অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম — সবাই অর্থ উপার্জন করতে চায়। তাই লোকেরা প্রতিদিন গুগলে সার্চ করে যে, “ কিভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় ”, “ কিভাবে গুগল থেকে টাকা আয় করা যায় ”, “ কিভাবে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করব ” ইত্যাদি। মানুষের অর্থের প্রয়োজন যাতে তারা তা দিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে। বয়সের সাথে সাথে একটি দায়িত্ব আসে এবং আপনি যদি এখন থেকে অর্থ উপার্জন করতে জানেন তবে তা আপনার আশীর্বাদ স্বরূপ।
লোকেরা অনেক উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে, যেমন চাকরি করে, তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কীভাবে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়? এটা কি সম্ভব, নাকি আমি মজা করছি?
এটা কোনো রসিকতা নয়। আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা আয় করতে পারেন অর্থাৎ ইন্টারনেট থেকে। পৃথিবীতে এমন কোটি কোটি মানুষ আছে যারা ঘরে বসেই আয় করছেন। না তাদের বাইরে যেতে হবে, না কারো অধীনে কাজ করতে হবে। তবে এর জন্যও কিছু প্রতিভা অর্থাৎ দক্ষতার প্রয়োজন। এমন নয় যে আপনার কোনো প্রতিভা নেই, সৃষ্টিকর্তা সবাইকে কিছু প্রতিভা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। আপনার মেধার মাধ্যমে আপনি সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনাকে শুধু তা চিনতে হবে।
পেজ সূচীপত্রঃ অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম নিয়ে আলোচনা করা হবে। আপনার জীবনের মূল্যবান ১০ মিনিট সময় দিন; তা নাহলে লেখাটি পড়েও আপনার কোনো কাজে আসবে না। অনেকের মাথায় একটি চিন্তা থাকে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম কিভাবে করা যায়।
আপনি আশেপাশে খোজখবর নিয়ে দেখতে পারেন; যেমনঃ জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি এসব ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখুন আসলেই অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। ধরে নিলাম আপনি বিশ্বাস করছেন অনলাইন কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় এবং আপনিও মনেপ্রাণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। কিন্তু অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় জানেন না।
চিন্তার কোনো কারণ নেই, আপনি একদম ঠিক সাইটে এসেছেন। আমি এখানে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায় সম্পর্কে বলে দেব। যেটা কাজটি আপনার পছন্দ হবে সেটার উপরে দক্ষতা অর্জন করে সহজেই অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
১। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলোর মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে সেরা। অর্থাৎ ব্লগিং হচ্ছে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার বেশ পুরাতন এবং অনেক কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ব্লগিং পদ্ধতিতে বেশ মোটা অংকের টাকা প্রতিমাসেই আয় করা সম্ভব। তবে বর্তমান সময়ে ব্লগিং এর চেয়ে ইউটিউব থেকে বেশি পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। কেননা মানুষ আর্টিকেল পড়ার চেয়ে ভিডিও দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে।
ব্লগিং হচ্ছে একটি প্যাশান। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক বেশি ধৈয্য ধারণ করতে হবে। আর ব্লগিং করার জন্য আপনার মাঝে লেখালেখি করার স্কিল ভালো থাকতে হবে। ব্লগিং হচ্ছে মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপারের মতো। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কোনো বিষয়ের উপর নিয়ে লিখবেন। যার উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হবে সে এসে পড়ে যাবে।
আপনি বর্তমানে যে আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও কিন্ত একটি ব্লগ। অত;এব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। যদি আপনার লেখালেখি করার প্রতি আগ্রহ থাকে, তবে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে অর্থাৎ অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যে বিষয়ের প্রতি আগ্রহ, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ের উপরে ব্লগিং করলে তাহলে খুবই সহজে সফল হতে পারবেন।
এখন মূল বিষয় হচ্ছে আপনি কোথায় ব্লগিং করবেন। ব্লগিং বিনামূল্যে এবং টাকা খরচ করে এই দুভাবে করা যায়। বিনামূল্যে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে সাবডোমেইন এর আওতায় এবং বিনামূল্যে ওয়েবসাইট খুলে লেখালেখি করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ বিনামূল্য অনেক সময় ঝামেলা হয় এবং এতে আপনার অনেক সময় ব্যয় হবে।
