রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি - আপনি কি রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে জানতে চান? অনেক বাংলাদেশী ভাই আছেন তারা রোমানিয়া যেতে চান কিন্তু রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশী এই তথ্য না জানার কারণে অনেকেই বাংলাদেশী রোমানিয়া যেতে পারছে না।
আপনারা যারা রোমানিয়ায় যেতে চাচ্ছেন তারা আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে সকল কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। কারণ আজকের আমরা আপনাদের সাথে জানানোর চেষ্টা করব রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি।
কিভাবে রোমানিয়া যাবেন, রোমানিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে, রোমানিয়া ভিসার দাম কত, রোমানিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত ইত্যাদি বিষয় আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
রোমানিয়া যাওয়ার উপায় ২০২২
আপনি যদি এই বছর রোমানিয়া যাওয়ার কথা চিন্তা করেন তাহলে যেতে পারেন। কিন্তু এটা জেনে রাখুন রোমানিয়ান কিন্তু সিনজেন ভুক্ত না। মানে এটি সিনজেন এর বাহিরের দেশ। কিন্তু যারা ভাবছেন যে রোমানিয়ান সেখান থেকে সিনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে যাবেন তারা সেখানে যাওয়ার আশা ভুলে যান।
কারণ হচ্ছে রোমানিয়া সিনজেন ভুক্ত নয়। সিনজেনের বাইরের দেশ থেকে সিনজেনভুক্ত দেশ গুলোতে ঢোকা অনেক কঠিন ব্যাপার। এছাড়াও আপনি একটি উপায়ে রোমানিয়া যেতে পারবেন আর সেটি হচ্ছে প্রথমে আপনাকে ইউরোপ যেতে হবে এরপর ৪/৫ বছরের জন্য ভিসা নিয়ে আপনি রোমানিয়া যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি কাজ অথবা চাকরির জন্য রোমানিয়া যান তাহলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা অনেক বেশী থাকতে হবে।
রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন রোমানিয়া ভিসা খরচ কত বা রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আপনি যদি এবছর রোমানিয়া যেতে চান তাহলে পনার ভিসার খরচ পড়তে পারে মিনিমাম ৮৪ হাজার টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত।
এর কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশের যাতায়াত খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্যন্য খরচ সব মিলিয়ে এমন খরচ হতে পারে। রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগবে তার একটি সাধারণ ধারণা দিলাম। তবে এছাড়াও রোমানিয়া যেতে কমবেশী টাকা খরচ হতে পারে।
রোমানিয়া যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি রোমানিয়া যেতে চান তবে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকেই জোগাড় করে রাখতে হবে। যে সকল ডকুমেন্ট ছাড়া আপনি কোন ভাবেই রোমানিয়া যেতে পারবেন না। তা নিম্নরুপঃ
১। পাসপোর্ট ২। বিমানের টিকিট ৩। ভিসা ৪। একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৫। দূতাবাসের ফোন নাম্বার ও ঠিকানা ৬। জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ৭। মেডিকেল রিপোর্ট
৮। চাকুরির ছাড়পত্র ৯। টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র ইত্যাদি ১০। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ১১। ছয় মাস ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স ১২। ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ১৩। ওয়ার্ক পারমিটের কপি ১৪। পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২ কপি)
এছাড়াও রোমানিয়া যেতে আরও কাগজপত্র লাগতে পারে। আপনারা যারা রোমানিয়া যেতে চান তারা দৈনিক সংবাদপত্রের প্রবাসী চাকরির খবরে খেয়াল রাখবেন তাহলে সকল তথ্য ভালোভাবে পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
রোমানিয়া পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় আগে জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো রোমানিয়া নোটারি করতে মিনিমান ৭ থেকে ১০ দিনের মত সময় লাগতে পারে।
এরপর আপনার ফাইলগুলো রোমানিয়া ইমিগ্রশনে জমা হয়ে থাকবে। এরপর ইমিগ্রেশনে সকল ফাইল জমা হওয়ার পর আপনাকে একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এবং সেই স্লিপে লেখা থাকবে কবে ফাইল জমা দিতে হবে এবং উত্তেলন করতে হবে।
