ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস – ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস ইন বাংলাদেশ - বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করতেই বেশি পছন্দ করে। ব্লুটুথ হেডফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কোনো তারের ঝামেলা নেই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হেডফোনের তার নস্ট হয়ে যায়। ব্লুটুথ হেডফোন গুলো যেকোনো মোবাইলের সাথে ব্লুটুথ এর মাধ্যমে সহজেই সংযোগ করা যায়।
আপনি যদি ব্লুটুথ হেডফোন প্রাইস সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি হেডফোনের দাম ও বৈশিষ্ট গুলো তুলে ধরব। আপনারা যারা ব্লুটুথ হেডফোন কিনতে চাচ্ছেন কেনার আগে অবশ্যই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে নিন -
(toc) #title=(সুচিপত্র)
ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
বর্তমানে বাজারে বা অনলাইন শপগুলোতে আগের তুলনায় অনেকটা দাম কম ব্লুটুথ হেডফোনের। ব্লুটুথ হেডফোনের দাম নির্ধারিত হয় ব্রান্ড ও সুবিধার উপর ভিত্তি করে। ব্লুটুথ হেডফোন ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০-৩০,০০০ বা তার অধিক দামেও বিক্রি হয়। তবে আপনাদের দেখাবো মোটামুটি বাজেটের মধ্যে কোন ব্লুটুথ হেডফোনের দাম কত –
AirPods Pro ANC – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
বর্তমানে কম দামের মধ্যে সেরা একটি ব্লুটুথ হেডফোন এটি। অনেকেই যারা ১৫০০ টাকা বাজেটের মধ্যে ভালো একটি এয়ারপড কিনতে চান তারা চাইলে এই মডেলটি দেখতে পারেন।
বর্তমানে এই হেডফোনটির দাম হলোঃ ১৫৫০ টাকা। ABS ম্যাটেরিয়াল প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। আপনি চাইলে মাইক্রো ফোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন কারণ এটা নয়েজ দূর করতে সক্ষম।
৪০০ এমএইচ এর ব্যাটারি আছে যা দিয়ে আপনি ৪-৫ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লুটুথ ভার্সন ৫। ১৮০ গ্রাম ওজনের এই হেডফোনটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।
আরো পড়ুনঃ সানস্ক্রিন ক্রিম কোনটা ভালো
P47 headphone – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
কম দামের মধ্যে অসাধারন একটি হেডফোন হলো P47. এই হোডফোনে আপনার ক্যাবল এর মাধ্যমে চালাতে পারবেন ও ব্লুটুথ এর মাধ্যমেও চালাতে পারবেন। ভালো মানের সাউন্ড কোয়ালিটি পাওয়া যায়। আপনার প্রয়োজন অনুযাই অনেক বড় ক্যাবল ও লাগিয়ে নিতে পারবেন।
একবার চার্জ করে নিলে ৪-৬ ঘন্টা পর্যন্ত সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। এটার মাইক্রোফোনে নয়েজ ক্যান্সেলিং সিস্টেম রয়েছে। ৩২ জিবি স্টোরেজ পাবেন হেডফোনের সাথে। সুন্দর দেখতে এই হেডফোনটির দাম মাত্র ৪০০ টাকা। বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে ৪০০ টাকার মধ্যে হেডফোনটি পেয়ে যাবেন।
M90 Pro TWS – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
ব্লুটুথ হেডফোন গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি হেডফোন হলো এটি। অসংখ্য পরিমান ফিচার পাবেন এই হেডফোনে। এটাতে নয়েজ দূর করার জন্য মাইক্রোফোনে সিস্টেম যুক্ত করা আছে। গেম খেলার জন্য আলাদা ভাবে সুইচ করে নিতে পারবেন, কারন অনেক ব্লুটুথ হেডফোনে গেমের সাউন্ড অনেক দেরীতে যাওয়ায় যা দিয়ে গেম খেলা সম্ভব হয় না।
ব্লুটুথ কার্যকর থাকবে ১০-১৫ মিটার সিমানার মধ্যে থাকলে। পানিতে পরলেও কিছু হবে না কারন ওয়াটারপ্রুফ। এলএইডি ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। মোবাইলে সাউন্ডের সাথে হেডফোনের সাউন্ডের পার্থক্য মাত্র ৩০ মিলি সেকেন্ড।
কল এর ক্ষেত্রে এইচডি ভয়েস শুনতে পারবেন। ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন একবার চার্জ করে নিলে প্রায় ০৮ ঘন্টার মত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়। হেডফোনটি সম্পুর্ন চার্জ হতে সময় নেয় ১ ঘন্টার মত। বর্তমানে এই হেডগফোনটির দাম হলো – ১৩০০ টাকা।
আরো পড়ুনঃ ইনফিনিক্স মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস
Baseus Enock WM01 Plus – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
অনেকেই আছেন যারা একটু মোটামুটি বাজেটের মধ্যে একটি ভালো ব্রান্ডের হেডফোন কিনতে চান তাদের জন্য এটি ভালো হতে পারে। হেডফোনটির ডিজাইন পাবেন প্রিমিয়াম কোয়ালিটি। ম্যাগনেটিক এলইডি লাইট ও ম্যাগনেটিক চার্জিং সিস্টেম তো আছেই।