আমি সাজেস্ট করবো কিছু টাকা দিয়ে ডোমেইন এবং হেস্টিং কিনে আপনার ব্লগিং যাত্রা শুরু করুন। ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে আপনার ১২০০-৩০০০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এতে করে সুবিধা আছে যেমনঃ নিজস্ব ডোমেইন এবং হোস্টিং থাকছে এবং পরবর্তীতে আর আপনাকে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবেনা। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।
আপনি যখন এইভাবে টাকা ব্যয় করে ব্লগিং করবেন তখন আপনার ব্র্যান্ডিং টাও ভালো হবে এবং ইনকামের পরিমাণও অনেকগুণ বেশি হবে ফিতে ওয়েবসাইটের তুলনায়। আর দেখবেন ফিউচারে আপনার ওয়েবসাইটের দামও অনেক বেশি হবে। আমার দেখা একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম কয়েক লাখ পর্যন্ত হয়েছে।
ব্লগে কিভাবে আয় করা যায়ঃ ব্লগিং এ লেখালেখি করে যতবেশি ভিজিটর আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট ততবেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভিজিটর আকর্ষণ করা এবং ওয়েবসাইট বেশি বেশি ভিজিট করানো। একটি ওয়েবসাইটেের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের গুগল এডসেন্স আপ্রুভ করে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে প্রতিমাসে $১০০-$১০০০+ ডলার আয় করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক যদিও কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর এবং ভিজিটের লোকেশনের উপর নির্ভর করবে।
অনেক অনলাইন বিজ্ঞাপন কোম্পানি আছে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। কিছু জনপ্রিয় অনলাইন বিজ্ঞাপন কোম্পানি হল Google AdSense , Chitika, Media.net, infolinks ইত্যাদি। আমার মনে হয় আপনি নিশ্চয়ই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন যে “ অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে ”।
তারপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা যায়। আবার প্রিমিয়াম সাবস্কিপশনের মাধ্যমেও মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ধৈয্য এবং কাজ করার মানষিকতা রাখতে হবে। শুধু একটা সবসময় কথা মনে রাখবেন ধৈয্য ছাড়া অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কোনো বিকল্প নেই।
ব্লগে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ এটি হল, অন্যকে জিনিস বিক্রি করতে সাহায্য করা। আপনি যখন অনলাইনে বিক্রিত কোনো পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করেন, তখন সেই বিক্রেতা আপনাকে কমিশন দেয়। আপনি Flipkart, Amazon বা যেকোনো হোস্টিং কোম্পানির মতো বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য বিক্রি করে অনেক উপার্জন করতে পারেন। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ বিজ্ঞাপনের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
স্পন্সর পোস্টঃ আপনার ব্লগ যখন একটু জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, অনেক কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্য রিভিউ করতে বলে। তারা রিভিউ করার জন্য তাদের পণ্য সহ আপনাকে প্রচুর অর্থ দেয়। আপনার ব্লগ যা সম্পর্কিত হবে না কেন, আপনি একই ধরণের জিনিস পাবেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
২। ইউটিউবিং করে টাকা ইনকাম
ইউটিউব সম্পর্কে কে না জানে। তবুও, তথ্যের জন্য, আমি আপনাকে বলে রাখি যে এটি বিশ্বের 3য় জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়। যারা এটা জানেন না, আমি তাদের বলতে চাই যে ইউটিউব অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি ভালো উপায়। কন্টেন্ট লেখাকে বলা হয় ব্লগিং এবং ভিডিওর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করাকে বলা হয় ভ্লগিং। Vlogging মানে ভিডিও ব্লগিং। আমি আগেও ব্লগিং বনাম ভ্লগিং নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম, আপনি চাইলে পড়তে পারেন। এতেও আপনার জন্য দুটি জিনিস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের দেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে। যাদের কারো কারো মাসের ইনকাম ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। আপনিও চাইলে কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
