ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম - প্রিয় পাঠিক, আপনি কি ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? মেয়েরা কিভাবে মেকআপ করে তা অনেক মেয়েই জানতে চায় কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে তারা মেকআপ করার নিয়ম জানতে পারে না।
আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো "মেকআপ করার জিনিসের নাম", "মেকআপ বক্স", "ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম", "মেকআপ করার পদ্ধতি", "মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ছবি", মেকআপ করার জিনিসের নাম ও দাম, মেকআপ করতে কি কি জিনিস লাগে, মেকআপ সামগ্রীর নাম, মেকআপ এর বাংলা কি, মেকআপ এর বাংলা অর্থ কি, মেকআপ করার নিয়ম, প্যানকেক মেকআপ ব্যবহারের নিয়ম।
সূচীপত্রঃ ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
তবে আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনিও জানতে পারবেন ঘরে বসে মেকাপ করার নিয়ম। মেয়েরা মেকআপ করতে খুবই পছন্দ করে। বর্তমানে মেকআপ করতে পছন্দ করে না এমন মেয়ে খুজে পাওয়া খুবই কষ্টকর।
মেকআপ এই যুগের একটি সাধারণ বিষয়। কারণ মেকআপের মাধ্যেমে সৌন্দর্য আরও ফুটে ওঠে। তবে আজকাল মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও মেকআপ করছে।
তবে এটাও জেনে রাখা উচিত শুধু মেকআপ করলেই হবেনা মেকআপ করার সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আমরা সাজিয়েছি ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে।
ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
আপনারা সকলেই জানতে চাইছেন, ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে, ঘরে বসে কিভাবে মেকআপ করে এসব বিষয় নিয়ে। নিজেকে সকলের সামনে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করার সাধারণত মেকআপ করা হয়।
আমাদের দেশে বেশী মেয়েরা মেকআপ করে তাই মেয়েদের বেশী জানার আগ্রহ আছে যে ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে জানার। তাই আপনারা যারা আজকের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে আপনি জানতে পারবেন মেয়েদের ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম। তাহলে চলুন মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
আপনি যদি ঘরে বসে মেকআপ করতে চান তবে আপনাকে নিয়মগুলো বা ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। তাহলে চলুন মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।
১। মেকআপ শুরু করার আগে সর্বপ্রথম আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর আপনার ফেস ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য যেকোনো ভালোমানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
২। এরপর ভালোমানের একটি টোনার ব্যবহার করতে হবে।
৩। টোনার ব্যবহারের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আপনাকে ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৪। আপনি যদি দিনের বেলা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাইরে বের হোন তবে আপনাকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরে আপনাকে যেকোনো ধরনের একটি সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
৫। এবার মুখে মেকআপ করার জন্য ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৬। এরপর লুজ পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার সেট করে নিতে হবে।
৭। এরপর নিজের ইচ্ছামতো আপনি আপনার চোখে মেকআপ করতে পারেন।
৮। চোখের মেকআপ করার পর আপনার মুখের কন্ট্রোলিং, ব্লাশ এবং হাইলাইটার ব্যবহার করে নিতে হবে।
৯। এরপর আপনার রুচি অনুযায়ী আপনার ঠোঁটে লিপিস্টিক দিতে পারেন।
১০। সব কাজ হয়ে গেলে এবার আপনার সম্পূর্ণ মুখে মেকআপ ভালোভাবে সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ
মেকআপ করার সহজ নিয়ম
আপনারা সহজে মেকআপ করতে চাচ্ছেন তাহলে এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন তবে আপনি সহজে মেকআপ করতে পারবেন।
১। প্রথমে আপনার ফেস পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২। এরপর ভালোমানের একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
৩। টোনার ব্যবহার করতে হবে।
৪। মেকআপ করার জন্য ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৫। এরপর লুজ পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার সেট করে নিতে হবে।
৬। এরপর আপনার পছন্দমত চোখের এবং ঠোঁটের মেকআপ করতে পারেন।
৭। সবশেষে আপনার সম্পূর্ণ ফেস মেকআপ ভালোভাবে সেট করার জন্য সেটিং স্প্রে দিবেন।
তো এভাবেই আপনারা খুব সহজেই ঘরে বসেই মেকআপ করতে পারেন। আর সহজে মেকআপ করতে যদি কোন প্রকার সমস্যা হয় তবে আপনি আমাদের আজকের এই পোস্টের “ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম ও ধাপগুলো” দেখুন।
চোখের মেকআপ করার নিয়ম - চোখের মেকআপ করার পদ্ধতি
আপনার ফেইসের আরো বেশী সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে যদি আপনি আপনার চোখে মেকআপ করেন। আপনি নিজের কথাই চিন্তা করেন আপনি যখন কারোও দিকে তাকান তাহলে আপনি সর্বপ্রথম একজন ব্যক্তির কোনো অংশের দিকে তাকান অবশ্যই তার চোখের দিকে তাকান। কি ঠিক না?
