১০ টি সফটওয়্যার এর নাম - স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক সফটওয়্যার ব্যবহার করা লাগে। তবে, আমরা আমাদের মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারে যে সমস্ত সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করি, এগুলোর বাহিরে ও আরো অনেক সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলোর ব্যবহার আমরা এখনো পর্যন্ত জানিনা অথবা সেগুলো ব্যবহার করার কথা আমাদের খেয়াল হয়নি।
আপনি কিন্তু চাইলে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারে এ ধরনের সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টিভিটি এবং মোবাইল ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি ইমপ্রুভ করতে পারেন।
তাই, আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি এরকম ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম বলবো, যেগুলো আপনার মোবাইলে ব্যবহার করতে পারেন। এমনও হতে পারে যে, আপনি এসব সফটওয়্যার গুলো আপনার স্মার্ট ফোনে ব্যবহার করছেন অথবা পূর্বে ব্যবহার করে থাকতে পারেন। যাইহোক, চলুন তবে এরকম ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম দেখে নেওয়া যাক, যেগুলো আপনার প্রতিদিনকার কাজে ব্যবহার করা লাগতে পারে।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
1. AirDroid
আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের একই সঙ্গে মোবাইল এবং পিসি উভয় ধরনের ডিভাইস রয়েছে। অনেক সময় আপনার মনে এরকম ইচ্ছা আসতে পারে যে, যদি পিসি থেকে মোবাইলের ডাটা গুলো অ্যাক্সেস করা যেত এবং কম্পিউটারে বসে মোবাইল থেকে সমস্ত ধরনের কাজ করা যেত। আপনি যদি পূর্বে এরকমটি চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে AirDroid সফটওয়্যার।
আপনি আপনার মোবাইলে এবং কম্পিউটারে এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার মাধ্যমে মোবাইলের সমস্ত ডাটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ওয়্যারলেস ভাবে আপনার কম্পিউটার এবং ফোনের ডাটা ট্রান্সফার, ওয়েব ব্রাউজিং এবং ফোনে এসএমএস পাঠানো থেকে শুরু করে সকল ধরনের কার্যক্রম করা যায়।
মূল কথা হলো যে, আপনি যদি এই সফটওয়্যারটি উভয় ডিভাইসের সেটআপ করেন, তাহলে কম্পিউটারে বসে থেকেই আপনার মোবাইলের এক্সেস নিয়ে মোবাইলের মত করে সমস্ত কাজ করতে পারবেন।
তাহলে আজ থেকেই আপনি আপনার প্রতিদিনকার কাছে আরো সহজ করার জন্য AirDroid সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে AirDroid একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
2. Lynket Browser
আমরা তো ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য অনেক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার গুলোই ব্যবহার করে থাকি। তবে, এ ধরনের জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার গুলোতে অনেক ফিচার মিসিং থাকতে পারে, যেগুলো সম্পর্কে আপনি জানেন না। সচরাচর আমাদের দেখা সাধারণ ব্রাউজারগুলোর বাহিরে আরো অনেক ইন্টারনেট ব্রাউজিং সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলোতে আপনি দারুণ সব ফিচার দেখতে পাবেন।
এরকমই একটি চমৎকার ইন্টারনেট ব্রাউজার গুলোর মধ্যে Lynket Browser অন্যতম। অন্যান্য ইন্টারনেট ব্রাউজিং সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে থেকে এই সফটওয়্যারটির একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল, এটিতে থাকা Chat Head ফিচার, যা আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সহজে ভিজিট করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
এই ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনি যখন কোন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, তখন আপনি চাইলে মেসেঞ্জার এর মত সেই ওয়েবসাইটকে Chat Head আকারে মোবাইলের স্ক্রিনের এক পাশে রাখতে পারবেন। আর এই পদ্ধতিতে আপনি সেই ব্রাউজারে থাকা অবস্থায় অন্য যে কোন অ্যাপ ব্রাউজ করতে পারবেন এবং একই সাথে অন্যান্য ওয়েবসাইটে ও থাকতে পারবেন।
এছাড়াও এই ব্রাউজারটি কোন লিংক ওপেন করার ক্ষেত্রে AMP সিস্টেম ব্যবহার করে। যার ফলে অন্যান্য ব্রাউজারে তুলনায় আপনি এই ব্রাউজার দিয়ে অনেক দ্রুত লিঙ্ক ওপেন করতে পারবেন যা আপনাকে একটি দারুণ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করতে পারে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Lynket Browser একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব
3. Google Keep
যদিও বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং সমস্ত ডিভাইসে ডিফল্ট ভাবে নোটপ্যাড এর মত এপ্লিকেশন গুলো থাকে। কিন্তু, আমাদের ডিভাইসে ডিফল্টভাবে থাকা এ ধরনের নোটপ্যাড গুলো সবসময় ভালো হয়না এবং এগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তেমন সুবিধা ও পাওয়া যায় না।
আপনাকে যদি প্রতিদিন অনেক বেশি নোট করে রাখতে হয় এবং সেগুলো বিভিন্ন ডিভাইস থেকে এক্সেস করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে Google Keep সফটওয়্যারটি আপনার জন্য একটি সেরা পছন্দ হতে পারে।
কেননা, আপনি যদি আপনার মোবাইলে এই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করেন এবং সেখানে কোন নোট লেখেন, তাহলে সেটি অটোমেটিক ভাবে সিঙ্কোনাইজ হবে। অর্থাৎ, এটি সরাসরি আপনার Google একাউন্টে সেভ হয়ে থাকবে, যা অন্য ডিভাইসে লগইন করার মাধ্যমে ও দেখা সম্ভব।
বিশেষ করে, আপনি যখন একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করেন এবং একেক সময় একেক ডিভাইস থেকে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে, তখন Google Keep সফটওয়্যার টির সাহায্য নিতে পারেন।
কেননা, এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি মোবাইল থেকে কোন একটি ছবি কিংবা টেক্সট লিখে রাখলে, পরবর্তীতে অন্য ডিভাইসের ব্রাউজারে থেকে লগইন করার মাধ্যমে ও সেটি দেখতে পারবেন, যা আপনার দৈনন্দিন কাজকে সহজ করে দিতে পারে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Google Keep একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
4. Universal Copy
আপনি এরকম অনেক ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখবেন যে, সে সমস্ত ওয়েবসাইট থেকে লেখা কপি করা যায় না। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে এ ধরনের সিস্টেম ব্যবহার করার অর্থ হচ্ছে, যাতে করে সেখান থেকে কোন লেখা চুরি করা না যায়। আর তাই, বিশেষ জাভাস্ক্রিপ্ট কোডের মাধ্যমে ভিজিটর দের লেখা কপি করার সিস্টেম ব্লক করে দেওয়া হয়।
তবে, ওয়েবসাইট বাদে ও মোবাইলের আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে কোন লেখা কপি করা যায় না। বিশেষ করে, আপনি যখন মোবাইলে ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করে কোন ভিডিওর ডেসক্রিপশন এর লেখা কপি করতে চাইবেন, তখন স্বাভাবিকভাবে সেটি করা সম্ভব নয়।
যদিও, আপনি যদি পিসি থেকে এটি করতে চাইতেন, তাহলে এটি খুব সহজেই করা সম্ভব হতো। তাহলে, মোবাইলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অ্যাপ এর ভেতরের লেখা কপি করার উপায় কি?
মোবাইলে ব্যবহার করা বিভিন্ন অ্যাপ থেকে লেখা কপি করার জন্য আপনি Universal Copy সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি এখন থেকে আপনার মোবাইলের সমস্ত অ্যাপ থেকে লেখা কপি করতে পারবেন, যেসব জায়গা থেকে আপনি পূর্বে লেখা কপি করতে পারতেন না। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য এটিও আপনার জন্য একটি সেরা সফটওয়্যার হতে পারে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Universal Copy একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
5. Eveynote
যখন কথা কোন একটি ডকুমেন্টস কিংবা বিশেষ কিছু লিখে সংরক্ষণ করা, তখন Eveynote সফটওয়্যারটি ও আপনার জন্য একটি দারুণ উপকারী এপ্লিকেশন হতে পারে। আপনি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার আপনার ফোন থেকে ছবি, ভিডিও/অডিও ক্লিপ সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
মজার ব্যাপার হলো, এটি আপনার ডিভাইসে থাকা অন্যান্য Note এপ্লিকেশনের মত সেই ডিভাইসেই ডেটা সংরক্ষণ করে রাখে না। বরং, এটিও Google Keep এর ক্লাউডে আপনার ডেটা সিঙ্ক্রোনাইজ করে রাখে, যা আপনি যেকোনো ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
আপনাকে যদি প্রতিদিন অনেক নোট লিখে রাখতে হয়, তাহলে সেগুলো স্মার্ট ভাবে ম্যানেজ করার জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যা আপনার জন্য খুবই দরকারী এবং প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার হতে পারে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Eveynote একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
