অলস অবস্থায় বা ছাত্র অবস্থায় প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা খুব কঠিন কিছু না। কোথায় কাজ করবেন, কিভাবে করবেন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি প্রত্যেক মাসে কোয়ালিটি এমাউন্ট আয় করতে পারবেন সহজেই। দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষ জানেই না যে, মাসে বিশ হাজার টাকা কিভাবে আয় করা যায়।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় খুঁজে পাওয়া অনেকেরই স্বপ্ন। বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আমাদের আয়ের সুযোগও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আয়ের নির্দিষ্ট কোনও উপায় নেই; আমাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এটি ভিন্ন হতে পারে।
আমাদের এই আলোচনায় আমরা কিছু সেরা এবং কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে এই উপায়গুলি অনুসরণ করেন এবং সঠিক পরিশ্রম করেন, তবে আপনিও এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।
এখন আসুন, মাসে ২০ হাজার টাকা আয়ের সেরা উপায়গুলি সম্পর্কে জানি।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
মাসে ২০ হাজার টাকা আয়: সহজ এবং কার্যকর উপায়!
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার জন্য অসংখ্য উপায় রয়েছে। বিশেষ করে অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতে কাজ করে মাসে কোয়ালিটি এমাউন্ট আয় করা খুব কঠিন কিছু না। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতিমাসে এই পরিমাণ আয় করাটা একটু কঠিন।
আপনি চাইলে অনলাইনে কাজ করে বেশি ও ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য দরকার আপনার সঠিক ধারণা। আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত না বুঝতে পারলে আয় করা সম্ভব নয়। এই লেখায় আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের বর্ণনা দিলাম। এই কাজগুলো করার মাধ্যমে মাসে আপনারা বিশ হাজারের বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব:
- ফ্রিল্যান্সিং
- মোবাইল রিচার্জ এবং সার্ভিসিং এর দোকান
- ব্লগিং
- ইউটিউবিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- ফুড ডেলিভারি সার্ভিস
- অফলাইনে টিউশন করে
- অনলাইনে ক্লাস নিয়ে
১. ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। যেকোন বয়সের, যেকোন প্রফেশনের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে বেশী। অনেকে হয়ত ভাবছেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো কিন্তু আমার তো ভালো দক্ষতা নেই !
ফ্রিল্যান্সিং এ ঢুকে আপনি চাইলে বেসিক পর্যায়ের কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারেন। আপনি যেকোন কাজের উপর কিছুটা হলেও দক্ষ। কাজ গুলোর প্রতি ফোকাস করুন ও অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে কাজ করে দিন। এর ফলে আপনি একটি পার্সেন্টেজ পাবেন। বেসিক পর্যায়ের কাজ করে মাসে ২০ হাজার টাকা আপনি খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
আরও জানুন: মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ২৫টি সেরা ও কার্যকরী উপায়
আর যদি একেবারেই নতুন হয়ে থাকেন তবে কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে নিন। যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং, ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনসাল্টিং, এআই সার্ভিস, রাইটিং ইত্যাদি। এগুলোর কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে মাসে ২০ থেকে শুরু করে লাখের বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এবং অধিকাংশ মানুষ এজন্য চাকুরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিতে পছন্দ করছে।
মনে রাখবেন এটা অনেক ধৈর্য ব্যাপার, এই সেক্টর থেকে ইনকাম করতে চাইলে হাতে কমপক্ষে ১-২ বছর সময় নিয়ে নামবেন তারপর ইনকামের আশা করবেন।
২. মোবাইল রিচার্জ এবং মেরামতের দোকান দিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম
মোবাইল রিচার্জ এবং মেরামতের দোকান একটি লাভজনক ব্যবসার ধারণা যা অনেকের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা আয় করার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই নতুন মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ছে এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। এছাড়া, মোবাইল রিচার্জের প্রয়োজনীয়তাও অপরিসীম। এই সব কারণে মোবাইল রিচার্জ এবং মেরামতের দোকান খুলে ভালো আয় করা সম্ভব।
এ ধরনের ব্যবসার মূল সুবিধা হল এর কম বিনিয়োগ এবং বেশি চাহিদা। একজন উদ্যোক্তা খুব সহজেই একটি ছোট দোকান স্থাপন করতে পারেন যেখানে তিনি মোবাইল রিচার্জের পাশাপাশি বিভিন্ন মোবাইল সমস্যার সমাধান করবেন। এই ব্যবসার সফলতার মূল চাবিকাঠি হল দক্ষতা, গ্রাহক সেবা, এবং সঠিক বাজার বিশ্লেষণ।
