বর্তমানে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের জন্য একটি অবিচ্ছেদ অংশ। আমরা আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি এবং এটি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে থাকে। তবে, মোবাইল ফোনের অনেক উপকারী দিক থাকলে ও, এটির কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
মোবাইল ফোনের প্রতি ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার কারণে, এটি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য, মানুষের সুস্থতা এবং আরো অন্যান্য সামাজিক বিষয়গুলোর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বলা চলে যে, বর্তমানে মোবাইল ফোনের অনেক ক্ষতিকর দিক পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।
যাইহোক, এখন আমাদের জন্য মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় জানা জরুরি, যাতে করে মোবাইল ফোনের কোন ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের জীবনে না পড়ে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময়, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাঁচার ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলো আপনি আপনার জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। চলুন তাহলে একনজরে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় জেনে নেইঃ
(toc) #title=(সুচিপত্র)
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় স্কিন টাইম সীমিত করুন
সাধারণত অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলে, এটি ব্যবহারকারীর চোখের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় আপনার যদি স্কিন টাইম দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে এটি আপনার চোখের ক্লান্তি নিয়ে আসবে এবং যা আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ও প্রভাব ফেলবে।
এমনকি, দীর্ঘায়িত স্ক্রিন টাইম আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং যা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
মোবাইল ফোনের দীর্ঘায়িত স্কিন টাইম এর মত ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার জন্য আপনি দৈনিক একটি স্ক্রিন টাইম সেট করুন এবং ফোন ব্যবহারের সময় নিয়মিত বিরতি নিন।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করলে, আপনি মোবাইল স্ক্রিনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে পারবেন। আর এই নিয়মটি হল ২০-২০-২০ নিয়ম।
একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় প্রতি ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরে অবস্থিত কোন বস্তুর উপর ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকিয়ে থাকুন। এই অভ্যাসটি আপনার চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
আরো দেখুনঃ মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার অংশ হিসেবে সঠিক ভঙ্গিতে ফোন ব্যবহার করুন
আপনি যখন দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করবেন, তখন এটি আপনার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যদি আপনি সঠিক ভঙ্গিতে মোবাইল ব্যবহার না করেন। তাই, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে, আপনি অবশ্যই সঠিক ভঙ্গিতে মোবাইল চালানোর অনুশীলন করুন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি ফোন ব্যবহারের সময় ক্রমাগত কুঁকড়ে যাওয়ার মত ভঙ্গিতে মোবাইল চালাবেন না। এতে করে আপনার ঘাড় এবং পিঠে ব্যাথা হতে পারে। আর তাই, মোবাইল ব্যবহারের সময় এই ক্ষতিকর সমস্যাগুলো এড়ানোর জন্য এবং ঘাড়ের ওপর চাপ কমাতে, চোখ থেকে নিরাপদ দূরত্বে মোবাইলটি রাখুন এবং সোজা হয়ে মোবাইল চালান।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় আপনি যদি কোথাও বসে কিংবা দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে মোবাইল চালান, তাহলে এটি আপনার শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে হয়, তাহলে একই ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার না করে, বরং বিভিন্ন ভঙ্গিতে মোবাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে, ফোন ব্যবহারের সময় ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাঁচতে পারবেন।
অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন গুলো Disable করুন
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় ফোনের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন গুলো আমাদের ফোকাস কে ব্যাহত করতে পারে এবং যা আমাদের মানসিক চাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। ফোন ব্যবহারের সময় আপনি এ ধরনের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা থেকে বাঁচার জন্য শুরুতেই নোটিফিকেশন গুলো ডিজেবল করে দিতে পারেন বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য Do no disturb মোড চালু করুন।
