কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় - উত্তর আমেরিকার একটি দেশ কানাডা। সারাবিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস এবং জনপ্রিয় এক গন্তব্যও এই দেশটি। প্রত্যেক বছর সারাবিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সুন্দর এই দেশটিতে পাড়ি জমান।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, কানাডা দেশটিতে বসবাসরত ৯৫% এর বেশি মানুষ অভিবাসী আর বাকি ৪.৯% মানুষ ফার্স্ট নেশন। আর এই কারণে কানাডাকে অভিবাসীদের দেশও বলা হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ অনেকেই আছেন তারা জানেন না কিভাবে কানাডার ভিসা পাওয়া যায় বা কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়।
আজকের এই আর্টিকেলে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় এবং কানাডার ভিসার আবেদন থেকে শুরু করে কানাডা ভিসার দাম ও কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরা হবে। তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো,
আমেরিকা, মেক্সিকো এবং অন্যান্য উচ্চ আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলির নাগরিকরা কানাডায় যাওয়ার জন্য তাদের ভিসার প্রয়োজন হয়না। এছাড়া অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কানাডায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসার প্রয়োজন হবে।
যারা পড়াশোনা করার জন্য বা কাজের সন্ধানে কানাডায় যেতে চান, তাদের স্টাডি ভিসার এবং কর্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কানাডা ভিসা আবেদনের প্রায় সকল পদ্ধতি এখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন শেষ করার পরে হাই কমিশন বা কনস্যুলেটে গিয়ে আপনাকে আপনার ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপের বায়োমেট্রিক্স দিতে হবে।
কানাডার ভিসার আবেদন করার জন্য আপনি এই লিংকে প্রবেশ করুন এবং তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। তার আগে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বিস্তারিত বিষয়টি যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
কি কি ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে কানাডা
কানাডা সরকার এর বিভিন্ন রকমের অভিবাসন কর্মসূচি আছে। এই বিভিন্ন অভিবাসন কর্মসূচির মধ্যে থেকে আপনার চাওয়ার সঙ্গে মিলে যায় এমন যেকোনো একটি ধরণ সিলেক্ট করে নিতে পারেন। তবে হ্যাঁ এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে কয়েক রকমের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে জানাবো। যাতে করে কানাডা ভিসা আবেদনের জন্য আপনি প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে পারেন।
আপনি যদি কানাডা ভিসা আবেদন ফরম এর দিকে ভালোভাবে দেখে থাকেন। তবে আপনি দেখতে পারবেন, বর্তমান সময়ে কানাডা সরকার মোট ০২ ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে। যেমনঃ ১। কানাডা স্থায়ী ভিসা ২। কানাডা অস্থায়ী ভিসা।
কানাডা যাওয়ার জন্য এই ধরনের ভিসাকে বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। কানাডা অস্থায়ী ভিসার ক্যাটাগরিঃ ভ্রমন ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা। কানাডা স্থায়ী ভিসা ক্যাটাগরিঃ স্থায়ী বসবাস করার ভিসা, এক্সপ্রেস এন্ট্রি ভিসা, ব্যবসায় অভিবাসী ভিসা।
কানাডা সরকার মূলত অল্পসংখ্যক ধরনের ভিসা দিয়ে থাকেনঃ ১। শিক্ষার্থী ভিসা ২। স্থায়ী বসবাসের ভিসা ৩। কর্ম ভিসা ৪। ভ্রমণ ভিসা। কানাডায় আপনি কি কারণে যেতে চান তার উপর নির্ভর করে ওপরের যেকোনো একটি ধরণ বেছে নিতে পারেন। তো আপনি বর্তমান সময়ে কানাডায় যেতে চাইলে কোন কোন ধরনের ভিসা করতে পারবেন এবং সেই ভিসার ক্যাটাগরি গুলো কি কি সেগুলো উপরের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কানাডার ভিসা কিভাবে পাবেন | কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত ২০২৩
কানাডা ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
যদি আপনি কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চান। তবে আবেদন করার সময়ে আপনার কাছে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হচ্ছে,
১। আপনার কাছে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে ২। বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে থাকলে, আপনার কাছে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে ৩। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রয়োজন হবে ৪। আপনার ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকার হিসেব দেখাতে হবে।
৫। আপনার কাছে অবশ্যই নিবন্ধন করা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট খাকতে হবে ৬। আপনার যদি কোনো কাজের দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা থাকে, তবে তার প্রমাণপত্র দিতে হবে ৭। যদি আপনার কানাডা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তাহলে আপনি সেখান থেকে ফিরে আসবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
৮। কানাডিয়ান কনস্যুলেট কর্তৃক ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি প্রদান করতে হবে ৯। অবশ্যই আপনাকে কানাডা ভিসা ফি প্রদান করতে হবে ১০। কানাডা ভিসা আবেদন ফরম এর কপি।
যদি আপনি কোনো চাকরি কিংবা কাজ করার জন্যে কানাডা যেতে চান। তবে আপনার কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করার সময় যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো উপরে তুলে ধরা হয়েছে। যখন আপনি কানাডা ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করবেন তখন আপনাকে উক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঙ্গে রাখতে হবে।
কানাডার ভিসার আবেদন করবেন কিভাবে?