মোবাইল রিচার্জ এবং মেরামতের দোকান দিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল:
- উপযুক্ত স্থান নির্বাচন: যে স্থানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি সেই স্থানে দোকান স্থাপন করা।
- উন্নত সেবা প্রদান: গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করতে হলে দ্রুত এবং কার্যকরী সেবা প্রদান করা জরুরি।
- বাজার গবেষণা: বাজারের চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে সচেতন থাকা।
- উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার: নতুন টেকনোলজির সাথে আপডেট থাকা এবং তা ব্যবহার করা।
সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে এই ব্যবসা থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় করা সম্ভব। এই ব্যবসার মাধ্যমে শুধুমাত্র আয় করাই নয়, বরং একটি স্থায়ী গ্রাহক ভিত্তি গড়ে তোলাও সম্ভব।
৩. আর্টিকেল রাইটিং
ঘরে বসে অধিক দক্ষতা ছাড়া আয় করার একমাত্র মাধ্যম আর্টিকেল রাইটিং। আমরা বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল পড়ি। আপনি বর্তমানে যে পোষ্টটি পড়ছেন এটাকে আর্টিকেল বলা হয়। ওয়েব সাইটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আর্টিকেলের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পায়।
একটা ওয়েবসাইটের এডমিন কখনো হাজার হাজার আর্টিকেল লিখতে পারে না। সবসময় তারা কিছু মানুষকে বাছাই করে রাখে যারা আর্টিকেল গুলো লিখে দেয়। আর্টিকেল লিখতে পারলে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। আপনি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হলে এর চেয়েও বেশী ইনকাম করা সম্ভব।
আরও জানুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ | স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া
কোথায় আর্টিকেল লিখবেন? আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য প্রচুর সাইট, ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ রয়েছে। যেমন, টেকনিক্যাল কেয়ার বিডিতে আপনি আর্টিকেল রাইটিং এর চাকরির সুযোগ পাবেন। এখানে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। টেক টিউন সাইটে প্রতি আর্টিকেলে পাবলিশ এরপর ১০০-১০০০ টাকা পাবেন।
এরকম অসংখ্য সাইট রয়েছে। যেকোনো সাইটে ভিজিট করার পর সাইট এডমিন এর সাথে কথা বলে আপনি তার জন্য আর্টিকেল সার্ভিস দিতে পারবেন। আর্টিকেলের মূল্য অনেক বেশী। একটা ইংরেজি আর্টিকেল হাজার শব্দে ৫০০-২০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। আপনি মাসে ৩০টি আর্টিকেল লিখলে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা খুব সহজেই আয় করতে পারবেন।
৪. অফলাইনে টিউশন করে
টিউশনি ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে পছন্দের একটি বিষয়। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে টিউশনির বিকল্প নেই। পাশাপাশি টিউশনি একটি সম্মানের পেশা। আপনি ভালো করে পড়াতে পারলে আপনার সুনাম ছড়িয়ে পরবে সবখানে। আপনার যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করে উক্ত প্রতিষ্ঠান নাম করা না হলেও আপনি টিউশনি পাবেন যদি ভালো পড়াতে পারেন। শহরে প্রতি টিউশনে ৫-৭ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। এরুপ ৫টা টিউশনি এর মাধ্যমে আপনি মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
আরও জানুন: বর্তমানে সেরা ২৫টি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া ২০২৪
গ্রাম পর্যায়ে প্রতি টিউশনে ৫০০ টাকা দেয়া হয়। আপনি গ্রামে ব্যাচ করে এক ব্যাচে ৩০-৪০ জনকেও পড়াতে পারবেন। টাকার পরিমাণ কম হলেও একসাথে অনেককে পড়ানোর সুযোগ পাবেন। এভাবে শহর কিংবা গ্রাম টিউশনি করাতে পারলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সহজ।
৫. অনলাইন ক্লাস নিয়ে টাকা আয়
পড়ানো যে শুধু অফলাইনে সম্ভব এই ধারণা ভুল প্রমান হয়েছে করোনা কালীন সময়ে। বর্তমানে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী তার প্রিয় শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করে। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের আশেপাশে আমার ডিপার্টমেন্টের কোনো শিক্ষক নেই। দূরে থাকলেও অধিক খরচের কারনে অনলাইনে কোনও এক বড় ভাইয়ের কাছে ২ বছর ধরি রেগুলার পড়ছি। আমাদের ব্যাচে প্রায় ৪০ জন পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে।
