ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা - ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা নিয়ে। তাহলে আর দেরি না করে ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে জেনে নিন।
ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে আপনাদের জন্য নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর বিলম্ব না করে চলুন ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
(toc) #title=(সুচিপত্র)
ভূমিকাঃ ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা
ঘোরাঘুরি করতে কে না ভালোবাসে? কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করতে ভ্রমণের বিকল্প নেই। আপনাদের মধ্যে অনেকে এমন আছে যারা ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যান কিন্তু ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে জানেন না। আর এজন্য আপনারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকেন ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে।
ঢাকা সিটিতে ঘোরার জায়গা খুব একটা নেই বললেই চলে। তবে ঢাকার আশেপাশে কিছু কিছু জায়গা আছে যেগুলো ঘুরে আপনারা আপনাদের ক্লান্তি অথবা সময় কাটাতে পারেন। যে জায়গা গুলো গেলে আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ সায়েদাবাদ আবাসিক হোটেল ভাড়া
ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা
ঢাকা শহরের মানুষ, আমরা সবাই খুব ব্যস্ত থাকি। সময় পেলেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতে সবাই চাই। ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা রয়েছে বিভিন্ন রকম। কিন্তু ঢাকার আশেপাশে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় এ সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। আর এই জন্য ঘুরতে যাওয়া হয় না। কিছু কিছু জায়গা আছে ঢাকার আশেপাশে যেগুলো আপনারা ঘুরে দেখতে পারেন। ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা গুলো হলোঃ
সারিঘাট, কেরানীগঞ্জ - পোস্তগোল ব্রিজ থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে সারিঘাট। বসুন্ধরা রিভারভিউ আবাসিক এলাকার শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই সারিঘাটে গিয়ে কাটিয়ে আসতে পারেন নির্মল কিছু সময়। খোলামেলা পরিবেশ, নদী ও মাঠ প্রশান্তি এনে দেবে মনে। করতে পারবেন কায়াকিং। নৌকা ভাড়া করেও ঘোরার সুযোগ রয়েছে। হালকা থেকে ভারী খাবার পেয়ে যাবেন এসব হোটেলে। জুরাইন রেলগেট সারিঘাট যাওয়ার জন্য সিএনজি পেয়ে যাবেন।
পূর্বাচল নিউ টাউন - সবুজে ঘেরা নতুন শহর পূর্বাচল থেকে ঘুরে আসতে পারেন এক সন্ধ্যায়। ৩০০ ফিটের রাস্তা ধরে সোজা গেলে পড়বে পূর্বাচল নিউ টাউন। ২১ নাম্বার সেক্টরে রয়েছে ব্লু লেক। এই লেক কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোটেল। কাবাব, নান ও রাইস সহ নানা ধরনের আইটেম পেয়ে যাবেন এখানে। চা কিংবা কফিও খেতে পারেন লেকের পাড়ে বসে।
ধলেশ্বরীর পাড়, কেরানীগঞ্জ - মেঘনা এক বিকেল যদি নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দিতে চান, তবে চলে যেতে পারেন কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী পাড়ে। কলাতিয়া বাজার পার হয়ে খানিকটা সামনে বলে ধলেশ্বরী নদীর তিন মোহনার পাড়।
নদীর তাজা বাতাস উপভোগ করতে করতে দেখতে পারবেন নৌকা ও ট্রলারের যাতায়াত। বিকেলে গরম গরম চা ও পুরি খেতে পারবেন। ঢাকা থেকে এখানে আসতে চাইলে বাসে কলাতিয়া বাজার পার হয়ে নামবেন ঢালিকান্দি তিন রাস্তার মোড়ে। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে চলে যাবেন ধলেশ্বরী পাড়ে।
আশুলিয়া, সাভার - নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে চাইলে আশুলিয়ার জলাভূমি হতে পারে চমৎকার জায়গা। নৌকা ভ্রমণের পাশাপাশি চটপটি, ফুচকা কিংবা চা খেতে পারেন বিলের ধারে বসে।
বালু নদী - ক্লান্তি কাটাতে ঢাকার বাড্ডা এলাকার বেরাইদ থেকে রূপগঞ্জের ইছাপুরা পর্যন্ত নৌকা ভ্রমণ করে আসতে পারেন। নদীর ফ্রেশ বাতাসে সময়গুলো ভালো কাটাতে পারেন বালু নদীর উপর।ইছাপুরাই নেমে খেতে পারেন মিষ্টি। এখানকার মিষ্টি প্রসিদ্ধ।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর আবাসিক হোটেল ভাড়া কত
ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা
কম খরচে ঢাকারা আশেপাশে ঘুরার জায়গায় এমন অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। যেখানে আপনি একদিনে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন। ছুটির দিনে ঘুরে আসার এই জায়গা গুলোতে দিনে এসে দিনে যাওয়া যাবে। তাই এ জায়গা গুলো সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা দরকার। ঢাকার আশেপাশে ঘোরার চার জায়গা নিম্নে লেখা হলোঃ
নুহাশ পল্লী, গাজীপুর - হুমায়ূন আহমেদকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি গল্পের জাদুকর হিসেবে খ্যাত। ইচ্ছে হলে আপনি এই কোভিদ স্পর্শে লালিত নন্দন কানন নুহাশ পল্লী থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