আপনি কানাডা সরকারের অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক পোর্টালে দেশটির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে ভিসার ধরন এবং সেই অনুযায়ী পদ্ধতি অনুসরণ করে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
কানাডা ভিসা সংক্রান্ত প্রায় সকল তথ্য আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। অনলাইনে কানাডা ভিসা আবেদন সম্পন্ন করার পরে ভিসার ধরনের উপর নির্ভর করে আপনার বায়োমেট্রিক্স দেয়ার জন্যে ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনে যেতে হবে।
কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ২০২৩ - কানাডা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা কানাডা ভিসা আবেদন ফরম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পারলাম। এখন আপনি জানতে পারবেন যে, কানাডা যাওয়ার জন্য কিভাবে কানাডা ভিসার আবেদন করতে হয় এবং অনলাইনে কানাডা ভিসার আবেদন করার নিয়ম।
এই বিষয়টি আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে Step-by-Step দেখিয়ে দেব। কানাডা ভিসা আবেদন করার নিয়ম আপনি অবশ্যই ভালোভাবে অনুসরণ করুন। তো এখন আমি আপনাকে কানাডা ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সহজ আকারে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
যদি আপনি কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনাকে যে ওয়েবসাইটের মধ্যে ভিজিট করে আবেদন করতে হবে তা জেনে রাখাটা আপনার জন্য অনেক গুরুতপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনি সরকারি ভাবে কানাডা যেতে চান ও অনলাইনে আবেদন করতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক করুন। অথবা আপনি নিজে নিজেই কানাডা ভিসা আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন। আর সেজন্য আপনাকে নিচে উল্লেখ পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে।
১। সর্বপ্রথমে আপনাকে এই লিংকে ক্লিক করতে হবে।
২। উপরের লিংকে ক্লিক করার পরে আপনি তখন ২ টি অপশন দেখতে পাবেন। সেগুলো হচ্ছে An application package এবং A form or a checklist.
৩। এবার আপনি An application package লেখার অপশনটিতে ক্লিক করুন।
৪। তারপর যখন আপনি উপরের অপশনটিতে ক্লিক করবেন তখন একটু নিচের দিকে Select a category: (required) এই অপশনটি দেখতে পাবেন। এখন আপনি এখানে ক্লিক করুন।
৫। আপনি যখন Make Selection your required এই অপশনে ক্লিক করবেন। সে সময় আপনি মুলত কি জন্য কানাডার ভিসা করতে চান, উক্ত তালিকাটি দেখতে পারবেন। এখন আপনি যে কাজের উদ্দেশ্য কানাডা ভিসা আবেদন করতে চান, সেই অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে যেসকল তথ্য ইনফরমেশন গুলো দিতে হবে। আপনি সেগুলো সঠিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
কিভাবে অনলাইনে কানাডা ভিসা ফরম পূরণ করবেন ভিডিওতে দেখুন
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
কানাডা যেতে কত টাকা লাগে
আপনারা অনেকেই জানতে চান canada যেতে কত টাকা লাগে বা কানাডা যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। তাহলে জেনে নিন কানাডা যেতে কত টাকা লাগে - ১। কৃষি ভিসায় কানাডা যেতে ০৫ লাখ টাকা লাগে ২। কাজের ভিসায় কানাডা যেতে ০৭ লাখ টাকা লাগে ৩। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে ০৫ টাকা লাগে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা কিভাবে পাবেন - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম কানাডার যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বাহির করতে হবে। আপনাকে সেসকল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিতে হবে যেগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ সুবিধে আছে।
তারপরে আপনার জন্যে কানাডা সরকারের স্টাডি পারমিটের প্রয়োজন হবে। এই স্টাডি পারমিট কানাডাতে অবস্থান করার জন্য আপনার শিক্ষার্থী ভিসা হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়াও যদি আপনার কানাডিও গবেষণার লাইসেন্স থেকে থাকে কিংবা পুনরায় আপনি পড়াশোনা শুরু করতে চান, তবে গবেষণার লাইসেন্স পুনঃনবায়ন বা পুনরায় পড়াশোনা শুরু করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসার খরচ কত হতে পারে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ অবশ্যই রাখেন। আপনি যদি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ০৫ লাখ টাকা খরচ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি - বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি ২০২৩
কানাডা ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার উপায়
