দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় - প্রিয় পাঠক আপনি কি দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছেন। চমৎকার ঝলমলে ১টি মহাদেশ নাম তার ইউরোপ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মানুষের স্বপ্নের মডার্ন আবাসন ইউরোপ। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে স্বপ্নের দেশে পারি জমাতে গিয়ে অনেকে পরেন বিপাকে। অনেকে বে-আইনি পথে ইউরোপ যেতে গিয়ে প্রাণ বিস্বর্জন দিয়েছেন।
সূচীপত্রঃ দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
আজ আপনি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন, কিভাবে সহজ উপায়ে দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়া যায় এবং আরো জানতে পারবেন ইউরোপের নানা রকম দেশে যেতে আপনাকে কি করতে হবে !!
এবং আপনি দুবাই থেকে ইউরোপের যেকোনো স্থানে কিভাবে যেতে পারবেন। তাছাড়াও কোন কোন এজেন্সির দ্বারা ইউরোপে যেতে পারবেন। এই যাবতীয় সকল ধরণের ইনফরমেশন সহজ ও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।
তাই আপনি যদি এই সকল উপাত্তগুলো জানতে চান। তাহলে এই পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন, যা থেকে ভীষণ সহজে বুঝতে পারবেন। দুবাই হতে ইউরোপের যেকোনো দেশে যেতে আপনাকে কি কি করতে হবে। চলুন তাহলে দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় গুলো দেখে নেইঃ
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
আপনি যদি দুবাই থেকে ইউরোপ ভ্রমণের কথা ভাবেন অথবা কাজের ক্ষেত্রে দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার মনোনিবেশ করে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথম কিছু বিষয় ভালোভাবে জানা অবশ্যক। দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভিসা খুবই জরুরি একটি মাধ্যমও বিষয়।
দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল সঠিক নিয়ম মেনে ভিসা নিশ্চিত করা। কেননা, অনেক সময় কিছু ভুলের কারণে ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে। আপনাদের একান্ত সহযোগিতায় সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে নিশ্চিত থাকুন যে আপনার ভিসা বাতিল হবে না।
যেহেতু আপনি দুবাই থেকে ইউরোপ কাজের ক্ষেত্রে যাচ্ছেন সেহেতু কমপক্ষে ২-৩ বছর এর জন্য ভিসা নিশ্চিত করুন। তাহলে মূল প্রভাব হবে, আপনার ভিসা কখনই বাতিল হবে না।
আপনি যদি দুবাই হতে ইউরোপে যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমত দুই বছর মেয়াদি ১টি ভিসা প্রস্তুত করতে হবে। যে ভিসাটির দ্বারা আপনি ইউরোপে প্রবেশ করতে পারবেন। ইউরোপ যেতে হলে আপনাকে দুবাইতে সর্বনিম্ন ১ বছরের মতো থাকতে হবে। তারপরে আপনি সে জায়গা হতে ইউরোপ যাওয়ার প্রসেস করতে পারবেন।
কখনো কখনো ভিসা এখান থেকে বাতিল করা হয়। তাই আপনাকে অন্তত ১ বছর ভালোভাবে প্রক্রিয়া করতে হবে কিভাবে আপনি ইউরোপে প্রবেশ করবেন। দুবাইয়ে ১ বছর থাকা পর আপনার কতিপয় রিকোয়ারমেন্ট আছে, সেগুলো পূর্ণ করা লাগবে। সেই রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
আরাে পড়ুনঃ বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন ব্যাংক লোন দেয়
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার পরিকল্পনা
দুবাই হতে ইউরোপ যাওয়ার প্রিপারেশন করে থাকলে। আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে হবে। দুবাই যাওয়ার জন্য আপনি বাংলাদেশ হতে অত্যন্ত সহজেই ভিজিট ভিসা পেয়ে যাবেন ও দুবাইয়ে একবার সমর্থন থেকে সেখানকার পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে সেখানকার বিধান অনুযায়ী আপনি ইউরোপে যেতে পারবেন।
কি কি রিকোয়ারমেন্ট লাগবে
দুবাই থেকে ইউরোপ যেতে কি কি লাগবেঃ ০৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিমান টিকিটের ফটোকপি, পূর্বের ট্রাভেল করেছেন এরূপ প্রমাণ, সম্প্রতি যে কাজে নিয়োজিত আছেন তার প্রমাণ ও কি কাজের উদ্দেশ্যে ইউরোপ যাবেন তার ১টি বৃত্তান্ত। এই প্রয়োজনের রিকোয়ারমেন্ট ছাড়া আপনি দুবাই থেকে ইউরোপ যেতে পারবেন না। একারণে আপনাকে দুবাই হতে ইউরোপ যেতে হলে এ রিকোয়ারমেন্ট গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাভেল হিস্টোরি থাকতে হবে
দুবাই হতে ইউরোপে যেতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে ট্রাভেল হিস্টোরি। যখন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখা হবে তারপরেই দেখাতে হবে আপনি কোন কোন দেশের ট্রাভেল করেছেন বা গিয়েছেন। যদি থেকে তারা বুঝতে পারে যে আপনি বিচিত্র দেশেই ভ্রমণ করেছেন তাহলে আপনার দুবাই হতে ইউরোপে যাওয়া আরো অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়াবে। এইজন্য আপনার যদি ট্রাভেল হিস্টোরি থাকে। তাহলে সেগুলো ভালোভাবে সেখানে দেখাবেন।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্ট্রং হতে হবে
