ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় — প্রিয় পাঠক আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায় বা ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় কি, তাহলে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাকে জানাবো কিভাবে ইউটিউব ভিডিওতে বেশি ভিউ পাওয়া যায়। কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করেছি এবং এটি সত্যিই কাজ করে। তো চলুন জেনে নিই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায়।
আরো পড়ুনঃ ইসলামিক ইউটিউব চ্যানেল নাম
সূচীপত্রঃ ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায়
আমরা বলছি না যে আপনি এই পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে আপনার ইউটিউব ভিডিও খুব দ্রুত ভাইরাল করবেন, তবে এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করে, আপনি ইউটিউব ভিডিওটিকে আরো এসইও এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলতে পারবেন, যার ফলে ইউটিউবে আপনার আপলোড করা ভিডিও গুলো সহজেই ভাইরাল হয়ে যাবে। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিন।
ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে বা ইউটিউব ভিডিওতে বেশি বেশি ভিউ আনতে, আমরা সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে উন্নত বিষয়গুলিতে ফোকাস করব। আপনি যদি এই ক্ষেত্রে নতুন হোন, অর্থাৎ আপনি কিছুদিন আগে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
তবে আপনি যদি আর্টিকেলে উল্লেখিত টিপস গুলি অনুসরণ করেন তবে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি খুব দ্রুত ভাইরাল হবে। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য বেশ কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। এই সকল নিয়মনীতি গুলো মেনে কাজ করলে আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং দরকারি নিয়মগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
১। ইউটিউব চ্যানেলের নাম ঠিক রাখুন
ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির নামটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যখন আপনি কোনো ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করবেন। তখন আপনি উক্ত ইউটিউব চ্যানেলটিতে কি কি বিষয়ের উপরে ভিডিও গুলো ধারাবাহিক ভাবে আপলোড করবেন। তার উপরে বিবেচনা করে আপনার চ্যানেলটির জন্য সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করতে হবে।
মনে করুন, আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে রিভিউ রিলেটেড ভিডিও শেয়ার করেন। কিন্ত আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির নাম দিয়েছেন লাইফস্টাইল সম্পর্কিত। সেক্ষেত্রে কিন্ত আপনার চ্যানেলটির ভিডিও তেমনভাবে ভাইরাল হবেনা। তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওগুলো যদি রিভিউ রিলেটেড হয়।
তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির নাম রিভিউ সম্পর্কিত নাম দিতে হবে। যার কারণে আপনার চ্যানেলটির নাম সকলেই খুবই মনে রাখতে পারবে। আর হ্যাঁ অবশ্যই চ্যানেলটির নাম খুবই সুন্দর এবং মানসম্মত রাখবেন। যেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির নাম উচ্চারণ করতে আপনার ভিউয়ারদের কোনো অসুবিধা না হয়।
আর হ্যাঁ! আরেকটা কথা একেবারে না বললেই না। তাহলো আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নাম নির্বাচন করবেন। তখন আপনি চেষ্টা করবেন যেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নির্বাচন করা নামটি অবশ্যই অন্যদের থেকে আলাদা হয়। আমাদের মাঝে এমন অনেক চালাক ব্যক্তি রয়েছেন যারা অন্য কোনো জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের যে নাম দেওয়া থাকে।
