ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি - প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে। তারা অনেকেই হয়তো ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি কি জানেন না।
আপনারা যারা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে জানতে ইচ্ছুক। তারা আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আপনারা প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
- ভূমিকাঃ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
- ভিসা কি
- ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি লাগে
- ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
- ভিসা আবেদনের জন্য
- শেষ কথাঃ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
ভূমিকাঃ ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
ভিসা কে তুলনা করা হয়েছে শরীরের হৃদপিন্ডের সাথে। কারণ মানুষের শরীরের হৃদপিন্ড ছাড়া মানুষ বাঁচে না। তেমন এক দেশ থেকে আরেক দেশ যাওয়ার জন্য ভিসা ছাড়া আপনি যেতে পারবেন না।
কিন্তু ভিসা করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি। ভিসা করতে গিয়ে আমরা প্রতারণা শিকার হয়। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে কথা বলব।
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আরো থাকছে ভিসা কি, ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি লাগে, ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি, ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনারা যারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন আসল কথায় যাই।
আরো পড়ুনঃ ভিসা কার্ড এবং মাস্টার কার্ডের মধ্যে পার্থক্য
ভিসা কি
আমরা অনেকেই জানিনা ভিসা কি। এই ভিসা দিয়ে কি করা হয়। এখন আমরা জানবো ভিসা বলতে কী বোঝায়। ভিসা একটি অনুমতি পত্র বা একটি নথি যা একটি দেশে কোন বিদেশি নাগরিককে ওই দেশে প্রবেশ করার জন্য দিয়ে থাকে।
ভিসা ছাড়া বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করা একেবারেই সম্পূর্ণ অবৈধ। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পারমিটের কয়েকটি পাতায় লিখে, সিল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে, প্রত্যেকটি দেশে প্রতিষ্ঠিত দূতাবাসগুলো ভিসা প্রদান করে থাকে।
বিপক্ষে যুক্তির ভিত্তিতে ভিসা ওভারের নীতি থাকে। যে ক্ষেত্রে দুটি দেশ পরস্পরে জন্য ভিসা স্থগিত বা বন্ধ রাখতে পারে। সারা বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে যাদের ওয়েভার চুক্তি রয়েছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃটেনের মধ্যে ভিসা ও এবার চুক্তি থাকার কারণে,
ভিসা ব্যতীত এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে ভ্রমণ করতে যেতে পারে। তাই আপনার কোন দেশে যাওয়া লাগলে আগে আপনার ভিসাটি খুব প্রয়োজন। তাই আপনি দ্রুত খুব ভিসা টি করুন।
ভিসা প্রসেসিং করতে কি কি লাগে
প্রায় প্রতিটি দেশের ভিসা প্রসেসিং একই রকম। তবে এশিয়া দেশগুলোর ভিসা প্রসেসে আলাদা ভিন্ন রুপি। আপনারা অনেকেই আছেন ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি গুলো আপনাদের থেকে কিছু এক্সট্রা টাকা নিয়ে আপনাকে ওই দেশে পৌঁছে দেয়।
বিভিন্ন কাজ পেতে সাহায্য করে। তবে আপনি যদি খারাপ কোন বিশ্বাস করতেছেন, যারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে তাদেরকে ৫০ বছরের ঘোরায় কিন্তু তাদেরকে বিদেশ পাঠাতে পারে না।
ভিসা প্রসেসিং করতে যা যা লাগে
১। পাসপোর্টের বৈধতা ছয় মাসের বেশি হতে হবে।
২। পাসপোর্টে ন্যূনতম তিনটি খালি পৃষ্ঠা অবশিষ্ট থাকতে হবে।
৩। আবেদনপত্রে পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
৪। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
৫। আবেদনপত্রে নামটি সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে ।
৬। আবেদনপত্রে অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
৭। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি থাকে তাহলে মূল পাসপোর্ট এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যদি হারিয়ে যায় সেক্ষেএে জিডি কপি সংযুক্ত করতে হবে।
৮। পূর্ববর্তী ভিসা ইস্যু করার বিবরণ খালি রাখা যাবে না ।
৯। ভারত ও বাংলাদেশে এর রেফারেন্স খালি রাখা যাবে না ।
১০। বর্তমান / স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল থাকতে হবে ।
১১। পেশার বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে ।
১২। জন্মের তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম সনদপত্রের সঙ্গে মিল থাকতে হবে
১৩। আবেদনপত্র পূরণ করার ৮ দিনের মধ্যে আবেদনপত্র ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
