আকিকার নিয়ম কানুন - গরু দিয়ে আকিকার নিয়ম - ছাগল দিয়ে আকিকার নিয়ম - ছেলের আকিকার নিয়ম - মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক।
আপনারা অনেকেই হয়তো আকিকা দিয়ে থাকেন কিন্তু এর সঠিক নিয়ম এবং আকিকা কিভাবে দিতে হবে তা অনেকের কাছেই অজানা। যদি আপনি আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাদের জন্যই পোস্টটি আজকের এই পোস্টে আমরা আকিকার নিয়ম কানুন নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা আকিকার নিয়ম কানুন গুলো জেনে নিই।
সূচিপত্রঃ আকিকার নিয়ম কানুন
আকিকা কাকে বলে
আমাদের মধ্যে অনেকের হয়তো আকিকা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং ধারণা নেই। অনেকেই জানিনা আকিকা কাকে বলে? আকিকা কেন দেওয়া হয়? আকিকা অর্থ কি? তাই আপনারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আকিকা কাকে বলে, আকিকার নিয়ম কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আকিকা কাকে বলে তা জেনে নেই।
আকিকার অর্থ হল - (কাটা)। প্রাক ইসলামী যুগ থেকে আকিকা করার নিয়ম চালু হয়ে আসছে। এটি সুন্নতে মুস্তাহাব। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার মঙ্গল কামনার্থে পশুকে কুরবানী করাকে আকিকা বলে।
আকিকা কেন করা হয়
আমরা অনেকেই হয়তো আকিকা কেন করা হয় সে সম্পর্কে অবগত নই। অনেকেই আছেন যারা না জেনে আকিকা করে থাকেন। আকিকা করার ফজিলত সম্পর্কে এবং সন্তানের মঙ্গলে আকিকা করানো হয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। আকিকা কেন করা হয় চলুন জেনে নেই।
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে সন্তানের মঙ্গল কামনার্থে পশু কুরবানী করাকে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব। হাদিসে আকিকা করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সন্তানের পিতা-মাতা শিশুর আকিকা করার মাধ্যমে সন্তানের উপরে থাকা সকল বালা মুসিবত দূর হয়ে যায়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের সাথে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু জবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫৪৭২)
আরো পড়ুনঃ দুই অক্ষরের মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
আকিকার দোয়া
আকিকার দোয়া বাংলা উচ্চারণ - আল্লাহুম্মা হাযিহী আকিকাতু ইবনী ফুলানিন দামুহাবিদামিহী ওয়া লাহমুহা বিলাহমিহী ওয়া আজমুহা বিআযমিহী ওয়া জিলদুহা বিজিলদিহী ওয়া শা"রুহা বিশা"রিহী আল্লাহুম্মাজআলহা ফিদাআল্লি ইবনী মিনান্নার।
এরপর পড়বে - ইন্নিওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি অল আরদা মিল্লাতা ইবরাহিমা হানীফাও অমা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সলাতি ওয়া নুসুকি অমাহ ইয়াইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লাশারিকালাহু ওয়াবিজালিকা ওমিরতু অ আনা আওয়ালুল মুসলিমীন।
আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিছমিল্লাহি আল্লাহুআকবার। বলে জবেহ করবে। জবেহকারী যদি সন্তানের পিতা না হয় তাহলে ইবনী এরস্হলে বাচ্চা ও তার পিতার নাম বলবে। মেয়ে হলে বিনতী বলবে এবং দামুহু ' লাহমুহু 'আজমুহু 'জিলদুহু 'শারুহু 'পড়তে হবে।
ছেলে সন্তানের আকিকার দোয়া
বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা (বাচ্চার নাম) বিন (বাবার নাম)।
মেয়ে সন্তানের আকিকার দোয়া
বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা (মেয়ের নাম) বিনতে (বাবার নাম)।
আকিকার পশু জবাই করার দোয়া কি?