ঠিক একইভাবে তার চ্যানলটিতেও ঐ একই নাম দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত হ্যাঁ এটা মারাত্মক বড় ধরনের ভুল। কারণ, যদি কেউ এই ধরনের কাজটি করে। তবে যখনি ভিউয়াররা আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির নাম লিখে সার্চ করবে তখন ঐ জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলটি আগে শো করবে। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটির কোনো হদিস থাকবে না অর্থাৎ খুঁজে পাবে না। তাই আপনার এই ভুলটি জেনে বুঝে কখনই করা উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল
২। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে আকর্ষণীয় থাম্বেল ব্যবহার
ইউটিউবে ঢুকলেই আমরা হাজার হাজার ভিডিও দেখতে পাই। কিন্ত ইউটিউবে যেসকল ভিডিওর থাম্বেল অর্থাৎ যেসকল ভিডিওর পোস্টার গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। সে সকল ভিডিও গুলোতে বেশি বেশি ক্লিক করতে মন চায়।
ঠিক তেমনি ভাবে যদি আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান তাহলে তাদের মতো করে আপনি আপনার ভিডিওগুলোতে আকর্ষণীয় ও চমৎকার কিংবা সুন্দর ভাবে থাম্বেল ডিজাইন করুন। মোট কথা ইউটিউবে কোনো ভিডিও ভাইরাল করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই চমৎকার এবং আকর্ষণীয় থাম্বেল ব্যবহার করতে হবে।
একটি সুন্দর থাম্বেল ভিডিও ভাইরাল করতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। যদি আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউবের জন্য সুন্দর থাম্বেল বানাতে না পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে পিক্সেল অ্যাপের সাহায্যে মোবাইল দিয়েও আকর্ষণীয় ও চমৎকার থাম্বেল ডিজাইন করতে পারেন। আর যদি ডেক্সটপ, ল্যাপটপ দিয়ে ডিজাইন করতে পারেন তাহলে তো কোনো কথাই নেই। যদি আপনার ভিডিওর থাম্বনেলটিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় যাতে বেশি বেশি মানুষ আপনার ভিডিওতে ক্লিক করে, তাহলে আপনার YouTube ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন
আপনি যদি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে ইউটিউবে আপনার বানানো ভিডিও গুলোকে ভাইরাল করতে চান। তবে আপনাকে কিন্ত এই সেক্টরে অনেক বেশি সিরিয়াস হতে হবে। আর আপনি যদি ইউটিউবকে সিরিয়াস ভাবে না নিতে পারেন। তবে কিন্ত আপনার ইউটিউব থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
প্রিয় পাঠক ইউটিউবকে সিরিয়াস ভাবে নেওয়া বলতে এখানে আমি বলতে চেয়েছি যে, আপনাকে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য প্রতিনয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একজন মানুষ তার শখের বসে নতুন একটি ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করে। তারপর সেখানে আবেগের বশে টানা কিছুদিন ভিডিও আপলোড করতে থাকে।
একটানা কিছুদিন ভিডিও আপলোড করার কয়েক দিন যাওয়ার পরে আবার তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়না। কিন্ত হ্যাঁ এই বদভ্যাসটি যদি আপনার মাঝে বিদ্যামান থাকে। তবে আমি আপনাকে বলবো আজ থেকে ইউটিউবকে সিরিয়াস ভাবে নেয়ার চেষ্টা করুন যদি আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান। আর নির্দিষ্ট একটা সময়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিতে ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথে আপনার শখের ইউটিউব চ্যানেলটিকে আপডেট রাখার চেষ্টা করুন।
জেনে রাখা ভালোঃ প্রিয় পাঠক মনে রাখবেন যখনি আপনি আপনার শখের ইউটিউব চ্যানেলটিতে যে সময় মেইনটেইন করে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করবেন। ঠিক একই সময় অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে পরবর্তী ভিডিও গুলো আপলোড করা চালিয়ে যাবেন। যেমনঃ যদি আপনি আপনার চ্যানেলটিতে ১৫ দিনে ১টি ভিডিও আপলোড করেন। তাহলে চেষ্টা করবেন প্রতি ১৫ দিনে ১টি করে ভিডিও আপলোড দেয়ার। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার ভিউয়াররা সহজেই বুঝতে এবং আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হবে সহজেই।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে
