পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম - পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী – বর্তমান সময়ে কাজের ক্ষেত্রে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট একান্তভাবে অনেক বেশি জরুরী একটি জিনিস। আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করার যাবতীয় নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই লেখাটির সম্পূর্ণ অংশ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ আজ এই লেখা বা আর্টিকেলের সাহায্যে আমরা পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম বা পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী নিয়ে সঠিক ও সহজ ভাষায় আলোচনা করতে যাচ্ছি। চলুন তাহলে জেনে নিই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম গুলোঃ
সূচীপত্রঃ পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
বর্তমানে পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অথবা পাসপোর্টে কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে হলে, নতুন করে পাসপোর্ট এর আবেদন করা ও নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করার প্রক্রিয়াকে পাসপোর্ট রিনিউ বলা হয়। পাসপোর্ট এর আবেদন এবং পাসপোর্ট গ্রহণ করা উভয় ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে আপনার পূর্বের পাসপোর্টটিকে বাতিল করা হয় এবং নতুন পাসপোর্টটিকে সচল করা হয়।
আবেদন করার পর যে নতুন পাসপোর্ট পাবেন তার নাম্বারটিও নতুন হবে। কিন্তু আপনার পূর্বের পাসপোর্টের নাম্বার নতুন পাসপোর্টে থাকবে। সাধারণত দেখা যায় বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৮ মাস থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট রিনিউ অর্থাৎ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। কেনা প্রায় সকল দেশগুলো পাসপোর্টের মেয়াদ মিনিমাম ৬ মাস না থাকলে ভিসা দেয়া হয়না এবং ইমিগ্রেশন এন্ট্রি দেয় না।
বর্তমানে যেহেতু বাংলাদেশের সকল জেলায় পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম সেবা চালু করেছে, তাই আপনাকে এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ বা নবায়ন করে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। প্রিয় পাঠক আপনি নিজে নিজেই অনলাইনে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম পূরণ করতে পারবেন সহজেই।
এছাড়াও যদি আপনি বিদেশে থাকেন, তবে আপনি ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন না। আপনি শুধু এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য ফরম পূরণ করে আপনার অবস্থানরত দেশের এম্বাসি অর্থাৎ হাই কমিশন থেকে রিনিউ করতে পারবেন। তাই যাদের পাসপোর্ট আছে ঠিক তাদের একান্তভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান রাখা খুব জরুরি।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী
প্রিয় পাঠক মূলত নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার আবেদন পদ্ধতি প্রায় সেইম। পাসপোর্ট রিনিউ করতে শুধুমাত্র সামান্য কিছু ভিন্নতা রয়েছে। আমরা এখানে সংক্ষেপে পাসপোর্ট রিনিউ অর্থাৎ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার নিয়ম কিংবা পাসপোর্ট রিনিউ করার ধাপ গুলো আলোচনা করেছি।
আমাদের আজকের এই লেখাটি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। আর হ্যাঁ বিষয়টি না বুঝলেও সমস্যা নেই নিম্নের অংশে আমি প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত উল্লেখ করেছি এবং আপনাদের সুবিধার জন্য্য ভিডিও যুক্ত করে দিয়েছি।
(১) পাসপোর্ট রিনিউ এর সকল ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করা।
(২) পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন ফ্রম পূরণ করা ও ফি জমা দেওয়া।