১৪। ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সিলেট, সাতক্ষীরার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ ঢাকা মিশন নির্বাচন করবে।
১৫। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ চট্টগ্রাম মিশন নির্বাচন করবে।
১৬। রাজশাহী, রংপুর, ঠাকুরগাঁ, বগুড়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ রাজশাহী মিশন নির্বাচন করবে।
১৭। সিলেট পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবেদনকারীরা অনলাইন ফর্ম এ সিলেট মিশন নির্বাচন করবে।
১৮। আপনার ভিসা আবেদন জমাদানকারী সেন্টার এবং টাকা জমাদানকারী সেন্টার এর নাম অবশ্যই এক হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক
ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি নিয়ে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যাই। আপনাদের থেকে কিছু এক্সট্রা টাকা নিয়ে আপনাকে ওই দেশে পৌঁছে দেয় এবং বিভিন্ন কাজ পেতে সাহায্য করে।
তবে যদি খারাপ কোন বিশ্বাস করতেছেন এর কেবলে পড়েন তাহলে আপনার সম্পূর্ণ টাকা পানিতে চলে যাবে। তাই খুব সাবধান অনেক প্রতারক হাত পেতে বসে আছে। ভালো এজেন্সি গুলোতে আপনি গেলে আপনার থেকে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট চাইবে।
সেই ডকুমেন্ট অনুসারে আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের স্থান অনুসারে আপনার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যাবে। সেই টাকা দিলে ভিসা এজেন্সি গুলো আপনার সকল কাজ করে দেবে এতে করে আপনার বিভিন্ন।
ভিসা আবেদনের জন্য
আমরা সম্ভাব্য আবেদনকারীদের সতর্ক করতে চাই মিথ্যা ও তথ্য ও কাগজপত্রের ফলে শুধু ভিসাই প্রত্যাখ্যান নয়। আপনারা যদি অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে আপনাদের হাতে টাকা এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে করতে পারবেন।
শর্তঃ
১। আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ অন্তত ছয় মাস বা তার বেশি থাকতে হবে।
২। আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে নূন্যতম তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
৩। আবেদনপত্র পূরণ করার সময়ে পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৪। পাসপোর্ট এর মেয়াদ কবে শেষ হবে সেই তারিখ এবং পাসপোর্ট যদি ইস্যু করা থাকে সেই তারিখ আবেদনপত্রে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৫। আবেদনপত্রে আপনার নিজের নাম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৬।আবেদনপত্রে অবশ্যই স্ক্যান করা ছবি থাকতে হবে।
৭। আগের কোন পাসপোর্ট থাকলে সেই পাসপোর্ট এর একটি কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে, যদি সেটি হারিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই থানার জিডির একটি কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৮। আগের ভিসা ইস্যু করার তথ্যগুলো আবেদনপত্রে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
৯। আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন ওই দেশের এম্বাসি একটি রেফেরেন্স নেওয়া লাগবে।
১০। বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার একটি প্রমাণ দেখাতে হবে। যেমন: বিদ্যুৎ বিলের কপি, গ্যাস বিলের কপি ইত্যাদি।
১১। আপনি বর্তমানে কি কাজ করেন সেটা আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
১২। আপনার নাম এবং জন্মতারিখ জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
১৩। আবেদনপত্র পূরণ করার পর ৮ দিনের মধ্যে সেই আবেদনপত্রটি আপনার নিকটস্থ ভিসা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। (সময় কম বেশি হতে)
১৪। যে ব্যক্তি আপনার আবেদনপত্রটি জমা দিবে এবং যে ব্যাংকের মাধ্যমে ভিসা ফি পরিশোধ করবেন, সেই তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
আপনি যদি আগে থেকে নির্ধারিত কোন পেশাদারী কাজের জন্য যুক্ত রাজ্যে আসেন তাহলে আপনার এইচ ওয়ান বি প্রকারের ভিসা প্রয়োজন হবে। এর যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনাকে যে বিষয়ের উপর কাজ চাইছেন সেই নির্দিষ্ট বিষয় ব্যাচেলার তার উচ্চশিক্ষা ডিগ্রী।
আরো পড়ুনঃ ভিসা কি কত প্রকার - ভিসা কিভাবে করতে হয়
শেষ কথাঃ ভিসা প্রসেসিং নিয়ে
ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি থেকে সাবধান আপনার কিছু ভুলের কারনে আপনার সারা জীবনের টাকা জমানো সব বৃথা চলে জাবে।তাই যাচাই বাচাই করে ভিসা প্রসেসিং এজেন্সিতে যাবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের এই আর্টিকেলে ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তা বিষয়ে আপনারা বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যারা উক্ত বিষয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারেননি তারা আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।