আপনার চারপাশে অনেক বন্ধুবান্ধব আছে যারা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে প্রশংসা পাচ্ছে? ভিডিও এডিটিং শিখে মোটামুটি ভালোই ইনকাম করছে? তাই যদি আপনার ঝোঁক থাকে তাহলে অবসরে ভিডিও এডিটিং শিখে নিয়ে নিজের মূল্যবান সময়টুকু কাজে লাগাতে পারেন।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
বর্তমানে বিজ্ঞাপন বানানো সহ তথ্য বিতরণ এবং ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিডিও ভিত্তিক ওয়েবসাইট ও চ্যানেলের চাহিদা ব্যাপক আকারে দেখা যায়। অনেকেই আছেন যারা পড়াশোনার কাজেও ইউটিউব ওয়েবসাইটের বিভিন্ন চ্যানেলের ভিডিও ব্যবহার করে থাকেন।
অ্যানিমেশনসহ আকর্ষণীয় ভিডিও বানানোর কাজের জন্য একজন ভিডিও এডিটরকে নিয়োগ দেওয়া হয় যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের ভিডিও সংক্রান্ত গ্রাফিক্স ও কাজ দেখভাল করেন। এ থেকে বুঝতেই পারছেন ভবিষ্যৎতে একজন ভিডিও এডিটরের কেমন চাহিদা।
হ্যালো বন্ধুরা, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলবো কিভাবে আপনারা ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন বা ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব।
এই সময়ে সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে এবং সবাই ক্যামেরা ব্যবহার করে এর জন্য ভিডিও এডিটিং শেখা খুবই জরুরী। একই সাথে ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং শিখে মাসে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আজকাল বড় বড় কোম্পানীগুলো শুধু ভিডিও এডিটিং এর জন্য মানুষ রাখছে, তাই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন, এখানে আমি আপনাকে ২টি উপায় বলবো যার সাহায্যে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন।
একটি ফ্রি মেথডে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন আরেকটি পেইড মেথডে। ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব জানার আগে চলুন জেনে নেই ভিডিও এডিটিং জিনিসটা কি?
আরো পড়ুনঃ ভিডিও গান অডিও করার সফটওয়্যার
ভিডিও এডিটিং কি?
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব জানার আগে অনেকেই হয়তো এখন ভাবছেন ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং হচ্ছে মিউজিক ভিডিও, ভিডিও ফুটেজ কিংবা সিনেমা তৈরি করার জন্য ভিডিও ক্লিপ, চিত্র এবং শব্দগুলোকে একসঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া যা সঠিকভাবে অনুভূতিতে প্রকাশ করতে সক্ষম।
অর্থাৎ ভিডিও এডিটিং বলতে বোঝায় সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভিডিও ফুটেজকে এডিটর তার পছন্দশীল ভাবে এডিট করে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ গল্প ফুটিয়ে তোলে। এটি হচ্ছে একটি পোস্ট প্রোডাকশন কাজ। যেখানে ভিডিওর টাইটেল, গ্রাফিক্স, সাউন্ড মিক্সিং, কালার কারেকশন, ইফেক্ট সহ সব ধরণের কাজ করা হয়।
অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারেনঃ ভিডিও এডিটিং বলতে ভিডিও কাট, ট্রিম এবং ক্লিপসমূহকে সিকুয়েন্স আকারে সাজিয়ে একটি পরিপূর্ণ ভিডিওতে রুপান্তর করাকে বুঝায়। এছাড়াও অ্যানিমেশন, প্রি-প্রোডাকশন স্টোরিরাইটিং, কালার গ্রেডিং ইত্যাদিও ভিডিও এডিটিং এর অন্তর্ভুক্ত।
মূলত ভিডিও রেকর্ডের করার পড়ে একটি ভিডিওতে প্রাণ প্রদান করেন একজন ভিডিও এডিটর। ভিডিও এডিটিং এর সময় ভিডিওতে যেকোনো ধরনের পরিবর্তন থেকে শুরু করে অডিও কিংবা মিউজিক যুক্ত করা পর্যন্ত সকল প্রকার কাজ একজন ভিডিও এডিটর করে থাকেন।
যখন অ্যানালগ প্রযুক্তিতে ভিডিও ধারণ করা হতো তখন থেকে ভিডিও এডিটিং করা হয়। তখন অবশ্য ফিল্ম রিলগুলো কাটা, যুক্ত করা, ফ্রেম ডিলিট করা ও যুক্ত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে, এটি সাধারণত অভিনব ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়।
