দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় - আপনি কি দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটিতে আপনি দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যদি আপনি দ্রুত হাই প্রেসার কমাতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই।
সূচিপত্রঃ দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
এছাড়াও আমাদের পোস্টটিতে "দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়" "হাই প্রেসার কাকে বলে" "হাই প্রেসার হলে কি করতে হবে" "দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ" "হাই প্রেসার কমানোর উপায়" সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধ মানুষ হাই প্রেসার রোগে ভুগে থাকেন। হাই প্রেসার সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য অনেকেই বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। হাই প্রেসার বর্তমানে একটি বিরাট রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেইঃ
হাই প্রেসার কাকে বলে
আমাদের প্রায় সবারই কমবেশি মধ্যবয়সী মানুষদের এবং বৃদ্ধ মানুষের হাই প্রেসার রোগে আক্রান্ত। হাই প্রেসার কমানোর উপায় অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না।
হাই প্রেসার কাকে বলে আমরা প্রায় কমবেশি অনেকেই জানি এবং যারা না জানে তারা হাই প্রেসার সম্পর্কে এবং হাই প্রেসার কাকে বলে তা জেনে নিন। হাই প্রেসার হলো উচ্চ রক্ত চাপ যখন শরীরে ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ পড়ে তখন তা হাই প্রেসারে পরিণত হয়।
এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রায়ই কমবেশি সবাই এই রোগটিতে ভোগে থাকে। হাই প্রেসার বা হাইপার টেনশন এটি একটি উচ্চ রক্তচাপ। এর ফলে আমাদের হৃদরোগ বাড়ার ঝুঁকি বাড়ে। আমাদের ধমনী যখন শুরু হয়ে যায় তাতে রক্তের চাপ পড়ে এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে এই রক্তচাপের কোন উপসর্গ বোঝা যায় না।
আরো পড়ুনঃ জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ
হাই প্রেসার হওয়ার কারণ - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
হাই প্রেসার হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা হাই প্রেসার কমানোর উপায় এবং হাই প্রেসার হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানবো। চলুন তাহলে হাই প্রেসার হওয়ার কারণ দেখে নিইঃ
আমাদের সমাজে হাই প্রেসার এখন অধিক হাড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি একটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখে ফেলে দেয়। অনেক বৃদ্ধ বয়সী এবং মধ্যবয়সী মানুষ এই রোগে ভুগে থাকেন। তাই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় এবং হাই প্রেসার হওয়ার কারণ আমাদের জেনে থাকতে হবে।
স্বাভাবিক রক্তচাপের চেয়ে বেশি হলে এটাকে হাই প্রেসার বলে বা উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকে। কারণ এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি যা আমাদের জীবনেও শেষ করে দিতে পারে। হাই প্রেসার হওয়ার কারণ গুলো হলোঃ
এমন অনেকেই আছেন যারা হাই প্রেসার রোগে ভুগে থাকেন কিন্তু তারা প্রাথমিকভাবে অবগত থাকেন না। হাই প্রেসার হচ্ছে এটি একটি স্বাস্থ্যকর ব্যাধি। যা আমাদের সমাজে অনেক বিস্তার লাভ করেছে।
১। আমাদের ধমনীতে যখন উচ্চ রক্তচাপের চাপ পড়ে তখন এই রোগটি উৎপন্ন হয়।
২। এছাড়া অতিরিক্ত টেনশনের কারণে আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এই রোগের লক্ষণ দেখা যায়।
৩। দৈনিক আমাদের শরীরের হৃদযন্ত্রে যতবেশি রক্ত সরবরাহ করবে এবং ধমনী শুরু হবে এবং এর চাপ ততবেশি বাড়বে ফলে এটি হাইপ্রেসারে পরিণত হতে পারে।
৪। হাই প্রেসার রোগের বংশগত ধারাবাহিকতা রয়েছে, যদি পিতা-মাতার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার থাকে, তবে সেক্ষেত্রে সন্তানেরও হাই প্রেসার রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৫। অতিরিক্ত ধূমপায়ী ব্যক্তির শরীরে তামাকের বিভিন্ন রকম বিষাক্ত পদার্থের প্রতিক্রিয়ায় হাই প্রেসার সহ ধমনি, শিরার নানা ধরনের রোগ এবং হৃদ রোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬। যথেষ্ট পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম না করলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে করে হৃদযন্ত্রের কিংবা হার্টের অতিরিক্ত পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়। তাই অধিক মোটা কিংবা ভারী লোকদের হাই প্রেসার হয়ে থাকে।
৭। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের হাই প্রেসার রোগ দেখা দেয়। এছাড়া তাঁদের অন্ধত্ব এবং কিডনি রোগের মতো আরো নানা রকম রোগ হতে পারে।
এছাড়াও অতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, ভীতি এবং মানসিক চাপের কারণেও হাই প্রেসার সাময়িক ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। আর যদি মানসিক চাপ অব্যাহত থাকে এবং রোগী ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারে, তাহলে এই হাই প্রেসার স্থায়ী রূপ নিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা
হাই প্রেসার হলে কি করা উচিত - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
হাই প্রেসার কাকে বলে, হাই প্রেসার হওয়ার কারণ, হাই প্রেসার হলে কি করতে হবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ রোগটি একটি ক্ষতিকর স্বাস্থ্য সমস্যা। এজন্য আমাদের এই রোগ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার হলে কি করতে হবে এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে চলুন হাই প্রেসার হলে কি করনীয় তা জেনে নেইঃ
