অনেকে হুন্ডি ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কিন্তু এ বিষয়ে একটু দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকেন তা হলো হুন্ডি ব্যবসা হালাল না হারাম। আজকের লেখায় হুন্ডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে এ টু জেট জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
হুন্ডি কি?
হুন্ডি হলো একটি নীতি বহির্ভূত এবং দেশের আইন দ্বারা নিষিদ্ধ অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর ব্যবস্থা। এটি Bill of Exchange বা বিনিময় বিল নামেও পরিচিত। পূর্বে বাণিজ্যিক লেনদেন এবং ঋণ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো এবং বর্তমানে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে এটি সাধারণ ভাবে অবৈধ উদ্দেশ্যে এবং আইন দ্বারা নিষিদ্ধ।
হুন্ডি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ সংগ্রহ করা। এটি বাণিজ্যিক আদান প্রদান বা ঋণ সংশ্লিষ্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লিখিত এবং শর্তহীন দলিল। যার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে নির্দেশিত পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়। এই ব্যবস্থা মুঘল আমলে বেশ পরিচিত লাভ করলেও এটি কিন্ত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয় ব্রিটিশ আমলে। বর্তমানে প্রবাসী চাকুরিজীবীরা একে আড়ালে ব্যবহার করছেন।
আরও জানুন: সৌদি আরবের সকল কোম্পানির নাম ও তালিকা (২০২৪ আপডেট)
হুন্ডি একটি অপ্রচলিত আর্থিক লেনদেন পদ্ধতি যা বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, এবং আফ্রিকার কিছু দেশে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত অনানুষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনের একটি মাধ্যম, যেখানে অর্থ স্থানান্তর একটি অবৈধ বা অপ্রচলিত উপায়ে ঘটে।
হুন্ডি ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ স্থানান্তর করে থাকেন, এবং এতে সাধারণত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যস্থতা ছাড়া অর্থ স্থানান্তরিত হয়। হুন্ডির মাধ্যমে সাধারণত প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের দেশে অর্থ পাঠায়, এবং এটি বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেনেও ব্যবহৃত হয়।
কৌশলগতভাবে, হুন্ডি হলো এমন একটি লিখিত শর্তহীন আদেশ যা এক ব্যক্তির নির্দেশ অনুযায়ী অন্য এক ব্যক্তি লিপিবদ্ধ করেন এবং নির্দেশনামায় উল্লেখিত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়।
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে?
হুন্ডি লেনদেন সাধারণত দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে। প্রথমে একজন ব্যক্তি (যিনি প্রেরক) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য হুন্ডি এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করেন। এজেন্ট প্রাপকের নিকটবর্তী অন্য একটি এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে এবং প্রাপকের কাছে অর্থ পৌঁছে দেয়।
হুন্ডি ব্যবসা বলতে একটি লিখিত শর্তহীন আদেশ যা এক ব্যক্তির নির্দেশ অনুযায়ী অন্য এক ব্যক্তি লিপিবদ্ধ করেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী উল্লেখিত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেন। হুন্ডি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থ প্রেরণের একটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের কৌশল।
আরও জানুন: indian visa check: জেনে নিন, ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম
মনে করেন আপনি এবং আপনার ছোট ভাই একজন থাকে কাতারে এবং অন্যজন থাকেন বাংলাদেশ। আবার মনে করেন আপনাদের একজন প্রতিবেশী সেও কাতারে থাকে। তো আপনার প্রতিবেশী কিছু টাকা বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে পাঠাতে চান।
তখন সে ব্যাংকে গিয়ে শুনছে যে, সে যদি ১ লক্ষ টাকা পাঠাতে চায় তবে সৌদি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ও শুল্ক সব সহ তার খরচ হবে বিশ হাজার টাকা। তাহলে তার মোট খরচ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং বাড়িতে পাবে এক লক্ষ টাকা।