তাহল আপনি যদি আপনার চোখে মেকআপ করেন তবে আপনার ফেইসের মেকআপের সাথে আপনার চোখে করা মেকআপ অনেকটাই ফুটে ওঠবে। তাই আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন চোখের মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে জেনে নিন চোখের মেকআপ করার নিয়ম।
চোখের মেকআপ করতে কি কি লাগে
চোখের মেকআপ করার জন্য কয়েকটি ধাপ আছে। এই ধাপগুলো অতিক্রম করলেই ভালোমানের চোখের মেকআপ করা সম্ভব।
১। আই ভ্রু ২। আই ফাউন্ডেশন ৩। আইশ্যাডো ৪। আইলাইনার ৫। কাজল ৬। মাস্কারা ৭। ফলস আইল্যাশ
আই ভ্রু- মেকআপ করার নিয়ম
প্রথমে আপনার কাজ হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দ মত যেকোনো আই-ভ্রু পমেট নিয়ে আই-ভ্রু আঁকতে হবে।
আই ফাউন্ডেশন- মেকআপ করার নিয়ম
এরপর চোখের উপরের পাতাতে ভালো করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
আইশ্যাডো- মেকআপ করার নিয়ম
চোখের মেকআপ করার জন্য সৌন্দর্যের প্রধান অংশ হচ্ছে আইশ্যাডো। আইশ্যাডো আপনি যখন করবেন তখন আপনি আপনার পছন্দমত করে আপনার চোখের মেকআপ করতে পারবেন।
তবে আপনাদের বলে রাখি আপনি যে দিন যে অনুষ্ঠানে যে কালারের জামা পরে অনুষ্ঠানে যাবেন সেই কালারের আইশ্যাডো করবেন তাহলে আপনাকের দেখতে আরও ভালো লাগবে।
আইলাইনার- ঘরে মেকআপ করার নিয়ম
আইলানার হচ্ছে এক ধরনের কাজলের মত যেটা আপনার চোখের উপরের পাতাতে দেয়া হয়। এটা আপনার ইচ্ছা। আপনি নিতেও পারেন অথবা না নিতেও পারেন।
কাজল- মেকআপ করার নিয়ম
মেয়েদের চোখে কাজল দিলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তবে যদি আপনার কাছে ভালো না লাগে তাহলে ব্যবহার না করলেও সমস্যা হবে না।
মাস্কারা- ঘরে মেকআপ করার নিয়ম
চোখের পাপড়িকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে আপনি চোখের পাপড়িতে মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন।
ফলস আইল্যাশ- মেকআপ করার নিয়ম
চোখকে আরও বেশী সুন্দর করার জন্য ফলস আইল্যাশ ব্যবহার করা হয়। আপনারা চাইলে ফলস আইল্যাশ ব্যবহার করে আপনার চোখকে আরও সৌন্দর্য বাড়িয়ে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায়
মেকআপ করার জিনিসের নাম
আমরা যারা নতুন মেকআপ করা শুরু করি তখন মেকআপের বিভিন্ন জিনিসের নাম জানা থাকেনা। আপনার যদি মেকআপের জিনিসের নাম জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেকআপ সম্পন্ন করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে আসি মেকআপ করার জিনিসের নাম সম্পর্কে।
মেকআপ করার জন্য আপনাকে যা যা জানতে হবে তা হচ্ছেঃ ১। ফেসওয়াশ ২। স্ক্রাব ৩। টোনার ৪। মশ্চারাইজার ৪। প্রাইমার ৬। ফাউন্ডেশন ৭। কনসিলার ৮। ফেস পাউডার ৯। আই শেডো বক্স ১০। মাশকারা ১১। আইলাইনার
১২। আই লেশ ১৩। কন্ট্রোলার ১৪। ব্লাশন ১৫।হাইলাইটার ১৬। লিপস্টিক ১৭। সেটিং স্প্রে ১৮। ব্যানানা লাক্সারী পাউডার ১৯। কাজল ২০। মেকআপ রিমুভার ২১। মেকআপ ব্রাশ ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে, আমাদের জেনে রাখা উচিত আপনার মেকআপের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন জিনিস লাগতে পারে।
মেকআপ করার জিনিসের দাম
আপনারা যারা মেকআপ করা জিনিসের দাম কত জানতে চাচ্ছেন, তারা জেনে নিন বাংলাদেশে বর্তমানে মেকআপের দাম ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ২,০০০ টাকার মধ্যে ভালোমানের মেকআপ পেয়ে যাবেন। তবে আপনি আপনার এলাকার দোকান থেকে এর থেকে কম দামেও পেতে পারেন।
মেকআপ করতে কি কি জিনিস লাগে
