ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ - প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ই পাসপোর্ট করতে চাই, কিন্তু ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানাবো।
আপনি যদি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে কি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করছি। আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তাই গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন।
তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্ট করার যাবতীয় নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন এখন কি ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ই পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইনে পূরণ করা যাবে। অথবা আপনি পিডিএফে ফরমেটে ডাউনলোড করেও ফরম পূরণ করতে পারবেন। আপনি যদি নতুন ই-পাসপোর্ট করতে চান তাহলে তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ জমা দিতে হবে।
১। আপনার এনআইডি কার্ড অথবা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি।
২। আপনার পরিচয়পত্রের মূল কপি অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দেখাতে হবে।
৩। যদি আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি দিতে হবে।
৪। বাবা মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
৫। শিক্ষাগত সনদপত্র লাগতে পারে।
৬। ঠিকানার প্রমাণপত্র/ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আরো পড়ুনঃ দুবাই কোন কাজের চাহিদা বেশি
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী
১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক। তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
Regular Delivery: Within 15 Working days / 21 days from the biometric enrolment date.
Express Delivery: Within 7 Working days / 10 days from the biometric enrolment date.
Super Express Delivery: Within 2 Working days from the biometric enrolment date.
Govt employees who have NOC/Retired doc (PRL) will get Express facilities with Regular fees/Super-Express facilities with Express fees.
e-Passport fees for inside Bangladesh (Including 15% VAT)
e-Passport with 48 pages and 5 years validity
e-Passport with 48 pages and 10 years validity
e-Passport with 64 pages and 5 years validity
e-Passport with 64 pages and 10 years validity
e-Passport fees for Bangladesh Mission's General Applicants:
e-Passport with 48 pages and 5 years validity
e-Passport with 48 pages and 10 years validity
e-Passport with 64 pages and 5 years validity
e-Passport with 64 pages and 10 years validity
e-Passport fees for Bangladesh Mission's Labors and Students:
e-Passport with 48 pages and 5 years validity
e-Passport with 48 pages and 10 years validity
e-Passport with 64 pages and 5 years validity
e-Passport with 64 pages and 10 years validity
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - আর্জেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ইতিমধ্যে অনেকগুলো বিষয় জানতে পেরেছি। এখন আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আপনি কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন তা জেনে নিন।
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩
ই পাসপোর্ট করার জন্য আপনি সরাসরি www.epassport.gov.bd এই ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনাকে ই-পাসপোর্ট এ ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। ই পাসপোর্ট আবেদন এর পাঁচটি ধাপ রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে কিনা।
আপনি অনলাইনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। এরপর আপনি অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য একটি তারিখ নেবেন।
তারপর আপনাকে নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে আবেদন ফরমের কপি পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ, যে বাসায় থাকেন সেখানকার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এসব নিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। এরপর ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে।
সকল কার্যক্রম শেষ হবার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রসিদ দিবে। এটি পাওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা। আপনি যখন পাসপোর্ট হাতে নেবেন তখন আপনাকে এই রসিদ দেখানো বাধ্যতামূলক।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ই পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা চলেন পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ১
আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট এর টাকা অনলাইনে জমা দিতে চান তাহলে আপনাকে Automated Challan System Bangladesh ওয়েবসাইটে ওপেন করতে হবে।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ২
এরপর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অপশন থেকে "ই পাসপোর্ট ফি" তে ক্লিক করতে হবে।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ৩
এরপর আপনার সামনে প্রথমে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা বাছাই করুন এবং তারপরে পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও ডেলিভারি ধরন বাছাই করতে হবে। তারপরে আপনাকে ওকে বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ৪
এরপর আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট এর জন্য ফি প্রদান করতে চান তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার সঠিক ভাবে লিখতে হবে।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ৫
নাম লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আপনি যে নামে আপনার আবেদন এন্ট্রি করেছেন ওই নাম বসাতে হবে। আপনার নামের বানান ভুল করা যাবেনা। আপনি যেই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আপনার পাসপোর্ট আবেদন করেছেন সেই পরিচয় পত্র নাম্বার দিতে হবে।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ৬
এরপরে আপনাকে ব্যাংক বাছাই করতে হবে। আপনার সুবিধামতো আপনি ব্যাংক বাছাই করতে পারেন। অথবা আপনি বিকাশ নগদ ও রকেট এর মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক ক্লিক করতে পারেন। সোনালী ব্যাংকের অনলাইন একাউন্ট ডেবিট ক্রেডিট কার্ড থেকে আপনি ফি দিতে পারবেন।
ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ধাপঃ ৭
এরপর আপনাকে আপনার একাউন্ট অথবা ভিসা মাস্টার কার্ড নম্বর অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম
আমরা পাসপোর্ট করার সময় অনেকেই আছি যারা দালাল এর পাল্লায় পড়ি। যেখানে আমাদের প্রচুর পরিমানের টাকা নষ্ট হয়। এখন যেহেতু ডিজিটাল যুগ এবং আপনি চাইলে বাড়িতে বসেই দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারবেন। এর জন্য আপনার অবশ্যই সঠিক দিক নির্দেশনা থাকা লাগবে। আপনি যদি দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।
আপনি দুইটি মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে পারবেনঃ ১। আপনি অনলাইন থেকে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে পারবেন ২। অথবা পাসপোর্ট অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে হাতে পূরণ করতে পারবেন।
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম
এর জন্য আপনি www.passport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। ফরম পূরণ করার সময় আপনাকে আপনার নামের অক্ষর বড় হাতের দিয়ে পূরণ করতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের যে নামটি রয়েছে সেই নামটি দিয়ে পূরণ করবেন।
১। এরপর আপনাকে আপনার ঠিকানা পূরণ করতে হবে। অবশ্যই আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন যে ঠিকানা রয়েছে সেই ঠিকানা অনুযায়ী ঠিকানা পূরণ করতে হবে।
২। এরপর আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে।
৩। এরপর আপনাকে আপনার বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। আপনাকে কি তথ্য দিতে হবে সেগুলো এখানে লিখা থাকবে আপনি সব বুঝতে পারবেন।
৪। এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্টের ফি প্রদান করতে হবে। কোন মাধ্যমে প্রদান করবেন সেটি আমরা উপরে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি।
৫। এরপরে আপনি আপনার পাসপোর্ট এর তথ্যগুলো যাচাই করে নিবেন যদি কোন ধরনের তথ্য ভুলে থাকে তাহলে সেটি সংশোধন করা যাবে। তাই তথ্য যাচাই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো বিষয় জেনে গিয়েছি। আপনি যদি ই-পাসপোর্ট করতে চান তাহলে এসকল বিষয় আপনার অবশ্যই জানা উচিত। তাহলে চলুন এখন আমরা ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই। ই পাসপোর্ট কয়েকটি ধাপে আবেদন করতে হয় সেগুলো জানবো।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সমূহ
১। প্রথমে আপনাকে আপনার জেলাতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। এটি হলো আপনার প্রথম কাজ।
২। এরপর আপনাকে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
৩। আবেদন ফরম পূরণ করার পর আপনাকে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।
৪। এরপর নির্ধারিত সময়ে আপনাকে ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
৫। এরপর নির্ধারিত সময়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট
যাদের আগে থেকে এমআরপি পাসপোর্ট আছে তারা খুব সহজে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্ট নিতে পারবেন। যার জন্য আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন হবে না। তাহলে চলুন আমরা এম আর পি থেকে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এর তালিকা
ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে এমন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা সম্পর্কে আপনার খোঁজ রাখতে হবে। যে আপনার এলাকাতে ই-পাসপোর্ট ইস্যু শুরু হয়েছে কিনা। এ বিষয়টি আপনাকে প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্তমানে নিম্নলিখিত পাসপোর্ট অফিসগুলিতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে।
১। আগারগাওঁ ২। যাত্রাবাড়ি ৩। উত্তরা ৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ৫। বাংলাদেশ সচিবালয় ৬। গাজীপুর ৭। মনছুরাবাদ ৮। ময়মনসিংহ ৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০। গাইবান্ধা ১১। গোপালগঞ্জ ১২। মানিকগঞ্জ ১৩। নরসিংদী ১৪।নোয়াখালী ১৫। ফেনী ১৬। চাঁদগাওঁ ১৭। কুমিল্লা১৮। মুন্সিগঞ্জ ১৯। সিলেট২০। মৌল্ভিবাজার
২১। সুনামগঞ্জ ২২। হবিগঞ্জ ২৩। যশোর ২৪। খুলনা ২৫। কুষ্টিয়া ২৬। বি-বাড়িয়া ২৭। রাজশাহী ২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ ২৯। বগুড়া ৩০। রংপুর ৩১। দিনাজপুর ৩২। নওগাঁ ৩৩। জয়পুরহাট ৩৪। বরিশাল ৩৫। পটুয়াখালি ৩৬। পাবনা ৩৭। সিরাজগঞ্জ
৩৮। কিশোরগঞ্জ ৩৯। নাটোর ৪০। মাগুরা ৪১। নড়াইল ৪২। লক্ষ্মীপূর ৪৩। টাঙ্গাইল ৪৪। জামালপুর ৪৫। শেরপুর ৪৬। নেত্রকোনা ৪৭। মাদারীপুর ৪৮। ফরিদপুর ৪৯। রাজবাড়ি ৫০। ঝিনাইদহ ৫১। সাতক্ষীরা ৫২। বাগেরহাট ৫৩। ভোলা ৫৪। বরগুনা ৫৫। চুয়াডাঙ্গা ৫৬। ঝালকাঠি ৫৭। কুড়িগ্রাম
৫৮। লালমনিরহাট ৫৯। মেহেরপুর ৬০। নীলফামারী ৬১। পঞ্চগড় ৬২। পিরোজপুর ৬৩। শরিয়তপুর ৬৪। ঠাকুরগাঁও ৬৫। বান্দরবান ৬৬। চাঁদপুর ৬৭। কক্সবাজার ৬৮। খাগড়াছড়ি ৬৯। নারায়নগঞ্জ ৭০। রাঙামাটি
পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
পাসপোর্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবেঃ
১। আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)
২। সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং)
৩। পেমেন্ট স্লিপ
৪। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
৫। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (যদি থাকে)
৬। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে)
৭। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি
ওপরে বিষয়টি জানার পরে আপনাকে অনলাইনে নির্ভুল এবং এনআইডি কার্ড অথবা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে অনলাইনে কিভাবে ই-পাসপোর্ট আবেদন করবেন এই সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য ফি প্রদান করতে হবে। কিভাবে ফি প্রদান করবেন এ সম্পর্কীয় আমরা উপরে আলোচনা করেছি।
ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো কে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনাকে অবশ্যই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একসাথে রাখতে হবে। কি কাগজপত্র লাগবে তা উপরে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ
সকল কাজগুলো নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য উপরে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ই-পাসপোর্ট করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই এই পোস্টটি খুবই উপকারী। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।