তাই শুনে আপনার ছোট ভাই তাকে বলল সে যদি তাকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেয় তাহলে সে তার পরিবারকে এক লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে দেবে আপনার মাধ্যমে। যার ফলে তার প্রতিবেশী চিন্তাভাবনা করে দেখল এ ব্যবস্থার মাধ্যমে তার ১৫,০০০ টাকা বেঁচে যায়। তখন আপনাদের প্রতিবেশী আপনার ছোট ভাইকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেন।
এবং আপনার ছোট ভাই আপনাকে ফোন দিয়ে বলে তার পরিবারের কাছে এক লক্ষ টাকা দিয়ে আসতে। যার ফলে আপনার ছোট ভাইয়ের লাভ হল ৫০০০ টাকা। এবং আপনার প্রতিবেশীর ১৫,০০০ টাকা বেঁচে গেল। এই পদ্ধতিতে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। জেনে রাখা ভালো হুন্ডির মাধ্যমে যেসকল টাকা পাঠানো হয় সেগুলো লিগ্যাল ইনকাম হিসেবে যোগ হয় না।
হুন্ডির উপকারিতা
হুন্ডি উপকারিতার প্রধান কারণ এর মাধ্যমে কম খরচে এবং প্রত্যন্ত এলাকায় টাকা পাঠানো সম্ভব অনেক ক্ষেত্রে তা ব্যাংক এর চেয়েও দ্রুততর। নিম্নে হুন্ডি ব্যবসার কয়েকটি উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
- এই পদ্ধতিতে ডলার রেট ব্যাংকের তুলনায় বেশী পাওয়া যায়।
- দ্রুত পরিবারের কাছে টাকা প্রেরণ করা যায় ছুটির দিন বা ব্যাংকিং আওয়ারের কথা চিন্তা করতে হয়না।
- হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে খরচ তুলনামূলক কম।
- প্রবাসীরা ব্যাস্ততার কারণে ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাঠানোর সময় পান না। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা ঘরে এসে টাকা নিয়ে যায় এবং বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
- নির্দিষ্ট সীমার বাইরে টাকা পাঠাতে গেলে জবাবদিহিতা ও নানা কাগজপত্রের ঝামেলা পোহাতে হয়। সেক্ষেত্রে হুন্ডি বেশি সুবিধাজনকা তবে সম্প্রতি এই সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
- সবচেয়ে বড় সমস্যা যারা অবৈধভাবে বাস করে, তারা লুকিয়ে চলাফেরা করে, কাগজপত্র নেই তাই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারেন না। এই পদ্ধতিতে সহজেই টাকা পাঠাতে পারেন।
- প্রবাসীরা জানান, দেশের ব্যাংকের সেবার মান খুবই খারাপ তাদের পরিবারকে টাকার জন্য অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
- ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রণোদনার হার ২.৫% এতে প্রবাসীরা উৎসাহিত হয় না।
- অনেকের পাসপোর্ট সংশোধনের ফাইল ১০ জমা পড়ে আছে মাসের পর মাস তারাও বৈধ উপায়ে অর্থ পাঠাতে পারছে না। এই পদ্ধতিতে সহজেই টাকা দেশে পাঠাতে পারে।
হুন্ডির অপকারিতা
হুন্ডি ব্যবসার অনেকগুলো অপকারিতা রয়েছে। কারণ হুন্ডি ব্যবসা ব্যাংকিং নিয়মকানুন অনুসরণ করে না জন্য সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হুন্ডি ব্যবসা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করা হয়েছে। হুন্ডির অনেক অপকারিতা আছে যা নিচে তুলে ধরা হলো:
- আয়কর রেয়াত পাওয়া যায় না।
- বৈধ উপার্জন অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
- প্রবাসীরা গ্রাহক হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
- অর্থ পাঠানো এবং বাড়িতে অর্থ প্রাপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
- ব্যাংকিং সুবিধা বা বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায় না।
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়, ফলে অর্থনীতির ক্ষতি হয়।
- অবৈধ টাকার মালিকরা প্রবাসীদের টাকা বিদেশে রেখে সম্পদ পাচার করে।
- হুন্ডিতে মূলত এজেন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয় ৷ এটি পুরোপুরি চলে বিশ্বাসের ওপর তাই এই উপায়ে অর্থ লেনদেন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
- যেহেতু প্রচলিত আইনে এভাবে টাকা লেনদেন অবৈধ কোনো কারণে টাকা আত্মসাৎ করা হলে তা আর ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আইনি সহায়তা নেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এভাবে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন।
হুন্ডি ব্যবসা হালাল না হারাম