(৩) পাসপোর্ট অফিসে আবেদন ফ্রম জমা দেওয়া ও বায়োমেট্রিকমেন্ট সম্পন্ন করা।
(৪) পুলিশ ভেরিফিকেশন (ক্ষেত্রে বিশেষ)।
(৫) পাসপোর্ট চেক করা ও সংগ্রহ করা।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
পাসপোর্ট রিনিউ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা লাগে তা সব নতুন পাসপোর্ট করার মতই। পাসপোর্ট নবায়ন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। তবে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদনকারীদের যেহেতু পূর্বের একটা পাসপোর্ট রয়েছে তাই অনেক পাসপোর্ট অফিসে কাগজের জন্য কিছু শিথিলতা থাকতে পারে। অর্থাৎ কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ কিছু শীতলতা থাকতে পারে।
সবচেয়ে ভালো হবে আপনি যে পাসপোর্ট অফিসে আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য আবেদন করবেন সেই অফিসে যদি কেউ পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করে থাকলে তার খোজখবর নেওয়া। যাহোক চলুন জেনে নেই পাসপোর্ট রিনিউ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিংবা পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে। এখানে তার তালিকা দেওয়া হলোঃ
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ (নিম্নোক্ত বয়স অনুযায়ী)
১। ১৮ বছরের নিচে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
২। ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সত্যায়িত ফটোকপি।
৩। ১৮ বছরের উর্ধ্বে হলে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। অর্থাৎ ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক।
পেশাগত প্রমাণঃ
ছাত্র হলে আইডি, জব হোল্ডার হলে জব আইডি, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, কৃষক হলে জমির খতিয়ান। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, উকিল ও অন্যান্য পেশার লোকদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ। সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য NOC বা Government Order-সরকারি আদেশ (GO/জিও)।
নাগরিক সনদপত্রঃ
১। পাসপোর্টে স্বামী বা স্ত্রীর নাম নতুন যুক্ত করলে কাবিননামা
২। আগে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকলে সেগুলোর মুল কপি ও ডাটা পেইজের ফটোকপি
৩। ১৮ বছরের নিচের আবেদনকারীদের জন্য তাদের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
৪। ১৫ বছরের নিচের আবেদনকারীদের পিতা-মাতার পাসপোর্ট সাইজ ছবি অথবা বৈধ অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে
৫। ৬ বছরের নিচের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও 3R সাইজের (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড) ম্যাট পেপারে ল্যাব প্রিন্ট রঙ্গিন ছবি
অন্যান্যঃ ১। মূল পাসপোর্ট
২। পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ১ টি
৩। পূরন কৃত পাসপোর্ট রিনিউ এর ফরম ৪। ফি জমা দেওয়ার আসল কপি।
এছাড়াও ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোতে বর্তমান ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল, ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র এসব লাগতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
পাসপোর্ট রিনিউ করার ফরম
পাসপোর্ট রিনিউ ফরম পূরন করতে হবে অনলাইনে। আর পাসপোর্ট ফরম পুরন করার জন্য প্রথমেই এই লিঙ্কে www.epassport.gov.bd গিয়ে জেলা ও পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করে ইমেইল ও ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্টেশন করতে হবে। এরপর ধাপে ধাপে খুব সতর্কতার সাথে আবেদন ফরম পূরন করতে।
