সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি - প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার। সৌদি আরব বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের সর্বোচ্চ শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে।
বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমজীবী মানুষের বেশীরভাগ শ্রমিক সৌদি আরবে যায় কাজের সন্ধানে।আমাদের দেশের অর্থনৈতিক খাতে রেমিটেন্স বা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে সৌদি আরব।
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি
সূচীপত্রঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
1. সরকারি ভাবে সৌদি আরব যাওয়ার উপায়
2. সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগবে
3. সৌদি আরবে আমেল ভিসা দাম কত
4. সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসা খরচ তালিকা
5. সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
6. সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
7. সৌদি আরবে কাজের ভিসা
8. সৌদি আরবে কাজের বেতন কত
তাই আপনি যদি জানতে চান সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে আসি "সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি", "সৌদি আরব কোন কাজের চাহিদা বেশি", "সৌদি আরবে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগবে", "সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো", "সৌদি আরব কোন মহাদেশে অবস্থিত"।
সরকারি ভাবে সৌদি আরব যাওয়ার উপায়
আপনি যদি সরকারি ভাবে সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে আপনি অনেক ভাবে যেতে পারেন। যেমনঃ চাকরি প্রার্থী হিসেবে, শ্রমিক হিসেবে, ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে, হজ্বের জন্য, ভ্রমণ করার জন্য এছাড়াও আপনি ব্যক্তিগতভাবে সৌদি আরবে যেতে পারেন।
তবে প্রত্যেকটির জন্য সৌদি আরবে যেতে হলে আলাদা আলাদা ভিসার প্রয়োজন হবে। আপনি যদি সরকারি ভাবে সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিসংখ্যান ব্যুরো ডাটা ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
এরপর ক্রমানয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং সর্বশেষ পাসপোর্ট করতে হবে। এরপর আপনি সৌদি আরবে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ বা চাকরি করবেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে এজেন্সির মাধ্যমে চুক্তিপত্র চুড়ান্ত করতে হবে। এরপর আপনি সরকারিভাবে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগবে
সৌদি আরবে একেক ধরনের কাজের একেক ধরনের ভিসার প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যে ভিসায় সৌদি আরবে যেতে চান সেই পরিমাণ টাকা আপনার লাগবে। আমরা সৌদি আরবে জন্য কোন ভিসার জন্য কত টাকা লাগবে তা আপনাদের তালিকার মাধ্যমে ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
ভিসার ধরণ | একক প্রবেশের জন্য ভিসা ফি | একাধিক প্রবেশের জন্য ভিসা ফি |
---|---|---|
বাণিজ্যিক ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
কাজের ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
পারিবারিক ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
শিক্ষার্থীর ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
ভিসা আলহাজ্ব | ২০০০ | ৩০০০ |
বাস-ভবন ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
সরকার বিষয় | ২০০০ | ৩০০০ |
ভিসা কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল | ২০০০ | ৩০০০ |
এসকর্ট ভিসা | ২০০০ | ৩০০০ |
সৌদি আরবে আমেল ভিসা দাম কত
সৌদি আরবে আমেল মঞ্জিল ভিসা এবং ম্যান-পাওয়ার ভিসার দাম ৭৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।বিমানের টিকিট খরচঃ ৪৫,০০০ টাকা। ভিসা খরচঃ ৭৫,০০০ টাকা
আপনি যদি সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসা খরচ তালিকা
- আমেল মঞ্জিল ভিসা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা
- ড্রাইভিং ভিসা লাইসেন্স যদি থাকে তাহলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা
- ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি না থাকে তাহলে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা
- আমলে আইডি ৭০ হাজার টাকা
সৌদি আরবে হোটেল ভিসার জন্য যেসব দরকার হবে
- কফিলের আইডি ও মোবাইল নাম্বার
- ভিসার নাম্বার
- যাত্রীর পাসপোর্ট ও ছবি ইত্যাদি
সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি সরকারি ভাবে সৌদি আরবে যেতে চান তবে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যেসকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া আপনি কোনো ভাবেই সৌদি আরবে যেতে পারবেন না। তা নিম্নরুপঃ-
১। ভিসা ২। পাসপোর্ট ৩। বিমানের টিকিট ৪। একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ৫। দূতাবাসের ফোন নাম্বার ও ঠিকানা ৬। জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ৭। মেডিকেল রিপোর্ট ৮। চাকুরির ছাড়পত্র ৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ১০। টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র ইত্যাদি
এছাড়াও সৌদি আরবে যেতে আরও কাগজপত্র লাগতে পারে। আপনারা যারা কাজের জন্য সৌদি আরবে যেতে চান তারা দৈনিক সংবাদপত্রের প্রবাসী চাকরির খবরে খেয়াল রাখবেন তাহলে সকল তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনারা যারা বিভিন্ন কাজের সৌদি আরবে যেতে চান তারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এসব সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
সৌদি আরবে অনেক ধরনের কাজ আছে তবে সৌদি আরবে সবচেয়ে কাজের চাহিদা বেশী কন্সট্রাকশন, ফ্যাক্টারি, হোটেল বয়, সেনেটারী কাজ, ওয়েল্ডিং, সি লেভেল নির্বাহী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ফিন্যান্স ম্যানেজার, মার্কেটিং ম্যানেজার, আইটি ম্যানেজার, সেলস ম্যানেজার।
অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার, গ্রাহক সেবা, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ওয়েটার, নার্স, হোটেল ম্যানেজার, খেজুর বাগানে চাকরি, ওয়েব ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ডিজিটাল মার্কেটিং জবসহ বিভিন্ন ধরনের ভালো ভালো কাজের সুবিধা রয়েছে সৌদি আরবে।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
সৌদি আরবে কাজের ভিসা
সৌদি আরবে বিভিন্ন কাজের জন্য বাংলাদেশ লোক নিয়োগ করে থাকে। সৌদি আরবে বিভিন্ন ভিসা নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তবে, কাজের জন্য সবাই আমেল মঞ্জিল ভিসা বা ম্যানপাওয়ার ভিসা নিয়ে যায়।
এছাড়াও সৌদি আরবে কিভাবে লোক নিয়োগ করে থাকে তা দৈনিক সংবাদপত্র চাকরির খবরে দেওয়া থাকে। আপনারা যারা সৌদি আরবের ভিসা আপডেট জানতে চান বা কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তবে দৈনিক সংবাদপত্রে খোঁজ-খবর নিতে পারেন।
সৌদি আরবে গার্মেন্টস সহ ড্রাইভিং ভিসা এবং হোটেল কর্মীদের বেশী লোক নিচ্ছে সৌদি আরব সরকার। আপনি যদি কাজের জন্য সৌদি আরবে যেতে চান তবে আগে থেকেই প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে।
সৌদি আরবে কাজের বেতন কত
সৌদি আরবে একেক ধরনের কাজের জন্য একেক ধরনের বেতন প্রদান করা হয়। তবে সৌদি আরবে কাজের যাদের বেশী অভিজ্ঞতা আছে তাদের বেশী বেতন দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছে সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেতন হবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ রিয়াল পর্যন্ত। কাজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বেতন আরও বাড়তে পারে।
শেষ কথাঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
পরিশেষে আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা বলতে চাই, আপনারা যারা সৌদি আরবে যেতে চাচ্ছেন তারা সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে সরকারি ভাবে সৌদি আরবে যেতে পারছেন না। আপনি যদি আমাদের আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন।
তবে আপনি জানতে পারবেন সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সৌদি আরবে যেতে কত টাকা লাগবে, সৌদি আরবে কাজের বেতন কত ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাবেন যা আপনার সৌদি আরবে যেতে আরও সহজ করে দিবে। ধন্যবাদ!
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।