাদেশ থেকে শ্রীলংকা এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি ২১০০ টাকা মালয়েশিয়া: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি ৩১০০ টাকা দুবাই: বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসা ফি ১৫০০০ টাকা। বর্তমানে দুবাইতে কাজ এর ভিসা বন্ধ আছে সিঙ্গাপুর: বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফি ১৯২০ টাকা।

সৌদি আরব: বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

সৌদি আরব ভিসা সিঙ্গেল মাল্টিপল
স্টুডেন্ট ভিসা ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭
ফ্যামিলি ভিসা ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭
বিজনেস কমার্শিয়াল ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭
এম্প্লয়মেন্ট ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭
হজ্ব ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭
রেসিডেন্স ৪৫৯৮৫ ৬৮৯৭৭

আরো পড়ুনঃ নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্ট ভিসা

কাতার: বাংলাদেশ থেকে কাতারের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ 

কাতার ভিসা ফি
বিজনেস ভিসা ৪৭০০ টাকা
জিসিসি রেসিডেন্ট ভিসা ২৩৫০ টাকা
ট্রানসিট ভিসা ২৩৫০ টাকা
জয়েন্ট ভিসা কাতার এবং ওমান সংযুক্ত ২৩৫০ টাকা
ইমিডিয়েট টুরিস্ট ভিসা ২৩৫০ টাকা
ভিজিট ভিসা ৪৭০০ টাকা

দক্ষিণ কোরিয়া: বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা ফি
সিঙ্গেল ভিসা ৯০ দিনের জন্য ২৬১০ টাকা
সিঙ্গেল ভিসা ৯০ দিনের বেশি ৪৩৫০ টাকা
মাল্টিপল ভিসা ৮০ দিনের বেশি ৬৯৬০ টাকা

কানাডা: বাংলাদেশ থেকে কানাডার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

কানাডা ভিসা ফি
কানাডা কৃষি ভিসা ৫ লক্ষ টাকা
কানাডা কাজের ভিসা ৭ লক্ষ টাকা
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ৫ লক্ষ টাকা
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ৫ লক্ষ টাকা

অস্ট্রেলিয়া: বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

অস্ট্রেলিয়া ভিসা ফি
টুরিস্ট ভিসা ৯৯১০ টাকা
বিজনেস ভিজিটর ৯৯১০ টাকা

সুইজারল্যান্ড: বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

সুইজারল্যান্ড ভিসাফি
টুরিস্ট প্রাপ্তবয়স্ক ৫৪০০ টাকা
টুরিস্ট ৬ -১২ ৩২০০ টাকা
টুরিস্ট ০-৫ ফ্রী

ইউরোপ: বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ এর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

ইউরোপ ভিসা ফি
সিঙ্গেল এন্ট্রি ৪৯২০ টাকা
ডাবল এন্ট্রি ৫৯০৫ টাকা
মাল্টিপল এন্ট্রি ৫৯০৬ টাকা

যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশ থেকে United state of America বা যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ভিসা ফিঃ

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি
বিজনেস ভিসা ১৩৯২০ টাকা
টুরিস্ট ভিসা ১৩৯২০ টাকা
ট্রানজিট ভিসা ১৩৯২০ টাকা
স্টুডেন্ট ভিসা ১৩৯২০ টাকা
ধর্মীয় কর্মীবৃন্দ ভিসা ১৬৫০০ টাকা

আরো পড়ুনঃ ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম | নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম

ভিসা আবেদনের নিয়ম

ইলেকট্রনিক্স ভিসা আবেদন ফরম পরিষেবাটি নতুন ভিসা, ভিসা এক্সসেশন, কোন ভিসা প্রয়োজন নাই (Nvr), অন অ্যারাইভাল ভিসা এর জন্য আবেদন জমা দেয়ার অনুমতি দিচ্ছে। আবেদন করার আগে আমাদের সমস্ত দেশ গুলো দেখতে হবে যে যেই দেশে আবেদন করা হচ্ছে সেই দেশ অনলাইন আবেদন গ্রহণ করছে কি না। জেঠু অনলাইন ভিসা আবেদন টি প্রিন্ট করতে হয় তাই কম্পিউটার ব্যবহার করে আবেদন করলে সুবিধাজনক হবে।

প্রথম ধাপ

ব্রাউজার অপশনটি চালু করে https://www.immi.gov.bd/docs/visaform.pdf এই লিংকে ক্লিক করে অনলাইন ভিসা আবেদনের ফরম টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

ভিসা কিভাবে করতে হয়

দ্বিতীয় ধাপ

ডাউনলোড করা ফরমটি প্রিন্ট আউট করে পূরণ করে নিতে হবে। ফরমটির মধ্যে যা যা পূরণ করতে হব তা হল নিজের পূর্ণনাম, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, পাসপোর্ট নাম্বার, পাসপোর্ট ইস্যু তারিখ, পাসপোর্ট এক্সপায়ার এর তারিখ, স্পাউস এর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, বাবা ও মায়ের জাতীয়তা। বাসার ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ফ্যাক্স নাম্বার ও ইমেইল। ব্যবসা বা কাজের ঠিকানা, ফোন নাম্বার, ফ্যাক্স নাম্বার ও ইমেইল। 

চাকরির স্থান বা ঠিকানা, ফোন নাম্বার ফ্যাক্স নাম্বার ও ইমেইল। যে কারণে বিদেশ যাওয়া হচ্ছে তার পাশে টিক দিতে হবে যেমন পড়াশোনার জন্য বা ঘুরার জন্য বা অন্যান্য কারণগুলোতে। বিদেশে যার কাছে যাওয়া হবে তার নাম, তার ঠিকানা, সে যদি বাংলাদেশি হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে তার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার। বিদেশে অবস্থান এর সময়কাল, যাওয়ার সম্ভাব্য তারিখ, সাথে ট্রাভেল কৃত ব্যক্তির পরিচয় ইত্যাদি দেওয়ার পর নিজের নাম ও তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর দেয়ার পর স্বীকৃতিস্বরূপ টিক দিতে হবে যে উপরিউল্লিখিত সকল তথ্য সত্য।

তৃতীয় ধাপ

ফরমটি পূরণ করার পর এর সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি সংযুক্ত করে নিকটস্থ ভিসা অফিস বা বাংলাদেশ মিশনে ভিসা ফী দেয়ার নথি সহ জমা দিতে হবে। এভাবে ভিসা আবেদন করা সম্পূর্ণ হবে। আশা করা যায় উপরি উল্লিখিত তথ্য ধারা উপকৃত হবেন।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!