6. Notepin
আপনার যদি প্রতিনিয়ত কাজের কথা ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে Notepin সফটওয়্যারটি আপনার জন্যই। আমাদের মধ্যে এমন অনেকের রয়েছেন, যারা দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল ব্যবহার করেন, অথচ মোবাইল ব্যবহার করার সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভুলে যান। আপনি কিন্তু সেসব গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের কথা নোট করে রাখতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হল, সেটি মনে করার জন্য আর নোটপ্যাড ওপেন করা হয় না এবং সেই কাজটিও আর করা সম্ভব হয় না।
তাই, আপনার মত মন-ভোলা মানুষের জন্য রয়েছে Notepin সফটওয়্যার, যা আপনাকে মোবাইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কাজের কথা গুলো মনে করিয়ে দিতে পারে।
এটি মূলত এমন একটি সফটওয়্যার, যেটিতে কোন একটি নোট লিখে নোটিফিকেশন বারে Pin করে রাখা যায়। এক্ষেত্রে আপনি যখনই মোবাইলের নোটিফিকেশন বারে কোন নোটিফিকেশন চেক করতে যাবেন, তখনই সেসব কাজগুলোর কথা হাইলাইট হবে এবং আপনি সেই কাজটি সঠিক সময়ে করতে পারবেন।
যাইহোক, আপনারা যদি মোবাইল ব্যবহার করার সময় প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে শুরুতে সে সমস্ত কাজের কথাগুলো লিখে Notification Bar-এ এরকম Pin করে রাখতে পারেন। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Notepin একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
7. To do List & Planner
আপনি যদি প্রতিদিনকার কাজের ক্ষেত্রে প্রোডাক্টটি বানাতে চান এবং সময় মতো কাজ করতে চান, তাহলে To do List & Planner সফটওয়্যারটি আপনার জন্য। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যতের কাজগুলোকে লিস্ট করে রাখতে পারবেন।
আপনি যখন এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে কোন একটি কাজ সেট করবেন, তখন সেটির সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে, সময় মত আপনি এই সফটওয়্যারটি থেকে নোটিফিকেশন পাবেন।
সময় মত কোন একটি কাজের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর মধ্য থেকে এটিও একটি সেরা পছন্দ হতে পারে। আপনি এই টাস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনার নির্দিষ্ট কোন বন্ধুর জন্মদিন অথবা বিশেষ কোন ইভেন্ট উপলক্ষ করে টাইমিং সেট করে রাখতে পারেন।
এতে করে, সেই সময়ের কিছুদিন আগে আপনি পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। তাই, আপনার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করা লাগবে, এরকম অ্যাপস গুলোর মধ্যে থেকে এটিও একটি সেরা অ্যাপ হতে পারে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে To do List & Planner একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
8. Authy
আপনি যদি আপনার অনলাইন একাউন্টের নিরাপত্তা জনিত কারণে গুগল অথেন্টিকেটর এর মত অ্যাপ্লিকেশন গুলো ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।
বিশেষ করে, গুগলের Google authenticator অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনি তখন বেশ সমস্যায় পড়তে পারেন, যদি আপনি এই অ্যাপ্লিকেশন থেকে আনইন্সটল করেন এবং সিকিউরিটি কোড গুলো ব্যাকআপ না করে রাখেন।
যাইহোক, বেশ কিছু কারণে গুগল অথেন্টিকেটর আপনার জন্য সেরা পছন্দ নয়। কিন্তু অন্যদিকে, আপনি এই সমস্যার সমাধানের জন্য Authy সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনার অথেনটিকেশন কোড গুলো ব্যাকআপ করে রাখার সুবিধা দিয়ে থাকে।
অর্থাৎ, আপনি এই এপ্লিকেশনটিতে একাউন্ট করার মাধ্যমে আপনার অথেন্টিফিকেশন কোড গুলোকে ব্যাকআপ করে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তীতে আবার অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে লগইন করার মাধ্যমে সে সমস্ত কোডগুলোর পাবেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে, এটি আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের অথেন্টিকেশন কোড গুলো হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Authy একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
9. Glympse