প্রিয় পাঠক জীবনের সমস্ত জ্ঞান লাভই যেমন নিয়মিত এবং সুশৃঙ্খল হওয়া উচিত তখন সৌন্দর্য সাধনার বেলাতে অন্যথা কেন? আর্টিকেলের এই অংশে দেখবো মেকআপ করতে কি কি জিনিস লাগে। আজকের এই তালিকা সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটি বিষয় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থিত।
আশাকরি এই বিষয়গুলি একজন মেয়েকে সুশ্রী এবং লাবণ্যময়ী করে তুলবে। নারীর আপন সৌন্দর্য পরিপূর্ণ করে তুলতে তার আচার-আচরণ, ব্যক্তিত্বও একটি মূল্যবান দিক এবং মেকআপ করার জন্য যেসকল প্রসাধনীর প্রয়োজন হয় এই বিষয়টি আলোচনা করা হলো।
মেকআপ করতে কি কি জিনিস লাগে
ক্লিনজারঃ ০৩ ধরনের ক্লিনজার আপনি কিনতে পারবেন। মিল্ক ও ক্রিম এবং লােশন। শরীরের ব্যবহার করা সাবান দিয়েও আপনি করতে পারেন।
ময়শ্চারাইজারঃ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্যে ০২ ধরনের ময়শ্চারাইজার বাজারে পাওয়া যায়। ময়শ্চার লােশন এবং ময়শ্চার ক্রিম।
ফ্রেশনারঃ শুষ্ক, স্বাভাবিক এবং মিশ্র ত্বকের জন্যে স্কিন টোনার এবং স্কিন ফ্রেশনার। তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে এস্টিনজেন্ট।
ব্লেমিশ কভারঃ মুখমন্ডলের ছােটোখাটো খুঁত ঢাকার জন্যে মেকআপের আঙুল দিয়ে। ব্লেমিশ কভার – আপলাগিয়ে দেওয়া যায়।
ফাউন্ডেশনঃ ফাউন্ডেশন হচ্ছে মুখের মেকআপের জন্য পূর্ব সতর্কতা। কেননা আপনার ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার না করতে পারলে সম্পূর্ণ মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর লিখে দেওয়া আছে।
এই নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার মেকআপটি ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিশে যাবে। নো চিন্তা ডু ফুর্তি। মেকআপের বেস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লিকুইড এবং ক্রিম। এটি দু’রকম পাওয়া যায়।
ফেস পাউডারঃ ফাউণ্ডেশন লাগাবার পরে ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন।
কন্সিলারঃ এটি আপনার মুখের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। অনেকেরই মুখে ব্রণের দাগ ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকে। বিবি ক্রিম এগুলো ঢাকতে পারে না। তদের জন্য রয়েছে কন্সিলার। যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই তারা কন্সিলার বাদ দিতে পারেন।আবার অনেক মহিলা জানেন না যে কন্সিলার কি এবং কিভাবে কাজ করে ও ব্যাবহার করতে হবে। কন্সিলার মূলত আপনার মুখের ব্রণের দাগ ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করতে ব্যাবহার হয়ে থাকে।
আইশাডােঃ চোখের উপর এবং নীচে লাগালে ছােটো চোখ বড় দেখায়।
আইলাইনারঃ কাজলের মত কালাে আ রং। লিকুইড এবং পেন্সিলে পাওয়া যায়। চোখের কোলে লাগালে চোখ বড় দেখায়।
মাস্কারাঃ চোখের পাতার লােমে লাগাতে হয়।
লিপস্টিকঃ ঠোটে লিপস্টিক লাগালে ঠোটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ঠোট সুন্দর দেখায়। বিভিন্ন রং এর লিপস্টিক পাওয়া যায়।
লিপগ্লসঃ লিপস্টিক লাগানাের পরে লাগালে ঠোট উজ্জ্বল দেখায়।
গ্লিমারঃ মেকআপের করার পরে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
টিপঃ গুড়ােটিপ, কুমকুম কপালের মধ্যে লাগালে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
ন্যাচারাল মেকআপ করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক ন্যাচারাল মেকআপ বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে দেখতে কিংবা জন্মগত ভাবে দেখতে যেমন, ঠিক সেভাবে রেখে নতুন করে একটি আকর্ষণীয় মেকআপ লুক দিবে। অর্থাৎ এই ন্যাচারাল মেকআপ বলতে বোঝাচ্ছে আপনাকে অতিরিক্ত কালো দেখাবে না কিংবা অতিরিক্ত সাদাও দেখাবে না।