৪। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে ভিডিও টাইটেল ঠিক রাখুন
যদি আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার ভিডিওতে খুব সুন্দর সুন্দর শিরোনাম বা টাইটেল খুঁজে বাহির করতে হবে। সঠিকভাবে টাইটেল লিখতে, আপনাকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে বা যেকোনো টুলের সাহায্যে টাইটেল নির্বাচন করতে হবে।
আপনার ইউটিউব ভিডিও টাইটেল ঠিকঠাক না রাখলে কেউ আপনার ভিডিওটি খুঁজে পাবেনা। তাই অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ভিডিও সম্পর্কিত টাইটেল যুক্ত করুন। অর্থাৎ ভিডিওর টাইটেল দিতে হবে, আপনি যে ক্যাটাগরিতে ভিডিও তৈরি করছেন সেই রিলেটেড ভিডিও টাইটেল দেয়ার।
ধরুন আপনার বানানো ভিডিওটি যদি হয় খেলাধুলা রিলেটেড। তাহলে আপনি সেখানে খেলাধুলা রিলেটেড শিরোনাম ব্যবহার করুন। কিন্ত হ্যাঁ আপনি যদি খেলাধুলা রিলেটেড ভিডিওটিতে মান্না, শাকিব খান, ওমর সানি, জায়েদ খান সম্পর্কিত টাইটেল ব্যবহার করেন। তবে কিন্ত আপনার ইউটিউব ভিডিও কখনোই ভাইরাল হবেনা। তাই এই বিষয়ে ভালোভাবে লক্ষ রাখবেন।
ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চাইলে আপনাকে আকর্ষণীয় কিছু ভিডিওর মধ্যে টাইটেল দিতে হবে। যাতে করে আপনার ভিডিওটির টাইটেল দেখেই ভিউয়াররা ভিডিওটা দেখার ইচ্ছা পোষণ করে। এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর ভিডিও ভাইরাল করার জন্য। তাই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য অবশ্যই ভিডিও রিলেটেড টাইটেল ব্যবহার করুন। আপনি যদি YOUTUBE VIDEO VIRAL করতে চান তাহলে ভিডিওর সময় কমপক্ষে 4 মিনিট বা তার বেশি রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায়
৫। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে ডেসক্রিপশন লিখুন
ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য টাইটেলের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাহচ্ছে ডিসক্রিপশন। অর্থাৎ ভিডিও টাইটেলের পরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো ডেসক্রিপশন লেখা বা ডিসক্রিপশন সাজানো। আপনি ইউটিউব ভিডিওটি যে বিষয় রিলেটেড তৈরি করবেন সেই বিষয়ের উপরে আপনাকে ডিসক্রিপশন লিখতে হবে।
আপনি যদি ডিসক্রিপশন ফাঁকা রাখেন তবে এটি করার কারণে আপনার ভিডিওটিতে নেগেটিভ ইফেক্ট পরবে। অনেক ইউটিউবার আছেন যারা তাদের ভিডিওতে ডেসক্রিপশন ব্যবহার করেনা। কিন্ত আপনি অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ভিডিও সম্পর্কিত কিছু লিখবেন ডিসক্রিপশনে। ডিসক্রিপশনে আপনি ভিডিও সম্পর্কিত বিবরণ, ভিডিও রিলেটেড কিছু হ্যাশট্যাগ ছাড়াও আপনার পরিচয়, বিভিন্ন ভিডিওর লিংক, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া লিংক ইত্যাদি লিখতে পারেন।
এটা খুবই কার্যকর পদ্ধতি ভিডিও ভাইরাল করার জন্য ডিসক্রিপশনে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করা। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য ডিসক্রিপশনে আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলোর প্লেলিস্টের লিংক শেয়ার করতে পারেন পাশাপাশি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জনপ্রিয় কয়েকটি ভিডিওর লিংক শেয়ার করতে পারেন।
এই কাজটি করলে আমি মনে করি কোনো ভিডিও ভাইরাল করার জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। কোনো সময় আপনার ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশন ফাঁকা রাখবেন না সবসময় চেষ্টা করবেন ভিডিও ডিসক্রিপশনে বেশি বেশি তথ্য এবং কিওয়ার্ড যুক্ত করার। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করা যায় আপনার ইউটিউব ভাইরাল হতে অনেক কাজে দিবে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব কেন অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়?