আপনি যদি কখনও মুভি দেখে থাকেন, তখন হয়তোবা সেখানে দেখেছেন একজন নায়ক একটি বড় গাড়ি এক হাতে তুলে ফেলছে আবার কখনো কখনো সুপার হিরো আকাশে উড়তে শুরু করে, এই সমস্ত জিনিস ছবিতে দৃশ্যমান।
টিভিতে, যে ভিডিও এডিটিং এর সাহায্যে করা হয়, এতে ভিএফএক্স ব্যবহার করা হয় এবং এটি করার জন্য ছবির পরিচালক একজন ভিডিও এডিটর নিয়োগ করেন যিনি একেবারে পেশাদার এবং তিনি লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা পান শুধুমাত্র ভিডিও এডিট করার জন্য।
আর শুধু তাই নয়, এরকম কিছু বড় কোম্পানি আছে, তারা ভিডিও এডিটর রাখে এবং মাসে লাখ লাখ টাকা দেয় এবং যারা বড় ইউটিউবার তাদের সময় থাকে না, তখন তারা ভিডিও এডিটরও রাখে তাদের ভিডিও এডিট করার জন্য।
আর যদি আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তবে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক আমরা জেনে নিলাম ভিডিও এডিটিং কি ও কাকে বলে। এবার ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব জানার আগে জেনে নেই কেন ভিডিও এডিটিং শেখা আমাদের জন্য জরুরি।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব | ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব - ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখবেন জেনে নিন
ইউটিউব থেকে ভিডিও এডিটিং শেখার উপায়
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম এবং যেকোনো বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য ইউটিউব সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম। ইউটিউবে আপনি যেকোনো ধরনের টিউটোরিয়াল খুবই সহজে পেয়ে যাবেন। তাই বিনামূল্যে ভিডিও এডিটিং শিখুন ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে। ইউটিউবে ভিডিও এডিটিং নিয়ে অসংখ্য ফ্রি টিউটোরিয়াল আপনি দেখতে পাবেন।
বিনামূল্যে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম, ভিডিও এডিটিং করতে আসা যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনের সকল টিউটোরিয়াল আপনি পাবেন বা ইউটিউবে দেখতে পাবেন, এই ভিডিওগুলো জন্য আপনাকে একটি টাকাও দিতে হবেনা।
ইউটিউবে আপনি আপনার ভাষার ৩ থেকে ৪ ঘন্টার একটি সম্পূর্ণ ভিডিও পাবেন, আপনি যদি সেখান থেকে খুব ভালোভাবে শিখেন তবে ১ মাসের মধ্যে আপনি সম্পূর্ণ ভিডিও এডিটিং সহজেই শিখে যাবেন।
এছাড়াও অসংখ্য অনলাইন কোর্স করার ওয়েবসাইটে ফ্রি এবং পেইড কোর্স রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা খরচ করে ভিডিও এডিটিং পুরোপুরি ভাবে শিখে নিতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রধান উপায় হলো প্রাকটিস। আপনি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন Practice Make a Man Perfect। কোনো জিনিস শিখতে ও দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রাকটিসের কোনো বিকল্প নেই।
নিয়মিত প্রাক্টিস করলে আপনি খুব সহজে দ্রুততার সাথে ভিডিও এডিট করা শিখে ফেলতে পারবেন। তাই যদি আপনি ফ্রিতে ভিডিও শিখতে চান তবে আমি বলবো ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন।
এছাড়াও টাকা খরচ করে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ভিডিও এডিটিং এর কোর্স করতে পারেন। নিম্নে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য কয়েকটি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে কার্টুন বানানোর সফটওয়্যার
ভিডিও এডিটিং কোর্স
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার নিয়ে খুব সিরিয়াস হোন, তাহলে আপনি একটি ভিডিও এডিটিং কোর্সও কিনতে পারেন। কারণ তখন আপনি বড় বড় ভিডিও এডিটিং প্রফেশনালদের কাছে আসবেন এবং তারা আপনাকে শেখাবেন কিভাবে আপনি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন।
