ইউনিক বিজনেস আইডিয়া ২০২৪ - বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। কেউ চাকরি পাচ্ছে না আবার কেউ পুজির অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। অনেকেই আবার বিজনেস শুরু করে তেমন সফলতা অর্জন করতে পাচ্ছেন না। এছাড়াও অনেক ছাত্রছাত্রী আছে, যারা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতে চায়। যা দিয়ে তারা নিজেদের খরচ নিজেরা বহন করতে পারে। তাই আমাদের মাথায় প্রায় সময় এই ধারণাটা আসে। তা হল বিনা পুঁজিতে অথবা স্বল্প পুঁজিতে এমন কিছু ইউনিক ব্যবসা করার চিন্তা।
আপনিও যদি এমন কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া খুঁজেন? তবে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম! আপনার একান্ত সহযোগিতার জন্য এই পোস্টের মাধ্যমে বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে এই লেখাটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন:
(toc) #title=(এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা পড়ুন)
ইউনিক বিজনেস আইডিয়া
আজকাল চাকরি বলেন বা ব্যবসা, সবকিছুতেই প্রতিযোগিতা বেশি। একটি চাকরি যেমন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও পাওয়া যায় না। তেমনি বিজনেস শুরু করে সফলতা এত সহজে লাভ করা যায় না। মার্কেটে গেলে দেখা যায়, অনেকেই ঠিক এক ধরনের বিজনেস নিয়ে আছে।
নতুন করে যদি আবার কেউ একই বিজনেস শুরু করে তাহলে সফলতা আসতে দীর্ঘ কয়েক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কেউ কেউ আবার মাঝ পথেই হাল ছেড়ে চলে আসে। তাই ব্যবসায় সফলতার জন্য ইউনিক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নিতে হবে। যে ব্যবসায় স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করল সহজে সফলতা লাভ করা যাবে। তাহলে চলুন এমন কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ইউনিক বিজনেস বলতে এমন কিছু বিজনেসকে বোঝানো হয়েছে, যেসব বিজনেসে মার্কেটে কম্পিটিশন কম, কিন্তু ডিমান্ড বেশি। এছাড়াও স্বল্প পুঁজিতে সহজেই সফলতা লাভ করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে এরকমই কিছু বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা ২৫টি বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করছি। ইউনিক বিজনেস আইডিয়া গুলো হলো:
- ফার্মেসির দোকান ব্যবসা
- গহনা তৈরি ব্যবসা
- ডে কেয়ার
- খাবার হোম ডেলিভারি
- ঘি তৈরির ব্যবসা
- ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বিজনেস
- কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি
- পোশাকের ব্যবসা
- কফি শপের ব্যবসা
- প্রফেশনাল হেয়ার কাটিং
- ড্রাইভিং শেখানো বিজনেস
- কম্পিউটার ট্রেনিং বিজনেস
- গেঞ্জি প্রিন্টের বিজনেস
- স্পোকেন ইংলিশ কোচিং ক্লাস
- পোষা খামার বিজনেস
- গিফট আইটেম এর ব্যবসা
- বাসা-অফিস পাল্টানো সার্ভিস
- কেক তৈরি ব্যবসা
- চকলেট তৈরি ব্যবসা
- বাচ্চাদের খেলনার দোকান
- কার এবং বাইক ক্লিনিং সার্ভিস
- মোবাইল এক্সেসরিজ বিজনেস
- বিয়েতে বর-কনের পোশাক ভাড়া দেওয়া
- ভয়েস ওভার আর্টিস্ট
- খেলা ঘর বিজনেস
১। ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা
আমাদের সবারই শরীরে কিছু না কিছু সমস্যা মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য তখন আমরা বিভিন্ন ঔষধের দোকানে গিয়ে থাকি এবং আমাদের শরীরের কি সমস্যা সেটা দোকানে থাকা কর্মকর্তাদেরকে বলে ঔষধ কিনে থাকি।
যদি আপনি নিজেই এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই একটি ঔষধের ফার্মেসি দিতে পারেন। আর যদি দক্ষ না হয়ে থাকেন তবে কোনো আপনি বিষয়ের উপরে কোর্স করে নিবেন। ফার্মেসির ব্যবসাটি বর্তমান সময়ে অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। কারণ এই ব্যবসাতে আপনি আপনার ইচ্ছামতো ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন।
বিজনেস আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসার প্রতিযোগী অনেক কম। যার কারণে আপনাকে এই ফার্মেসির ব্যবসায় লাভবান হতে তেমন বেশি সময় লাগবে না। প্রিয় পাঠক যদি আপনি একটি সুন্দর জায়গা নির্বাচন করে যদি ঔষধের দোকান দিতে পারেন তবে বেশ কিছুদিনের মধ্যে আপনি এই ব্যবসার রেজাল্ট নিজেই নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।
ফার্মেসির দোকান কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং জনবহুল এলাকায় দিতে পারলে সেখানে অনেক বিক্রির সম্ভাবনা থাকে। যদি আপনি বিজনেস আইডিয়া খুঁজে থাকেন তবে আপনার জন্য ফার্মেসির দোকান হতে পারে দারুন একটি ব্যবসা পদ্ধতি।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
২। গহনা তৈরির ব্যবসা