ন্যাচারাল মেকআপ করার ফলে চেহারায় সাধারণ সাদামাটা লুক নিয়ে আসবে। ন্যাচারাল মেকআপ করার জন্য একাধিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হলেও দেখতে কিন্ত তা একদম সাধারণ মনে হয়। ন্যাচারাল মেকআপ করার সময়ে বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তবে হ্যাঁ অনেকেই আবার বলে থাকেন যে ন্যাচারাল মেকআপ মানে হচ্ছে নুড কালারের মধ্যে যেগুলো করা হয়ে থাকে সেগুলো মূলত ব্যাপারটি আসলে তা না। ন্যাচারাল মেকআপ করার ফলে আপনাকে সাধারণ থেকে একদম অসাধারণ করে তুলবে।
আর আপনি যে সকল প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন সে ধরনের প্রোডাক্ট আপনাকে বুঝতেও দিবেনা। ন্যাচারাল মেকআপ করার ফলে আপনাকে দেখলে মনে হবে যে, যেন আপনি সামান্য সামান্য কাজল, ব্লাশন এবং লিপস্টিক দিয়ে এসেছেন। কিন্ত ব্যাপারটি আসলে তা না।
আর হ্যাঁ ন্যাচারাল মেকআপ গুলো কিন্ত অনেক সময় ধরে থাকে। কেননা এই ন্যাচারাল মেকআপ গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যেকোনো অনুষ্ঠানে মেয়েরা ন্যাচারাল মেকআপ করতে বেশি আগ্রহী এবং বেশি পছন্দ করে।
কেননা প্রতিটা মেয়েই চায় তাদের নিজস্ব সৌন্দর্যকে মেকআপের মাধ্যমে তুলে ধরতে। জেনে রাখা ভালো যে অতিরিক্ত মেকআপ নিজের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয় এবং অতিরিক্ত মেকআপ ত্বকের জন্য খারাপ কিছু বয়ে আনে।
বর্তমান সময়ের মেয়েরা ন্যাচারাল মেকআপ করার মাধ্যমে নিজেদের আকর্ষণীয়তা ফুটে তোলেন। যার কারণে তাদেরকে একদম সিম্পল বা সাধারণ দেখতে মনে হয়। ন্যাচারাল মেকআপ করার ফলে আপনি দূর থেকে দেখলে বুঝতেই পারবেন না যে, তারা কোনো ভাড়ি মেকআপ ইউজ করছে।
অথচ তারা ন্যাচারাল মেকআপ ব্যবহার করে লুক এমন করেছে যে তাদেরকে একদম সাধারন ভাবেই দেখতে মনে হয়। মূলত এটিকে ন্যাচারাল মেকআপ বলা হয়ে থাকে।
লিপ মেকআপ করার নিয়ম
লিপ মেকআপ করার নিয়ম হচ্ছে ঠোঁটের সঠিক শেইপ আনার জন্যে আপনি প্রথমে লিপলাইনারের সাহায্য নিন। লিপলাইনার দিয়ে আপনি প্রথমে ঠোঁটের চারপাশে একটি শেইপ দিয়ে নিন। এরপরে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি ডার্ক কালারের লিপস্টিক ইউজ করুন। লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ঠোঁটের মাঝে থেকে লিপস্টিক দেয়া শুরু করুন।
যদি আপনি লিপস্টিকে হালকা ম্যাচ ফিল আনতে চান তবে ঠোঁটে হালকা করে পাউডার ব্রাশ করে নিন। তারপরে সর্বশেষ ঠোটে মেকআপ করার টিপস হচ্ছে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি আপনার মেকআপকে আরো ভালোভাবে আপনার ফেসে বসার জন্যে হেল্প করবে।
পার্লারে গিয়ে মেকআপ করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনি ঘরে বসে মেকআপ করতে পারবেন কিংবা পার্লারে গিয়েও মেকআপ করতে পারেন। তবে যদি আপনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চান কিংবা আপনি নিজেই যদি কোনো অনুষ্ঠানের মেহমান বা প্রধান অতিথি হয়ে থাকেন তবে আমি আপনাকে বলবো আপনার পার্লারে গিয়ে মেকআপ করা উচিত।
কেননা পার্লারে মেকআপ আর্টিস্ট থাকে যারা খুবই ভালোভাবে সাজিয়ে দেয় এবং আপনি যদি আপনি তাদেরকে মেকআপ করিয়ে নেন তবে আপনাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবে তারা।