১। রিনিউ বা রি-ইস্যু করতে অবশ্যই NID/BRC+MRP+নতুন আবেদনের সব মৌলিক তথ্য হুবুহ এক হতে হবে। মৌলিক তথ্য বলতে আপনার পাসপোর্ট এর তথ্য পাতার দুই পাতার সব তথ্যই তবে শুধু ইমার্জেন্সি কন্টাক বাদে। যদি তথ্যে গরমিল থাকে তাহলে তথ্য সংশোধন করে আবেদন করতে হবে। নতুন পাসপোর্ট এর তথ্য NID/BRC অনুযায়ী হবে। MRP বা আগের পাসপোর্টে যাই থাকুক না কেন। তাই পরিবর্তন করতে আগে NID/BRC সংশোধন করতে হবে। তারপর এফিডেভিড করে আবেদন করতে হবে।
২। ধরুন আগে MRP করার সময় অনেকেই NID তে MD থাকলেই পাসপোর্ট এ দিয়েছেন MOHAMMAD। এখন যারা রিনিউ করতে চাইবেন তাদের দুইটা অপশন আছে। একঃ NID সংশোধন করে MD এর জায়গায় MOHAMMAD করে নেয়া। অথবা রিনিউ আবেদনে MD দিয়ে আবেদন করা। এতে পাসপোর্ট পেতে কয়েকমাস সময় লাগবে যদিও।
৩। বয়স, বাবা মায়ের নামের বানান বা নাম পরিবর্তন সব ধরনের পরবর্তনেই এখন এফিডেভিড ও অন্যান্য সাপোর্টিং ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করতে হবে।
৪। কোন পরিবর্তন না থাকলে নতুন আবেদন ফরম খুবই সতর্কতার সাথে আগের পাসপোর্টের মত হুবুহ তথ্য দিয়ে পুরন করুন।
৫। পুর্ন নাম ও Given name ও Surname আগের পাসপোর্ট অনুযায়ী অথবা সংসোধন যেভাবে করতে চান সেভাবে দিন।
৬। কোন অবস্থাতেই কোন নামে ডট (.), কমা (,), হাইফেন (-) দিবেন না। আপনার সার্টিফিকেট, NID বা জন্ম নিবন্ধন যেখানেই থাকুক না কেন। এটা না দিলে কোন সমস্যা হবে না। দিলেই বরং অনাকাংখিত ঝামেলা হতে পারে।
৭। স্থায়ী ঠিকানা আগের পাসপোর্ট অনুযায়ী দিন। অথবা চেঞ্জ করতে চাইলে নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে।
৮। বর্তমান ঠিকনা আগে যেটা দিয়েছেন সেটা থাকলে দিন অথবা পরিবর্তন হলে নতুনটা দিন। ঠিকানা পুরনের সময় পূর্নাংগ ঠিকানা দিন। শহরের হোল্ডীং সহ ঠিকানা হলে City/Village/House ও Road/Block/Sector (optional) এই দুইটা ফিল্ডই ব্যবহার করুন। গ্রামে হলে শুধু City/Village/House এ গ্রামের নাম দিলেই হয়, Road/Block/Sector (optional) যেহেতু থাকে না তাই এটা অপশনাল।
ID Documents সেকশনে অবশ্যই আগের পাসপোর্ট এর তথ্য দিবেন
১। “Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP)” সিলেক্ট করবেন।
২। “Select reissue reason” এ সঠিক কারণ দিবেন। যেমন মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা মেয়াদের কাছাকাছি চলে আসলে EXPIRED দিবেন। MRP পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকা সত্যেও সখন করে ই-পাসপোর্ট করতে চাইলে দিবেন ‘Conversion to Epassport’. এছাড়া হারিয়ে গেলে Lost/Stolen আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বাকিগুলা দেখে দিবেন।
৩। “Previous passport number” এ আগের পাসপোর্ট নাম্বার দিবেন। একাধিক পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সর্বশেষটার নাম্বার দিবেন।
৪। “Select date of issue” এ আগের পাসপোর্টটি দেখে ইস্যু তারিখ দিবেন।
৫। “Select date of expiration” এ আগের পাসপোর্টটি দেখে মেয়াদ শেষের তারিখ দিবেন।
১। “Do you have passports of other countries?” এ আপনার অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থাকলে Yes দিয়ে সেটার তথ্য দিতে হবে। আমাদের না থাকলে শুধু No দিলেই হবে।
২। এখন ID Documents সেকশনে ‘Identification information’ এ সতর্কথার সাথে আপনার NID বা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিবেন (যেটা দিয়ে আবেদন করবেন)।
৩। Parental information এ বাবা মায়ের নাম দিবেন। তাদের National ID নাম্বার না দিলেও সমস্যা নাই।
৪। Guardian information শুধু যাদের দরকার তাদের দিবেন। এতা শুধু তাদের জন্য যাদের লিগ্যাল গার্ডিয়ান আছে। বাকিরা এটাতে কিছুই পুরন করবেন না।
৫। Spouse Information এ ম্যারিড দিলে কাবিননামা দিতে হবে ও স্পাউজ এর নাম ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। আগের পাসপোর্ট এ স্পাউজ নাম থাকলে নতুন করে আর কাবিননামা দিতে হয় না।
১। Emergency contact আপনি চাইলে পরিবর্তন করতে পারবেন কোন সমস্যা হবে না।