এই ভিডিও বানানোর জন্য আপনার ক্যামেরা না থাকলেও হবে। প্রথমে আপনি আপনার ইউটিউব যাত্রা মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে শুরু করে দিন। তারপরে সফল হওয়ার পরে দামি দামি গেজেট ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ আপনার যদি লেখালিখি করতে ভালো লাগে না তাহলে এই ভিডিওর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন, ইউটিউবের মাধ্যমে। শুধুমাত্র আপনার মাঝে কাজ করার স্পৃহা থাকতে হবে।
আপনার যদি কন্টেন্ট যদি থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি অনেক বেশি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ এক্ষেত্রে আমি আপনাকে ছোট্ট একটি বিষয় টিপস দিয়ে রাখি। আপনি যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ভিডিওর অডিও এবং ভিডিও এডিটিং অনেক ভালো ভাবে করতে হবে।
ইউটিউবে কাজ করার জন্যে আপনার মোবাইল এবং কম্পিউটারই যথেষ্ট। কোনো টাকা খরচ এবং ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র একটি চ্যানেল খুলবেন, পছন্দ মতো ভিডিও আপলোড করবেন ব্যাস। যদি ভিডিওতে পর্যাপ্ত ভিউজ হয় তবে গুগল এডসেন্সেের জন্য আবেদন করবেন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলে এড দেখানো শুরু হবে সাথে টাকা ইনকামও।
ইউটিউব চ্যানেলে সর্বনিম্ন ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ভিউ ৪০০০ হাজার ঘন্টা হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
ইউটিউবে কাজ করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখুনঃ ১। মোটামুটি মানের ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে ২। ভুল করেও কারো ভিডিও কপি করা যাবে না। কপি করবেন তো ইউটিউব চ্যানেল শেষ ৩। কোনো একটি পছন্দের টপিক নিয়ে কাজ শুরু করে দিন, খুব তাড়াতাড়ি সফল হবেন। আমি আবারও বলছি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে ব্লগিং এর মতো ইউটিউবও হচ্ছে সেরা প্লাটফর্ম।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়ঃ ব্লগিং, ইউটিউবের মত, অর্থাৎ ভ্লগিং-এরও অর্থ উপার্জনের 3টি প্রধান উপায় রয়েছে,
1) AdSense : YouTube এবং AdSense উভয়ই Google এর পণ্য। প্রতিটি ইউটিউবার তাদের বেশিরভাগ অর্থ এই থেকে উপার্জন করে। আপনার অ্যাকাউন্টে ভিডিও আপলোড করার পরে, আপনি AdSense এর মাধ্যমে এটি মানিটাইজেশন করতে পারেন। আমি আগামী দিনে এটির একটি সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল দেব।
2) স্পন্সরড ভিডিও : একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল অনেক পণ্য রিভিউ করার অফার পায়। এর মাধ্যমেও আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
3) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : আপনি যদি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন পণ্য রিভিউ করেন, তাহলে আপনি নীচের বিবরণে এটি কেনার জন্য একটি লিঙ্ক দিতে পারেন। যদি কোন ব্যবহারকারী এটি কেনেন, তাহলে আপনি তার কাছ থেকে কমিশন পাবেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২২
৩। ফ্রিলান্সিং করে টাকা ইনকাম
অনলাইন জগতে যে পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ টাকা ইনকাম করে সেটি হচ্ছে ফ্রিলান্সিং। আমাদের দেশের বেকারত্ব হ্রাস করতে এই ফ্রিল্যান্সিং খাতটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে বাংলাদেশকে বাহিরের দেশের সামনে তুলে ধরছে। অর্থাৎ সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে।
আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিমাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিংয়ে যোগদান করে আপনি ডলার আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।
যাহোক রোবোটিক সকল কথাবার্তা বাদ দিয়ে চলুন জেনে নেই কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিলান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিনফ বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি অনলাইনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করে দেয়া। এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। আপনি ঘরে বসে থেকে আপনার কাজ করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট বা বায়ার হবে বিভিন্ন দেশের।
যাহোক, সর্বপ্রথমে এখানে আপনার প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে দক্ষতা অর্জন। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইট মেকিং, কপি রাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপার, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটার, অনুবাদক, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি।
এসবের যেকোনো একটিতে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আর যদি আপনি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়। কাজ শেখার পরে আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
