হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলের সার্চ করে। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। আপনি যদি হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
প্রিয় পাঠক হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম শুনেনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নতি হয়েছে তবু এখনকার মানুষের হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপর ভরসা রয়েছে। এর কারণ হলো হোমিওপ্যাথি অনেক পুরাতন কার্যকরীতা সম্পন্ন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সাধারণত সেই জন্য মানুষ এখনও হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপর আস্থা হারায় নি। আজকের এই আর্টিকেলের হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তো চলুন আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ কি
হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম এবং কাজ জানার আগে আপনাকে জানতে হবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ কি?তাহলে চলুন সবার আগে হোমিওপ্যাথি ওষুধ কি এর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হোমিওপ্যাথি ঔষধ হল একটি ছদ্ম বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি ১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন। হোমিওপ্যাথ নামে পরিচিত এর চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে পদার্থ সুস্থ মানুষের মধ্যে একটি রোগের উপসর্গ সৃষ্টি করে।
সেই একই পদার্থ অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ নিরাময় করতে পারে এই মতবাদকে বলা হয় সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার বা সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে রেমিডি বলা হয়। হোমিওপ্যাথিক ডায়োলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়।
প্রায়শই মূল পদার্থের একটি অণুও পণ্যটিতে থাকার আশা করা যায় না। প্রতিটি ডায়োলেশনে হোমিওপ্যাথ ঔষধটিকে আঘাত করতে পারে অথবা ঝাঁকি দিতে পারে এই দাবী করে যে পাতলা পদার্থটি অপসারণের পরে মূল পদার্থটি মনে রাখে। চিকিৎসকরা দাবি করেন যে এই ধরনের প্রস্তুতকৃত ঔষধ রোগীকে খাওয়ার পরে রোগের চিকিৎসা বা নিরাময় করতে পারে।
হোমিওপ্যাথির উৎপত্তি
আপনি যে হোমিও ঔষধ খান আপনি কি জানেন হোমিও ঔষধের উৎপত্তি কোথায় এবং কত বছর আগে। অনেকের এই বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে হোমিওপ্যাথি ঔষধের উৎপত্তি জার্মানিতে। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উৎপত্তি হয়।
তবে ভারতীয় উপমহাদেশের হোমিওপ্যাথি ওষুধের ব্যবহার শুরু হয় ৮০-৯০ বছর আগে থেকে। হোমিওপ্যাথি ওষুধের জনক এর জন্ম তারিখ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি দিবস পালন করা হয়। সারাবিশ্ব এই দিনটিকে পালন করে এর সাথে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি দিবস পালন করে থাকে।
হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা
আমরা জানি যে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনও হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপর ভরসা রয়েছে। বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিলে আগে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে তা ভালো করার চেষ্টা করেন। কারণ হোমিওপ্যাথি হল কম খরচের মধ্যে ভালো চিকিৎসা। সেই জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সকলের পছন্দ করো।
হোমিওপ্যাথি অনেক কার্যকরী একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক বলেছেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা 200 বছর ধরে চলে আসছে এটি যদি সফল না হতো তাহলে এতো মানুষ এই চিকিৎসা নিত না। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নতি হয়েছে তবুও হোমিওপ্যাথির ওপর মানুষের ভরসা রয়েছে।
এই থেকে বুঝা যায় যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কতটা কার্যকরী। আগে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা তখন সবাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ওপর বেশি ভরসা করত। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসাব্যবস্থা এত উন্নতি হওয়ায় মানুষ আরো বেশী উন্নত চিকিৎসার জন্য নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
কিন্তু মানুষের মনের মাঝে এখনো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপর একটি ভরসা রয়ে গিয়েছে। কারণ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ফলাফল ভালো পেয়েছে। যদি ভালো না পেত তাহলে কখনোই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপর মানুষের ভরসা থাকত না।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ কিভাবে কাজ করে
ইতিমধ্যে আমরা হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে অনেকগুলো বিষয় জানতে পেরেছি। চলুন জেনে নেই হোমিওপ্যাথি ওষুধ কিভাবে কাজ করে।
মৃ-ত্যুঞ্জয়ী চিকিৎসা বিজ্ঞানী হোমিওপ্যাথিক আবিষ্কারক ডা স্যামুয়েল হ্যানিম্যান বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। ওষুধ যাতে বেশিসংখ্যক স্নায়ুকে স্পর্শ করে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এ জন্য ওষুধের একটা অনুবটিকাকে জলে দ্রবীভূত করে প্রয়োগ করতে হবে।
জিহ্বা, মুখ ও পাকস্থলির স্নায়ুগুলো সহজেই ওষুধের ক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। নাকে ও শ্বাসযন্ত্র দিয়ে ঘ্রাণ এবং মুখ দিয়ে আঘ্রাণ নিলেই সংশ্লিষ্ট আবরণীর ওপরের স্নায়ুও এ কাজে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত একই ওষুধ যদি মর্দনের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবেও প্রয়োগ করা হয়।
হোমিওপ্যাথি ওষুধের তালিকা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এখন হোমিওপ্যাথি ওষুধের তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকে আমাদের এই আর্টিকেল এর মূল আলোচনার বিষয় হলো হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ সম্পর্কে জানা। এখন আমরা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম এর তালিকা সম্পর্কে জানব।
- Acid Nitric
- Acid phos
- Aconit Nap
- Apis Mel
- Arnica Mont
- Arsenic Album
- Bryonia Alb
- Calcarea Carb
- Carbo Veg
- China off
- Dulcamara
- Lachesis
- Ledum pal
- Kali Bichrom
- Phosphorus
- PsorinumRhus Tox
- Ruta gra
- Sabina
- Secale cor
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়া হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে আরো অনেকগুলো তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলেও বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।