মূলত যখনি আপনি কোনো জন্মদিন, গায়ে হলুদ, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান বা যেকোনো ধরনের আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানে যেতে চান তখনি আপনাকে পার্লারে গিয়ে মেকআপ করা উত্তম হবে। কেননা আমরা মূলত ঘরে বসে শুধুমাত্র নিজেদের প্রতিদিনের যেসকল মেকআপ করার প্রয়োজন সেগুলোই করতে পারি।
ঘরে বসে আমরা পার্লারের মতো করে ভারি আকারের মেকআপ করতে পারিনা। ঘরে বসে শুধুমাত্র আমরা নিম্নোক্ত মেকআপ গুলো করতে পারি যেমনঃ হলুদের অনুষ্ঠানের লুক, পার্টি মেকআপ লুক, ব্রাইডাল লুক, ন্যাচারাল মেকআপ লুক, এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে লুক সহ বিভিন্ন ধরনের মেকআপ লুক করতে পারি।
আর হ্যাঁ পার্লারে গিয়ে শুধুমাত্র মেকআপ-ই করা যাবে তা না। পার্লারে মেকআপ করার পাশাপাশি মেয়েদের চুলেরও বিভিন্ন ধরনের স্টাইলস করা যায়। চুলে এমন অনেক স্টাইল করা যায় যা একা একা ঘরে বসে করা সম্ভব নয়।
তাই আপনার উচিত পার্লারে গিয়ে চুলের বিভিন্ন স্টাইল সহ মেকআপ করা এতে করে আপনার জন্য খুবই ভালো হবে এবং আপনাকে আরো বেশী আকর্ষণীয় এবং সুন্দর দেখাবে।
এছাড়াও আপনি পার্লারে গিয়ে আপনি আরো অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে পারবেন। যেমনঃ ভ্রু প্লাক, হেয়ার স্পা, হেয়ার কাট, মেনিকিউর-পেডিকিউর, বডি স্পা এবং বিভিন্ন রকমের ফেসিয়াল। যে সার্ভিস গুলো আপনি নিজে ঘরে বসে একা একা করতে পারবেন না।
কেননা এই ধরনের মেকআপ সম্পর্কিত সার্ভিস নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন রকমের প্রোডাক্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে যা মূলত সবার কাছে সহজলভ্য না। মূলত এই কারণে আমরা পার্লারে গিয়ে মেকআপ করা সহ আরে বিভিন্ন ধরনের স্কীন কেয়ার ও বডি কেয়ারের সার্ভিস নিয়ে থাকি।
মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ছবি
কন্সিলার
মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ছবি
ব্রাশ সেট
মেকআপ করার জিনিসের নাম ও ছবি
আইব্রো
Eyelash Curler
Lipstick
শেষ কথাঃ ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
আজকের আলোচনায় আমি চেষ্টা করেছি ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার। আপনারা যারা নতুন করে মেকআপ দিতে চাচ্ছেন কিন্তু ঠিক কিভাবে মেকআপ করতে হয় তাদের জন্য সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল।
আশা করি আপনার কাছে এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
FAQ - ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
মেকআপ করার জিনিসের নাম
মেকআপে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে যা আপনার অবশ্যই থাকতে হবে যেমন প্রাইমার, আই লাইনার, কনসিলার, ফাউন্ডেশন, আই শ্যাডো প্যালেট, লিপস্টিক প্যালেট, মেকআপ ব্রাশ কিট, মেকআপ বক্স, বডি মিস্ট ইত্যাদি।
মেকআপ এর বাংলা কি
makeup এর বাংলা অর্থঃ মেকআপ, স্বভাব, বিন্যাস, ছদ্মবেশ, মেজাজ, গঠনপ্রণালী, অভিনেত্রীর সাজসজ্জা, পৃষ্ঠানুযায়ী বিন্যাস,
মেকআপ করতে কি কি লাগে
মেকআপ করতে যা যা প্রয়োজন তা হলোঃ মাস্ক, ফেসওয়াশ, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, Sponge, Brush, Eyelash Curler, Primer, Color corrector, Foundation, Concealer, Compact / pressed powder, Loose / baking powder, Contouring, Bronzer, Blush On, Highlighter, Eyebrow Kit / pomade, Eyeshadow, Eyeliner, Kajal, Eyelash, Mascara, Lip primer, Lip liner, Lipstick, Setting spray ইত্যাদি।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।