ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

হাসিবুর
লিখেছেন -

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি - বর্তমান প্রজন্মে কমবেশি সকলেরই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার আগ্রহ লক্ষনীয়। বিশেষ করে, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে নতুনদের জন্য একটি উদ্বেগ রয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকতে পারে।

নিজের কাজের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলে, ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে প্রচুর আয় করছেন এরকম উহদারণ শতশত। অনলাইন মার্কেটপ্লেস হোক কিংবা মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আজকাল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেরকম চাহিদা সম্পূর্ণ বিপুল পরিমাণ কাজ দেখা যায়। সেই কাজগুলো আপনি ঘরে বসে অনায়াসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

সূচীপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং ভবিষ্যতে কোনটি চাহিদা বৃদ্ধি বাড়বে তা নির্ধারণ করে নিজেকে দক্ষ করে তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করি।

আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা থাকে, এতো দিনে নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ দেখেছেন। তন্মধ্যে, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব প্রগ্রামিং, কপিরাইটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি কাজের ন্যায় আরো অসংখ্য কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসগুলোতে যাদের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। 

শ্রেণীবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি চাহিদা সম্পূর্ণ কাজের কথা তুলে ধরবো। আশা করি পরবর্তীতে, ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি? কোন কাজটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করলে ভবিষ্যতে বসে থাকতে হবে না? এরকম প্রশ্ন আর কখনো মাথায় আসবে না।

১। ওয়েব ডিজাইনার/ওয়েব ডেভেলপার

প্রথমত, একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ হচ্ছে ক্লাইন্টের শর্ত মোতাবেক কিংবা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ওয়েবসাইট ডিজাইন করা। বর্তমান সময়ে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি অথবা ব্যক্তি নিজের ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ খোলার জন্য ওয়েব ডিজাইনারের শরণাপন্ন হন। 

২০২২ এর ফ্রিল্যান্সিং বাজারে ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদা একেবারে তুঙ্গে বা চূড়ায়। ডিজিটাল ভাবে নিজেদের ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মধ্যে দিয়ে আলাদা একটি পরিচিতি লাভ করে। নিজস্ব ব্রান্ডিং অর্জন সম্ভব হয়। সে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

২। গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যতীত লোকাল ভাবেও গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বলতে গেলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন অত্যন্ত চাহিদা সম্পূর্ণ একটি কাজ। ডিজিটাল যুগে এসে যদি টার্গেট করা কাস্টমার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভবই না হয়, তবে ডিজিটালি কোন উদ্যোগ নেওয়া বেকার বলে গণ্য হয়। ডিজিটাল যেকোনো উদ্যোগ ফুটিয়ে তুলতে, দৃষ্টিনন্দন করতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিকল্প নেই। মূলত ব্যানার ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, টাইপোগ্রাফি, কালারস, লোগো ইত্যাদি গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে।

৩। কপিরাইটিং

কপি রাইটিং এর চাহিদা বেশি থাকার কারণ, কপি রাইটারের সৃজনশীল লেখা, যা পাঠককে আকৃষ্ট করে। মূলত, কপিরাইটিং যেকোনো বিষয়ে হতে পারে এবং কপিরাইটিং কন্টেন্ট পাঠককে এমন ভাবে আকৃষ্ট করে বাধ্য হয়ে ক্লিক করতে হয়। দিন দিন কপি রাইটারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। আপনি চাইলে কপিরাইটিং কাজটি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

৪। সফটওয়্যার ডেভেলপার

একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাহিদা তাদের কাজের মতোই বৈচিত্র হয়। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করা থেকে শুরু করে, প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম ডেভেলপ করা, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করা, ফ্লোচার্ট, ডায়াগ্রাম, কোড কমেন্ট বানানো ও কোড ক্লিয়ার করা, ওয়েবসাইট কোডিং ও প্রোগ্রামিং সহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের কাছে রয়েছে। এইরকম নানাবিধ সমস্যা দূর করতেই সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাহিদা এতো।

৫। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের চাহিদার কথা না বললেই নয়। আমরা যত ডিজিটাল হচ্ছি, আমাদের জীবনের প্রতিটা কাজেই পরিবর্তন আসছে। এখনকার সময় নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম দেখাশুনা, বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফলোয়ারদের রিপ্লে থেকে শুরু করে পোস্ট করা, ছোট খাটো ডিজাইন যাবতীয় কাজের জন্য বিদেশি ক্লায়েন্টরা প্রচুর টাকা ব্যায় করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে এই কাজের চাহিদা প্রত্যহ বেড়েই চলেছে।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়