আমাদের দেশে বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে জুয়েলারি ব্যবসা এখন লাভজনক। মেয়েরা সবসময় গহনার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। পুতির গহনা সহ বিভিন্ন অলঙ্কার বহুল ব্যবহৃত হয় বিয়েতে এবং আরো অন্য যেকোনো অনুষ্ঠানে।
তাই সারা বছর গহনার চাহিদা থাকে এবং এটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। আপনি যদি কম দামে গহনা তৈরির সমস্ত কাঁচামাল ক্রয় করতে পারেন তবে এই ব্যবসায় ভালো লাভ করতে পারবেন। এই ব্যবসায় সফল হতে হলে নিজের মধ্যে কিছু সৃজনশীলতা থাকতে হবে। আপনাকে অবশ্যই ক্রমাগত নতুন ডিজাইন প্রদান করতে হবে।
অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনি অনলাইনে, অফলাইনে, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে এবং অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে আপনাদের গহনা বিক্রি করতে পারবেন, আপনাকে বাইরে যাওয়ার দরকার হবে না। এছাড়া যখন আপনার দোকানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে তখন তো আর কথায় নেই।
আরো দেখুন: বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় - বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব
৩। ডে-কেয়ার
ডে-কেয়ার হচ্ছে এমন একটি বিজনেস, যেখানে দিনের কিছু সময় অথবা সারাদিন ব্যাপী অন্যের শিশু নিজ তত্ত্বাবধানে রাখা ও যত্ন প্রদান করা। সাধারণত স্বামী স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী হলে, তারা তাদের বাচ্চাদের ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা করে থাকে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ চাকরিজীবী হওয়ায়, এই বিজনেস এর ডিমান্ডও অনেক বেশি। যা স্বল্প পুজির মাধ্যমে শুরু করে সহজেই সফলতা অর্জন করা যায়।
আরো দেখুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব | ডিজিটাল মার্কেটিং a to Z
৪। খাবার হোম ডেলিভারি
আজকাল প্রায় মানুষ তাদের কর্ম নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বাসায় রান্না করার মতো সময় পায় না। যার ফলে হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খেতে হয়। তবে রোজ রোজ রেস্টুরেন্টে খাওয়া স্বাস্থ্য ঝুকি তাই অনেক মানুষ খাবার হোম ডেলিভারি চায়। যদি বাড়িতেও রান্না করে সেই খাবার হোম ডেলিভারি দেওয়া যায় আশা করা যায় স্বল্প সময়ে এই ব্যবসার সফলতা লাভ করা যাবে।
আরো দেখুন: মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
৫। খাঁটি ঘি এর ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ঘি এর চাহিদা ব্যপক পরিমাণে। মানুষ বিভিন্ন খাবারের সাথে ঘি মিশ্রিত করে খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ঘি হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। বাজারে আপনি বিভিন্ন ধরনের ঘি কিনতে পারবেন। ঘি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়, যে পরিমাণে ঘি বিক্রি হয়, ঠিক সেই পরিমাণে মানুষ ধোকা খায় এবং প্রতারিত হয়। যদি আপনি বাড়িতে খাঁটি ঘি তৈরি করে অল্পমূল্যে বিভিন্ন দোকানে যেমন মুদি দোকান, ফাস্টফুডের দোকান ইত্যাদি বিভিন্ন দোকানে স্বল্পমূল্যের পাইকারি দরে সেল করতে পারেন। তবে অল্প কয়েকদিনে বহু টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
শুরুর দিকে আপনি স্বল্পমূল্যে ঘি সেল করবেন,আর যখনি আপনার তৈরি করা খাঁটি ঘি এর প্রতি মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনি ধীরে ধীরে আপনার খাঁটি ঘি এর মূল্য বৃদ্ধি করবেন। কেননা শুরুর দিকে বেশি দামে সেল করলে, মানুষ আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করতে তেমন বেশি আগ্রহী হবেনা।
এছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার খাঁটি ঘি বিক্রি করতে পারবেন সহজেই। অনলাইনে আপনি খুচরা এবং পাইকারি অনেক গ্রাহক পাবেন। তবে আপনি পাইকারি দরে ঘি বিক্রি করার থেকে খুচরা মূল্যে বিক্রি করে বেশি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এই বিজনেসে লাভবান হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে সততা অর্থাৎ খাঁটি ঘি তৈরি করা। আমাদের এই বিজনেস আইডিয়াটি কেমন লাগলো অবশ্যই জানিয়ে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ২৫টি সেরা ও কার্যকরী উপায়
৬। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বিজনেস
কোন ঘরে অথবা কোন দোকানে বর্তমানে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়না, বলুন তো? মোবাইল অপেরাটর গুলোর ইন্টারনেট ডেটা প্যাকের রিটেইলার, রিসেলাররা এখন কিন্ত দামাদাম বিজনেস করে যাচ্ছে, একেবারেই অনেকটা বিনা খরচেই। আপনি চাইলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে এই ইন্টারনেট ডেটা প্যাকের রিটেইলার বা রিসেলারের ভালো একটা লাভজনক বিজনেস শুরু করতে পারবেন!
