ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

হাসিবুর
লিখেছেন -

ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় - ক্যান্সার খুবই পরিচিত একটি রোগ। যেটাকে আমরা বেশিরভাগ মানুষ মরণব্যাধি হিসেবে সম্বোধন করে থাকি। আর এই ক্যান্সারের প্রাথমিক স্তর হচ্ছে "ব্রেস্ট টিউমার" অর্থাৎ স্তনে যে টিউমার হয়ে থাকে।

ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

আর তাইতো সেই প্রাথমিক অবস্থাতেই একজন মানুষের সতর্ক হওয়াটা অধিক বেশি জরুরী। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা, ব্রেস্ট টিউমার হলে আমাদের শরীরে কি কি পরিবর্তন দেখা দেয় বা কোন কোন কারনে ব্রেস্ট টিউমার হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ গুলো কি কি?

একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আমাদের বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ও মৃ- ত্যু বরণকারী ব্যক্তির সংখ্যা অধিক বেশি হওয়ার কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়া। আর এপর্যায়ে পদক্ষেপ নেবেই বা কি করে যদি না সে জানতে পারে, যে তার ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে!

তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা মূলত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় ও কার্যকরী কিছু টিপস শেয়ার করব। তাহলে আসুন আমাদের মূল আলোচনা পর্ব শুরু করি।

আজকের এই লেখায় আমরা যেসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হলোঃ ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়, ব্রেস্ট টিউমার এর লক্ষণ, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্রেস্ট ব্যাথার ঔষধ, ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি, ব্রেস্ট টিউমারের ঘরোয়া চিকিৎসা, ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ, ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়, ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ, ব্রেস্ট টিউমার টিপস, ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ ও চিকিৎসা ইত্যাদি।

(toc) #title=(সুচিপত্র)

ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

ব্রেস্ট টিউমার চেনার জন্য প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর সম্পর্কে অবগত হওয়া অধিক বেশি জরুরী। কেননা লক্ষণগুলো চিহ্নিত করার পরবর্তীতে আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারবেন এবং তারপর ব্রেস্ট স্ক্যান অথবা মোমোগ্রাম দ্বারা নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার ব্রেস্ট টিউমার বা স্তনে টিউমার হয়েছে কিনা।

তবে হ্যাঁ একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনি যদি আপনার প্রথম অবস্থায় জানতে পারেন টিউমার স্বাভাবিক স্তনের চাইতে অধিক বেশি বড় হয়ে গিয়েছে তাহলে সেটি সম্ভবত একটি ক্যান্সার হতে পারে। 

তাই এ বিষয়টিকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণ্যাপন্ন হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনি মূলত ব্রেস্ট টিউমার বা স্তন টিউমার চেনার জন্য অনেকগুলো পরীক্ষা করতে পারেন। যেমন:

  • শরীরের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা
  • স্তনের ব্যাপারে জানতে স্তনের স্ক্রিনিং টেস্ট
  • স্তনের আকার পরিবর্তন সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থায় রিপোর্ট করে সেখান থেকে চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি এ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

এবার আসুন জেনে নেই, একজন মানুষের যদি ব্রেস্ট টিউমার হয়ে থাকে তাহলে লক্ষণ হিসেবে কি কি দেখা দেয়।

প্রথমত: বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে ব্রেস্ট টিউমারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে শক্ত পিণ্ড অনুভব হওয়া। সুতরাং আপনি যদি নিজেই স্তনে এক ধরনের অস্বাভাবিক শক্ত পিণ্ড অনুভব করেন তাহলে এটা ব্রেস্ট টিউমার হতে পারে।

দ্বিতীয়ত: স্তনের বোটায় অস্বাভাবিকতা প্রকাশ। যেমন ধরুন অধিক বেশি কালো হয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা স্তনের বোটা ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।

তৃতীয়ত: স্তনের নির্দিষ্ট একটা স্থানে বারবার দীর্ঘদিন যাবত চুলকানো অথবা নির্দিষ্ট একটি জায়গার চামড়ার রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।

চতুর্থত: স্তনে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব, স্তনের বোটাতে ঘা দেখা দেওয়া অথবা অত্যাধিক চুলকানো।