হুন্ডি ব্যবসার হালাল বা হারাম হওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত এবং বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক, ব্যবসার সকল দিক হালাল হতে হবে এবং কোনো প্রতারণা বা অসততা থাকতে পারবে না। হুন্ডি ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
আরও জানুন: কারেন্সি সোয়াপ কি? কারেন্সি সোয়াপ কাকে বলে
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হুন্ডি ব্যবসা মৌলিকভাবে জায়েজ। তাই হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করাও জায়েজ। কারণ, হুন্ডি ব্যবসা একধরনের মুদ্রা বিনিময়। অর্থাৎ, এক দেশের মুদ্রার বিনিময়ে অন্য দেশের মুদ্রার বেচাকেনা। এটি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ। এখানে বাড়তি টাকা নিলে তা পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতাওয়া শামি: ৫/১৩১; ফাতহুল মুলহিম: ১/৫৯০; ফাতাওয়া কাসিমিয়া: ২০/২৬৬)
তবে এক্ষেত্রে শর্ত হলো, লেনদেন চুক্তির বৈঠকেই কমপক্ষে এক পক্ষকে মুদ্রা হস্তান্তর করতে হবে। দুই পক্ষের কেউই যদি মুদ্রা হস্তান্তর না করে, তবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ হবে না। মহানবী (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘এই পণ্যগুলো যদি একটি অন্যটি থেকে আলাদা হয় বা একই পণ্য না হয়, তবে তোমরা যেভাবে ইচ্ছা বিক্রি করতে পারো। তবে তা হতে হবে নগদ। (মুসলিম: ১৫৮৭)
তবে আমাদের দেশে হুন্ডি ব্যবসা আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ। আর ইসলামের নীতি হলো, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ কোন বিষয় যদি কোরআন হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত হয়, তা মান্য করা সব নাগরিকের কর্তব্য। হুন্ডি ব্যবসা ও এর মাধ্যমে লেনদেন থেকে বিরত থাকা ইসলামি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই এই আইন মেনে চলা জরুরি। কারণ, শরিয়ত যে বিষয় থেকে বিরত থাকার সুযোগ রেখেছে, সে বিষয়ে জড়িত হয়ে আইন লঙ্ঘন করে নিজেকে বিপদে ফেলা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আল্লাহর পথে ব্যয় করো, তবে নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখোমুখি কোরো না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
আরও জানুন: Ielts ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হুন্ডি ব্যবসা নিষিদ্ধ। শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হুন্ডি ব্যবসা হারাম। একজন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত বাংলাদেশের আইন মেনে চলা। হুন্ডির কারণে যারা বড় বড় চোরাচালান করে তারা অবৈধ ভাবে এটির সুযোগ নিচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য এবং নানা কল্যাণ সাধনের জন্য হুন্ডি ব্যবসাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হুন্ডি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হারাম কাজ। এটির সাথে একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জড়িত হওয়া উচিত নয়। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা। যদিও হুন্ডি ব্যবসা সম্পর্কে হাদিসে কোন ধরনের বক্তব্য আসেনি বা এ ব্যবসা অবৈধ, তথাপি এটি নিষিদ্ধ।
কারণ অনেক জিনিস, যেটা সমাজের জন্য যখন অকল্যাণকর হয়, তখন সমাজের সকলে মিলে বা মুসলিম প্রশাসন যদি সেটাকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে সেটা আমাদের সবার মেনে চলা উচিত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলব, যেহেতু হুন্ডি ব্যবসা অথবা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর নিষেধ করা হয়েছে, তাই আমাদের বৈধ উৎসের দিকে যেতে হবে, বৈধভাবেই টাকা হস্তান্তর করতে হবে।
উপসংহার
হুন্ডি ব্যবসা একটি প্রাচীন আর্থিক ব্যবস্থা হলেও আধুনিক সময়ে এর বৈধতা এবং নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক, কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও আইনের প্রতি সম্মান থাকা জরুরি। যেহেতু হুন্ডি একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং এর মাধ্যমে প্রতারণা ও অর্থ পাচারের ঝুঁকি থাকে, তাই ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি হারাম হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।