আমেরিকা, মেক্সিকো সহ উচ্চ আয়ের দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য কানাডায় যাওয়ার জন্যে কোন প্রকার ভিসার দরকার হয়না। তবে হ্যাঁ অন্যান্য দেশের বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিককে কানাডার সরকারের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্যই একটি ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে। যা আপনি অনলাইনে আবেদন সম্পূর্ণ করার পরে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে পেতে পারেন।
জনপ্রিয় এক গন্তব্যও এই কানাডা দেশটি ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আপনার ভিসার প্রয়োজন রয়েছে কি-না তা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যম থেকে জেনে নিতে পারেন। কানাডা ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার জন্যে আপনাকে যে বিষয় গুলো দেখাতে হবে। নিম্নে উক্ত বিষয় গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
১। কানাডা ভ্রমণ করার পুরো সময়জুড়ে আপনার পক্ষে ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা আছে কি-না ২। কানাডা ভ্রমণ শেষ করে কানাডা ত্যাগ করার ১০০% নিশ্চয়তা
তবে হ্যাঁ যদি আপনি ফার্স্ট টাইম কানাডা ভিসার জন্যে আবেদন করেন তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার বায়োমেট্রিক্স জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে। যা কানাডিয়ান কনস্যুলেট কিংবা হাইকমিশনে গিয়ে দেয়া যাবে। কানাডা ভ্রমণ ভিসার বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।
কানাডা কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন?
কানাডা সরকার প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ বিদেশি নাগরিককে তাদের দেশটিতে কাজের সুযোগ দিয়ে থাকেন। ২০২১ সালে কানাডা সরকারের একটি ঘোষণায় বলেন, আগামী ০৩ বছরে কানাডায় অন্তত ১২ লক্ষ বিদেশি কর্মীকে কাজের সুযোগ দিবেন। বাংলাদেশ থেকে আপনি কানাডা কাজের ভিসায় যেতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কেঃ
১। কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় হিসেবে প্রথমে আপনি কানাডাতে কাজের সন্ধান করুন। যদি আপনার ভাগ্য ভালো হয়ে থাকে তাহলে ভালো কোনো নিয়োগকর্তার সন্ধান আপনি পেতে পারেন। আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে যায় এমন কোনাে কাজ পেলে কানাডার নিয়োগ কর্তাই আপনার জন্যে কানাডা কাজের ভিসা বা কানাডা ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থা করে দিবেন।
২। কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কাছাকাছি এলাকায় কোনা নিয়োগকারী সংস্থাকে খুঁজে বের করুন। যারা আপনাকে কানাডাতে কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। নিয়োগকারী সংস্থাকে খুঁজে বের করার পূর্বে আপনাকে তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
অর্থাৎ অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে আপনাকে নিয়োগকারী সংস্থার দ্বারস্থ হতে হবে। কেননা এই কাজের জন্য অনেকেই বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে।
৩। কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি কানাডার সরকারের কর্মসংস্থান প্রকল্পে এপ্লাই করুন। এই প্রকল্পের আওতায় অনেক সময় দেখা যায় চাকরি ছাড়াই কানাডাতে ভিসা পাওয়া যায়।কানাডা কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য বিস্তারিত জানতে কানাডা সরকারের এই লিংকটিতে ভিজিট করুন।
LMIA এর মাধ্যমে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে (LMIA) এলএমআইএ হচ্ছে বিশেষ এক ধরনের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন ধরনের চাকরির অফার দেয়া হয়ে থাকে এবং এই চাকরিতে আবেদনকৃত ব্যক্তিদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। যদি আপনার মধ্যে কোনো কাজের প্রতি দক্ষতা থাকে তবে আপনি উক্ত দক্ষতার বিনিময়ে LMIA প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কানাডায় যেতে পারবেন।
এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যক্তি এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামের মাধ্যমে কানাডায় যায়। কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কানাডাতে সরাসরি দক্ষ জনবলদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। যখন আপনি এই নিয়োগ গুলোতে আবেদন করবেন তখন আপনাকে যথেষ্ট ভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই বা বিচার বিশ্লেষণ করার পরে যদি তাদের নিকট আপনি দক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। তবে আপনি তাদের মাধ্যমে কানাডায় যেতে পারবেন।
কানাডায় স্থায়ী বসবাস - কানাডায় স্থায়ী হওয়ার উপায় কি?