আকিকার দোয়া হচ্ছে আলা-হুম্মা মিনকা ওয়া লাকা, আক্বীক্বাতা ফুলান।
ছেলেদের আকিকা করার নিয়ম
আমরা অনেকেই হয়তো ছেলেদের আকিকা করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান সম্পর্কে জানিনা। ছেলেদের আকিকা যেভাবে দিতে হয় আমরা চলুন জেনে নিই।
আকিকা করা সুন্নাত। প্রাচীন ইসলামী যুগ হতে আকিকা দেওয়ার নিয়ম চালু হয়ে আসছে। এছাড়াও জাহিলি যুগে ও আকিকা করার নিয়ম চালু ছিল। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে সন্তানের মাথা মুন্ডন করে একটি হালাল পশু জবাই করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এবং একটি সুন্দর নাম রাখা মাধ্যমে আমরা আকিকা করে থাকি। আকিকা এমনই একটি ফজিলত যা করার মাধ্যমে আল্লাহতালা শিশুর সকল বালা মসিবত দূর করে দেন।
আসুন তাহলে আমরা ছেলেদের আকিকা দেয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিইঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে যার সামর্থ্য অনুযায়ী একই বয়সের দুইটি ছাগল কিংবা ভেড়া কুরবানী দেওয়া এবং না পারলে একটি পশু দিয়েও আকিকা হয়ে যাবে।
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন ছেলেদের জন্য দুইটি সমবয়সী পশু আকিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ ম দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
মেয়েদের আকিকা করার নিয়ম
আমরা অনেকেই আছি যারা ছেলে মেয়েদের আকিকা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানিনা। উপরে আমরা ছেলেদের আকিকা করার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন তাহলে জেনে নেই মেয়েদের আকিকা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে-
আকিকা করা একটি সুন্নাতে মুস্তাহাব যা রসূল সাঃ আমাদের করতে নির্দেশ করেছেন। আকিকা করার নিয়ম অনেক যুগ থেকেই মুসলমানেরা পালন করে আসছেন।
সন্তান জন্মের সপ্তম দিনের মাথায় মুন্ডন করে একটি হালাল পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের আকিকা করা হয়।
এর মাধ্যমে শিশুর সকল বালা মুসিবত দূর হয়ে যায় যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী আকিকা করাতে পারে।ছেলেদের ক্ষেত্রে দুইটি না পারলে একটি পশু কোরবানি করার কথা বলা হয়েছে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি পশু-কুরবানীর কথা বলা হয়েছে।
আকিকা করতে কয়টি পশু লাগে
উপরে আমরা আকিকা কেন করা হয়, আকিকা করার নিয়ম, ছেলেদের আকিকা দেয়ার নিয়ম, মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানবো আকিকা করতে কয়টি পশু লাগেঃ
আমরা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী আকিকা পশু কুরবানী করতে পারি। আকিকা একটি সুন্নতে মুস্তাহাব।যার রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম করতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও প্রাক ইসলামের যুগ থেকে আকিকার প্রথা চালু হয়ে আসছে। আকিকার ক্ষেত্রে কয়টি পশু লাগে?
আকিকা মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং সন্তানের বালা মুসিবত দূর উপলক্ষে কুরবানী করা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে সন্তানের মাথা মন্ডল করে একটি সুন্দর নাম রেখে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানী করে আকিকা করতে পারে।
রাসুল (সা.) বলেছেন পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যাসন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করো।' (বায়হাকি, সুনানে কুবরা: ১৯৭৬০; মুসনাদ বাযযার: ৮৮৫৭)। তার সন্তান শিশু থাকতে আকিকা না করে থাকেন, ওই সন্তান বড় হওয়ার পর যদি তার সামর্থ্য হয়, তখন সে তার নিজের আকিকা করলেও সুন্নত আদায় হবে এবং তার পিতা-মাতাও এর সওয়াব পাবে।
ছেলে হলে ২টি পশু কিংবা সামর্থ্য অনুযায়ী একটি পশুও আকিকা করাতে পারে তাতে কোন গুনাহ নেই। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি পশু কোরবানি করা করার কথা বলা হয়েছে। কোন পিতা-মাতা যদি সন্তানের আকিকা দিতে সামর্থ্যতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে নিজের আকিকা নিজেই দিতে পারবে।
আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম
আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম সম্পর্কে জানবো। আকিকার গোস্ত ইচ্ছে হলে রান্না করে আত্মীয়-স্বজনদের এবং গরিব-মিসকিনদেরকে খাওয়ানো যাবে।
তবে হ্যাঁ আকিকার গোস্ত ০৩ ভাগ করে এক-তৃতীয়াংশ নিজের জন্যে, এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনদের জন্যে সাদকা করে দিয়ে বাকি এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া সুন্নত। আকিকার গোস্ত সচ্ছল আত্মীয় স্বজনদেরকেও দেওয়া যায়।
আকিকা নিয়ে হাদিস
হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু যবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি, হাদিস : ৫৪৭২)