অতএব আপনার মাঝে যদি এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে এই প্রাথমিক অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। কেননা এই টিউমার একটা সময় ক্যান্সারের আকার ধারণ করে যা মৃ- ত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণামতে জানা গিয়েছে, দেশের নারীরা অধিক বেশি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার সর্বশেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। যে সময়ে চিকিৎসকদের হাতে কিছুই করার মত থাকে না বরং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলুন এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করুন। এবার আসুন ধারাবাহিক ভাবে ব্রেস্ট টিউমারের ঘরোয়া চিকিৎসা, ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ, রেস্ট টিউমার হলে করনীয় এবং কার্যকরী কিছু টিপস ও ট্রিক্স সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ টিউমার চেনার উপায়

ব্রেস্ট টিউমারের ঘরোয়া চিকিৎসা

ব্রেস্ট টিউমার হলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে এ বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে এটা এতটাই জটিল একটা রোগ যেটা ঘরে বসে আপনি কোন চিকিৎসা করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এমনকি হস্পিটালাইজও করতে হতে পারে।

তবে শুরুতে লক্ষণগুলো প্রকাশের সাথে সাথে আপনাকে জানতে হবে অর্থাৎ সুনিশ্চিত হতে হবে যে, আপনার সত্যি সত্যিই ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে কিনা। এর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি বিশেষায়িত ক্যান্সার হসপিটাল এর স্তন ক্যান্সার বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন।

অথবা বাংলাদেশ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে কথা বলতে পারেন। তাছাড়াও বাংলাদেশে এমন কিছু সরকারি হাসপাতাল রয়েছে যেখানে খুব অল্প খরচে আপনি ব্রেস্ট টিউমারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

মূলত স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো হচ্ছেঃ

  • সার্জারি বা অপারেশন
  • রেডিওথেরাপি
  • কেমোথেরাপি এবং হরমোন থেরাপি

তাই যদি আপনার মধ্যেই স্তন ক্যান্সারের একটি মাত্র লক্ষণ আপনি বুঝে উঠতে পারেন তাহলে দেরি না করে প্রাথমিক অবস্থাতেই অভিজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন। 

তবে হ্যাঁ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের যদি স্তন ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং তাদের রেডিওথেরাপি দেওয়া হয় তাহলে গর্ভে থাকা মানব ভ্রুণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এজন্য স্তন কেটে ফেলার অপারেশন অধিক বেশি নিরাপদ ও কার্যকরী। যেটাকে বলা হয়ে থাকে ম্যাসটেকটমি।

ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ

ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ কি? মহিলাদের কেন এই সমস্যাটি অধিকারে দেখা দিচ্ছে এ সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জাগে! মূলত এ বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য আমাদের এই পয়েন্টটি আলোচনা করা। এ পর্যায়ে ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি কারনে ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে আপনার শরীরে।

১। ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তনকে। তাই অস্বাস্থ্যকর লাইফ স্টাইল মূলত ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন আজকাল আমরা প্রচুর পরিমাণে ফার্স্ট ফুড খাই অথচ সবুজ শাকসবজি খুবই কম পরিমাণে খেয়ে থাকি।

শুধু এটুকুই নয়, আমরা মেধা শ্রম দিয়ে থাকলেও শারীরিক পরিশ্রমটা খুব অল্পই দিয়ে থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত স্থূলতায় ভুগি। আর অতিরিক্ত স্থূলতা ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন।

২। ব্রেস্ট টিউমার হবার অন্যতম আরেকটি কারণ হচ্ছে বংশ পরম্পরা। অর্থাৎ আপনার বংশ যদি কারো এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারও যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে ব্রেস্ট টিউমার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার হবার। বিশেষ করে মা, খালা, ফুফুদের মধ্যে যদি কারো থেকে থাকে।

৩। ব্রেস্ট ক্যান্সার বা ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন। কেননা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা মেয়েদের অধিক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং অতিরিক্ত ওজনের কারণেও আপনার এই ব্রেস্ট ক্যান্সার অথবা ব্রেস্ট টিউমার হতে পারে।

৪। ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার আরেকটি কারণ হলো ধূমপান বা মদ্যপান। যে সকল মহিলারা নিয়মিত ধূমপান অথবা মাদক গ্রহণ করে থাকেন তাদের অন্যান্য নারীর তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি সম্ভাবনা রয়েছে ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার। তাছাড়াও ঔষধের অপপ্রয়োগের কারণেও স্তন টিউমার ব্রেস্ট টিউমার হতে পারে।