এছাড়া ব্রডব্যান্ডের সংযোগ গ্রাম এলাকায় ১ বার নিতে পারলেই হয়! গ্রামে দুই একজন কম্পিটিটর থাকলেও সেখানে এগিয়ে যাওয়ার সুন্দর সুযোগ কিন্ত আপনাকে হাতছানি দিতেই পারে। ব্রডব্যান্ডের ব্যবসার করার জন্য আপনার কোনো কাজ নেই।
কোম্পানিকে টাকা দিবেন আর বাকিটা কোম্পানিই দেখবে। কোম্পানি আবার ডিল করবে সরকারি এজেন্সিগুলোর সঙ্গে। এখানে আপনাকে শুধু সুন্দর সার্ভিস নিশ্চিত করার জন্য যতোটুকু করার প্রয়োজন আপনি ঠিক সেটুকুই করবেন। এই বিজনেস করার জন্য আপনার সঙ্গে ২-৪ দক্ষ ব্যক্তিকে সঙ্গে রাখবেন।
আরো দেখুন:ই-সিম কি ( E-SIM Card ) জেনে নিন
৭। কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি
আজকাল বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন নির্ভরশীল। সামান্য জুতা থেকে বিভিন্ন পোশাক সবকিছুই আজকে ঘরে বসে অনলাইনে পাওয়া যায়। এর চাহিদা সম্পর্কেও আমাদের অজানা নয়। সবকিছুর পাশাপাশি কাঁচাবাজার হোম ডেলিভারি দেওয়াটা মন্দ হয় না। কাঁচা বাজার হোম ডেলিভারি সার্ভিসটি বিনা পুঁজির একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। আপনারা চাইলে প্রথমে নিজের এলাকায় থেকে শুরু করে, ধীরে ধীরে একটা বড় বিজনেস প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলতে পারবেন।
৮। পোশাক ব্যবসা
বর্তমানে যতবেশি সময় যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে মানুষ যেন আগের থেকে অনেক বেশি সৌখিন প্রিয় হয়ে যাচ্ছে। আর আপনি এই সুযোগটিকে ব্যবহার করে একটি ইউনিক বিজনেস দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। আর ইউনিক বিজনেস হচ্ছে পোশাকের ব্যবসা।
দেখুন সবারই কিন্তু পোশাক পড়া লাগে। তাই অবশ্যই আমাদের কোনো না কোনো পোশাকের দোকান থেকে পোশাক কিনতে হয়। যদি আপনি কোনো একটি দোকান থেকে ভালোমানের পোশাক পেয়ে থাকেন এবং তারা যদি আপনার চাহিদা ঠিকঠাক পূরণ করতে পারে তবে আমি শিওর অবশ্যই আপনি তাদের দোকানে বারবার পোশাক কিনতে যাবেন। আর যখনি কাস্টমার দোকানে যাবে পোশাক কিনবে ঠিক তখনই দোকানদারের লাভ হবে।
এতটুকু পড়ার পড়ে আপনি যদি ডিসিশন নিয়ে নেন যে আপনি পোশাকের দোকান দিবেন তাহলে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন। পোশাকের দোকান দেয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই একটি কথা মনে রাখতে হবে তাহলো আপনাকে কোনটা ভালো পোশাক আর কোনটা খারাপ পোশাক তা চিনতে হবে।
কারণ যদি আপনি কাস্টমারদের কাছে খারাপ পোশাক বিক্রি করেন তাহলে কিন্ত ঐ সকল কাস্টমার পরবর্তীতে আপনার দোকানে আসবে না যার ফলে আপনার বিক্রির পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে কাপড়ের ব্যবসা করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে পোশাক নেয়ার পূর্বে আপনাকে ভালোভাবে পোশাকগুলো পাইকারি দরে পোশাকের বাজার থেকে কিনতে আসতে হবে এবং কাস্টমারদেরকে ভালো ভালো পোশাক দিতে হবে।
যদি আপনি সঠিকভাবে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন তবে আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেক ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন দ্রুত সময়ের মধ্যে। আর আপনার দোকানটি যদি একবার জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তখন তো আর কোনো কথাই নেই।
কাপড়ের ব্যবসা আপনি সরাসরি দোকানের মাধ্যমে সেল করার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। আর কাপড়ের ব্যবসায় ভালো করতে ভালো এবং সুন্দর জায়গা নির্ধারণ করা দরকার। প্রিয় পাঠক আপনি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া মধ্যে এই কাপড়ের ব্যবসাটি করতে পারেন।
আরো দেখুন: ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং রিস্ক ফ্রি ব্যবসা
৯। কফি শপের ব্যবসা
বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ব্যবসাটি হচ্ছে কফি শপের ব্যবসা এবং এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই কফি শপের ব্যবসা দেয়ার পূর্বে আপনাকে একটি জায়গা সুন্দর নির্বাচন করতে হবে যেন জায়গাটি হয় অনেক শান্ত নিরিবিলি। যেখানে সবাই আপনার দোকানে কফি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুবি স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে এবং খুবই সহজে তারা তাদের মনের ভাব পোষণ করতে পারবে।
মনে রাখবেন যদি আপনার দোকানটি একবার জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে তবে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসবে আপনার দোকানের কফি খাওয়ার জন্য। আর আপনি চাইলেই কপি বিক্রির মধ্যে আরো বিভিন্ন ধরনের আইটেম তখন যুক্ত করতে পারেন।
তাই আপনি যদি বর্তমানে লাভজনক ইউনিক বিজনেস আইডিয়া খুঁজে থাকেন তবে আপনি কপি শপের ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং চমকপ্রদ একটি বিজনেস আইডিয়া।
আরো দেখুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ | স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া
১০। প্রফেশনাল হেয়ার কাটিং সেলুন ব্যবসা
ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে চুল কাটার সেলুন বললে আপনি হয়তোবা বলবেন যে এটা তো তেমন কোনো লাভজনক বিজনেস নয়। কিন্ত হ্যাঁ সত্যি কথা বলতে এই চুল কাটার বিজনেসে অনেক লাভ করা যায়। এই ব্যবসায় লাভ করার জন্য আপনাকে একটি প্রফেশনাল মানের সেলুন তৈরি করে কাজ শুরু করতে হবে।
প্রফেশনাল ভাবে চুল কাটার জন্য ২ জন কিংবা ৪ জন প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদেরকে কাজে রাখতে হবে। কোনো ব্যবসা আমি ছোট হিসেবে দেখি না, তবে এই ব্যাপারটা আপনার উপরে নির্ভর করবে। প্রিয় পাঠক এটি আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি আপনার ব্যবসাটিকে কতটা জনপ্রিয় ও প্রফেশনাল মানের তৈরি করবেন। একটি ব্যবসাকে সুন্দর এবং জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রয়োজন সুন্দর জায়গা। সুতরাং এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আপনার ব্যবসাটিকে শুরু করা উচিত।
১১। ড্রাইভিং শিখানো বিজনেস
অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় যদিও ড্রাইভিং শেখানো বিজনেসে পুঁজি একটু বেশি প্রয়োজন হয়। কিন্তু সফলতা অর্জন করা খুবই সহজ। আজকাল অনেকেই গাড়ি কেনার আগে ড্রাইভিং শিখে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন। আবার অনেকেই ড্রাইভিং রোজকারের পথ হিসেবে বেছে নেন। যদি মোটামুটি আপনার কাছে পুঁজি থাকে এবং আপনি একজন দক্ষ ড্রাইভার হয়ে থাকেন।
তাহলে ভালো স্থান নির্বাচন করে ড্রাইভিং শেখানো বিজনেস শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনার মোটামুটি ভালো লেবেলের একটা গাড়ি ও গাড়ি রাখার জন্য একটা ভালো কক্ষের প্রয়োজন হবে। তাছাড়াও দু একজন দক্ষ ড্রাইভার ট্রেইনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েও পারবেন। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে সফলতা লাভ করতে পারবেন।
আরো দেখুন: বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম | অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম
১২। কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিসীম অনলাইন ভিত্তিক এই যুগে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। অফিসের সামান্য লেখালেখি হতে, তথ্য জমা রাখা, তালিকা করা, হিসাব রাখা ইত্যাদি প্রায় সব কাজের জন্য কম্পিউটারের দরকার হয়। আজকাল স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার জানা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করা শিখে রাখতে চায়। আপনি চাইলে স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অর্থাৎ যেখানে ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষের চলাচলের মাত্রা বেশি। সেখানে কম্পিউটার সেন্টার খুলতে পারেন। প্রয়োজনে কম্পিউটারে দক্ষ এমন দু-একজন ট্রেইনার রাখতে পারেন। সঠিক জায়গা নির্বাচন করতে পারলে আশা করি খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