ব্যাংক স্টেটমেন্ট পর্যাপ্ত জ্যেষ্ঠ অবদান পালন করে থাকে দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার ক্ষেত্রে। কেননা যখন দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন। সেই সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ আরো পর্যাপ্ত কিছু তারা পরিষ্কারভাবে যাচাই-বাছাই করে বা নজরদারি করে এবং যদি আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ প্রচুর পরিমাণ টাকা আদান-প্রদান হয়ে থাকে তাহলে ইউরোপের ভিসা অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়াবে।
একটা কান্ট্রিতে আপনি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আছেন তারপর আবার আপনি ইউরোপে ভিজিট করতে যাবেন এটা আসলে এই প্রফেশনের সাথে ম্যাচ করে না। তবে যদি আপনি খুব ভালো একটা জব করে থাকেন আপনি আইটি অফিশিয়াল এইচআর একাউন্ট এ ধরনের অফিশিয়াল জব করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে হাই সালারি যদি আপনার থাকে তাহলে এটা বলব যে আপনি একটা ইউরোপিয়ান কান্ট্রিতে ভিজিট করতে যেতে পারেন বা ক্লিনার ওয়ার্কার শ্রেণীর ধরনের কোন জব করে থাকেন তাহলে সেই জবের স্ট্যাটাস নিয়ে আপনি ইউরোপের কোন দেশে ভিজিট ভিসার জন্য এপ্লাই করবেন এটা আসলে ম্যাচ করেনা।
আমি মনে করি যে আপনারা যারা এই স্ট্যাটাসে আছেন তাদের ইউরোপের ভিজিট ভিসার জন্য ওখান থেকে এপ্লাই করা উচিত না। যদি আপনার স্ট্যাটাসটা ওরকম হাই অফিশিয়াল থাকুক দীর্ঘদিন থেকে ২০ বছর ২৫ বছর আপনি জব করছেন ওই দেশের ডি-কোম্পানির ওনারের সাথে আপনার রিলেশন খুবই ভালো সে আপনাকে স্পন্সর পড়ছে সে আপনার কোম্পানির সকল ডকুমেন্ট দিয়ে আপনাকে সাপোর্ট দিচ্ছে সেলিব্রেটি শো আদারোয়াইজ এটা আসলে ভিজিট ভিসার জন্য এপ্লাই করা ঠিক না।
কারণ ভিজিট ভিসা চেষ্টা অনেক কম থাকে। ইউরোপের দেশগুলোতে রাজনৈতিক ছায়া প্রার্থনা করা যায়। এই পদ্ধতিতে ঈষৎ টাইমে নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। অনুমোদন সূত্রে দীর্ঘদিন বসবাস করলে বা সে রাষ্ট্রে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে নাগরিকত্ব লাভ করা যায়।
যেমন পর্তুগালে ৫ বছর বসবাস করলে নাগরিকত্ব প্রদান করে। সুতরাং ইউরোপের দেশগুলোতে গমনের প্রথমে এ সব ব্যাপারে জেনে-বুঝে ডিসিশন নেওয়া উচিৎ। এছাড়া গন্তব্যে একজন সুন্দর সাহায্যকারী সিলেক্ট করে যাওয়া ভালো। তাতে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা অফার থাকে।
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সতর্কতা অবলম্বন
সোশ্যাল যোগাযোগ দ্বারা কয়েকটি লোভনীয় অফার লক্ষ্য যায়, অফারে শিরোনাম গুলো দেখে কেউ কেউ দালালের পাল্লায় পড়েন। শিরোনাম গুলোর ধরন থাকে কিছুটা এরকম- ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং একদম ফ্রি, ইউরোপের ভিসা ২০২২ প্রসেসিং এর জন্য বিখ্যাত ভিসা এজেন্সিতে চলে আসুন,
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ফ্রি কনসাল্টেশন, ইউরোপের স্টুডেন্ট ভিসা ২০২২, আগে ভিসা পরে টাকা, অফার খরচে ইউরোপে কাজের ভিসা ইত্যাদি। এধরনের প্রতারনা মূলক পোস্ট দেখে লোভে না পড়াই উত্তম। আপনিও হয়েতো স্বপ্ন দেখছেন ইউরোপ গমনের।
দুবাই থেকে ইউরোপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ইউরোপ একটি পর্যাপ্ত বড় মহাদেশ হিসেবে পরিচিত আমাদের এই পুরো বিশ্বে। ইউরোপে অনেক রাষ্ট্র রয়েছে যেগুলোতে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে পর্যাপ্ত লোক গিয়ে থাকে। এজন্য জেনে গ্রহণ করুন দুবাই থেকে ইউরোপের যেকোনো দেশে কেমন করে যাবেন ও কোন কোন এজেন্সির দ্বারা যেতে পারবেন। প্রধারনত মানুষ ইউরোপের নানারকম দেশগুলোতে নানান কাজের জন্য গিয়ে থাকে কিন্তু ইউরোপের এই সব দেশগুলোতে যেতে অনেক রকম ঘাপলা পোহাতে হয় সে সব ব্যক্তিদের।
ইউরোপের কিছু রাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্য এ ৬টি দেশে ইজিলি নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশই ক্ষেত্র বিশেষ নাগরিকত্ব প্রদান করে। ইউরোপের বাহিরে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পেরু, ভেনিজুয়েলা, পানামা সহ কতিপয় দেশ নাগরিকত্ব প্রদানে উদারতা দেখায়।
অনেক মানুষ বিদ্যমান যারা বে-আইনি ভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করছে। কিন্তু বে-আইনিভাবে ইউরোপের দেশ গুলোতে প্রবেশ করতে হলে লাইফে পর্যাপ্ত রিস্ক আছে। অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করার ফলে জীবন চলে যেতে পারে। একারণে এ সব রিক্স হতে বাঁচতে ও বৈধভাবে সোজা উপায়ে দুবাই থেকে ইউরোপের যেকোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।