যদি আপনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান তবে আপনাকে কানাডা সরকারকে একটি জিনিস দেখানোর প্রয়োজন হবে। আপনি কানাডায় যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, সেখানকার কর্তৃপক্ষ আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে কিভাবে উপকৃত হবে, তা আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।
আর হ্যাঁ আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি পূর্বে থেকে কানাডাতে বসবাস করেন, তবে তার সঙ্গে মিলিত হবার জন্য স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের অনুমতির আবেদন করতে পারবেন।
কানাডাতে গিয়ে আপনি নতুন করে বিজনেস শুরু কিংবা সফল বিজনেস চালিয়ে যেতে চান বলেও উল্লেখিত করতে পারেন। স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের আবেদন করার জন্যে আপনাকে কানাডায় কোনো চাকরি খোজার দরকার হবেনা।
বিদেশিরা কানাডা যাওয়ার জন্যে উপযুক্ত কি-না সেটা যাচাই করে দেখার জন্য কানাডা সরকার একটি ওয়েবসাইট ওপেন করেছে। এই ওয়েবসাটে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেয়া আছে। আপনার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার সঙ্গে মিলে যায় এমন সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনি চাইলে নিজেকে যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। এই লিংকে ভিজিট করে আপনাকে যাচাই করুন।
কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার জন্যে এবার আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যদি আপনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার যোগ্য হোন, তবে কানাডা সরকার আপনাকে একটি কার্ড দিবে। যেটি হচ্ছে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কিংবা পিআর কার্ড নামেও পরিচিত।
এই পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড পাওয়ার পরে যখন আপনি কানাডায় যাবেন, তখন আপনাকে সেখানকার কর্মকর্তাদের কাছে এই পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড এবং পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের পর যেসকল সুবিধা পাবেন
কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের পর আপনি সারাবিশ্বের উন্নত এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন।
১। কানাডায় স্থায়ী হওয়ার পর সরকারি স্বাস্থ্য সেবা পাবেন
২। কানাডায় স্থায়ী হওয়ার পর কানাডার নাগরিকরা যেসকল সামাজিক সুযোগ-সুবিধে পান, ঠিক আপনিও সেসবের বেশিরভাগ সুবিধে গুলো পাবেন।
৩। কানাডার যেকোনো স্থানে বসবাস করতে, পড়াশোনা কিংবা কাজ করতে সুযোগ পাবেন
৪। কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি পাওয়ার পরে আপনাকে সেখানে সকল ধরনের কর পরিশোধ এবং কানাডীয় সকল আইন মেনে চলতে হবে।
কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার পরেও আপনি কিছু নির্দিষ্ট কাজ করতে পারবেন নাঃ ১। ভোট দেয়ার অধিকার আপনার থাকবে না ২। কিছু নির্দিষ্ট চাকরি করতে পারবেন না ৩। রাজনৈতিক কোনো দলের পদে থাকতে পারবেন না
শেষ কথাঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
আমি যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে এবং কানাডার ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করার। আশা করি লেখাটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় নিয়ে যদি আপনার আরো কিছু জানার প্রয়োজন কিংবা আমাদেরকে এই বিষয়ে সংশোধন করার দরকার হয় তবে আপনি তা কমেন্টে জানিয়ে দিন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।