তারপরে, আপনি যে কাজ করতে পারেন সেটার প্রমাণের জন্য আপনার পূর্বে করা কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট বা বায়াররা এসে আপনার পোর্টফোলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজ দিবে। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালোমানের একটা পোর্টফোলিও তৈরি করার জন্য কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ঐ পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে। প্রিয় পাঠক ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আজই শুরু করতে পারেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশি app দিয়ে টাকা ইনকাম 2022
৪। ড্রপশিপিং করে টাকা ইনকাম
ড্রপশিপিং হচ্ছে অনলাইন বিজনেসের অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে অনেক সহজেই অধিক টাকা আয় করা সম্ভব। প্রিয় পাঠক চলুন জেনে নেই ড্রপশিপিং জিনিসটা মূলত কি। ড্রপশিপিং বিষয়টা উহদারণ দিয়ে বুঝালে আপনারা অনেক সহজেই বুঝতে পারবেন।
ধরুন, আপনার গ্রামের বাড়িতে একজন পরিচিত ব্যক্তি কোনো একটা প্রোডাক্ট তৈরি করে সেটা বাজারে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। এখন আপনি খোঁজখবর নিয়ে দেখলেন যে উক্ত প্রোডাক্টটির শহরঅঞ্চলে বড় বড় মার্কেটে কিংবা কোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ২০০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এইকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে সবসময় হয়ে থাকে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ১০ টাকা কেজি দরে কিনে বড় বড় বাজারে সেগুলো ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তো আপনি এক্ষেত্রে নিজেই বড় একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট উক্ত প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার গ্রামের বাড়ির যে উৎপাদনকারী রয়েছে তার কাছে থেকে প্রোডাক্ট টা ১০০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার অ্যাকাউন্টে ১৯০০ টাকায় সেল করতে পারবেন।
এতে আপনি একটি প্রোডাক্ট থেকে ৯০০ টাকা বেশি লাভ করতে পারছেন। কিংবা যদি আপনি ১২০০ টাকায় প্রোডাক্টটি সেল করেন তাতেও আপনার কিন্ত লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই হচ্ছে মুলত ড্রপশিপিং বিজনেস। যদি আপনার এলাকায় এরকম কোনো সুযোগ সুবিধে থেকে থাকে তবে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটিকে ব্যবহার করা।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
৫। এসইও স্পেশালিস্ট হয়ে টাকা ইনকাম
অনলাইন জগতে যার সার্চ র্যাংক যতবেশি ভালো হবে তার ভিজিটরও ততবেশি হবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটরের পরিমাণ বেশি হলে টাকা ইনকামও বেশি হবে। গুগলে ওয়েবসাইট ভালো র্যাংক করার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর কোনো বিকল্প নাই। বর্তমান সময়ে এসইও এর কাজের চাহিদা অনেক বেশি।
ভালোভাবে এসইও না করলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর আসবে না। এসইও হচ্ছে মূলত টেকনিক্যাল বিষয় তাই এটি শিখতে আপনার কিছুটা সময় বেশি লাগবে। কিন্ত হ্যাঁ এসইও শেখার পরে আপনার কাজের কোনো অভাব হবেনা। এসইও এর কাজ শিখে আপনি সহজেই প্রতিমাসে $500-$2000+ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এসইও তে যদি আপনি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি থেকে চাকুরির অফার পেতে পারেন। এই কাজ করার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। তবে ইংলিশে কথোপকথন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে গুগল, ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানি গুলোতে কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন অনেকেই কাজ করছে।
৬। অনলাইন টিউশন দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন
আজকাল বেশিরভাগ লোক অফলাইনের চেয়ে অনলাইন কোর্সগুলি নিতে পছন্দ করছে। এখন হয়তো আপনি বলবেন, এই অনলাইন কোর্স কি? এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে লোকেরা অর্থ ব্যয় করে তাদের পছন্দের কাজটি শিখতে পারে। ধরুন আপনার ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ আছে। তাই এটি শিখতে হলে আপনাকে একটি একাডেমিতে যোগ দিতে হবে।
এখন এটা সম্ভব নয় যে আপনি যা পড়তে চান বা শিখতে চান তা আপনার বাড়ির কাছাকাছি; এর জন্য আপনাকে বাইরেও যেতে হতে পারে। কিন্তু অনলাইন টিউটরিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে পছন্দসই কোর্সটি করতে পারেন।