বিশেষ করে, আপনার খাবারের সময়, কোন কাজের সময় অথবা ঘুমানোর সময় এই মুড চালু করে রাখুন। এতে করে, আপনার সেই কাজ আরো ভালোভাবে হবে এবং যা আপনার কাজে কোন প্রভাব ফেলবে না।
আরো পড়ুনঃ কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়
মোবাইলের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার জন্য মুখোমুখি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিন
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপের ফলে, আমাদের মধ্যে মুখোমুখি যোগাযোগের বিষয়টি সবসময় উপেক্ষিত হয়। মোবাইল ফোনের কারণে বর্তমানে আমরা আমাদের বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মুখোমুখি দেখা না করে, ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।
আপনি এই বিষয়টিকে মোবাইল ফোনের একটি মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। কেননা, মোবাইল ফোন আসার পূর্বে আমরা সরাসরি আত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করতাম।
আপনি যদি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিক থেকে কিছুটা বাঁচতে চান, তাহলে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করার বিপরীতে ফিজিক্যালি যোগাযোগ করার ও চেষ্টা করুন। এতে করে, আপনাদের উভয়ের মাঝে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ঘুমের সময় এরোপ্লেন মোড ব্যবহার করুন
আপনি যখন ঘুমাতে যান এবং আপনার মোবাইলটি মাথার পাশে রেখে দেন, তখন এটি আপনার ঘুমের সময় ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি যখন ঘুমের সময় আপনার মোবাইলটিকে এরোপ্লেন মোডে রেখে দিবেন, তখন এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রোম্যাগনেটিভ রেডিয়েশন এক্সপোজার কমায় না, বরং এটি আপনার শান্তির ঘুম ও নিশ্চিত করে।
মোবাইলটিকে এরোপ্লেন মোডে না রেখে পাশে রেখে দিলে, বিভিন্ন নোটিফিকেশন এবং ফোন কলের কারণে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে, যা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
যদি আপনার ফোনের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে এটি আপনার স্বাস্থ্য এবং প্রোডাক্টিভিটিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিক থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে, আপনি অবশ্যই ঘুমানোর সময় ফোনটিকে এরোপ্লেন মোডে রাখুন।
মোবাইল ফোনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করুন
মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ব্লু লাইট আমাদের চোখের জন্য সবসময় ক্ষতিকর। এমনকি, ফোনের ডিসপ্লে থেকে নির্গত এই ক্ষতিকারক আলো আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে কমিয়ে দিতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে থেকে নির্গত হওয়া এই ক্ষতিকারক আলো থেকে বাঁচার জন্য আপনি ব্লু লাইট ফিল্টার Enable করতে পারেন।
বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনগুলোতে আপনি Blue Light Filter চালু করার ফিচার দেখতে পাবেন। তবে, আপনার ফোনে যদি Built-in ব্লু লাইট প্রটেকশন না থাকে, তাহলে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেও এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন। এতে করে, আপনার মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে থেকে আসা ক্ষতিকর আলো থেকে আপনার চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিকগুলোর মধ্যে ব্লু লাইট অন্যতম একটি। তাই, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের ক্ষতিকারক আলো থেকে বাঁচার জন্য আমি এখন থেকেই আপনাকে একটি ব্লু লাইট প্রোটেকশন ব্যবহার করার পরামর্শ দিব।
আরো দেখুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার এর সুফল ও কুফল
হ্যান্ডস ফ্রি ভাবে ফোন ব্যবহার করুন
ফোন কলের সময় আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ক্ষতিকারক রশ্নি ছড়াতে পারে। তাই, আপনি যখনই দীর্ঘ সময়ের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন বা দীর্ঘ সময় কল করার জন্য মোবাইলটি ব্যবহার করবেন, তখন অবশ্যই হ্যান্ডস ফ্রি ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ব্লুটুথ হেডসেট বা স্পিকার এর মত ডিভাইস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের ডিভাইস গুলো ফোন কলের সময় নির্গত হওয়া ক্ষতিকারক রেডিয়েশন থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করতে পারে, বিশেষ করে আপনি যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য কল করেন।
মোবাইলের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে, অ্যাপ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন
