ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসাঃ প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভেরিকোসিল কি এ সম্পর্কে জানেনা। আবার অনেকে জানলেও ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আজকে তাদের জন্য আমরা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পুর্ন পোস্ট জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- ভেরিকোসিল এর প্রধান কারণ কি
- ভেরিকোসিল এর সাধারণ লক্ষণ
- ভেরিকোসিল এর জটিলতা
- ভেরিকোসিল এর চিকিৎসা পদ্ধতি - ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- শেষ কথাঃ ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল এর প্রধান কারণ কি
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। ভেরিকোসিল এর প্রধান কারণ হলো অশু কোষের অভ্যন্তরে শিরাগুলোর ত্রুটিপূর্ণ ভাগভ। যখন রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধার সম্মুখীন হয় তখন রক্ত জমাট বেধে যায় এর ফলে আমাদের শিরা ফুলে যায়। এর কারণ ভাল্ব গুলো অশু কোষের ভেতরে এবং বাইরে প্রভাবিত রক্তকে নিয়ন্ত্রণ করে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন বি এর কাজ - ভিটামিন বি১ বি৬ বি১২
১। সাধারণত ভেরিকোসিল এর প্রধানত শিরার ভাল্ব টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য স্পারমেটিক কার্ডের সাথে অল্প রক্ত সঞ্চালিত হয় যার ফলে এটি ফুলে যায় ও বড় হয়ে যাই।
২। অণ্ডকোষে আঘাত পেলে বা হঠাৎ করে তার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে গেলে এরকম সমস্যা হয়।
৩। কোন ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে বিশেষ করে কোন সেক্সয়াল ওষুধ।
৪। বীর্যপাতের সময় কোনো কারণে বীর্যপাত বাধাগ্রস্ত হলে এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫। কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হস্তমৈথুন করে এবং হঠাৎ করে হস্তমৈথুন বন্ধ করে দেয় যার ফলে এ সমস্যা হতে পারে তাই। আস্তে আস্তে হস্তমৈথুনের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
ভেরিকোসিল এর লক্ষণ
বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা ভেরিকোসিল কেন হয় এর কারণ সম্পর্কে জানলাম। এই পোস্টে আপনারা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ভেরিকোসিল এর সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন তাহলে চলুন এখন আমরা ভেরিকোসিল হলে কি লক্ষণ দেখা দেবে সেগুলো জেনে নেই। ভেরিকোসিল লক্ষণসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। রোগী অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব করতে পারে। যদি আপনি দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকেন অথবা দাঁড়ালে ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
২। তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে অথবা অন্ডকোষের বাম দিকে অথবা ডানদিকে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৩। ভেরিকোসিল অন্যতম লক্ষণ হলো অন্ডকোষের শিরা ফুলে যাওয়া।
৪। অন্ডকোষ গুলো ঝুলে থাকবে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করতে পারে।
৫। মৃদু ব্যথা হতে পারে।
৬। শুক্রাণু সংখ্যা কমে যেতে পারে
ভেরিকোসিল এর জটিলতা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ভেরিকোসিল কারণ এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা ভেরিকোসিল এর জটিলতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের শরীরে কোন বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে না কিন্তু এটি কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে। এখন আমরা ভেরিকোসিল কারণে এসব সমস্যা হয় এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
সমস্যা ১ঃ
আমরা অনেকেই জানি যে অগুকোষের শুক্রাণু বহনকারী টিউবুল থাকে। ভেরিকোসিল টেস্টিকুলার অ্যাট্রোফি নামে পরিচিত। যা অশুকোষকে সংকুচিত করে। এর ফলে শিরায় রক্ত জমা হয় এবং টেস্টিকুলার কোষের দীর্ঘক্ষন ধরে রাখতে বিষাক্ত পদার্থ সংস্পর্শে থাকে।
সমস্যা ২ঃ
এ রোগের সবথেকে বড় জটিলতা হলো বন্ধ্যাত্ব। এই রোগের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুক্রাণু উৎপাদন এবং শুক্রাণুর স্বাস্থ্যের ওপর একটি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যার ফলে বন্ধ্যাত্ব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই সমস্যাকে এ রোগের সব থেকে জটিল সমস্যা বলা হয়।
ভেরিকোসিল এর চিকিৎসা পদ্ধতি - ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল জটিলতম রোগ নয়। এই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায়। যদি অনেক জটিল তম সংসদ থাকে তাহলে অস্ত্রপ্রচার এই রোগের চিকিৎসার অন্যতম বিকল্প হতে পারে। বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ভেরিকোসিল সম্পর্কে অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করেছি। এখন আমরা এর ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ভেরিকোসিল এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
১। যদিও ভেরিকোসিল তেমন জটিল সমস্যা নয় তবুও এই পদ্ধতিতে সার্জন অগু কোষের অপর একটি ছোট কাঁটা তৈরি করে। এটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ছোট শিরা বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা এড়াতে অস্ত্রপ্রচার এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই অস্ত্রপ্রচার করতে মোটামুটি ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে।
২। এই সময় অনেক অস্বস্তি লাগে তাই দূর করতে জক সটরাপ বা আরামদায়ক অন্তর্বাস ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাহলে অস্বস্তি কম লাগবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়
৩। ভেরিকোসিল সম্পূর্ণরূপে ঠিক করতে ভেরিকোসিলেকটোমি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। যার ফলে এটি সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যাই।
৪। ভেরিকোসিল রোগের অন্যতম একটি অস্ত্রপ্রচার পদ্ধতি হচ্ছে এমবিলাইজেশন।
৫। ভেরিকোসিল ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে কেবল ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
শেষ কথাঃ ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এর সাথে আমরা ভেরিকোসিল সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যা আপনাদের এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার ভেরিকোসিল হয়েছে এর লক্ষণ এবং এর কারণগুলো আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি সম্পূর্ণ পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।