স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে - পড়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীরা গ্যাজুয়েট কমপ্লিট করতে চায়। আবার অনেক ছাত্র-ছাত্রীর শখ বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা কমপ্লিট করা। এজন্য তাদের আগে প্রয়োজন হবে বিদেশে যাওয়ার আগে একটি স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এবং স্টুডেন্ট পাসপোর্ট কিভাবে করতে হয় স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমাদেরকে এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে আগে জানতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- ভূমিকাঃ স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর সুবিধা
- স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম
- স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- স্টুডেন্ট পাসপোর্ট কয়দিনের মধ্যে পাওয়া যায়
- স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর ফি
- শেষ কথাঃ স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
ভূমিকাঃ স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে এখন আমি আলোচনা করব স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। আপনারা যদি স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে চান তারা এই পোস্টটি প্রথম থেকে পড়বেন নয়তো কিছুই বুঝবেন না। আমরা অনেক শিক্ষার্থীরা আছি বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করতে চাই।
আরো পড়ুনঃ ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় বিদেশ গিয়ে পড়ালেখা করে গ্যাজুয়েট কমপ্লিট করতে চাই। কিন্তু আমাদের বিদেশে যেতে হলে যেই জিনিসটা আগে লাগবে সেটি হল পাসপোর্ট এবং সেটি হচ্ছে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট লাগবে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর সুবিধা, পাসপোর্ট করার নিয়ম, স্টুডেন্ট পাসপোর্ট কয়দিনের মধ্যে পাওয়া যায়, স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর ফি কত উক্ত বিষয়গুলোর সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আপনারা যারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর সুবিধা
এখন আমরা আলোচনা করব স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো নিয়ে আপনি যদি স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করেন।এবং পরবর্তী সময় যদি ওয়ার্কের জন্য ভিসা চান তাহলে আপনার ১৮ বছর হতে হবে তাহলে আপনি স্টুডেন্টদের সাথে ওয়ার্কের ভিসা পেয়ে যাবেন এবং আপনাকে প্রমাণ করতে হবে।
পাসপোর্ট করার সময় যে আপনি ছাত্র ছিলেন সেই প্রমাণ পত্র যেমন স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের কপি বা সনদের কপি সাথে রাখবেন যদি ইমিগ্রেশন চাই যাতে দেখাতে পারেন এটাই হলো স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর সুবিধা আপনি একটি পাসপোর্ট দিয়ে আপনি পড়াশোনার কাজে যেতে পারেন অথবা অন্য কাজেও যেতে পারবেন পরবর্তীতে এতে কোন সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করছি।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম
এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করার নিয়ম নিয়ে।কিভাবে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করবেন চলুন জেনে নি ন বর্তমান সময়ে আপনি দেশে যেখানে থাকুন না কেন আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে।
এই পাসপোর্টে অনলাইন আবেদনের জন্য আপনাকে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে ঢুকতে হবে তারপর আপনার নাম্বার এবং আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য নিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
আপনি যদি অফলাইনে পাসপোর্ট করতে যান তাহলে আপনাকে অফিশিয়ালি কিছু নিয়মাবলী তালিকা দেয়া হলো সেগুলো হলঃ
ফি জমা দিতে হবে, প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি সংগ্রহ করতে হবে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ পাসপোর্ট ফরম এবং সংযুক্তি সত্যায়িত করা আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া পুলিশ ভেরিফিকেশন পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস চেক করা পাসপোর্ট সংগ্রহ করা
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
এখন আমরা জানবো স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে আমরা যদি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট করতে যায় তা আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার যেগুলো ছাড়া আমাদের পাসপোর্ট করা সম্ভব তাই আমাদের পাসপোর্ট করার জন্য এই কাগজ পাতি গুলো আমাদের সাথে নিয়ে যাওয়া দরকার এবং চেষ্টা করবেন এই কাগজগুলোর মূল কপি গুলো নেওয়ার জন্য কারণ তারা যখন চেক করবে তখন মূল কপি দেখতে চাইবে নিচে কাগজ পাতি গুলোর তালিকা দেওয়া হলোঃ