২। Passport options এ আপনি আবেদনের ধরন ও পৃষ্ঠা সংখ্যা সিলেক্ট করবেন ও সে অনুযায়ী পাস্পোর্ট ফি দেখাবে।
৩। Delivery Options & Appointment এ আপনাকে দেখাবে, আপনি যে কেন্দ্রে আবেদন করবেন সেখানে কোন এপয়েনমেন্ট লাগে কিনা। সাধারণত ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে না। আর ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে এপয়েনমেন্ট লাগে। এখন নিয়মিত আবেদনে ২ মাসের মাঝেও ডেট পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে জরুরি সিলেক্ট করে দেখুন আগে পান কিনা। তাও না পেলে ও আপনার দ্রুত লাগলে জরুরি বা Express আবেদন সিলেক্ট করে আবেদন সাবিমিট করুন আর ব্যাংকে অতিব জরুরি/Super Express ফি প্রদান করুন। এতে আপনি কোন এপয়েনমেন্ট ছাড়াই যেকোনদিন আবেদন জমা দিতে পারবেন।
৪। শেষ ধাপে আপনাকে একটা সামারি দেখাবে যে আপনি আবেদন চেক করে দেখুন কোন ভুল আছে কিনা। সব কয়েকবার চেক করে দেখুন ঠিক আছে কিনা। সব ঠিক থাকলে সাবমিট করে দিন। একবার সাবমিট করলে আপনি আর এডিট করতে পারবেন না।
৫। এখন আপনি সামারি প্রিন্ট করতে পারবেন ও ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন।
৬। সবশেষে এপ্লিকেশন ফরমের শেষ পাতায় আপনার স্বাক্ষর ও তারিখ দিন
৭। আবেদন খুব সতর্কতার সাথে পুরন করতে হবে। কারণ একটু ভুল হলেই বলবে আবেদন ক্যানসেল করতে। আর আপনি নিজে নিজে সাইট থেকে আবেদন ক্যানসেল করতে পারবেন না। এর জন্য অফিসে আবেদন করলে কিছুদিন পর আবেদন ডিলিট হবে। তা হয়রানি এড়াতে সতর্কতার সাথে ফরম পুরন করুন।
৮। একটা NID বা BRC দিয়ে একবার আবেদন সাবমিট করে ফেললে সেটা ডিলিট না হওয়া পর্যন্ত ওই NID বা BRC দিয়ে আর আবেদন করতে পারবেন না।
৯। কোন তথ্য সংশোধন করতে হলে এফিডেভিট ও সংশোধন আবেদন করতে হবে। তারপরেও কয়েকমাস Backend verification এ আটকে থাকবে। আপনাকে বার বার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তাগাদা দিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফরম জমা দেয়ার নিদের্শনা
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করার পর, আবেদনের কপি A4 সাইজ কাগহে উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।
১। পাসপোর্ট রিনিউ ফি পরিশোধ করুন।
২। আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।
৩। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
৪। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
৫। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে হবে। পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি, জিডি কপিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি ও আবেদনের ধরন
নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন এর ফি আর পাসপোর্ট রিনিউ ফি একই। আবেদনের ধরন ও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট রিনিউ ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ১৮ বছরের কম বয়সী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন।
নিয়মিত (২১দিন) ৪৮ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের - ৪০২৫ টাকা, ১০ বছরের - ৫৭৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের - ৬৩২৫টাকা, ১০ বছরের - ৮০৫০টাকা।
জরুরি (০৭দিন) ৪৮ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের - ৬৩২৫টাকা, ১০ বছরের - ৮০৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের - ৮৬২৫টাকা, ১০ বছরের - ১০৩৫০ টাকা।
অতিব জরুরি (০২দিন) ৪৮ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের -৮৬২৫ টাকা, ১০ বছরের - ১০৩৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার - ৫ বছরের - ১২০৭৫ টাকা, ১০ বছরের - ১৩৮০০ টাকা।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