বিগিনার থেকে এক্সপার্ট লেভেল পর্যন্ত। কোর্সের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনাকে খুব কম টাকা দিতে হবে, এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলি আমি নীচে দিয়েছি যারা ভালো ভিডিও এডিটিং শেখান তাদের নাম।
১। ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট
এখানে আপনি ইউটিউব ভিডিও মেকিং কোর্স করতে পারবেন। কোর্সের মেয়াদ থাকবে ৩ মাস। ক্লাস প্রতি সপ্তাহে ২ দিন রবিবার এবং মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
ইউটিউব ভিডিও মেকিং কোর্সটি অফলাইন এবং অনলাইনে ২ পদ্ধতিতে করার সুবিধে রয়েছে। এই কোর্সে সিনেমাটোগ্রাফি বেসিক থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং, অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো, অডিও ব্যালান্স, আফটার ইফেক্টসও শেখানো হবে।
অর্থাৎ কনটেন্ট থেকে শুরু করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড পর্যন্ত। যেকেউই এটা করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ এসএসসি পাস হলে ভালো। কোর্স ফি ১০ হাজার টাকা।
কোর্সটি করার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করুনঃ মমতাজ প্লাজা (৪র্থ তলা), হাউজ-০৭, রোড-০৪, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৫। ফোনঃ +880 1624666000, +880 1624888444, +880 1966177177। ইমেইলঃ info@creativeit-inst.com.
আরো পড়ুনঃ ছবি দিয়ে ভিডিও বানানোর সফটওয়্যার
২। ইশিখন ডটকম থেকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স
ইশিখন ডটকম ওয়েবসাইটে আপনি ৫ মাস মেয়াদি ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারবেন। এখানে ভিডিও এডিটিং কোর্সের রেগুলার ফি ১৮০০০ হাজার টাকা হলেও বর্তমানে এটি ৩৯৯০ হাজার টাকায় করতে পারবেন।
এই কোর্সে আপনি Editing Your Video, Adding Video and Audio Transitions, Motion in Premiere Pro, After Effects and Premiere pro, Complete guidelines for working in the freelancing marketplace, Complete guidelines for working in the freelancing marketplace শিখতে পারবেন।
তবে এটি তাদের অনলাইন ভিত্তিক কোর্স অর্থাৎ ইশিখন থেকে ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য আপনাকে অনলাইনে করতে হবে। ভিডিও এডিটিং কোর্সটি সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস হবে। কোর্স শেষে রয়েছে সার্টিফিকেট অর্জনের সুযোগ।
তাই আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হতে চান তাহলে এই ইশিখন ডটকম ওয়েবসাইট থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিডিও এডিটিং কোর্সটি করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক আইটি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি ভিডিও এডিটিং কোর্স করতে পারবেন।
আরো দেখুনঃ কম্পিউটার কোর্স কোনটা ভালো
ভিডিও এডিটরদের কাজের প্ল্যাটফর্ম
আপনি ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চাইলে সাধারণত ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোতে কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সাধারণত সকল ক্ষেত্রেই ভিডিওগ্রাফির কাজ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ইউটিউব ও ফেসবুকসহ অনলাইনের মাধ্যমে তাদের বিজ্ঞাপন ও কোনো অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা কিংবা কনফারেন্সের প্রচার চালানোর জন্যে ভিডিও বানিয়ে থাকে।
