নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে — অনেকেই রয়েছেন যারা আমাকে কমেন্টে এবং ইনবক্সে প্রশ্ন করে জানতে চান যে ভাই, আমি নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে? প্রিয় পাঠক আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার দিয়ে খুবই সহজে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে ও ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে আবার নতুন করে ডাউনলোড অথবা রিইস্যুর জন্যে আবেদন করা যাবে। নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে তা সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে এখানে দেখানো হয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে তার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য অথবা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার যে সকল ডকুমেন্টের দরকার হবে, ভোটার নিবন্ধন ফর্মের স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা, বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং একটি স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ডিভাইস। এছাড়াও একটি অ্যাক্টিভ মোবাইল নম্বর যে নাম্বার ওটিপি অর্থাৎ ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ভেরিফিকেশন করার জন্য এবং একটি স্মার্টফোন যা আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য লাগবে।
আরো পড়ুনঃ ভিসা চেক করার নিয়ম
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সহায়তায় বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড চেক অথবা নতুন ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য এখন আর খুববেশি কঠিন কোন কাজ নয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে আলোচনা করা বিষয় অনুসরণ করে অনলাইন থেকে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন।
পদ্ধতি ১ঃ NID Wallet মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে
সর্বপ্রথমে আপনার চেহারা ভেরিফিকেশন করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ডেভেলপ করা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান NID Wallet একটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। NID Wallet ডাউনলোড করে ইন্সটল করার জন্যে আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সেখান থেকে সার্চ করুন NID Wallet। তারপরে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত NID Wallet অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন।
পদ্ধতি ২ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র একাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন ও লগিন
স্লিপ নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দিয়ে এনআইডি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার নিতে হবে। আপনি যদি ২০১৯ সালের পরবর্তীতে ভোটার হয়ে থাকেন তবে হয়তোবা আপনার ভোটার আইডি স্লিপ অবশ্যই আছে। আপনি উক্ত স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে সহজেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র এর রেজিস্ট্রেশন করেই ভোটার আইডি কার্ড দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন এবং সেটা প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে সেটা ব্যবহারও করতে পারবেন যেখানে সেখানে। এখন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে অ্যাকাউন্ট রেজিষ্টার কিংবা সাইন আপ করে নিতে হবে। নিম্নোক্ত ধাপগুলো আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করুন।
আরো পড়ুনঃ স্বপ্ন নিয়ে উক্তি
পদ্ধতি ১ঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে এই লিংক থেকে ভিজিট করুন। এরপরে আপনি নিম্নোক্ত চিত্রের মতো করে একটি পেজ দেখতে পাবেন।
এখান থেকে রেজিস্টার করুন লেখাতে ক্লিক করুন।
পদ্ধতি ২ঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র/এনআইডি/ফর্ম নম্বর টাইপ করুন। আপনার জন্মতারিখ ও ছবিতে দেখানো কোডটির মতো টাইপ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
পদ্ধতি ৩ঃ
উক্ত কাজ করার পরে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা (উপজেলা, জেলা, বিভাগ) গুলো নির্বাচন করুন। নিচের ছবির মতো করে।
আরো পড়ুনঃ বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ
পদ্ধতি ৪ঃ
উপরে দিকে সকল তথ্য সঠিকভাবে থাকলে আপনার মোবাইল নম্বর দেখানো হবে। কিংবা আপনি নতুন একটি অ্যাক্টিভ থাকা মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার একাউন্টিকে ভেরিফাই করে নেয়ার দরকার হবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বরটি অ্যাক্টিভ এবং আপনার সঙ্গে থাকতে হবে। কারণ এই মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) চলে আসবে।
এখানে আপনার মোবাইল নম্বরটি ঠিকঠাকভাবে টাইপ করুন এবং বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করে দিন।
পদ্ধতি ৫ঃ
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনে ৬ সংখ্যার একটি ভেরিফিকেশন কোড চলে আসবে। ৬ সংখ্যার কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো বক্সে লিখুন ও বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার Face Verification করার জন্যে একটি QR কোড দেখানো হবে। NID Wallet অ্যাপ্লিকেশান দিয়ে কোডটিকে স্ক্যান করে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করার দরকার হবে।
আরো পড়ুনঃ এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম
পদ্ধতি ৬ঃ
আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্যে একটি QR কোড দেখানো হবে। যে মোবাইল ফোনে আপনি NID Wallet অ্যাপ্লিকেশানটি ইনস্টল করছেন। উক্ত স্মার্টফোনটিকে আপনি হাতে নিন। অ্যাপটি ওপেন করে নিন এবং কিআর কোডটিকে স্ক্যান করে নিন।
পদ্ধতি ৭ঃ
অ্যাপ্লিকেশানটিতে দেখানো ভিডিওর মতো আপনার মুখ বরাবর সেলফি ক্যামেরা ধরুন ও সোজাসুজি ক্যামেরার দিকে তাকান। সঠিক থাকলে ছবিতে OK অর্থাৎ টিকমার্ক নোটিফিকেশন দেখাবে। তারপর, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আপনার মাথা ডানদিকে ১ বার ও বামদিকে ১ বার ঘুরিয়ে নিন। OK না দেখালে পুনরায় চেষ্টা করুন। ফেস ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আপনার সামনে নিচের মতোন করে একটি ছবি চলে আসবে।
পদ্ধতি ৮ঃ
এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামতো পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিন। ভবিষ্যতে চেহারা ভেরিফিকেশন করার ঝামেলা ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্রের অ্যাকাউন্টে লগিন করার জন্যে আপনাকে সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে ও একটি ইউনিক পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে হবে। পাসওয়ার্ড সেটআপ করলে ভবিষ্যতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অথবা পুনরায় ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার অনেক সুবিধে হবে।
পদ্ধতি ৯ঃ জাতীয় পরিচয়পত্র/ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
পাসওয়ার্ড সেটআপ করার সাথে সাথে আপনার NID Website সেখানে লগইন হয়ে যাবে। সেখানে আপনি আপনার ছবি ও প্রোফাইল দেখতে পাবেন।
ছবির ডানদিকে দেখানো অপশনটি থেকে একদম সবার নিচে ডাউনলোড নামের অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে পারবেন কিংবা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ১০ টি আলিয়া মাদ্রাসা
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।