৬। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বলতে গেলে,' সোশ্যাল মিডয়া মার্কেটিং' এর কথা বাদ পরা যাবে না। যে অনুপাতে মার্কেটিং এর গুণগান বাড়ছে, সোশ্যাল মিডিয়া জুরে এই মার্কেটিং এর কার্জক্রম চোখে পড়ার মতো। দিন যতো অগ্রসর হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাহিদা ততই বাড়বে।

৭। কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং হচ্ছে মূলত ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যারা কনটেন্ট রাইটার আছেন তারা অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার পাশাপাশি ওয়েবসাইট বানিয়ে ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারে। যেমনঃ গুগল এডসেন্স, স্পন্সর পোস্ট ইত্যাদি।

একজন ভালোমানের কনটেন্ট রাইটার অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারে প্রতি ঘন্টায়। এছাড়াও আর্টিকেল রাইটার লোকাল সার্ভিস প্রদান করেও অনেক টাকা আয় করেন। উদাহরণ হিসেবে আমি আপনাকে লিন্ডা ফর্মিকেলি এর কথা বলতে পারি। লিন্ডা ফর্মিকেলি হচ্ছেন একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার, তিনি প্রতি ১ ঘন্টায় $250 আয় করে থাকেন।

৮। এসইও এক্সপার্ট

একজন এসইও এক্সপার্ট অনলাইন থেকে যে কত রকম ভাবে আয় করতে পারে সেটা বলে শেষ করা যাবেনা। যেহেতু একজন এসইও এক্সপার্ট হতে অনেক বেশি ধৈর্য্য এবং দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার প্রয়োজন হয়, সেহেতু একজন এসইও এক্সপার্টের ডিমান্ড অনলাইনে অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশি। আর একজন এসইও এক্সপার্টের ডিমান্ড অন্যান্য কাজের তুলনায় হবেই না বা কেন, কারণ এসইও এর কাজ অন্যান্য অনলাইন কাজের থেকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।

যদি আপনি আপওয়ার্কে টপ এসইও এক্সপার্ট এবং ফাইভারে এসইও এক্সপার্টের প্রোফাইল ভিজিট করেন তবে আপনি দেখতে পারবেন তাদের প্রতি ঘন্টায় কাজ করার রেট হচ্ছে $100 ডলারের বেশি। যদি আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার পাশাপাশি নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বলতে গেলে আপনি এসইও এক্সপার্টকেও ধরতে পারেন।

৯। ডিজিটাল মার্কেটার

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বৃদ্ধি করা। আর এই কাজ করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। যদি একজন ফ্রিল্যান্সার আমার কাছে থেকে জানতে চায় ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি, তবে আমি সেখান থেকে বলতে পারি অল্প কষ্টে মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সেরা একটি অপশন। 

জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক এর তথ্য অনুসারে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের প্রতি ঘন্টায় আয় হয় ১৫ থেকে ৪৫ ডলার। ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় কাজগুলো হচ্ছে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), ই-মেইল মার্কেটিং, ব্লগিং, স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।

৯। ভিডিও এডিটর

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভিডিও এডিটিং এর ওপরে অনেক কাজ পাওয়া যায়। আর ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি হতে চলছে। এখনকার সময়ে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। 

আমার দেখা অনেকেই আছেন যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে প্রতিমাসে অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে ১ থেকে ২ লাখা টাকা বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণে ইনকাম করছে। এছাড়াও যদি আপনাকে আরেকটি উদাহরণ দিয়ে বলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিল্যান্স অভিজ্ঞ ভিডিও এডিটররা প্রতি বছর প্রায় $122,000 ডলার পরিমাণে ইনকাম করেন।

উপরোক্ত কাজের চাহিদা একবার অনুমান করা গেলে সহজেই বোঝা যাবে যে, ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি। এখন হয়তো আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, কোন কাজটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো?

