জমির নামজারি করার নিয়ম

25427 Sakhawat
লিখেছেন -

জমির নামজারি করার নিয়ম - প্রিয় পাঠক আমাদের প্রায় সবার এই জমির সম্পর্কে সেই রকম কিছু জ্ঞান থাকে না,আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব সেই বিষয়টি হচ্ছে, জমির নামজারি করার নিয়ম। অনেকেই হয়তো জানি না কিভাবে জমির নাম জারি করতে হয়।

জমির নামজারি করার নিয়ম

পেজ সূচিপত্রঃ জমির নামজারি করার নিয়ম

আপনি যদি জমির নামজারি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে জমির নামজারি করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে জমির নামজারি করবেন। এবং জমির নামজারি করার নিয়ম গুলো কি কি হবে। তা এই আর্টিকেলের সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা জমির নাম জারি করতে চান তারা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

ভূমিকাঃ জমির নামজারি করার নিয়ম

নামজারি অনেকের কাছে দুর্বোধ্য একটি বিষয় মিউটেশন অথবা নামজারি বিষয়টি প্রমাণ করা হয়েছে,ভূমির মালিকের মালিকানা নিয়ে জটিলতা এড়ানোর জন্য যখন কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বৈধ ভাবে অথবা আইনগতভাবে ভূমি বা জমির মালিকানা অর্জন করে। সরকারের রেকর্ডে মালিকানা নাম হালনাগাদ করা হলো নামজারি।

অর্থাৎ সহজ কথায় হচ্ছে আপনি যদি কোন জমির মালিক হয়ে থাকেন সেই জমির মালিকানা যদি আপনার নামে না লিখা থাকে তাহলে সেই জমির মালিকানা আপনার নামে করতে যেসব জিনিস করা হয় সেই টাকেই জমির নামজারি বলা হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি জমির নামজারি করার নিয়ম।

জমির নাম জারি করতে কি কি লাগে,জমির নামজারি যারে ফ্রি পেমেন্টের তথ্য,আপনারা যদি উক্ত বিষয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দিই।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার উপায়

জমির নামজারি দেখার নিয়ম

প্রিয় পাঠক এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে জমির নামজারি দেখার নিয়ম। এবং কিভাবে জমির নাম জারি করবেন,কোন কারনে জমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম স্থাপন করানো নামজারি স্টেশন বলে। বাংলাদেশের ১৯৫০ সালে রাষ্ট্রীয় অধিকগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মহানগর এলাকার মধ্যে ৬০ কর্ম দিবসে,এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। বাধ্যতামূলক দালান ও প্রতারক চক্রে পড়ে অনেকে অল্প সময় নাম জারি করার আশায় মোটা অংকের টাকা খরচ করেন।যা একই সাথে অন্যায় ও বোকামি নিজের নামজারি নিজেই করুন।

যেকোনো বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করার জন্য সরকারি কমিশনার ভূমি অফিস বদ্ধ কোন হয়রানী বা জটিলতা সৃষ্টি হলে সরকারি কমিশনার কে অবগত করুন। সরকারি কমিশনার ভূমি অফিসের নামজারীর জন্য আবেদন করতে হয়,অনেকেই ভুল করে তহশীল অফিসে নামজারি আবেদন করেন, কিন্তু নামজারি কেবল সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসেই হয়ে থাকে।

নামজারি করতে কি কি লাগে

নামজারি করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দরকার হবে।সেইসব কাগজপত্রের তালিকা নিচে দেওয়া হল, আপনি যদি মনে করেন এসব কাগজ পাতি ছাড়াই আপনার নামজারি করা হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ এসব কাগজ পাতি ছাড়া আপনার নাম জারি করা অসম্ভব।তাই আপনি ভালোভাবে কাগজ পাতির নাম গুলো জেনে নিন কি কি কাগজ পাতি লাগবে নামজারি করতে। তাহলে চলুন জেনে নিই নাম জারি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি?

মালিকানা দলিলের ফটোকপি

১। সর্বশেষ খতিয়ান

২। সর্বশেষ রেকর্ডি ও খতিয়ান

৩। খাজনার দাখিলা

৪। ওয়ারিশ সনদ

৫। আদালতের ডিগ্রী

৬। পাসপোর্ট সাইজের ছবি এনআইডি নামজারির আবেদন পত্র

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধন করার নিয়ম

কিভাবে আবেদন করতে হয়

প্রিয় পাঠক এখন আমরা আলোচনা করব নামজারি আবেদন পত্রের আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন।এবং কিভাবে আবেদন করবেন,সহকারী কমিশনার অফিস থেকে নামজারির জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ পূরণ করে আবেদন করতে হবে। যে সম্পত্তির জমির নাম জারি করতে ইচ্ছুক সম্পত্তি বা বিস্তারিত পরিচয় দিতে হবে।নিচে আবেদনপত্রের যেসব জিনিস থাকা খুবই প্রয়োজনীয় চলুন জেনে নিই সেসব জিনিস গুলো কি কি?

১। আবেদনকারীর পূর্ণ নাম ও ঠিকানা

২। রেজিস্ট্রি কৃত হস্তান্তর দলিল যেমন কবলা, হেবা,উইল ইত্যাদি দলিলের নম্বর ও সাল স্পষ্ট থাকতে হবে।

৩। দলিলের অনুলিপি ভায়া দলিলের ফটোকপি

৪। পরচা বা খতিয়ানের অনুলিপি

৫। ডিশিয়ার এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ রশিদ

৬। বণ্টননামা দলিল

৭। কোন ওয়ারিশান জমির জারি করতে চাইলে ওয়ারিশ সনদপত্র

৮। পূর্বের মালিকের মেয়ের নাম জারি থাকলে তার ফটোকপি

৯। কোন রায় বা ডিক্রির বলে নাম জারি করলে উক্ত ডির্কি বা রায়ের অনুলিপি

১০। ধনকারী অথবা আবেদনকারীর প্রতিনিধির পাসপোর্ট আকারের ২ কপি ছবি।

নামজারি ফি পেমেন্টের তথ্য

এখন আমরা আলোচনা করব নাম জানিয়ে আবেদন করতে কত টাকা ফি লাগবে।এবং নামজারি সম্পন্ন করতে কত টাকা লাগবে। অনেকেই জানিনা জমির নামজারি করতে কত টাকা লাগবে। এজন্য আমরা অনেকেই দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকা আমাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়।এ জন্য আমাদেরকে আগে জেনে নিতে হবে নামজারি করতে কত টাকা লাগে। তাহলে চলুন জেনে নিয়ে নামজারি করতে কত টাকা লাগে?

খরচঃ

নামজারি খরচ ২০ টাকা কোল্ড ফি এবং ৫০ টাকা, নোটিশ জারি ফি রেকর্ড সংশোধন ১ হাজার টাকা, খতিয়ান ফ্রি ১০০ টাকা।সর্বমোট ১১৭০ টাকা লাগবে।

সময়ঃ

১।ব্যক্তি আবেদন বা LT নোটিশ প্রাপ্তির পর সর্বোচ্চ ২৮ দিন

২।প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য মহানগরীর ক্ষেত্রে নয় দিন অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২ দিন কার্যদিবস

৩।বিনিয়োগবান্ধব রপ্তানি মুখী শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান

আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

শেষ কথাঃ জমির নামজারি করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে জমির নামজারি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যদিও সম্পূর্ণ শেষ করতে পারিনি, আপনাদের যেটা প্রয়োজন হবে সেটা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তাহলে আমরা পরবর্তীতে অন্যান্য পোস্ট লিখতে আগ্রহী হব ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!