কোনো একটি নির্দিষ্ট তথ্য মানুষকে জানানোর জন্যও ভিডিও তৈরি করা একটি সহজও কার্যকর উপায় হিসেবে পরিচিত। বর্তমান সময়ে তাই যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই একজন ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে। ভিডিও এডিটর কাজ করেন এমন কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলোঃ
- বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম
- ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কোম্পানী
- অনলাইন অ্যাডুটেইনমেন্ট ওয়েবসাইট কিংবা চ্যানেল
- যেকোনো কর্পোরেট, আন্তর্জাতিক অথবা সরকারি প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট প্রজেক্টের জন্যেও এক বা একাধিক ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
ভিডিও এডিটিং কেন জরুরি
ভিডিও এডিটিং গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভিডিও এবং শব্দের সংমিশ্রনের মূল চাবিকাঠি, যা আমাদের ইমোশনালি কানেক্ট করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি মুভি বা নাটকে পরিচালক যে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তা দর্শকের কাছে সঠিকভাবে পৌছানোর জন্য ভিডিও এডিটিং তথা ভিডিও এডিটর দায়বদ্ধ।
আমরা যারা বিভিন্ন মুভি, মিউজিক ভিডিও দেখি তখন আমরা বুঝতে পারি যে একটি গল্পকে প্রকাশ করার জন্য ভিডিও এডিটিং কতটা জরুরী। দৃশ্যটি দুঃখের, তাই এডিটর কিছু কষ্টের সংগীত যোগ করে ভিডিওকে বাস্তব করে তুলতে পারেন। পরিচালকের বার্তা সফলভাবে পৌঁছেছে তা নিশ্চিত করাই একজন ভিডিও এডিটরে প্রধান কাজ।
ভিডিও এডিটিংকে কেও কেও নিজের শখ হিসেবে দেখেন, আর কিছু লোক নিজের পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম পেশা হিসেবে নিয়েছেন বা নিতে চান। আপনিও যদি সেই শখের বসে ভিডিও এডিট করে থাকেন তবে, তা কাজে লাগিয়ে কিছু টাকা ইনকাম করার কথা ভাবতে পারেন। তবে ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইডিটিং জানতে হবে। এটির মাধ্যমে কতটা ইনকাম আপনার হবে এটি নির্ভর করবে।
আরো দেখুনঃ testes siccati 3x এর কাজ কি | টেস্টিস 3X ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
একজন ভিডিও এডিটরের কি ধরনের যোগ্যতা থাকার দরকার হয়?
১। ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার জন্য বেশি জরুরী হলো ব্যক্তিগত দক্ষতা। ভিডিও এডিটিং কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত দক্ষতার উপরেই নির্ভর করে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
তবে হ্যাঁ ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার জন্য যোগ্যতার বিষয়টি প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষ হলেও সাধারণত মোশন গ্রাফিক্স বিষয়ের উপরে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে এমন কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া যদি ভিডিও প্রডাকশন বা ফিল্ম প্রডাকশন, ডিজিটাল মিডিয়া প্রডাকশন বিষয়ে কোনো ডিগ্রি থাকলে প্রার্থী হিসেবে আপনিই প্রাধান্য পাবেন।
২। ভিডিও এডিটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বা আপনার দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে সাধারণত ২-৫ টি ভিডিও এডিটিং করেছেন এমন ডেমো জমা দিতে হবে যার উপরে ভিত্তি করে আপনার নিয়োগের ব্যাপারে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে।
আর হ্যাঁ এক্ষেত্রে অবশ্যই ভিডিওগুলো আপনার দ্বারা এডিটিং করা হতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানেলে অথবা ভিমিও’র মতো ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার একাউন্ট থাকলে এবং কাজের ডেমো আপলোড করা থাকলে সেটা আপনাকে বাড়তি সুবিধে দিবে।
৩। একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অনেকবেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়োগ পাওয়ার জন্যে মিনিমাম ২ থেকে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন হতে পারে
