ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

25427 Sakhawat
লিখেছেন -
0

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ - প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যারা দৈনন্দিন ঘন ঘন প্রস্রাব ভোগেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। যারা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ বিস্তারিত আলোচনা জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি পুরোটা পড়ুন।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

সূচিপত্রঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

ভূমিকাঃ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

প্রসাব শুধু শরীর থেকে আবর্জনা দূর করে না। ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার ফলে রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। প্রসাবের রং ও গন্ধ গন্ধ দেখে শরীরের বেড়ে ওঠা রোগ শনাক্ত করা যায়। আমাদের শরীরে প্রসাব করা ৭ থেকে ৮ বার প্রসাব করলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। আপনি যদি এর চেয়ে বেশি প্রসাব করেন তাহলে আমার এটা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে না।

আরো পড়ুনঃ মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

আজকের এই পোস্টে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ, ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার, ঘনঘন প্রসাব এর সাতটি কারণ, মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কি, পুরুষদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ এসব সম্পর্কে আজ আলোচনা করব তাহলে দেরি না করে সব জেনে নেওয়া যাক।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ

ঘন ঘন প্রসাব হওয়া মানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসাব করা। ঘন ঘন প্রসাব করলে কেউ না বুঝতে পেরে অনেককেই অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঘন ঘন প্রসাব মানে ডায়াবেটিস তা নয়। ব্লাডার প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেশি কাজ করে তাহলে ঘন ঘন প্রসাব হবে। ঘন ঘন প্রসাব যদি রাতের বেলা হয়ে থাকে। তাহলে এটা ভেবে নিবেন কিডনি রোগের লক্ষণ। তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ।

১। বেশি বেশি পানি পান করলে ঘন প্রসাব হয়

২। যুবকদের প্রণ দেখা অতিরিক্ত উত্তেজনা ফলে

৩। কিছু কিছু রোগের কারণে ঘন ঘন প্রসাব হয়

৪। ডায়াবেটিস গ্রন্থি টিউমার

৫। কিডনি অকেজো হওয়ার অন্যতম কারণ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

৬। ব্লাড ক্যান্সার বা কিডনিতে পাথর হলে ঘন ঘন প্রসাব হয়

৭। মেয়েদের গর্ভে আসার তিন মাসে ঘন ঘন প্রসাব হয়

৮। প্রসাবে যদি কোনো বাধা থাকে তাহলে ঘন ঘন প্রসাব হয়

ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার প্রতিকার

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সেবন করতে হবে। এবং আমি এখন কিছু ঘরোয়া উপায়ে বলবো সেগুলো মেনে চললে ঘন প্রসাব হওয়ার প্রতিকার হবে। বিছানায় গেলে তরলজাতীয় খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

ব্যায়াম

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকার করার জন্য আমাদেরকে প্রতিদিনই ব্যায়াম করতে হবে।

ফল

কলা আপেল আঙ্গুর ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি আরো অনেক ফল খেতে হবে যদি ঘন ঘন পেশাব প্রতিকার করতে চাই

প্রোটিন

আমাদের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিনগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদেরকে মাছ মাংস প্রোটিন অনেক উপকার করে।

আরো পড়ুনঃ টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়

শাকসবজি খেতে হবে

শাকসবজি খেতে হবে ঘন প্রস্রাব দূর করতে শসা গাজর লেটুস মরিচ, এগুলো হচ্ছে প্রধান

ওজন

অতিরিক্ত ওজন কমানোর ফলে ঘন ঘন প্রসাব হয় । আমাদের সুষম খাদ্য খেতে হবে এবং ব্যায়াম বা অনুশীলনের মাধ্যমে ওজন নির্দিষ্ট মানে আনতে হবে । কফি বা ক্যাফিনযুক্ত খাদ্যদ্রব্য খেতে হবে ।

পুরুষদের ঘন ঘন প্রসাবের সাতটি কারণ

ঘন ঘন প্রসাব মানে ডায়াবেটিস তা নয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের ঘনঘন বাথরুমে যাওয়া প্রবণতা বেশি ।মানুষের সাধারণত দিনে 7 থেকে 8 বার প্রসাব হয়। একদিনে অতিরিক্ত পানি পান করলে দিনে 10 বার প্রসাব হয়। প্রসাব এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রসাব হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব হলে এতে চিন্তার কিছু নেই। এবং পরীক্ষা করে দেখা যাবে যে ডায়াবেটিস আছে কিনা। ডায়াবেটিস লোকদের ঘন প্রসাব প্রসাব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারে না।

১। প্রসাবে ইনফেকশন হলে।

২। শরীরের ওজন বাড়লে ব্লাডারের উপর চাপ পড়ে এবং ঘন ঘন প্রসাব হয়।

৩। বয়স্ক পুরুষদের গ্রন্থির সমস্যা হলে।

৪। অতিরিক্ত বেশি পানি পান করলে।

৫। ডায়াবেটিস হলে ঘন ঘন প্রসাব হয়।

৬। মূত্রাশয় ক্যান্সার হলে ঘন ঘন প্রসাব হয়।

৭। পানি বা অ্যালকোহল অতিরিক্ত পান করলে।

মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কি

সাধারণত মেয়েদের গর্ভকালীন শুরুর সময় সময় ঘন ঘন প্রসাব করে। গর্ভকালীন শেষ সময় ঘনঘন প্রসাব করে। সাধারণত মানুষের সাত থেকে আটবার প্রসাব হয়ে থাকে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি খান ১০ থেকে ১১ বার প্রস্রাব হতে পারে। এর বেশি যদি প্রসাব হয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার কোন একটা সমস্যা আছে।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ওজন কমানোর ব্যায়াম

মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ মেয়েদের মূত্রনালীতে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে ঘনঘন প্রসাব হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে। প্রসাবে আরেকটি ইনফেকশনের কারণ হচ্ছে প্রস্রাব বেশি সময় ধরে আটকে রাখলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে। শরীরে যখন বেশি ওজন হয় তখন প্রস্রাবের ব্লাডার এর উপর চাপ পড়ে এ কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।

শেষকথা

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ , ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার প্রতিকার এই সম্পর্কে আজকের এই পোস্টের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ।যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে না পারেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন। এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট পড়তে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।

আপনার মতামত জানান এখানে

0 কমেন্ট

আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

কমেন্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!