১৩। গেঞ্জি প্রিন্ট এর ব্যবসা
বর্তমান সময়ে গেঞ্জি প্রিন্টের ব্যবসা একটি আধুনিক বিজনেসে পরিণত হয়েছে। এটির কারণ হচ্ছে বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ ছেলে এবং মেয়েরা তাদের নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী ডিজাইন করা পোশাক পরিধান করে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন এডিটিং করার মাধ্যমে কোনো লোগো ডিজাইন করে সেটা গেঞ্জিতে প্রিন্ট করে থাকে।
আর হ্যাঁ আপনি যদি এই বিজনেস করতে পারেন তবে আপনার প্রতিটি গেঞ্জি প্রিন্ট করে আপনার অন্তত ৫০-১০০ টাকা লাভ থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন আয়োজন যেমনঃ বনভোজন কিংবা বিবাহ অনুষ্ঠান অথবা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করার জন্য মানুষ তাদের নিজস্ব ডিজাইনের গেঞ্জি প্রিন্ট করে থাকে।
বর্তমানে দেখা বনভোজন কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা স্কুল কলেজের বন্ধুবান্ধব সকলের জন্য প্রিন্ট করা গেঞ্জি পড়ে থাকে। এখন ধরুন আপনি প্রতি পিস গেঞ্জি থেকে ৫০-১০০ টাকা করে লাভ করতে পারবেন।
তবে আপনি এবার হিসেব করে দেখুন আপনার ১০০ পিস গেঞ্জিতে কি পরিমাণ লাভ থাকবে। প্রিয় পাঠক আমার নিজেরই একটি গেঞ্জি প্রিন্ট করার বিজনেস আছে। যার মাধ্যমে আলহামদুলিল্লাহ আমার অনেক টাকা লাভ হয়ে থাকে। একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে আপনি গেঞ্জি প্রিন্ট এর ব্যবসাটি করতে পারেন।
আরো দেখুন: এড দেখে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট | টাকা আয়ের সহজ উপায়
১৪। স্পোকেন ইংলিশ কোচিং ক্লাস
স্পোকেন ইংলিশ কোচিং ক্লাস হচ্ছে একটি দারুন বিজনেস আইডিয়া। আপনি যদি ঘর বসে কিংবা অনেক স্বল্প খরচে বিজনেস শুরু করতে চান। তবে আপনি এটি করতে পারেন। আপনি যদি ভালো ভাবে এবং স্পষ্টভাবে ইংরেজি বলতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনি অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে ইংরেজি বলা শেখাতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সহ যেকোনো জায়গায়তে যেকোনো কাজে ইংলিশ স্পিকিং অনেক বেশি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, লোকেরা তাদের প্রয়জনেে প্রচুর টাকা দিয়ে হলেও স্পোকেন ইংলিশ শিখতে ও জানতে আসবেন। তবে হ্যাঁ মনে রাখবেন স্পোকেন ইংলিশ কোচিং বিজনেস করার জন্য আপনাকে ইংলিশ টিচিং এর ক্ষেত্রে একেবারে পারফেক্ট এবং প্রফেশনাল মানের হতে হবে।
১৫। পোষা খামার ব্যবসা
আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ পোষা খামার এটিকে একটি ব্যবসা হিসাবে ব্যবহার করে না, যদিও অনেক লোকের পোষা প্রাণীর শখ রয়েছে এবং পরে তারা এই শখটিকে একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত করে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন প্রজাতির যেমন বিদেশী কুকুর, খরগোশ, বিরল পাখি, রঙিন মাছ ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনাকে বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হবে না। আপনি সহজেই অনলাইনে এটি করতে পারবেন।
আপনি ঘরে বসেই এই ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারেন। কিন্তু এই ব্যবসা করতে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আপনি একটি পোষা খামার শুরু করার আগে আমি আপনাকে কোর্স করার পরামর্শ দিবো। তাহলে পরবর্তীতে কোনো সমস্যার মোকাবেলা করতে পারবেন সহজেই।