৪। মোশন গ্রাফিক্স বিষয়ে যদি আপনার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা না থাকে তাহলে ভিডিও এডিটিং এর উপর কোনো কোর্স করা থাকলে এবং উপযুক্ত সার্টিফিকেট কিংবা সনদ থাকলে আপনাকে নিয়োগ দেয়া হতে পারে একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে টিভি দেখার সেরা অ্যাপ
একজন ভিডিও এডিটরের কি ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- প্রিমিয়ার প্রো, অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড, আফটার ইফেক্টস, ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের কাজ জানতে হবে
- ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করার জন্য সৃষ্টিশীল হওয়া দরকার। ভিডিও তৈরি করার সময়ে আপনি নতুন ধরনের চিন্তাভাবনা এবং কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া সম্ভব এবং ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে আপনার সৃষ্টিশীলতার পুরস্কার হিসেবে।
- নতুন ভিডিও এডিটিং করার কৌশল, সফটওয়্যার, বিভিন্ন ধরণ এবং শৈলী নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে
- ইতিবাচক মন-মানসিকতার হতে হবে
- এক সঙ্গে কয়েকটি কাজ করতে পারেন এমন ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে, ইংরেজীতে যাকে বলা হয় মাল্টিটাস্কিং ৬। আউট অব দ্য বক্স বা আগে কখনো করা হয়নি এমন সৃষ্টিশীল কিছু করতে আগ্রহী হতে হবে।
- ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার জন্য নিজের ইচ্ছা এবং আগ্রহ অনেক বড় একটি বিষয়। স্বেচ্ছায় কাজ না করতে চাইলে এই কাজে ভালো করা এবং টিকে থাকা অনেক কঠিন
- ভিডিও কোডেক সম্পর্কে গভীর ধারণা রাখতে হবে
- স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এমন হতে হবে। উপরোক্ত পদের কারো সিদ্ধান্তের জন্যে অপেক্ষা করে কাজ ফেলে রাখা যাবেনা
- ভিডিওর সেট কিংবা ভিডিওগ্রাফির সাধারণ যন্ত্রপাতি নিয়ে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- Adobe Premiere Pro CC
- Adobe Premiere Elements
- CyberLink PowerDirector
- Camtasia Studio
- Vegas Pro
- Filmora
- Final Cut Pro
- Corel VideoStudio Ultimate
- Magix Movie Edit Pro
- Pinnacle Studio
আরো পড়ুনঃ সেরা ৫ ফ্রি টরেন্ট অ্যাপ
ভিডিও এডিটিং কম্পিউটার কনফিগারেশন
- CPU: Intel core i3/i5 or AMD ryzen5
- Motherboard: Supports 32GB or more ram and SATA 3.0 and 2TB-4TB HD
- Ram:12GB Minimum 8GB
- GPU: 2GB
- SSD: 128 GB/256 GB
- Hard Disk: 500GB
একজন ভিডিও এডিটরের মাসিক আয়
ভিডিও এডিটরের মাসিক ইনকাম কাজ ও অভিজ্ঞতা এবং প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষ। সাধারণত একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর মাসিক ইনকাম ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তার বেশিও হয়ে থাকে।
একজন ভিডিও এডিটরের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন ভিডিও এডিটরের ক্যারিয়ার কেমন হবে সেটা একেবারেই নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ। তবে হ্যাঁ আপনি জুনিয়র ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ শুরু করার পরে পরবর্তীতে সিনিয়র ভিডিও এডিটর হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আবার সিনিয়র ভিডিও এডিটর পদ থেকে হেড অব ভিডিও এডিটিং এবং সর্বোচ্চ ভিডিও এডিটিং ম্যানেজার পদ পর্যন্ত লাভ করতে পারেন।
এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলেছি কিভাবে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন, তথ্যটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।