কিভাবে অনলাইন টিউটরিং থেকে টাকা ইনকাম করা হয়ঃ আপনি ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট পাবেন, যেখানে লোকেরা তাদের অনলাইন কোর্স করে। Udemy আপনার জ্ঞান শেয়ার করার জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম। এখানে অ্যাকাউন্ট করে, আপনি ভিডিও এবং ডকুমেন্টের মাধ্যমে আপনার সম্পূর্ণ কোর্স আপলোড করতে পারেন।
তারপর আপনাকে সেই কোর্সের জন্য একটি মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যে কেউ আপনার কোর্সটি নিতে চান, তিনি যখনই এবং সেখানে উডেমির মাধ্যমে অর্থ প্রদান করবে তখন এটি পড়তে সক্ষম হবেন। Udemy কিছু কমিশন রেখে আপনাকে আপনার অর্থ প্রদান করবে।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশে
৭। ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার উপায়গুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম। ডিজিটাল কনটেন্ট এবং প্রডাক্টের জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাক্ট বিক্রির বড় একটি অংশ নির্ভর করে মার্কেটিং করার উপরে। এখন কথা হলো মার্কেটিং কি? মার্কেটিং হচ্ছে কোনো প্রোডাক্টকে গ্রাহক কিংবা ভোক্তার কাছে উপস্থাপন অথবা প্রচার করার একটি পদ্ধতি। যা দেখে গ্রাহকের বা ভোক্তার মনে প্রোডাক্টটা কেনার আগ্রহ জন্মে। এনালগ মার্কেটিং হচ্ছে ব্যানার কিংবা মাইকিং করে প্রোডাক্টের প্রচার।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রোডাক্টের প্রচার প্রসার করা। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বিশাল বিস্তৃত একটি বিষয়। ই-মেইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ছোটো একটি অংশমাত্র। এছাড়া আরোও আছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে রিসোর্স পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে বিনামূল্যে অনেক সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রোডাক্ট প্রচার করে ২ ভাবে ইনকাম করে থাকে। প্রোডাক্ট প্রতি কমিশন নিয়ে কিংবা প্রজেক্ট প্রতি মূল্য হিসাব করে। আমার দেখা একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রতিমাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। তাই অনলাইনে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং করে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং করে লাখ টাকা আয় করার জন্য আজ থেকেই শুরু করে দিন আপনার অনলাইন জার্নি।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
৮। ওয়েবসাইট বিক্রি করে টাকা ইনকাম
আপনি হয়তোবা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে একটি ভালোমানের ওয়েবসাইটের মূল্য লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। চাইলে আপনিও এরকম ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন এবং সেটি সচল কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রেখে অনেক বেশি দামে সেল করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট বানানো ফেসবুক একাউন্ট খোলার মতোই অনেক সহজ। যেকেউ চাইলেই খুবই সহজে একটি ওয়েবসাইট ওপেন করতে পারেন।
কিন্তু যে ওয়েবসাইটগুলো অনেক সহজেই বানানো যায়, সেগুলোর তেমন বেশি চাহিদা থাকেনা। তবে হ্যাঁ আপনার ওয়েবসাইটে যদি পরিমিত পরিমাণে ভিজিটর থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালো মূল্য পেতে পারেন। যে ওয়েবসাইট গুলো বেশি মূল্যে সেল হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে।
তাই যদি আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালোমানের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে কন্টেন্ট শেয়ার করে সাইটটি কোয়ালিটিফুল রেখে ওয়েবসাইটটিকে ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পারেন।
চাইলে আপনি ইউটিউব থেকে বিনামূল্যে ভিডিও দেখে কিংবা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইনের উপরে কোর্স করেও শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং। আবার অনেক সময় নতুন ওয়েব সাইটও সেল করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট বা বায়ার থাকে।
আর এই কাজের একটি ভালো দিক হচ্ছে আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনেও এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার। ওয়েবসাইটে নতুন গুগল এডসেন্স যুক্ত করে আপনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা সেল করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ বাংলাদেশ