আকিকা সম্পর্কে হাদিস শরিফে রয়েছে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুরই আকিকা জরুরি।’ (আবু দাউদ: ২৮৪০; মুসনাদ আহমদ: ২০০৯৫)।
হজরত আলী বিন আবি তালেব (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি ছাগল দিয়ে হাসানের আকিকা দিলেন।’ (তিরমিজি: ১৬০২; মুস্তাদরাকে হাকেম: ৭৫৮৯)।
সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৬৯)
আকিকার সময়
জন্মের ৭ম দিনে আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে করবে। তাও সম্ভব না হলে ২১ তম দিনে করবে। হাদীস শরীফে এই ০৩ দিনের কথা উল্লেখ আছে। কেউ যদি এ দিনগুলোতেও আকিকা করতে সক্ষম না হয় তাহলে পরবর্তী যেকোনো সময়ে তা করে নিতে পারবে।
হযরত আমর ইবনে শুয়াইব রা. এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন, ‘সপ্তম দিনে নবজাতকের আকিকা করবে, নাম রাখবে, মাথার জঞ্জাল (চুল) দূর করবে।’ [মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা: ১২/৩২৬]
হযরত বুরাইদা রা. এর সূত্রে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আকীকার পশু সপ্তম বা চৌদ্দতম বা একুশতম দিনে যবাই করা হবে।’ [আলমুজামুল আওসাত ৫/৪৫৭]
সপ্তম দিন কোনটি
যে বারে শিশু জন্ম লাভ করে এর আগের দিনটিই সপ্তম দিন। সন্তান যদি সোমবারে ভূমিষ্ট হয় তাহলে তার আকিকা হবে পরের রবিবারে। আর যদি রবিবারে ভূমিষ্ট হয় তাহলে তার আকিকা হবে শনিবারে।
আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে- আরবী হিসাবে রাত আগে আসে। শুক্রবার দিবাগত রাতটি শনিবারের। আবার রাতের হিসাব শুরু হয় সূর্যাস্তের পর থেকে। সুতরাং কোনো বাচ্চা শুক্রবার সুর্যাস্তের পর ভূমিষ্ট হলে তার জন্মদিন শনিবার, আকিকা হবে শুক্রবার। শনিবার সূর্য ডোবার পর ভূমিষ্ট হলে তার জন্মদিন রবিবার, আকিকা হবে শনিবার।
আকিকার জন্য ছাগলের বয়স
ছাগলের বয়স হতে হবে এক বছর বা তারচেয়ে বেশি। তবে ছাগল যদি নাদুস নুদুস হয় অর্থাৎ মোটা, তাজা, স্বাস্থ্যবান হয় এমন ছাগলের বয়স যদি ৬ মাস হয়। কিন্তু দেখতে ১ বছরের ছাগলের মত মনে হয়। তাহলে ঐ ছাগল দিয়ে আকিকা দেওয়া যাবে বা আদায় হয়ে যাবে।
আকিকার গোস্ত কারা খেতে পারবে
আমাদের সমাজের অনেকের ধারণা, পিতা-মাতা আপন সন্তানের আকিকার গোসত খেতে পারবে না। আবার যে সন্তানের আকিকা করা হচ্ছে, সেও নিজের আকিকার গোসত খেতে পারবে না। এটি একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস অর্থাৎ এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ও অমূলক। এর পক্ষে কোন দলীল নেই।
আকিকার গোসত কুরবানীর গোসতের মতোই। পরিবারের সবাই খেতে পারবে। আত্মীয়দের দিতে পারবে। গরীবদের খাওয়াতে পারবে। কাঁচা ও রান্না করা উভয়ভাবে বিতরণ করতে পারবে। এর দ্বারা আনুষ্ঠানিক আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করতে পারবে। [রদ্দুল মুহতার: ৬/৩৩৫]
গরু দিয়ে আকিকার নিয়ম
গরু দিয়ে আকিকার নিয়ম সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের জন্য বলবো গরু দিয়ে আকিকা করার কোনো হাদীস নেই। অথচ প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (সা.)-এর যুগে সকল ধরনের প্রাণীর অস্তিত্ব ছিলো। তাই ছাগল অথবা দুম্বা দিয়ে আকিকা করাই উত্তম।
কিছু কিছু আলেমদের মতে, গরু দিয়ে আকিকা করা জায়েজ হবে। তবে হ্যাঁ শর্ত হচ্ছে, গরুর সঙ্গে আকিকাকে সন্তানের পাশে থাকতে হবে। পক্ষান্তরে অনেক আলেমগণ বলেছেন যে, ৭ সন্তানের পক্ষে থেকে গরু দিয়ে আকিকা করা জায়েয হবে।
তবে হ্যাঁ ৭ সন্তানের পক্ষে থেকে গরু দিয়ে আকিকা করার নিয়ম হাদীসে পাওয়া যায়না। যেহেতু আকিকা হচ্ছে একটি ইবাদত, সেহেতু তা আমাদের সকলের হাদিসে বর্ণিত ইবাদত অনুযায়ী করাই উচিত এবং আকিকা মোটেও কঠিন কিছু না।
আকিকা দিতে অক্ষম হলে
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, দারিদ্র্যের কারনে আকিকা করতে না পারলে আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। যখনই পারবে এটা সম্পূর্ণ করে নিবে। আর যদি আর্থিক অবস্থার উন্নতি না হয় এবং আকিকা দিতে না পারে তাহলে কোনো গুনাহ হবেনা।
শেষ কথাঃ আকিকার নিয়ম কানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা এই আকিকার নিয়ম কানুন পোস্টটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়লেন তারা নিশ্চয়ই আকিকা করার নিয়ম, ছেলেদের আকিকা করার নিয়ম, মেয়েদের আকিকা করার নিয়ম, আকিকা কেন করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আকিকা একটি সুন্নত। আমাদের নবী হযরত সাঃ সকল মুসলিমের উপর করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনের মাথায় আমরা মাথা মুন্ডন করে সন্তানের মঙ্গলাথে একটি সুন্দর নাম রেখে পশু কোরবানির মাধ্যমে আকিকার করিয়ে থাকি। আমরা অনেকেই যারা আকিকা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং তথ্য সম্পর্কে জানিনা তারা নিশ্চয়ই এখন থেকে মেনে আকিকা করিয়ে থাকবো।