এবং এরপর আপনার কন্ট্যাক্ট লেটারসহ সকল ডকুমেন্টের হার্ডকপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এবং সেই ফাইলগুলো নিয়ে ছয় মাসের ট্রাভেল ইন্সুরেন্স তৈরি করে রোমানিয়ার মিনিস্ট্রিতে সবগুলো ফাইলের স্ক্যান করে অনলাইনে জমা দিতে হবে। এরপর ১৪ থেকে ১৫ দিন পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা স্টিকার করে আপনার পাসপোর্টে।
রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
অন্যান্য দেশের মত রোমানিয়াতেও অনেক কাজের চাহিদা আছে। তবে রোমানিয়াতে সবচেয়ে বেশী কাজ হচ্ছে কন্সট্রাকশন, ফ্যাক্টারি, হোটেল বয়, সেনেটারী কাজ, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, ক্লিনার, কম্পিউটার অপারেটর,
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, আইটি ম্যানেজার সহ বেশ কিছু ভালো ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে রোমানিয়াতে বেশি কাজের চাহিদা হচ্ছে রেস্টুরেন্ট ওয়ার্কার, হোটেল বয়, কিচেন হেল্পার ইত্যাদি। কিন্তু সব কাজের বেতন এক রকম নয়।
রোমানিয়া কাজের ভিসা
বর্তমানে বিভিন্ন কাজের জন্য রোমানিয়ে লোক নিয়োগ করেছে। আগের অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প সংখ্যক লোক দিল্লিতে এম্বাসি হয়ে এসে তারপর রোমানিয়ায় যেত। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে অনেকেই রোমানিয়া যাচ্ছে।
রোমানিয়াতে গার্মেন্টস সহ ড্রাইভিং ভিসা এবং হোটেল কর্মীদের বেশী লোক নিচ্ছে রোমানিয়া সরকার। তাই আপনি কাজের জন্য ভিসা নিয়ে রোমানিয়া যেতে পারবেন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করার জন্য।
রোমানিয়া ভিসা আপডেট ২০২২
বর্তমানে রোমানিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা চালু আছে। আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরি কাজ করার জন্য রোমানিয়া যেতে পারেন। করোনা মহামারীর কারণে সকল কার্যাবলী বন্ধ থাকলেও তা আবার পূনরায় চালু করা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ অথবা দিল্লির মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ রোমানিয়া যেতে পারছে। তাই আপনি চাইলে আপনার সকল কার্যাবলী সম্পন্ন করার পর রোমানিয়া যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
রোমানিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
অনেকেই জানতে চেয়েছেন রোমানিয়া যেতে সর্বনিম্ন কত বছর বয়স লাগে। রোমানিয়া যেতে পারবেন আপনি বিভিন্ন বয়সে। তবে রোমানিয়া যেতে হলে সাধারণত ২২ বছর বয়স থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হলে জব ভিসার আবেদন করা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কম হলেও চলে। আপনার যদি বয়স ২২ বা ২৩ হয়ে থাকে তাহলে আপনিও রোমানিয়া যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন।
রোমানিয়া কাজের বেতন কত
আপনারা যারা রোমানিয়া যেতে আগ্রহী তারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন রোমানিয়া কাজের বেতন কত এই সম্পর্কে। রোমানিয়া বিভিন্ন কাজের জন্য তাদের কর্মীদের বিভিন্ন স্কেলের বেতন দিয়ে থাকে। আপনি কি কাজ করছেন তা নির্ভর করেই কাজের বেতন দেওয়া হয়।
তবে রোমানিয়া তাদের কর্মীদের যে বেতন দেয় তার আনুমানিক ধারণ আপনাদের দেওয়া হলোঃ রোমানিয়াতে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল হচ্ছে ৫০০$ ডলার। তার মানে এই নয় যে, সকল এর বেতন ৫০০ ডলার অথবা প্রত্যেকটি কাজের জন্য সে ৫০০ ডলার বেতন পাবে। কাজের ধরন বা কাজের স্কিল অনুযায়ী আপনার বেতন বাড়বে। আপনি আপনার ক্যাটাগরিতে যত ভালো কাজ করতে পারবেন তত আপনার পেমেন্ট বাড়তে থাকবে।
রোমানিয়া টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
রোমানিয়া টাকা বাংলাদেশের 19.43 টাকা।
রোমানিয়া টাকার রেট কত?
রোমানিয়া টাকার রেট টাকায় 19.43 টাকা।
রোমানিয়া টাকার নাম কি?
রোমানিয়া টাকার নাম হচ্ছে লে।
শেষ কথাঃ রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। এছাড়াও আলোচনা করেছি রোমানিয়া যাওয়ার উপায়, রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগবে, রোমানিয়া কাজের বেতন কত ইত্যাদি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি।
আশা করি আপনি আমাদের আজকের পোস্ট পড়ে রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত ভাবে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।