যেখানে কবিতার কল্পনার সমস্ত কিছুই এখানে বাস্তবে রূপ দিয়ে গেছেন। এখানে আছে বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস নামের বাড়ি ও বিভিন্ন রকম ভাস্কর্য। ঢাকা হতে বাসে করে গাজীপুরের হোতাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে টেম্পু, রিকশা অথবা সিএনজিতে করে নুহাশ পল্লী যাওয়া যায়।
জিন্দা পার্ক - পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরিবিলি একটি দিন কাটাতে চাইলে চলে যেতে পারেন ঢাকার একদম কাছেই জিন্দা পার্কে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত জিন্দা পার্কে চলে যেতে পারেন ৩০০ ফিট দিয়ে। জনপ্রতি ১০০ টাকা টিকিটের সারাদিন কাটতে দিতে পারবেন গাছ গাছালি ও পাখির ছোয়ায়।
গোপাল গ্রাম - তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত সাভারের বিরুলিয়া গ্রাম। গোপাল গ্রাম হিসেবে পরিচিত এটি। পুরো গ্রামই গোলাপ বাগানের মতো ঝলমলে। মিরপুর বেরিবাঁধ হয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ ধরে চলে যেতে পারেন গোপাল গ্রামে। এখান থেকে পেয়ে যাবেন অটো। ট্রলারে যেতে চাইলে দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে পেয়ে যাবেন ট্রলার।
ঠিকানা - ডে আউটার 'ঠিকানা' থেকে ঘুরে আসতে পারেনি এক বিকেলে। বারিধারা থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে বেরাইদ বালু নদীর তীর ঘেসে ঠিকানার অবস্থান। খোলা মাঠে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। আবার হোটেলের চমৎকার খাবার খেতে পারবেন আমবাগানের খোলা পরিবেশে বসে।
ঢাকার আশেপাশে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট
ঢাকার আশেপাশে বিভিন্ন রকম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলো জায়গায় আপনি একবার গেলে বারবার যেতে মন চাইবে। তাই ঢাকার আশেপাশে এই জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলো সম্পর্কে আপনাদের জেনে থাকা দরকার। ঢাকার আশেপাশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলো হলো-
পানাম নগরঃ সোনারগা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হলেও উনিশ শতকের প্রথম দিকে পানাম নগর বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ইংরেজরা এটিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে মূলত ঢাকায় মসলিন কাপড়ের কেনাবেচার জন্য।
এছাড়া মুঘল আমলে এই এলাকায় বেশকিছু ব্রিজ নির্মাণ এবং অবকাঠামগত উন্নয়ন করা হয়। এসব ঐতিহাসিক স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ এখনো আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে পানাম নগরে। বেশ কিছু লাল ইটের দালান এখনো টিকে আছে পানাম নগরে, যা হতে পারে আপনার ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানা।
পদ্মা রিসোর্টঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা সংলগ্ন পদ্মার বিস্তৃত চরজুড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন পদ্মা রিসোর্ট। এই রিসোর্টে দিন দিন পর্যটন বাড়ছে। পদ্মা রিসোর্ট দেখলে মনে হবে চড়ে যেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপ জেগে আছে।
নদী পার সংলগ্ন পদ্মা নদীঘেরা চরের মধ্যে কুঁড়েঘর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ পদ্মা রিসোর্টকে মনোমুগ্ধকর করে রেখেছে। রাতের বেলায় যারা চাঁদ দেখতে এবং ভোরের গ্রামীণ পরিবেশ দেখতে ভালোবাসেন তারা একবার ঢু মেরে আসতে পারেন ঢাকার কাছে এই রিসোর্ট থেকে।
ড্রিম হলিডে পার্কঃ ড্রিম হলিডে পার্ক ঢাকার পাশে নরসিংদী জেলায় অবস্থিত অন্যতম থিম পার্ক। পরিবার পরিজনদের সারাদিন হৈচৈ আর আনন্দে মাতামাতি করতে অথবা পিকনিকের আয়োজন করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। রাতে থাকার জন্য রয়েছে রিসোর্ট এর অশু ব্যবস্থা আর প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা করে।
আরো পড়ুনঃ আবাসিক হোটেলে থাকতে কি কি লাগে
শেষ কথাঃ ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা
কম খরচে ঢাকার আশেপাশে ঘোরা যায় এমন অনেক সুন্দর জায়গা আছে। যেখানে আপনি একদিনে সহজে ঘুরে আসতে পারবেন। ছুটির দিনগুলোতে আপনি ইচ্ছা করলে পরিবারের সাথে সেই জায়গাগুলো ঘুরতে যেতে পারেন। ঢাকার আশেপাশে কিছু কিছু পর্যটন স্পট রয়েছে যেগুলো অনেক মনোমুগ্ধকর।
তাই আপনি ইচ্ছা করলে সেই মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে আসতে পারেন। আবার ঢাকার আশেপাশে অনেক দর্শনীয় স্থানও রয়েছে। যেগুলো আপনি ইচ্ছে করলে দিনে দিনে ঘুরে আসতে পারেন। আর এই জায়গা গুলো একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। আশা করি তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ঢাকার আশেপাশে ঘোরার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন।
প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের সাথে বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।