আরো দেখুন: গরুর খামার করে লাভবান হওয়ার উপায় | গরুর খামার পরিকল্পনা
১৬। গিফট আইটেমের ব্যবসা
গিফট আইটেমের দেশে খুব অভাব। যেকোনো ইভেন্ট/অকেশনে সুন্দর গিফট দেবার কিছু পাওয়া যায়না। এই সবের একটা ব্যবসা করা যেতে পারে। এটার মুল থিম হবে, দেশী এবং পরিবেশবান্ধব পাটের আইটেম, মাটির আইটেম, কাপড়ের ওপর নকশী কাজ, চামড়ার আইটেম, ঘরে বানানো কাগজের গ্রিটিংস কার্ড, সিরামিকের ওপর নকশা, বাঁশের, বেতের আইটেম, শুকনো ফুল, উপহারের ঝুড়ি, বাচ্চাদের জন্মদিনে দেবার গিফট ইত্যাদি।
মুল্য অনুসারে এগুলোকে কয়েকটা ভাগ করা যেতে পারে। ১০০ টাকার আইটেমের গিফট বাক্স, ২০০ টাকার বাক্স, ৩০০ টাকার, ৫০০ টাকার, ১০০০ টাকার এবং আরো দামি। গিফটা র্যাপিং করে দেয়া যেতে পারে, প্রাপককে গিফট পৌছে দেয়া যেতে পারে। একটা ব্রান্ডিং করে ফেলতে পারলে ভাল হয়।
- গহনা: গলার সেট, চুড়ি, আংটি, ব্রেসলেট, হেয়ার বেন, ক্লিপ, মেহেদি, পায়েলসহ নানা রকম গহনা হতে পারে। আজকাল বাজারে ইমিটেশন, সিটিগোল্ড, স্টোন বসানো, স্টোন ছাড়া, প্লাস্টিকের, কাঠের, ঝিনুক-শামুকের, পোড়ামাটির, স্টিলেরসহ নানা ধরনের গহনা বাজার ঘুরলেই চোখে, কমদামের এসব কিছু আইটেম সংগ্রহ করতে পারেন। স্থানীয় ভাবে কিছু কুটির শিল্পের তৈরি গহনাও হতে পারে আপনার ৯৯ শপের পণ্য।
- গিফট: বিভিন্ন সামিজিক দিবসে ফুল ও কার্ড হতে পারে শ্রেষ্ঠ উপহার। এছাড়াও ফটোফ্রেম (প্লাস্টিকের, কাঠের, কাচের, পাটের, পোড়ামাটির, বাশের হতে পারে), সিরামিকের মগ ও প্লেট, ছবি প্রিন্ট ওয়াল ঘড়ি, ওয়াল ঘড়ি, হাত ঘড়ি, পুতুল, চাবির রিং, ব্যাগ, পাঞ্চ, মানিব্যাগ, খেলনা ইত্যাদি হতে পারে আপনার ৯৯ শপের গিফট জোন।
- পোশাক: ব্লক, বুটিক, মোজা, রুমাল, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, গেঞ্জি, হ্যান্ড পেইন্ট, ব্রাশ পেইন্ট, অ্যামব্রয়ডারি, জরি-চুমকির কাজসহ নানা মনকাড়া ডিজাইনে আর লাল, কমলা, মেরুন, নীলসহ নানা রঙের পোশাক হতে পারে আপনার এই মেগা শপের আইটেম।
- প্রসাধনী: প্রসাধনী ব্যবহার ও গিফট হিসাবে অনেকেই খুজেন। ক্রিম, পারফিউম, বডি স্প্রে, মেহেদি, কলপ, দেশি বিদেশি সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ, মেকআপ, ক্লিঞ্জার, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, তেল, মেনিকিউর, পেডিকিউর, মেয়েদের প্রোডাক্ট, ডায়পার ইত্যাদি।
- রান্নাঘরের আইটেম: রান্না ঘরেও অল্প টাকার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। এগুলোর মধ্যে নাইফ, সবজি কাটার, চপার, সবজি স্লাইসার, ডাইসার, চামুচ, মগ, বাটি, প্লেট, কন্টেইনার, টিফিন বক্স, মসলার বক্স, ডাইনিং টেবিলের ম্যাট, হট ম্যাট, স্ট্যান্ড, পানির পট, লাইটার ইত্যাদি।
- অন্যান্য: বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে সময়ে সময়ে কিছু প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারেন। মৃৎ শিল্পের পণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, গ্যাজেট, স্পিকার, বই, খাতা-কলম, নোট বুক, ডাইরি, কার্ড হোল্ডার, পেন হোল্ডার, ক্যালেন্ডার, আতর, সুরমা দানি, বক্স, ফাইল, লাইট, ঝুড়ি, জুতা, স্যান্ডেল, ক্রোকারিজ, পাপোষ, খেলনা, ওয়ালমেট, ডিভিডি, গেম, mp3 প্লেয়ার, রেডিও, টিভি রিমুট, ক্যালকুলেটর, মোবাইল চার্জার, ছাতা, ক্রেস্ট, ডিজিটাল তসবিহ, জায়নামাজ ইত্যাদি হতে পারে আপনার এই জোনে। এছাড়াও আরও পণ্য যোগ করতে পারেন গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে কিংবা উপরের তালিকার কিছু পণ্য বাদও দিতে পারেন।
১৭। বাসা অফিস পাল্টানো সার্ভিস