হাই প্রেসার হলে আমাদের ধমনীর রক্তচাপ বেড়ে যায় যার ফলে হৃদযন্ত্রেরঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকের মত অনুযায়ী হাই প্রেসারের হলে কি করতে হবে তা জেনে নিনঃ
১। রক্তচাপ নির্ণয়ের পর যদি আপনার হাই প্রেসার ধরা পড়ে তাহলে আপনাকে নিয়মিত চিকিৎসাও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিয়মিত হাই প্রেসার পরীক্ষা করতে হবে।
২। আপনি যদি হাই প্রেসারের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে খাবারের লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। কারণ লবনের জন্য হাই প্রেসারের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
৩। আপনি যদি হাই প্রেসার থেকে বাঁচতে চান তাহলে আপনার ওজন স্বাভাবিক রাখুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখুন।
৪। আপনি নিয়মিত শরীরকে কমপক্ষে আধাঘন্টা শরীরের চর্চা করুন এবং আপনার শরীরকে শারীরিক ভাবে সচেতন রাখুন। এতে করে আপনার উচ্চ রক্তের রক্তচাপ কমায় এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৫। আপনার হাই প্রেসার হলে তেল যুক্ত খাবার এবং কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং চর্বিযুক্ত খাবার এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি যদি শারীরিকভাবে সচেতন না হন তাহলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় এবং হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। হাই প্রেসার একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ব্যাধি যা আমাদের সমাজের প্রায় সকলেরই কম বেশি হয়ে থাকে। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় এবং হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলকেই সচেতন জরুরি। তাই দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় গুলো জেনে নিন এখান থেকেঃ
১। যাদের হাই প্রেসার আছে তারা পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে পারেন যেমনঃ কলা, বাদাম, কুমড়োর বিচি। এগুলোতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ শিথিল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
২। ভিটামিন সি হাই প্রেসার এর জন্য একটি উপকারী ফল যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে শক্তিশালী হিসেবে কাজ করে থাকে।
৩। পালং শাকে অনেক ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও পালং শাক হৃদযন্ত্রের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
৪। গাজরে ক্লিনোজেনিক, পি-কুমারিক এবং ক্যাফিক অ্যাসিডের মতো ফেনোলিক যৌগ থাকে। আর এই যৌগগুলো রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫। টুনা মাছ, দই, অ্যাভোকাডো, টমেটো ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।
৬। আপনি যদি হাই প্রেসার কমাতে চান তাহলে আপনি ধূমপান করা এবং অ্যালকোহল যুক্ত খাবার ছেড়ে দিন। কারণ এটি হাই প্রেসারের সরল শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৭। আপনি যদি হাই প্রেসার কমাতে চান তাহলে খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং জিং যুক্ত খাবার লবণযুক্ত বিস্কুট পরিত্যাগ করুন।
৮। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পাড়ুন এবং জল খাওয়া এবং মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার প্রেসার ধীরে ধীরে কমে গেছে।
হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ
হাই প্রেসার কাকে বলে? হাই প্রেসার হওয়ার কারণ, হাই প্রেসার হলে কি করতে হবে, দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় তা আমরা উপরের পোস্টটিতে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানবো হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ সম্পর্কে।
আমাদের যখন স্বাভাবিক রক্তের চাইতে বেশি রক্ত চাপ বৃদ্ধি হয় তখন তাকে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বলে। এই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ সেবন করে থাকি। আমরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ ওষুধগুলো বিরতি দিতে পারিনা।
কারণ ওষুধগুলো বিরতি দিলে হাই প্রেসারের এবং উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এবং এ ওষুধগুলো আমাদের নিয়মিত সেবন করা জরুরি হয়ে পড়ে। তাহলে চলুন হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ গুলো কি কি জেনে নেইঃ
হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ
1. প্রোপানোলাল (propanolol): এটি হৃদপিন্ডের গতি ও সংকোচন রক্তচাপ কমায়।
2. এটিনোলাল (Atinolol): এটি বিটা ব্লকার জাতীয় রক্তচাপ বিরোধী কমানো ওষুধ
3. এমলো ডিপিন (Amlodipin): এমলো ডিপিন একটি হাইড্রোপাইরিডিন ক্যালসিয়াম বিরোধী ঔষধ যার দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতা আছে।
4. লোসারর্টেন পটাশিয়াম (Losarten potasiuam): এটি সকল প্রকার উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
শেষ কথাঃ দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই হাই প্রেসার কাকে বলে? হাই প্রেসার কেন হয়? হাই প্রেসার কমানোর উপায়, হাই প্রেসার হওয়ার কারণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।
হাই প্রেসার একটি স্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর ব্যাধি যা আমাদের সমাজে প্রায় বয়স্কদের হয়ে থাকে। এটি একটি উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট ব্যাধি। এই রােগ থেকে মুক্তি পেতে হলে উপরের নিয়ম গুলো মেনে চলবেন এবং হাই প্রেসার মতো রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় লেখাটি আপনার অনেক উপকারে আসবে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।