পাসপোর্ট এর রিনিউ ফি ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করতে হয়। ফি জমা দেওয়ার সময় পাসপোর্ট রিনিউ জন্য করা আবেদনপত্রের রঙ্গিন কপি সাথে থাকতে হবে।
কিভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ বা নবায়ন করবেন কোন ব্যাংক এর মাধ্যমে? এখন আপনার আশেপাশে প্রায় সব ব্যাংকেই এ চালানের মাধ্যমে পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন। যদিও সব ব্যাংকে পাসপোর্ট এর রিনিউ ফি পরিশোধ করা যায় না। নিম্নোক্ত ব্যাংক গুলোতে আপনি চাইলে সহজেই পাসপোর্ট এর রিনিউ ফ্রি জমা দিতে পারবেন।
যথা:- ১। ট্রাস্ট ব্যাংক ২। ওয়ান ব্যাংক ৩। ব্যাংক এশিয়া ৪। প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ৫। ঢাকা ব্যাংক। তাই আগে জেনে নিন আপনার সুবিধাজনক কোন ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা নেয়। তারপর নিচের ডকুমেন্টস নিয়ে ফি জমা দিন ১। NID বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যেটা দিয়ে পাসপোর্ট আবেদন করেছেন) ২। এপ্লিকেশন সামারি পেইজ ৩। আর ব্যাংকে একটা ফর্ম দিবে পুরন করতে
আবেদন পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়া ও বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট সম্পন্ন করাঃ পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে কাগজগুলো চেক করে নিতে হবেঃ
১। চালান কপি (পেমেন্ট স্লিপ) ২। এপ্লিকেশন সামারি এপয়েনমেন্টসহ (যদি লাগে) ৩। এপ্লিকেশন ফরম (৩ পৃষ্ঠা) ৪। NID বা জন্ম নিবন্ধরের ফটোকপি (আসলটাও দেখাতে হবে) ৫। পেশাগত প্রমাণ (স্টুডেন্ট আইডি, জব আইডী, ট্রেড লাইসেন্স, NOC, GO ইত্যাদি) ৬। কাবিননামা (যদি লাগে) ৭। নাগরিক সনদপত্র ৮। ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি ৯। পুর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি
ফরম পূর্ণ করে পাসপোর্ট রিনিউ করার পেমেন্ট করে উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে এপয়েনমেন্ট ডেটে পাসপোর্ট অফিসে চলে যেতে হবে। সিরিয়াল অনুযায়ী কাগজপত্র গুলো জমা দিতে হবে কাউন্টারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারা আবেদন জমা নিবে এবং কোন রুমে যেতে হবে সেটা বলে দিবে।
রুম নাম্বার অনুযায়ী পাঠানো রুমে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ, ছবি তোলা, চোখের স্ক্যান এবং সিগনেচার দিয়ে একটা রশীদ দিবে সেটা নিয়ে ভালো করে দেখতে হবে কোন ইনফরমেশনে ভূল আছে কিনা। এই রশীদে যে ইনফরমেশন দেখাবে তা পাসপোর্টে হুবুহু সেইম টু সেইম প্রিন্ট হবে। তাই কিছু ভূল দেখতে পেলে সাথে সাথে কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। আর তা নাহলে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে গেলে আর সংশোধন করা যাবে না।
পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট রি-ইস্যু বা পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করার সময়ে সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়না। তবে হ্যাঁ পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে পারে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে।
১। যদি আপনি স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করেন। এছাড়া আপনি যদি কোন বিশেষ পরিবর্তন করেন তাহলেও পাসপোর্ট অফিস চাইলে পুলিশ ভেরিফিকেশন চাইতে পারে। কিন্তু এটা খুব রেয়ার।
পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করা
এরপর পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার ম্যাসেজের জন্য ওয়েট করুন। আর মাঝে মাঝে অনলাইনে ভিজিট করে আপনার পাসপোর্ট কোন অবস্থায় রয়েছে তা দেখুন। এই লিংকে ভিজিট করে আপনার Application ID (পাসপোর্টের ছবি তোলার পরে আপনাকে যে রশীদ দিবে সেখানে লেখা থাকবে) অথবা Online Registration ID (ফরমে বা সামারি পেজে আছে) ও জন্ম তারিখ দিয়ে ক্যাপচা ভেরিফাই করুন।