অনেকের চাকরির সুবিধার্থে নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও বাসায় ভাড়া করে থাকা পড়ে। কোনো কোনো সময় দেখা যায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ট্র্যান্সফার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন বাসা পাল্টাতে অনেক ঝামেলার মুখোমুখি পড়তে হয়। যা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও সময় ব্যয় মনে হয়। তাই অধিকাংশ মানুষ বাসা পাল্টিয়ে দেওয়ার সার্ভিস খুজে থাকেন। এই বিজনেসটি বিনা পুঁজিতে শুরু করা যায় আর খুব কম সময়ের মধ্যেই সফলতা অর্জন করা যায়।
আরো দেখুন: গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় | গনোরিয়া কি জিনিস
১৮। কেক তৈরির ব্যবসা
ঘরে তৈরি কেকের চাহিদা সব সময় ব্যাপক। বিভিন্ন পার্টি, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীতে কেক লাগে। কেউ যদি বাসায় ভালো কেক বানাতে পারে তাহলে তাতে ভালো আয় করা যায়। ঘরে তৈরি কেকের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে।
আপনি আপনার ঘরে তৈরি কেক পোস্ট করে আপনার ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্ডার পেতে পারেন। যে উপাদানগুলো কেক তৈরিতে প্রয়োজন সেগুলো কম খরচে কেনা যায়। কেক বানানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। কেকের মানের সাথে কখনই আপস করবেন না। কেকের উপরের অলংকরণটি মার্জিত হলে এর চাহিদা বাড়বে।
আরো দেখুন: জন্মদিনের কেক বানানোর রেসিপি
১৯। চকলেট তৈরির ব্যবসা
চকলেট তৈরির ব্যবসাও বেশ জনপ্রিয় যেমন কেক তৈরির ব্যবসা। যেকোনো বয়সের মানুষই চকলেট পছন্দ করে। আপনি ঘরে বসেই চকোলেট ব্যবসা করতে পারেন এবং আপনি আপনার পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। চকলেট বানাতে খরচ কম এবং লাভ বেশি। চকলেট তৈরির জন্য তিন থেকে চারটি উপাদানই যথেষ্ট।
২০। বাচ্চাদের খেলনার দোকান
স্বল্প সময়ে কোন ব্যবসা লাভবান হতে চাইলে বাচ্চাদের খেলনার দোকানের ব্যবসা ভালো সফলতা এনে দিতে পারবে। আজকের বাজারে খেলনার ঊর্ধ্বগতি দামের জন্য, অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিনে দিতে পারেন না। আপনি চাইলে বাহির থেকে কম দামে অধিক পণ্য এনে, বাজারজাত মূল্য থেকে কম মূল্যে বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে অন্য সব দোকান থেকে আপনার দোকানে চাহিদা বেড়ে যাবে। যা আপনাকে খুব সহজে সফলতা এনে দেবে। অবশ্যই আপনাকে সঠিক জায়গা নির্বাচনে পারদর্শী হতে হবে।
আরো দেখুন: সহজে টাকা ইনকামের উপায়
২১। কার এবং বাইক ক্লিনিং সার্ভিস
বর্তমানে দেখা যায় প্রায় প্রত্যেকের কাছেই একটি বাহন যেমন বাইক অথবা কার ইত্যাদি আছে। আর এই সুযোগটিকে ব্যবহার করে আপনি একটি খোলা জায়গাতে দোকান নিয়ে গাড়ি ক্লিনিং করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসায় প্রচুর পরিমানে কাস্টমার পাবেন। কারণ অল্প খরচে গাড়ি পরিস্কার করতে পারলে সেবিষয়ে সবারই রুচি রাখবেন। এই ব্যবসায় আপনার খরচ হবে কেবল মাত্র দোকান ভাড়া দেয়া এবং পানির মোটর বসানো সময়। ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে আপনি এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
২২। মোবাইল এক্সেসরিজ বিজনেস
আজকাল প্রায় অধিকাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। মোবাইল ফোনের বিভিন্ন পার্ট নিয়ে বিজনেস করাকে মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ বিজনেস বলা হয়। যেমন:- ইয়ার ফোন, হেড ফোন, মোবাইলের ব্যাটারি, স্কিন প্রোটেক্টর, মোবাইল ফোনের কভার ইত্যাদি।
দিন দিন স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েই চলছে ফলে মোবাইল এক্সেসরিজের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি মোবাইল এক্সেসরিজ বিজনেস শুরু করে দিন। আশা করা যায়, স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে রাতারাতি এই বিজনেসে সফলতা লাভ করতে পারবেন।
২৩। বিয়েতে বর-কনের পোশাক ভাড়া দেওয়া