এরকম তার ৩/৪ টি ব্যাচ রয়েছে মাসে প্রায় ১ লাখ টাকার মত ইনকাম করে শুধু অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে। আপনি যদি আশেপাশে কোন ছাত্রছাত্রী না পান। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের গ্রুপে পোষ্ট করতে পারেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অধিক যত্ন কখনো প্রতিষ্ঠান নেয় না। এজন্য দরকার হয় বিভিন্ন ভাবে প্রাইভেট পড়ার। আপনি এভাবে কিছু ছাত্রছাত্রী পেয়ে গেলে আসতে আসতে দেখবেন অনেক পেয়ে যাবেন। ব্যাপারটা অফলাইন টিউশনির মতই কাজ করে। আপনি ভালো পড়াতে পারলে এমনিতেই ছাত্র ছাত্রী পেয়ে যাবেন। এই উপায়ের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
৬. ফুড ডেলিভারি
বর্তমান যুগে ফুড ডেলিভারি একটি জনপ্রিয় এবং চাহিদাসম্পন্ন সেবা হয়ে উঠেছে। এটি শুধু গ্রাহকদের কাছে সুবিধাজনক নয়, বরং যারা এই সেবায় কর্মরত, তাদের জন্যও এটি আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। আপনি যদি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান এবং আপনার নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে ফুড ডেলিভারি একটি চমৎকার অপশন হতে পারে।
ফুড ডেলিভারির মাধ্যমে আয় করা যায় এমন সহজ এবং সুবিধাজনক একটি পেশা যা তরুণ সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের লোকজনকে আকর্ষণ করছে। এই পেশায় প্রবেশের জন্য বিশেষ কোনো শিক্ষা বা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, যা অনেকের জন্য এটি একটি লোভনীয় কর্মক্ষেত্র করে তুলেছে। শুধু একটি স্মার্টফোন এবং বাইক বা সাইকেলের মাধ্যমে আপনি এই পেশায় যুক্ত হয়ে সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন। আয় বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল এবং পরামর্শ অনুসরণ করলে এই পেশায় আরও সফলতা পাওয়া সম্ভব।
৭. ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম
ইউটিউবার হয়ে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা বর্তমান যুগে অনেকের কাছে একটি আকর্ষণীয় ধারণা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর বিস্তার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রচলন বাড়ার ফলে ইউটিউব একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে যেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ইউটিউবার হওয়ার মাধ্যমে আপনি শুধু নিজের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা প্রদর্শন করতে পারবেন না, পাশাপাশি একটি ভাল আয়ের উৎসও তৈরি করতে পারবেন। তবে এই যাত্রা শুরু করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি যেমন, সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন, নিয়মিত ভিডিও আপলোড, শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ, এবং সঠিক মার্কেটিং কৌশল। এই সমস্ত বিষয় সঠিকভাবে পালন করলে ইউটিউবার হয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কোনো অসম্ভব কাজ নয়।
৮. ক্রয় বিক্রয় করে টাকা আয়
অনলাইনে অথবা অফলাইনে ক্রয়বিক্রয়ের ব্যাবসায় অনেক বেশী লাভ হয়। আপনি যেকোন পণ্যকে ১০০ টাকায় ক্রয় করলেন উক্ত পন্য আবার ২০০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। এই ব্যাবসা বর্তমানে অনলাইনে অনেক বেশী জনপ্রিয়। আপনি চাইলে ক্রয়বিক্রয় করে মাসে ২০ হাজার টাকা সহজেই আয় করতে পারবেন।
আরও জানুন: ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং রিস্ক ফ্রি ব্যবসা
উপসংহার
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায়গুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ উপায়ের মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন টিউটরিং, ব্লগিং, ইউটিউবিং, এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করা। ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন টিউটরিং এ নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া যায় এবং ভাল আয় করা সম্ভব। ব্লগিং ও ইউটিউবিংয়ের মাধ্যমে নিজের ক্রিয়েটিভিটি ও জ্ঞান শেয়ার করে আয় করা যায়। ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে স্থানীয়ভাবে বা অনলাইন মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সফল হতে গেলে ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। এছাড়াও, নিজের দক্ষতা বাড়ানো এবং নতুন সুযোগের সন্ধান করা জরুরি। উপায়গুলো নির্ভরযোগ্য এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা কোনো কঠিন কাজ নয়। সফল হতে গেলে আপনাকে নিজের প্রতিভা ও সময় সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
মাসে বিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় লেখায় কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিলাম। এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে মাসে শুধু ২০ হাজার নয় লাখ টাকা আয় করাও সম্ভব। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি কতটা শ্রম দিতে পারছেন সেটার উপর নির্ভর করে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।