একবার চার্জ দিলে ২ দিন এর মত চলতে সক্ষম। সম্পুর্ন চার্জ হতে ২ ঘন্টা সময়ের মত প্রয়োজন হবে। টাইপ সি চার্জিং পোর্ট, ৮০০ এম এইচ এর ব্যাটারি। ব্লুটুথ ভার্সন দেয়া হয়েছে ৫। বর্তমান বাজারে এই ব্লুটুথ হেডফোনটির দাম হলো ২৫০০ টাকার মত।
Aspor A602 – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
জনপ্রিয় ব্লুটুথ হেডফোন গুলোর মধ্যে অন্যতম হেডফোন এটি। যারা কানের সাথে হেডফোন লাগায় রাখতে পছন্দ করেন তাদের কাছে বেশি ভালো লাগবে। হেডফোনের সাথে মাইক্রোফোন আছে তবে সেটা নয়েজ দূর করতে পারে না।
একবার ফুল চার্জ করে নিলে ১৫ ঘন্টার মত ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। ওয়ারলেস রেঞ্জ ও ব্যাটারি পাওয়ার দেখার জন্য ডিসপ্লে রয়েছে। এটাতে ব্লুটুথ ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে ৪। বর্তমান বাজারে এই হেডফোন টির দাম হলো – ১২০০ টাকা।
আরো পড়ুনঃ ওয়ালটন সিলিং ফ্যানের দাম 2023
Baseus Bowie P1 – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
ব্লুটুথ হেডফোন গুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যাস ভিত্তিক জনপ্রিয় একটি হেডফোন এটি। হালকা তার থাকে সহজেই আপনি গলার সাথে ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন। ১০ মিটার পর্যন্ত ব্লুটুথ সিস্টেম কাজ করে। ১৭০ এম এইচ এর ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে একটানা দেড় ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন।
যদি ভলিউম কম রাখেন তবে অনেক বেশি পাবেন। মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে চার্জ করতে হবে। মাইক্রোফোন পাবেন সাথে যা নয়েজ দূর করতে সক্ষম। ABS, সিলিকন ও মেটার ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান বাজারে এই হেডফোনটির দাম ১৬০০ টাকা।
JBL Tune 510BT – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
যাদের বাজেট অনেক বেশি ও গেম খেলার জন্য ভালো মানের একটি হেডফোন কিনতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি হেডফোন এটি। হেডফোনটিতে পাবেন মাল্টি কানেকসন সিস্টেম ব্লুটুথ ও ক্যাবলের মাধ্যমে। রিমোট কন্ট্রোল এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যাবে ও ভয়েস এসিস্ট্যান্ট এর মাধ্যমেও কাজ করে।
এটাতে পাবেন ব্লুটুথ ভার্সন ৫। একবার ফুল চার্জ করলে একটানা ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়। ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ২ ঘন্টা। বর্তমান বাজারে এই হেডফোনটির দাম হলো – ৪ হাজার ৭০০ টাকা।
Lenovo XT90 – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
মোটামুটি বাজেটের মধ্যে সেরা একটি ব্লুটুথ হেডফোন। এই হেডফোনে পাবেন ব্লুটুথ ভার্সন ৫। একবার ফুল চার্জ করলে একটানা ২০ ঘন্টার মত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন ব্যাটারি চার্জ হতে সময় নিবে দুই ঘন্টা।
চার্জিং ক্যাবল হিসেবে টাইপ সি ব্যবহার করা হয়েছে। হেডফোনে থাকা বাটন গুলোর মাধ্যমে মিউজিক এর ভলিউম পরিবর্তন করতে পারবেন। ওয়াটারপ্রুফ সিস্টেম ও আছে। বর্তমান বাজারে এই হেডফোন টির দাম হলো – ২ হাজার টাকা।
M10 Digital – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
ডিজিটাল এলএইডি লাইট সহ কম দামের মধ্যে সেরা একটি ব্লুটুথ হেডফোন এটি। এই হেডফোনে ব্লুটুথ ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে ৫.১। ১০ মিটার পর্যন্ত ব্লুটুথ সিস্টেম কাজ করতে সক্ষম। এলএইডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। হেডফোনের সাথে পাবেন ২ হাজার এম এইচ এর পাওয়ার ব্যাংক বক্স।
একবার ফুল চার্জ করলে একটানা ৮ ঘন্টার মতো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। ৯ ডি আকারে পরিস্কার ভাবে মিউজিক শুনতে পারবেন। ওয়াটার প্রুফ সিস্টেম যুক্ত করা আছে। বর্তমান বাজারে এই ব্লুটুথ হেডফোনটির দাম হলো - ৯০০ টাকা।
শেষ কথা – ব্লুটুথ হেডফোন বাংলাদেশ প্রাইস
আর্টিকেলে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হেডফোন গুলোর দাম উল্লেখ্য করেছি। তবে পণ্যের দাম কখনো একরকম থাকে না। এখানে দেয়া দাম যে সবসময় থাকবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে দেয়া দাম ও বাজারের দামের সাথে সামান্য কম বা বেশি হতে পারে।
ব্লুটুথ হেডফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই দেখে নিবেন আপনার চাহিদা পূরন করতে সক্ষম কি না। অনেক সময় কিছু কিছু হেডফোনের ফিচার লেখা থাকলেও সঠিক ভাবে কাজ করে না। আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।