৯। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমান সময়ে সারাবিশ্বের অনেক জনপ্রিয় একটি টাকা ইনকাম করার মাধ্যম। আমাদের দেশেও ধীরে ধীরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক সহজ একটি মাধ্যম অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার। কিন্ত হ্যাঁ সাধারণ মানুষের অনেকেরই এই বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকার কারণে এই কাজে তেমন কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনা। চলুন জেনে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টা মূলত কিঃ
সারাবিশ্বে লাখ লাখ ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। এসকল ওয়েবসাইটর ভেতরে অনেকগুলো আবার সারাবিশ্বেই প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসকল ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নামের একটি সেকশন যুক্ত আছে।
আপনি এই ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে অনেক সহজেই তাদের সদস্য হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
এখন ঐ নির্দিষ্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিবরণ সহ ঐ লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার সেখান থেকে ঐ লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্ত প্রোডাক্টের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না। প্রোডাক্টটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিংক থেকে।
তবে এই ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার এবং সুস্পষ্ট ধারনা থাকার দরকার হবে। এভাবে অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব হবে যদি আপনি ভালোমানের একটি কমিউনিটি গঠন করে ফেলতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমেও টাকা আয় করতে পারেন।
কাজটি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে অনেকগুলো একটিভ ইমেইল। যদি আপনি হাজার খানেক একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করতে পারেন, তাহলেই অনেক সহজে এখানে থেকে মোটা অংকের একটি টাকা আয় করে ফেলতে পারেন। বর্তমান সময়ে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই আপনি অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২২
১০। অনলাইন সার্ভে করে টাকা ইনকাম
বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা গ্রাহকের কাছে থেকে ফিডব্যাক নেয়ার জন্যে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। এমনকি অনেক দেশে রয়েছে যারা সরকারি ভাবে বিভিন্ন সার্ভে করে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনসাধারণ কতটা সন্তুষ্ট এটা সম্পর্কে জানার জন্যে সরকার এই ধরনের সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে হ্যাঁ বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশিরভাগ সময় অনলাইন সার্ভের ব্যাবস্থা করে থাকে।
এইসকল সার্ভে সাধারণত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসকল সার্ভে করে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা একটি সার্ভের জন্যে ১০০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। এইসকল সার্ভেগুলো নির্দিষ্ট একটি সাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
সার্ভে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই ঐ নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে একাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কাজ শুরু করার জন্যে প্রস্তুত। তবে হ্যাঁ প্রতিটি সার্ভেতেই কিন্ত আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধুমাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার একাউন্টে দেয়া তথ্যের সঙ্গে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন। সার্ভে করে আপনি প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।
আরো কিছু অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায় আলোচনা করার বাইরে অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো বলে শেষ করা যাবেনা। তাই উল্লেখিত কাজ ছাড়াও কিছু কাজের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো। ১১। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১২। অটোক্যাড ডিজাইন ১৩। সফটওয়্যার টেস্টিং ১৪। গেম টেস্টার ১৫। স্টক ফটোগ্রাফি ১৬। অনলাইন টিউশন ১৭। লোগো ডিজাইন ১৮। টি-শার্ট ডিজাইন ১৯। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ২০। ফেসবুক মার্কেটিং ২১। পডকাস্ট/Voice Over ২২। ওয়ার্ডপ্রেস ২৩। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ২৪। নেটওয়ার্ক ডিজাইন ২৫। হ্যা-কা-র / সিকিউরিটি এক্সপার্ট।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।