বর কনের পোশাক ভাড়া দেওয়ার এই আইডিয়াটা স্বল্প পুঁজির মধ্যে ইউনিক বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধারণত বিয়েতে বর-কনের যে পোশাক ব্যবহৃত হয়, তা বিয়ের পর আর ব্যবহার করা হয় না। অনেকেই বিয়ের পোশাক না কিনে ভাড়া নিতে চায়। আপনি চাইলে সহজেই স্বল্প পুঁজিতে এই বিজনেস শুরু করে সফলতা লাভ করতে পারবেন।
আরো দেখুন: পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রংপুর ডাক্তারের তালিকা
২৪। ভয়েস ওভার আর্টিস্ট
আমাদের একেক জনের দক্ষতা একেক রকম হয়ে থাকে। তেমনি ভাবে যদি কারো ভয়েস অনেক বেশি সুন্দর হয় এবং সে যদি সুন্দর ভাবে কথাবার্তা বলতে পারে তবে সে হতে পারে একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
বর্তমান সময়ে ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কেননা এখনকার সময়ে মানুষ জন পিকচার বা ছবির চেয়ে বেশি ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন। আর ভিডিওতে যদি আপনি ভালো ভাবে ভয়েস দিতে না পারেন তবে কিন্ত আপনার ভিডিও মানুষজন দেখতে ইন্টারেস্টেড হবেনা।
আমার বেশিরভাগ সময় অনেকের কথাবলার স্টাইল শুনেই ভিডিও দেখি থাকি। তাই বিভিন্ন প্রকার বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট পর্যন্ত ভালো ভয়েসের প্রয়োজন হয়। যদি আপনি এই বিজনেস করতে চান তবে আপনি চাইলে ভালো ভয়েস ওভারের জন্যে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি কিনে একটি স্টুডিও দিতে পারেন। যেখানে কিছু ভয়েস ওভার দেওয়ার জন্যে আর্টিস্ট থাকবে। প্রিয় পাঠক যদি আপনি ভালো কন্টেন্ট কাস্টমারদেরকে দিতে পারেন তবে আপনি অল্প বিনিয়গে এই বিজনেসে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কিভাবে শুরু করবেন
এই ধরনের শপ গুলো ভিজিট করবেন আগেই। ঢাকার বড় বড় শপ, ৯৯ শপগুলো ঘুরে দেখবেন (৯৯ শপ না হলেও) যেমন- হলমার্ক, আর্চিস, কিংফিশ, আজাদ প্রোডাক্টস, আড়ং, রঙ, বাংলার মেলা, অঞ্জনস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান দেখে নিতে পারলে ভালো হবে। এদের কাছ থেকে কিছু ইনফরমেশন পেতে পারেন।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পণ্য সংগ্রহ করা। যেহেতু প্রোডাক্ট বিভিন্ন রকমের, সেহেতু সংগ্রহ করতে হবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ভাবে। ঢাকার চকবাজার, নবাবপুর, কাঁটাবন, গুলিস্তান, নিউমার্কেট, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, পল্টন, স্টেডিয়াম মার্কেট সহ আপনার স্থানীয় বাজার থেকেও পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। পণ্য সংগ্রহ করার দক্ষতার উপর এর লাভ ক্ষতি নির্ভর করবে।
পণ্য সংগ্রহ, পরিবহন, পণ্য ডেকোরেশন, আপনার শপের অবস্থান, পণ্যের চাহিদার উপর নির্ভর করবে আপনার বিজনেস। আপনার শপের প্রচারনা থাকতে হবে, আপনার শপের ফেসবুক পেজ থাকতে পারে। দুই/এক জন পার্টনার বা সহকর্মী থাকতে পারে। দোকান ডেকোরেশন থাকলে লাখখানিক টাকা দিয়েই শুরু করে দিতে পারেন একটি স্মার্ট শপ।
মনে রাখবেন গ্রাহকরা হাতের কাছে প্রত্যাশিত জিনিসপত্র প্রতিযোগিতামূলক দামে পেলে বাইরে যাবেন কেনো ? ওয়ান টু হানড্রেড, নাইনটি নাইন, নাইনটি নাইন প্লাস, ওয়ান ফিফটি ওয়ান, সেভেনটি ওয়ান এরকম বিভিন্ন নামেও শুরু করা যায় পণ্যের দামের উপর ভিত্তি করে। তবে কম দামের পণ্যের উপর মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে।
লেখকের শেষকথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ২৫টি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরোক্ত আইডিয়া গুলোর পাশাপাশি আপনারা চাইলে গুড়া মসলার ব্যবসা, গাড়ি ক্লিনিক সার্ভিস,পুরাতন জিনিস কয় বিক্রয়, ঘর বাড়ি ক্লিনিং সার্ভিস, অথবা টিফিন সার্ভিস সহ এরকম ইউনিক বিজনেস আইডিয়া নিয়ে স্বল্প পুঁজির মাধ্যমেই সহজেই সফলতা লাভ করতে পারবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।