বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন — আপনি কি একটি বাইক কেনার কথা ভাবছেন? আপনি আপনার অন্য একটি শখের বাইক কিনতে চাচ্ছেন, কিন্তু আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকার কারণে পছন্দের বাইক ক্রয় করতে পারছন না। তবে, আপনি আজকের এই বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন আর্টিকেল পড়তে পারেন, কারণ আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন কিভাবে নিবেন।
কিভাবে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনি আপনার পছন্দের বাইকটি কিনবেন। সকল কিছু জানানো হবে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেল-টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। চলুন তাহলে বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিইঃ
আরো পড়ুনঃ বাইক কেনার আগে জেনে নিন
সূচীপত্রঃ বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন
বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন ২০২২
বর্তমানে বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন দিচ্ছে অনেক ব্যাংক যার মধ্য অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে সিটি ব্যাংক। এছাড়াও পরিচিত ব্যাংক গুলো হচ্ছে সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক ছাড়াও আরও অন্যন্য ব্যাংক শখের বাইক কেনার জন্য লোন দিয়ে থাকে। একজন বাইক ক্রেতা মোটরসাইকেল মূল্যের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত লোনের সুবিধা পেতে পারেন। এবং এই বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন পরিশোধের জন্য ২৪ মাস পর্যন্ত কিস্তি সুবিধা পাবেন।
মানুষ এখন স্বল্প দামের মধ্য তাদের পছন্দ বাইক কিনতে চায়, কিন্তু তার প্রয়োজনীয় টাকা না থাকা্র কারণে সে তার বাইক ক্রয় করতে পারে না। তাই বিভিন্ন ব্যংক বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন এই সেবাটি চালু করেছে।
বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোনের পরিমাণ কত
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক লোন নেওয়া যেতে পারে। এখানে ফিক্সড ডিপোজিট এবং এফডিআর আর এ লোন না নিলে যদি এর বিপরীতে নিতে চান তাহলে সিটি ব্যাংক অথবা অন্যন্য ব্যাংক থেকে। আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকা বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিতে চান তাহলে আপনার মাসিক ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় থাকতে হবে।
আর আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী অথবা প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মাসিক ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা মাসিক আয় থাকতে হবে তাহলেই আপনি বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন পেতে পারেন।
কোন কোন ব্যাংক বাইক কেনার জন্য লোন দিয়ে থাকে
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাইক কেনার জন্য লোন দিচ্ছে তার মধ্য অন্যতম ব্যাংকগুলো হচ্ছেঃ ১। সিটি ব্যাংক ২। প্রাইম ব্যাংক ৩। ডাচ বাংলা ব্যাংক ৪। ব্রাক ব্যাংক ৫। ইস্টার্ন ব্যাংক
কারা বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিতে পারবে
- এক্সিকিউটিভ
- সেলফ ইমপ্লোয়েড প্রোফেশনাল
- ব্যবসায়ী
- জমির মালিক
- প্রবাসী
- রাইড শেয়ারিং সার্ভিস
- ফ্রিল্যান্সার
বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নেওয়ার সুবিধা
আপনি বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিলে যে ধরনের সুবিধাগুলো পেতে পারেন সেগুলো আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করছি।
১। ১২ মাস থেকে ৩৬ মাসের সুবিধাজনক কিস্তি ২। সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোনের সুবিধা ৩। মহিলাদের জন্য বাইকের মোট মূল্যের ৯০% পর্যন্ত লোন সুবিধা ৪। বাইকের মোট মূল্যের ৮০% পর্যন্ত লোন সুবিধা ৫। ঝামেলাবিহীন ও দ্রুত সময়ে লোন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। লোন প্রসেসিং ফি ১% এবং নারীদের জন্য ফি ০.৫০%।
বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিতে কি কি কাগজ পত্র লাগবে
বাইক কেনার জন্য ব্যাংকে লোন পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যদি আপনি আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেন তাহলে আপনার বাইক কেনার লোন পেতে কোন প্রকার ঝামেলা হবে না। কি কি কাগজপত্র যোগাড় করতে হবে তা আপনার জেনে নিন। আমরা চেষ্টা করব প্রত্যক ব্যাংকে যেসব ডকুমেন্ট লাগে সেসব আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
(১) ব্যক্তিগত ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২) জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (৩) ই-টিন (৪) বিজনেস কার্ড বা অফিস আইডি (৫) ব্যক্তিগত গ্যারান্টার (৬) রেফারেন্স (৭) ইউটিলিটি বিল কপি (৮) বাইকের উদ্ধৃতি (৯) নিরাপত্তা চেক (যেকোনো ব্যাংক) হলে হবে (১০) বেতন সার্টিফিকেট/LOI/পে স্লিপ (১১) ৬ মাস ব্যাংক স্টেটমেন্ট (১২) বাসার বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি ১ কপি (১৩) ড্রাইভিং লাইসেন্স (১৪) চেয়ারম্যান কতৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র
বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোনের আবেদনের নিয়ম
বাইক লোনের জন্য উপরে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার নিকটস্থ আপনার পছন্দমত যেকোনো ব্যাংক এর শাখার লোন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপর আপনাকে বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোনের আবেদন নিশ্চায়ন করবে।
শেষ কথাঃ বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিয়ে
পরিশেষে আমি কিছু কথা বলতে চাচ্ছি, আজকের আলোচনায় আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বাইক কেনার জন্য ব্যাংক লোন লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