কোন কাজটি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো

কোন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে। আপনার ব্যাক্তিগত চিন্তাধারা, কোন কাজটি সহজেই করতেই পারবেন ইত্যাদি তো আমার পক্ষে বুঝা সম্ভব না। তবে আপনার চাহিদা অনুযায়ী, উপরে উল্লেখিত,'ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তালিকার যেকোনো একটি কাজে আপনার দক্ষতা বাড়ালে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। 

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের আয় বেশি

ফ্রিল্যান্সিং জগতে সব কাজের সমান চাহিদা যেমন থাকে না ঠিক সেরকম সব কাজের আয়ের ও তারতম্য রয়েছে। উপরে আলোচনা করা, ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তালিকার মধ্য থেকে কপিরাইটিং, এসইও এক্সপার্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপার, ভিডিও এডিটিং কে বেশি প্রাধান্য দিবো। এই কাজটিতে আয় প্রচুর। তারপর আসে ওয়েব ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি কাজের আয়। এসব কাজের আয় ও অনেক।

আর্টিকেলের বিষয়ঃ ফ্রিল্যান্সিং কি , ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে , ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ,  ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল , ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো , ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি , ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ , ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি , ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি , ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন , 

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এই কথাটা বললে ভুল হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আপনার নির্বাচন করা যেকোন কাজটি দক্ষতার সহিত অর্জন করতে পারলেই সে কাজটার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। পরিশেষে বলবো, হাতে সময় ধরে ধৈর্য সহকারে কাজ শিখুন এবং স্কিল ডেভেলপ করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা অর্থাৎ বাধাহীন ভাবে নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় থেকে অন্য কারো আদেশ ব্যতীত সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেতে করা কোনো কাজ।

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা স্বাধীন কাজ। যা হলো আপনার ইচ্ছা স্বাধীন অনুযায়ী নিজের কাজ সম্পূর্ণ করা।আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে অনুযায়ী আপনার যেকোন জায়গায় বসেই তার কাজটি সম্পূর্ণভাবে করা, তাই হল ফ্রিল্যান্সিং। যদি আমরা এক কথাই বলি, বর্তমানে আপনার ইচ্ছা এবং স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করার নামই হলো ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

ফ্রিল্যান্সিংটাই মূলত একটা প্রকার। এটার আরো প্রকারভেদ করাটা মুশকিল। তবে সাধারণভাবে ফ্রিল্যান্সিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ১ঃ অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ২ঃ অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

ধৈর্য, কাজের দক্ষতা, কাজে লাগানোর মত সময়, কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ বা মডেম ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় আপনাকে তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। প্রথমত পছন্দের কাজ নির্ধারণ, দ্বিতীয়ত সেই কাজের উপর নিজের আয়ত্ত্ব নিয়ে আসা, এক কথায় এক্সপার্ট হতে হবে এবং তৃতীয়ত ক্লায়েন্ট ডিলিং শেখা।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আমরা এখন জানবো ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি।ফ্রিল্যান্সিংকে অসংখ্য কাজ রয়েছে যার একটি শিখেই আপনি নিজের ক্যারিয়ারকে একটি ভালো পর্যায়ে নিতে পারেন। তবে প্রতিটি কাজ আপনাকে অনলাইনে করতে হবে। এবং ক্লায়েন্টকে অনলাইনে কাজের রিপোর্ট দিতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

ফ্রিল্যান্সিং অবশ্যই হালাল। কারণ এটি একটি ব্যবসা। মহান আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। শরীয়তের ভেতরে থেকে আপনি যেভাবেই অর্থ উপার্জন করেন তা আপনার জন্য হালাল। জীবনে আপনি অর্থ উপার্জনের যেকোনো পথ বেছে নিন না কেনো সকল পথেই হালাল এবং হারাম দুই প্রক্রিয়াই রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর বেপারটাও ঠিক তেমনই। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সেক্টরে প্রথমেই টাকার চিন্তা না করে ধৈর্য ধারন করে ভালো ভাবে কাজ শিখে সৎভাবে মানুষের সাথে কাজ করলে অবশ্যই সেটি হালাল হবে। আর অপরদিকে যদি অতিরিক্ত টাকা আয়ের আশায় অসৎ পথ অবলম্বন করেন বা মানুষের ক্ষতি করে কাজ করেন তাহলে সেটি অবশ্যই হারাম হবে।

কম শিক্ষিত মানুষ কি ফ্রিল্যান্সার হতে পারে এবং কিভাবে?

হ্যাঁ, এটা এমন কোনো চাকরি নয় যেখানে আপনার ডিগ্রি দেখা হবে। বরং এটা ফ্রিল্যান্সিং, এখানে শুধু আপনার কাজ (দক্ষতা) দেখা হয়। তাই আপনার যদি কোন দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি হতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার। এর জন্য খুব শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জল। এবং এর সম্ভবনা দিন দিন বাড়ছে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!