১। ফি জমা দেওয়া,
২। প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি সংগ্রহ,
৩। আবেদন ফরম পূরন
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করার উপায়
৪। সংযুক্তি সাহিত্য করা আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া
৫। পুলিশ ভেরিফিকেশন্পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস চেক করা,
৬। পাসপোর্ট সংগ্রহ।
৭। পাসপোর্ট আবেদন অনলাইন কপি প্রিন্ট কপি
৮। পাসপোর্ট এপ্লিকেশন সামারি কপি
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট কয়দিনের মধ্যে পাওয়া যায়
এখন আমরা আলোচনা করব স্টুডেন্ট পাসপোর্ট কয় দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট পাসপোর্ট সাধারণত ২ থেকে ২১ দিনের ভেতর পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায় অনেক কিছু কারণে অফিসিয়াল দেরি করতে পারে।কর্ম দিবস দুই থেকে ২১ দিনের ভিতরে দিবে আপনারা অন্য কিছু ভেবে নিয়েন না। এবং একটি পাসপোর্ট আছে সাধারণ যাতে 21 দিন বা এর থেকে বেশি সময়ের পর পাসপোর্ট হাতে আসে।
জরুরী পাসপোর্ট করলে দুই থেকে সাত দিনের বেলায় পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।এজন্য যার খুব জরুরী সে দুই থেকে সাত দিনের ভেতর আপনার পাসপোর্ট আপনার হাতে এসে যেত। আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী আপনার দিন গণনা করা হবে।আপনার পাসপোর্ট যদি সাধারন হয় দিন কম হতে পারে আপনার পাসপোর্ট যদি অতি জরুরি হয় তাহলে আপনার সময় কম সময় তারা করে দিবে কিন্তু অতি জরুরী পাসপোর্টে অনেক টাকা নেবে তারা।
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট এর ফি
পাসপোর্ট এর সাধারণত কাজ শুরু করা হয় ফি দেওয়ার মাধ্যমে। পাসপোর্ট ফি দুই ভাবে যাওয়া যায় প্রথমত হচ্ছে অনলাইন এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে অফলাইন।আপনি যদি অফলাইনে পাসপোর্ট এর ফ্রি প্রদান করতে চান তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করলে ফি জমা দিতে হবে ব্যাংকে।
অনলাইনে আবেদন করলে আবেদন প্রক্রিয়া শেষে সেখানে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার অপশন থাকে সেখান থেকে আপনি পাসপোর্ট দিতে পারেন।অফলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে এর নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে গিয়ে জমা দিতে হয়,পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য একটি স্লিপ দেয়া হয়।
যাতে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে স্লিপসহ টাকা জমা দিতে পারে টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংকে ২ পার্টের একটা দিয়ে থাকে।এবং আপনি যে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ফ্রি প্রদান করে থাকবেন সেগুলো হচ্ছেঃ
১। সোনালী ব্যাংক
২। প্রিমিয়াম ব্যাংক
৩। ট্রাস্ট ওয়ান ব্যাংক
৪। ব্যাংক এশিয়া
৫। ওয়ান ব্যাংক
৬। ঢাকা ব্যাংক
এবং আপনি যদি অনলাইনে ফ্রি জমা দিন তাহলে আপনাকে। নিচে কিছু তালিকা দেয়া হলো সেগুলো দেখে নিবেন।
৪৮পাতার পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্টঃ
সাধারণ পাসপোর্ট, ১৫ দিন সময়, ৪০২৫টাকা লাগবে।
জরুরী পাসপোর্ট,সাত দিন সময়,৬০২৫ টাকা লাগবে।
জরুরী পাসপোর্ট,সময় দুই দিন 8০২৫ টাকা লাগবে।
৪৮ পাতার দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্টঃ
সাধারণ পাসপোর্ট,সময় 15 দিন, ৫৭৫০ টাকা লাগবে।
জরুরী পাসপোর্ট সময় ৭ দিন ৮০৫০ টাকা লাগবে
অতি জরুরী পাসপোর্ট সময় ২ দিন ১৩৫০ টাকা লাগবে
৬৪ পাতার পাঁচ বছর মেয়াদ পাসপোর্টঃ
সাধারণ পাসপোর্ট,সময় ১৫ দিন, ৬০২৫ টাকা লাগবে
জরুরী পাসপোর্ট,সময় ৭ দিন, ৮৬২৫ টাকা লাগবে
অতি জরুরী পাসপোর্ট,সময় ২ দিন, ১২৭৫ টাকা লাগবে
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধন করার নিয়ম
৬৪ পাতার 10 বছর মেয়াদ পাসপোর্টঃ
সাধারণ পাসপোর্ট,সময় 15 দিন,৮০৫০ টাকা লাগবে।
জরুরী পাসপোর্ট,সময় ৭ দিন,১০৩৫০ টাকা লাগবে।
অতি জরুরি,র্পাসপোর্ট সময়,দুই দিন ১৩৮০০ টাকা লাগবে।
শেষ কথা
স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এছাড়াও আজকের এই পোস্টে স্টুডেন্ট হিসাবে কি করবে যেহেতু বিদেশ তার জন্য স্টুডেন্ট পাসপোর্ট তার হাতে এছাড়া আরে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা যারা এখনো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েন নাই তাহলে দয়া করে এই পোস্টটি আবার পুনরায় পড়বেন আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিয়মাবলী মেনে চললে আপনারা স্টুডেন্ট পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয় খুব সফল হয়েছেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।