৫। কখনো কখনো হরমোনাল পরিবর্তন ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ হিসেবে দায়ী। বয়স বৃদ্ধির কারণেও এই টিউমার হয়ে থাকে বলে জানা যায়। বিশেষ করে যারা দেরিতে সন্তান জন্ম দেন এবং শিশুকে বুকের দুধ দিতে অনিহা বা অপারগতা প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে টিউমার ভালো হয়

ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ সমূহ

ব্রেস্ট টিউমার হলে প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো: 

১। স্তনে অতিরিক্ত শক্ত চাকা দেখা দেওয়া বা স্তনের রং পরিবর্তন হওয়া 

২। স্তনের বোটার অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তন 

৩। স্তনের চামড়ার রং বা বর্ণের পরিবর্তন 

৪। ব্যথা অনুভব হওয়া এবং স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস নির্গত হওয়া

৫। পাশাপাশি বাহুমূলে পিণ্ড বা চাকা দেখা গেলেও তা ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। 

অতএব আপনার মধ্যে যদি উপরে উল্লেখিত এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে আপনি ব্রেস্ট টিউমারে আক্রান্ত। সুতরাং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী। এবার আসুন বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিয়েই ব্রেস্ট টিউমার হলে একজন মানুষের করনীয় কাজগুলো কি কি হয়ে থাকে সে সম্পর্কে।

ব্রেস্ট টিউমার হলে করনীয়

এদের মধ্যে আমরা ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ ব্রেস্ট টিউমার হলে কি কি লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার সর্বপ্রথম করণীয় কি হবে?

এক্ষেত্রে আমরা সাজেস্ট করব খুব দ্রুত একটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় যদি আপনি সঠিক চিকিৎসায় গ্রহণ করেন তাহলে ব্রেস্ট টিউমার থেকে মুক্তি পাবেন এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না। তাই সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করাটাই আপনার অন্যতম সঠিক কাজ হবে।

ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ

ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ হলেন তারা, যারা স্তন সংক্রমণ, ব্রেস্ট ফিডিং সমস্যা, ব্রেস্ট টিউমার এবং ক্যান্সার এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আপনার মাঝে যদি ব্রেস্ট টিউমার এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্রেসট টিউমার বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে হবে।

বাংলাদেশে এমন অনেক বিশেষজ্ঞ রয়েছে যারা এ নিয়ে ইতোমধ্যে পড়াশোনা করেছেন এবং অত্যন্ত ভালোভাবে চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাই আপনার মাঝে ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হোন।

ব্রেস্ট টিউমার টিপস

ব্রেস্ট সমস্যা অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা। আর তাই আপনাকে এ বিষয়ে অধিক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ব্রেস্ট টিউমার থেকে আপনি যদি মুক্তি পেতে চান এবং পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হতে চান তাহলে আমরা আপনাদেরকে যে টিপস গুলো দিব সেগুলো হলো-

১। ০১ থেকে ০২ লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

২। নিয়মিত ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করা

৩। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন মেইনটেইন করে চলা

৪। খাদ্য তালিকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখা এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন ধরনের খাবার পরিত্যাগ করা

৫। ব্রেস্ট টিউমারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং

৬। নিয়মিত শরীর চর্চা করা ও ওজনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আশা করা যায় আপনি যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করেন তাহলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার মতো সম্ভাবনা আপনার কেটে যাবে।

আরো পড়ুনঃ গেজ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার

আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা ব্রেস্ট টিউমার মানে কি ক্যান্সার এই প্রশ্নের উত্তর দেব। কেননা 99 পারসেন্ট মানুষের ধারণা যে ব্রেস্ট টিউমার মানেই হচ্ছে ক্যান্সার। তবে আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে ইতিমধ্যে আমরা বলেছি ব্রেস্ট টিউমার যদি দীর্ঘদিন যাবত থেকে থাকে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা না হয় তাহলে সেটা থেকে বেস্ট ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়।

সুতরাং ব্রেস্ট টিউমার মানেই ক্যান্সার নয়। তবে ব্রেস্ট টিউমার মূলত ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থা। তবে আপনি যদি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

শেষ কথাঃ ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায়

তো ফ্রেন্ডস আজকের এই ব্রেস্ট টিউমার চেনার উপায় লেখা এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল সবার আগে পেতে নোটিফিকেশন অন করে রাখবেন ধন্যবাদ এবং সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. explore more
Ok, Go it!