৬। ট্যাগ ব্যবহার করুন
যখন আমি কিছুদিন পূর্বে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতাম এবং ভিডিও আপলোড করতাম তখন কোনো ট্যাগ ব্যবহার করতাম না। কিন্ত বর্তমানে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার পেছনে ট্যাগের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চাইলে ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করুন। আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ভাইরাল করার জন্য। তবে হ্যাঁ অতিরিক্ত পরিমাণে ট্যাগ কখনো ব্যবহার করবেন না।
আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ট্যাগ ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়া তো দূরে থাক। ইউটিউব আপনার ভিডিওকে আরো ডাউন করে দিবে। তাই অতিরক্ত ট্যাগ ব্যবহার করবেন না যেটা আপনার ভিডিওর ক্ষতি হতে পারে। প্রিয় পাঠক অবশ্যই ট্যাগ ব্যবহার করার সময়ে এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। প্রিয় পাঠক ভিডিও ভাইরাল করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিডিওতে ট্যাগের ব্যবহার।
৭। কনটেন্ট কোয়ালিটি
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটির সুন্দর নাম রয়েছে, এবং আপনি অনেক ভালো একটি থাম্বেল এবং ট্যাগ ব্যবহার করলেন। এখন এগুলো ব্যবহার করার কারণে আপনার ভিডিওটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে ঠিকই কিন্তু আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি অনেক বাজে। যদি আপনার ভিডিও কোয়ালিটি খারাপ হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিও তেমন ভাবে ভাইরাল হবেনা। কারণ ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার মূল মন্ত্র বলা হয়ে থাকে কনটেন্ট কোয়ালিটিকে।
আপনার চ্যানেলের ভিডিও কোয়ালিটি যদি ভালো না হয়। তাহলে একজন ইউজার কখনো পরবর্তীতে আপনার চ্যানেলে আসবে না এবং চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে না। আর হ্যাঁ যদি আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো থাকে। তবে একজন ইউজার আপনার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবে এবং বেল আইকো চালু করে রাখবে।
তাই হ্যাঁ ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য অবশ্যই আপনার ভিডিও কোয়ালিটির উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে অন্যরা যেসকল আলোচনা করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্যবহুল শব্দ আপনার আলোচনায় তুলে ধরার। যদি এই নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হতে আর বেশী সময় লাগবে না।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম
৮। সুন্দরভাবে ভিডিও এডিটিং করা
আমার নিজের দেখা এমন অনেক ইউটিউবার আছেন, যারা শুধুমাত্র হাতে থাকা একটি স্মার্টফোন দিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করছে। তাদের এই প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করার পিছনে আমি একটি একমাত্র বিষয়কে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি তা হচ্ছে ভিডিও এডিটিং।
আপনি যদি ভালোমানের কোনো ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করেন কিন্ত যদি আপনি ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে না পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনার তৈরি করা ভিডিওটি ভিউয়াররা দেখবে না। আবার অনেকেই আছেন যারা হাতে থাকা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি করে কিন্ত তাদের ভিডিও কোয়ালিটি অনেক সুন্দর হয়। তাদের এই ভিডিও সুন্দর হওয়ার পিছনের আসল রহস্য হলো এডিটিং।
ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে অনেক সুন্দরভাবে ভিডিও এডিটিং করতে হবে। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় গুলোর মাঝে ভিডিও এডিটিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ভিডিও এডিটিং ভালো ভাবে করতে না পারেন। তবে ইউটিউবে এমন হাজার হাজার ভিডিও এডিটিং এর কোর্স রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজে ভিডিও এডিটিংয়ে ভালো হতে পারবেন। আর যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ভালোমানের কোর্স করতে চান তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে পারেন।
৯। অডিও কোয়ালিটি ঠিক রাখুন