কোন নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ আপনার মোবাইল ব্যবহারের সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মোবাইল ব্যবহার করার সময় আপনি হয়তোবা নির্দিষ্ট কোন একটি অ্যাপে আসক্ত হয়ে যেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ Pubg কিংবা Free Fire এর মত গেমে আসক্ত হয়ে যান, তাহলে এসব অ্যাপস গুলোই আপনার মোবাইল ব্যবহারের সময় ক্ষতির কারণ।
তাই, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় আপনি একবার পর্যালোচনা করুন এবং আপনার জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় এমন সব অ্যাপসগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। এতে করে আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিক থেকে বাঁচতে পারবেন।
আর, আপনার সময় নষ্ট করে এমন সব অ্যাপসগুলোকে বাছাই করে সেগুলা আনইন্সটল করুন। আমি মনে করি, আপনার সময় নষ্ট করে এমন সব অ্যাপস আনইন্সটল করার মাধ্যমে আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে সম্পূর্ণ বাঁচতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং রিস্ক ফ্রি ব্যবসা
মোবাইল ফোনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে ফোন নিয়মিত পরিষ্কার করুন
আপনি যখন একটি ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করেন, তখন সেটিতে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু আশ্রয় নিতে পারে। আপনার ফোনটি যখন ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন এটি আপনার জন্য বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই, ফোন ব্যবহারের সময় ক্ষতি থেকে বাঁচতে, অবশ্যই আপনাকে একটি দূষণ-মুক্ত জায়গায় ফোনটি ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
সেই সাথে, মোবাইল ফোনের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে, সর্বদা আপনার ফোনটিকে পরিষ্কার করুন। আর আপনি এমন সব দূষণ-মুক্ত জায়গায় ফোন ব্যবহার করে এড়িয়ে চলুন, যেখান থেকে আপনার ফোনে ময়লা লাগতে পারে।
মোবাইলে থাকা জীবাণু থেকে আপনার যাতে ক্ষতি না হয়, জন্য জীবাণুনাশক মাইক্রো ফাইবার কাপড় দিয়ে নিয়মিত আপনার ফোনটি পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কিছুদিনের জন্য ফোন ব্যবহার বাদ দিন
আপনি যদি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে থাকেন, তাহলে আমি আপনাকে কিছুদিন পরপর মোবাইল ফোনটির ব্যবহার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিব। সেই সাথে, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে, আপনাকে বই পড়া, খেলাধুলা করা এবং আরো অন্যান্য কাজগুলো করার জন্য উৎসাহিত করবো।
আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করার পাশাপাশি রিয়েল লাইফের বিভিন্ন শারীরিক কাজগুলোতে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে এটি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে অনেক সাহায্য করবে।
মোবাইলের ক্ষতি করে দিক থেকে বাঁচার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আলাদা করে রাখুন, যখন আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবেই আর ফোনটির ব্যবহার করবেন না বা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে থাকবেন।
আপনি যদি এমনটি করতে পারেন, তাহলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অনেকাংশই বাঁচতে পারবেন। এই বিষয়টি আপনাকে আপনার মানসিক চাপ কমাতে ও সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং সফটওয়্যার।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে শেষ কথা
আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই ১০টি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, তাহলে এটি আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে অনেকাংশে সাহায্য করতে পারবে।
মোবাইল ব্যবহারের সময় আপনি যদি আপনার স্ক্রিন টাইম, আপনার ফোন ব্যবহার করার ভঙ্গি এবং অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্র সচেতন হন, তাহলে এটি যেমন আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে, ঠিক তেমনিভাবে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে ও সাহায্য করবে।
মোবাইল ফোন সত্যিই আমাদের জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তবে, এটি অনেক ক্ষেত্রেই আপনার জীবনের জন্য অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কিন্তু, আপনি যদি কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলেন, তাহলে খুব সহজেই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে পারবেন। আশা করি আমাদের আজকের এই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় লেখাটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
আর্টিকেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।