তাহলেই আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজে নিজেই একাউন্ট খুলে আবেদন করেন তবে অ্যাকাউন্টে লগইন করেও আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। এছাড়া এসএমএস এর মাধ্যমে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। EPP স্পেস Application ID লিখে মসেজ করুন ২৬৯৬৯ নাম্বারে। ফিরতি মেসেজে আপনি আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থার আপডেট পেয়ে যাবেন।
যাদের আবেদন ‘Pending Backend Verification‘ এ আটকে রয়েছে তাদের একাধিকবার পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে তাগদা দিলে একটু দ্রুত পাবেন। তা নাহলে ২ মাস বা তার বেশিও লাগতে পারে। যাদের NID+MRP+নতুন আবেদনের সাথে তথ্যে মিসম্যাচ তাদেরই এই অটোমেটেড সফটওয়্যার ভেরিফিকেশন স্টেপে আটকে যায়।
এখন মেসেজ বা অনলাইন সাইটের স্ট্যাটাস গুলো দ্বারা কি বোঝায়? সে জানতে এই ছবিটি দেখুন। এখানে খুব সুন্দর করে পাসপোর্ট এর প্রতিটি স্ট্যাটাসের অর্থ ও কতদিন একেক ধাপে আটকে থাকে তার একটা ধারণা দেয়া হয়েছে।
এই দুইটা স্ট্যাটাস গাইড শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে E-Passport Bangladesh (Volunteer Group) গ্রুপ থেকে। ফেসবুকে যতগুলো পাসপোর্ট সংক্রান্ত গ্রুপ আছে তার মাঝে এইটা বেস্ট। এডমিন ও মেম্বাররা এক অন্যকে হেল্প করে শুধু। দালাল নাই, ফলে ইনবক্সে আসুন একথা শুনতে হবে না। আমিও প্রতিদিন অনেক প্রশ্নের উত্তর দেই এই গ্রুপে আর শিখি অন্যদের থেকে।
পাসপোর্ট সংগ্রহ করা
সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয়ে গেলে আপনি আপনার আবেদনের ধরনের উপর ভিত্তি করে কিছুদিন পর মোবাইলে এবং ইমেইলে মেসেজ পাবেন যে আপনার পাসপোর্ট কালেকশনের জন্য রেডি। মেসেজ পাওয়ার পর আপনার ডেলিভারি স্লিপ, আইডি কার্ড এবং আগের পাসপোর্টগুলি নিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
আর হ্যাঁ যার পাসপোর্ট মূলত তাকেই আনতে হবে। তবে কোনো কারনে যদি না যেতে পারেন তবে অথোরাইজেশন লেটার দিয়ে কাউকে দিয়ে আনানোর চেষ্টা করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় অন্যজনের হয়ে চেষ্টা করেও আরেকজনের পাসপোর্ট আনা যায় না। তাই চেষ্টা করুন নিজেই নিজের পাসপোর্ট আনার। একান্তই যদি না পারেন তাহলে পরিবারের কাউকে দিয়ে অথোরাইজেশন লেটার, আপনার এবং আবেদনকারির আইডি এবং ডেলিভারি স্লিপ নিয়ে চেষ্টা করে দেখুন।
পাসপোর্ট রিনিউ ফরম পিডিএফ
পাসপোর্ট রিনিউ ফি, পাসপোর্ট রিনিউ এর আলাদা ফি হয় না। কিন্তু পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য নতুন পাসপোর্ট এর মত সকল ধরনের ফি দিয়ে করে নিতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষ এইসব ফি এর এর ব্যবধান রয়েছে।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত দিন লাগে
পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করার ২১ দিন পর পাওয়া যায়। তাছাড়াও জরুরী ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে ও পাওয়া সম্ভব এবং গুরুত্ব সহিত অতি জরুরী ক্ষেত্রে ২ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট রিনিউ করা যায়।
আমেরিকা থেকে ই পাসপোর্ট রিনিউ
আপনি যদি আমেরিকায় থেকে থাকেন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার আবেদন করতে চান। তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে www.epassport.gov.bd এই সাইটে গিয়ে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে।
বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
বাংলাদেশী কোন ব্যক্তি যদি বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করতে চায়। তাহলে তাকে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি ও কনসুলেট অফিস থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। যেসব দেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত হেল্প কোথায় পাবেন
পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোনো হেল্প এর দরকার পড়লে বিভিন্ন ধরনের হেল্পলাইন রয়েছে যোগাযোগ করার জন্য। চাইলে কল করে সমস্যার সমাধান জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে যারা পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করে থাকে। আপনি চাইলে তাদের সাহায্য নিতে পারেন।তাছাড়াও কমেন্টে আপনাদের কোন রকম সমস্যা হয়ে থাকলে জানাতে পারেন। আমরা যথাযথ চেষ্টা করব উত্তর দেওয়ার।
শেষ কথা - পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আলোচনা করেছি পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মাবলী সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশিকা অনুসরণ করে। আশা করি আপনাদের পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না। সম্পূর্ণ পোস্টটা পরে যদি একান্ত ভাবে উপকৃত হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের পাশে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
পাসপোর্ট রিনিউ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন
পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত?
যেহেতু বর্তমানে নতুনভাবে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে, এখানে কোন রিনিউ ফি নেই, আপনাকে নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য সম্পূর্ণ ফি প্রদান করতে হবে।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত হেল্প কোথায় পাবেন?
যদি কোনো কারণে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কিছু জানা দরকার হয়, তাহলে ফেসবুকে ওভেন্ডা ট্রাভেল গ্রুপে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ফেসবুক গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের যেকোন প্রকৃত নাগরিককে ভিসা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব ধরণের তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর পাশাপাশি ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য বা যেকোন ধরণের সহায়তা লাগলেও এখানে যোগাযোগ করতে পারেন।
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে করনীয় কি?
বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে, আপনাকে পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা ও বিদেশ অবস্থানরত বিশেষ কিছু বাংলাদেশ মিশনে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। তাই আপনি অনলাইনে আবেদন করে বর্তমান এমআরপি পাসপোর্টটি ই পাসপোর্টে রিনিউ করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে কিনা
আপনার বয়স ১ দিন থেকে ২০ বছরের মধ্যে হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন। ২০ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে এমআরপি পাসপোর্টে নবায়ন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত দিন লাগে
পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করার ২১ দিন পর পাওয়া যায়। তাছাড়াও জরুরী ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে ও পাওয়া সম্ভব এবং গুরুত্ব সহিত অতি জরুরী ক্ষেত্রে ২ দিনের মধ্যেই পাসপোর্ট রিনিউ করা যায়।
কতদিন আগে রিনিউ করতে হবে?
পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য সেরকম কোনো বিধিনিষেধ নেই। আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে পারেন। তবে আপনি যদি এর আগের রিনিউ করে নিতে চান, তা হলেও রিনিউ করে নিতে পারবেন।
পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ কত
পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য সর্বনিম্ন ই-পাসপোর্ট ফি ৫ বছর, ৪০২৫ টাকা। এছাড়া অফিশিয়াল কোন খরচ নেই।