একটি ভিডিওর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উক্ত ভিডিওতে থাকা অডিও। কেননা কোনো একটি ভিডিও দর্শকরা তখনি দেখবে যখন আপনার বানানো ভিডিওর অডিও কোয়ালিটি শুনতে অনেক শ্রুতিমধুর লাগবে। কিন্ত হ্যাঁ আমাদের মাঝে যারা নতুন ইউটিউবার আছেন তারা এই বিষয়টিকে কিন্ত তেমন ভাবে কোনো গুরুত্ব দেয়না।
আর হ্যাঁ এই কথাটি শুধুমাত্র আমার না বরং এটা কিন্ত প্রতিটি সফল বা অভিজ্ঞ ইউটিউবাররাই বলে থাকে। যে ভিডিওটি সুন্দর করার পাশাপাশি যেন উক্ত ভিডিওতে থাকা অডিও কোয়ালিটি অনেক বেশি মানসম্মত হয়। তাই ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য এটা বাধ্যতামূলক যে, আপনার ভিডিওতে থাকা অডিও কোয়ালিটি যেন মানসম্পন্ন ও সুন্দর হয়।
ভিডিওর অডিও কোয়ালিটি ঠিক রাখার জন্য যখন আপনি অডিও রেকর্ড করবেন। তখন সবসময় নয়েজ ফ্রি জায়গাতে অডিও রেকর্ড করার চেষ্টা করবেন। আর যদি সম্ভবপর হয়, তবে অবশ্যই আপনি ভালোমানের মাইক্রোফোন ইউজ করবেন। ভালোমানের মাইক্রোফোন ব্যবহার করার কারণে আপনার সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক সুন্দর এবং মানসম্মত হবে।
১০। ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ভাইরাল করতে চান তাহলে আপনাকে ডুপ্লিকেট/কপি-রাইট ভিডিও ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকে হবে, আর যদি এমনটি করেন তবে এতে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে না, এবং আপনার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আপনাকে কপিরাইট ফ্রি মিউজিক এবং ছবি ব্যবহার করতে হবে।
আপনি Youtube লাইব্রেরি থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নিতে পারেন এবং ছবির জন্য Pixabay বা Pixel ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি সত্যিই আপনার ভিডিও ভাইরাল করতে চান, তাহলে আপনি কখনোই অন্য কারো ভিডিও কপি করবেন না।
১১। হাই কোয়ালিটি ভিডিও করে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল
আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান তবে আপনাকে আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি উন্নত করতে হবে। আপনার ভিডিওটি সম্পূর্ণ এইচডি ফরম্যাটে রেকর্ড করা উচিত এবং ভিডিওটি শুধুমাত্র ফুল এইচডি ফরম্যাটে আপলোড করা উচিত। আপনি ভিডিওতে যা বলছেন তা যদি ভালো হয় এবং ভিডিওটি কোয়ালিটিফুল হয় তবে আপনার ইউটিউব ভিডিও অবশ্যই ভাইরাল হবে।
১২। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার
আমাদের মাঝে বেশিরভাগ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে অনেক ভালোবাসি। এক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো যেমন ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সহ আরো সাইটে শেয়ার করতে পারেন।
তবে সেক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকবেশি পরিমাণে থাকে। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য আপনাকে ফেসবুকে আপনার ভিডিও গুলোকে বেশি বেশি শেয়ার করতে হবে। এছাড়াও আপনি আপনার ভিডিও সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে এবং পেজে শেয়ার করতে পারেন।
শেষ কথা - ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায়
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ছিলো ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় নিয়ে। আশা করি আপনি কিভাবে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করবেন এবং কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করবেন তা জেনে গেছেন। উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা ব্যতীত আরো বেশ কিছু উপায় রয়েছে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার।
আপনি যদি শুরুতে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেন, এবং ভিডিও ভাইরাল করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ১০০ জন সাবস্ক্রাইবার যোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে কমপক্ষে ৩০টি ভিডিও রাখতে হবে। এরপরে উপরোক্ত নিয়ম মেনে পোস্ট করলে আশা করা যায় আপনার ইউটিউব ভিডিও অবশ্যই ভাইরাল হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে পারবেন।
আমরা এই পোস্টে আপনাকে বলেছি কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা যায়, ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সহজ উপায়। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য চেষ্টা করবো। ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।