আপনি কি কখনো কোথাও ঘুরতে গিয়ে কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে আপনার বন্ধু বান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনের কাছে আপনার লাইভ লোকেশন শেয়ার করেছেন? এমন অনেকে রয়েছেন, যারা ইতিমধ্যেই Google Maps, Whatsapp কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে লাইভ লোকেশন শেয়ার করে থাকেন।
তবে, আপনি যদি গুগল ম্যাপস কিংবা অন্য কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বন্ধুদের কাছে আপনার লাইভ লোকেশন শেয়ার করেন, তাহলে অনেক ফিচারের ঘাটতি লক্ষ্য করতে পারেন।
অন্যদিকে, Glympse অ্যাপসটি বর্তমানে প্লে স্টোরে থাকা লোকেশন সার্চিং অ্যাপ্লিকেশন গুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অ্যাপে পরিণত হয়েছে। আপনি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনার জিপিএস অবস্থান আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করতে পারবেন।
আপনি যদি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে কোন ব্যক্তিকে আপনার লাইভ লোকেশন লিংক শেয়ার করে, তাহলে অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে সেটি ওপেন করার জন্য গুগল ম্যাপ অথবা অন্য কোন প্লাটফর্মে লগইন করার প্রয়োজন পড়বে না। এক্ষেত্রে তিনি শুধুমাত্র সেই লিংকে ক্লিক করেই আপনার লাইভ লোকেশন দেখতে পাবে। তাই, প্রতিদিনের ব্যবহার্য সফটওয়্যার গুলোর মধ্য থেকে আপনি এটিকে ও পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে Glympse একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
10. X-plore File Manager
আপনার ডিভাইসের ফাইল ম্যানেজ করার জন্য নিশ্চয়ই একটি ফাইল ম্যানেজার অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। তবে, মোবাইলে থাকা সেই ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজার এপ্লিকেশনটি আপনার সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়।
আমাদের ফোনে থাকা ফাইল ম্যানেজারটি অনেক বেশি সিম্পল এবং সাদামাটা হয়ে থাকে। আর তাই, এটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অ্যাডভান্স থাকেনা, যা অন্যান্য ফাইল ম্যানেজার অ্যাপসগুলোতে পাওয়া সম্ভব।
X-plore File Manager হলো এমনই একটি অ্যাডভান্স ফাইল ম্যানেজার সফটওয়্যার, যা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইলের ফাইল গুলোকে আরো অনেক স্মার্ট ভাবে ম্যানেজ করতে পারেন।
এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দুইটি ডিভাইসে ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন, যেমনটি আপনি Shareit কিংবা অন্যান্য সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে করে থাকেন। সেই সাথে, এই সফটওয়্যারটি দিয়ে আপনি দুইটি ডিভাইসকে একসাথে কানেক্ট করতে পারবেন, যার ফলে দুইটি ডিভাইসের ফোল্ডার একটি ডিভাইস থেকেই ম্যানেজ করা যাবে।
আপনি যখন এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দুইটি ডিভাইস একসঙ্গে কানেক্ট করবেন, তখন নিজে থেকে বাছাই করে প্রয়োজনমতো ফাইল ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন, যা আপনাকে একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে পারে। তাই, আজ থেকে আপনি মোবাইল ব্যবহার করার সময় এই ফাইল ম্যানেজার সফটওয়্যার একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম তালিকার মধ্যে X-plore File Manager একটি অন্যতম সফটওয়্যার।
প্রতিদিনের ব্যবহার্য ১০ টি সফটওয়্যার এর নাম নিয়ে শেষ কথা
আমরা প্রতিদিন এমন সব সফটওয়্যার ই ব্যবহার করতে চাই, যেসব সফটওয়্যার গুলো আমাদেরকে কোন কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে।
তাই, আপনি প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহার করে কোন ধরনের কাজ করে থাকেন এবং আপনার কোন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রয়োজন, তা অবশ্যই জানা জরুরী। আজকের এই তালিকায় এরকম দশটি সফটওয়্যার এর নাম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো আপনার প্রতিদিনের কাজে ব্যবহার করা লাগতে পারে।
তবে, এসব সফটওয়্যারের বাহিরে ও আরো অনেক প্রোডাক্টিভিটি এবং ক্রিয়েটিভ সব সফটওয়্যার রয়েছে, যেগুলো ও আপনার প্রয়োজন হতে পারে। তাই, আমি অবশ্যই আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে সফটওয়্যার গুলো অনুসন্ধান করার পরামর্শ দিব। ধন্যবাদ
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।